Skip to content

সূরা মুযযামমিল - Page: 2

Al-Muzzammil

(al-Muzzammil)

১১

وَذَرْنِيْ وَالْمُكَذِّبِيْنَ اُولِى النَّعْمَةِ وَمَهِّلْهُمْ قَلِيْلًا ١١

wadharnī
وَذَرْنِى
এবং আমাকে ছাড়
wal-mukadhibīna
وَٱلْمُكَذِّبِينَ
ও মিথারপকারীদের
ulī
أُو۟لِى
অধিকারী
l-naʿmati
ٱلنَّعْمَةِ
নেয়ামতের
wamahhil'hum
وَمَهِّلْهُمْ
এবং তাদে্র অবকাশ দাও
qalīlan
قَلِيلًا
সামান্য
আর ছেড়ে দাও আমাকে আর নানান বিলাস সামগ্রীর মালিক ঐ মিথ্যুকদেরকে এবং তাদেরকে কিছুটা সময় অবকাশ দাও। ([৭৩] মুযযামমিল: ১১)
ব্যাখ্যা
১২

اِنَّ لَدَيْنَآ اَنْكَالًا وَّجَحِيْمًاۙ ١٢

inna
إِنَّ
নিশ্চয়
ladaynā
لَدَيْنَآ
আমাদের কাছে আছে
ankālan
أَنكَالًا
শৃংখল
wajaḥīman
وَجَحِيمًا
এবং প্রজ্বলিত আগুন
আমার কাছে আছে শেকল আর দাউ দাউ করে জ্বলা আগুন, ([৭৩] মুযযামমিল: ১২)
ব্যাখ্যা
১৩

وَّطَعَامًا ذَا غُصَّةٍ وَّعَذَابًا اَلِيْمًا ١٣

waṭaʿāman
وَطَعَامًا
এবং খাদ্য
dhā
ذَا
যাওয়া
ghuṣṣatin
غُصَّةٍ
আটকে (গলায়ে)
waʿadhāban
وَعَذَابًا
ও আযাব
alīman
أَلِيمًا
কষ্টকর
আর গলায় আটকে যায় এমন খাবার আর মর্মান্তিক শাস্তি। ([৭৩] মুযযামমিল: ১৩)
ব্যাখ্যা
১৪

يَوْمَ تَرْجُفُ الْاَرْضُ وَالْجِبَالُ وَكَانَتِ الْجِبَالُ كَثِيْبًا مَّهِيْلًا ١٤

yawma
يَوْمَ
সেদিন
tarjufu
تَرْجُفُ
কাঁপবে
l-arḍu
ٱلْأَرْضُ
জমিন
wal-jibālu
وَٱلْجِبَالُ
ও পাহাড়সমূহ
wakānati
وَكَانَتِ
এবং হবে
l-jibālu
ٱلْجِبَالُ
পাহাড়গুলো
kathīban
كَثِيبًا
ধুলার স্তূপ
mahīlan
مَّهِيلًا
বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়া
(এসব শাস্তি দেয়া হবে) যেদিন যমীন আর পাহাড়গুলো কেঁপে উঠবে, আর পাহাড়গুলো হবে চলমান বালুকারাশি। ([৭৩] মুযযামমিল: ১৪)
ব্যাখ্যা
১৫

اِنَّآ اَرْسَلْنَآ اِلَيْكُمْ رَسُوْلًا ەۙ شَاهِدًا عَلَيْكُمْ كَمَآ اَرْسَلْنَآ اِلٰى فِرْعَوْنَ رَسُوْلًا ۗ ١٥

innā
إِنَّآ
আমরা নিশ্চয়
arsalnā
أَرْسَلْنَآ
আমরা পাঠিয়েছি
ilaykum
إِلَيْكُمْ
তোমাদের প্রতি
rasūlan
رَسُولًا
একজন রসূলকে
shāhidan
شَٰهِدًا
সাক্ষ্য দাতা রূপে
ʿalaykum
عَلَيْكُمْ
তোমাদের উপর
kamā
كَمَآ
যেমন
arsalnā
أَرْسَلْنَآ
আমরা পাঠিয়েছি
ilā
إِلَىٰ
প্রতি
fir'ʿawna
فِرْعَوْنَ
ফিরাআউনের
rasūlan
رَسُولًا
একজন রসূল
আমি তোমাদের কাছে তেমনিভাবে একজন রসূলকে তোমাদের প্রতি সাক্ষ্যদাতা হিসেবে পাঠিয়েছি (যিনি ক্বিয়ামতে সাক্ষ্য দিবেন যে, দ্বীনের দাওয়াত তিনি যথাযথভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন) যেমনভাবে আমি ফেরাউনের কাছে পাঠিয়েছিলাম একজন রসূলকে। ([৭৩] মুযযামমিল: ১৫)
ব্যাখ্যা
১৬

فَعَصٰى فِرْعَوْنُ الرَّسُوْلَ فَاَخَذْنٰهُ اَخْذًا وَّبِيْلًاۚ ١٦

faʿaṣā
فَعَصَىٰ
অমান্য করল অতঃপর
fir'ʿawnu
فِرْعَوْنُ
ফিরাআউন
l-rasūla
ٱلرَّسُولَ
রসূলকে
fa-akhadhnāhu
فَأَخَذْنَٰهُ
তাকে আমরা ধরেছি অতএব
akhdhan
أَخْذًا
ধরা
wabīlan
وَبِيلًا
শক্ত
তখন ফেরাউন সেই রসূলকে অমান্য করল। ফলে আমি তাকে শক্ত ধরায় ধরলাম। ([৭৩] মুযযামমিল: ১৬)
ব্যাখ্যা
১৭

فَكَيْفَ تَتَّقُوْنَ اِنْ كَفَرْتُمْ يَوْمًا يَّجْعَلُ الْوِلْدَانَ شِيْبًاۖ ١٧

fakayfa
فَكَيْفَ
কেমনে তখন
tattaqūna
تَتَّقُونَ
তোমরা রক্ষা পাবে
in
إِن
যদি
kafartum
كَفَرْتُمْ
তোমরা কুফরি করো
yawman
يَوْمًا
সেদিন
yajʿalu
يَجْعَلُ
বানিয়ে দিবে
l-wil'dāna
ٱلْوِلْدَٰنَ
বালকদেরকে
shīban
شِيبًا
বৃদ্ধ
অতএব তোমরা যদি (এই রসূলকে) অস্বীকার কর, তাহলে তোমরা কীভাবে সেদিন আত্মরক্ষা করবে যেদিনটি (তার ভীষণতা ও ভয়াবহতায়) বালককে ক’রে দেবে বুড়ো। ([৭৩] মুযযামমিল: ১৭)
ব্যাখ্যা
১৮

ۨالسَّمَاۤءُ مُنْفَطِرٌۢ بِهٖۗ كَانَ وَعْدُهٗ مَفْعُوْلًا ١٨

al-samāu
ٱلسَّمَآءُ
আসমান
munfaṭirun
مُنفَطِرٌۢ
বিদীর্ণ হবে
bihi
بِهِۦۚ
এর সাথে
kāna
كَانَ
হবে
waʿduhu
وَعْدُهُۥ
তার ওয়াদা
mafʿūlan
مَفْعُولًا
বাস্তবায়িত
যার কারণে আকাশ ফেটে যাবে, আল্লাহর ওয়া‘দা পূর্ণ হয়ে যাবে। ([৭৩] মুযযামমিল: ১৮)
ব্যাখ্যা
১৯

اِنَّ هٰذِهٖ تَذْكِرَةٌ ۚ فَمَنْ شَاۤءَ اتَّخَذَ اِلٰى رَبِّهٖ سَبِيْلًا ࣖ ١٩

inna
إِنَّ
নিশ্চয়
hādhihi
هَٰذِهِۦ
এটা
tadhkiratun
تَذْكِرَةٌۖ
উপদেশ
faman
فَمَن
সে অতএব
shāa
شَآءَ
ইচ্ছা করে
ittakhadha
ٱتَّخَذَ
ধরবে
ilā
إِلَىٰ
দিকে
rabbihi
رَبِّهِۦ
তার রবের
sabīlan
سَبِيلًا
পথ
এটা উপদেশ। কাজেই যার মন চায় সে তার প্রতিপালকের দিকে পথ ধরুক। ([৭৩] মুযযামমিল: ১৯)
ব্যাখ্যা
২০

۞ اِنَّ رَبَّكَ يَعْلَمُ اَنَّكَ تَقُوْمُ اَدْنٰى مِنْ ثُلُثَيِ الَّيْلِ وَنِصْفَهٗ وَثُلُثَهٗ وَطَاۤىِٕفَةٌ مِّنَ الَّذِيْنَ مَعَكَۗ وَاللّٰهُ يُقَدِّرُ الَّيْلَ وَالنَّهَارَۗ عَلِمَ اَنْ لَّنْ تُحْصُوْهُ فَتَابَ عَلَيْكُمْ فَاقْرَءُوْا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْاٰنِۗ عَلِمَ اَنْ سَيَكُوْنُ مِنْكُمْ مَّرْضٰىۙ وَاٰخَرُوْنَ يَضْرِبُوْنَ فِى الْاَرْضِ يَبْتَغُوْنَ مِنْ فَضْلِ اللّٰهِ ۙوَاٰخَرُوْنَ يُقَاتِلُوْنَ فِيْ سَبِيْلِ اللّٰهِ ۖفَاقْرَءُوْا مَا تَيَسَّرَ مِنْهُۙ وَاَقِيْمُوا الصَّلٰوةَ وَاٰتُوا الزَّكٰوةَ وَاَقْرِضُوا اللّٰهَ قَرْضًا حَسَنًاۗ وَمَا تُقَدِّمُوْا لِاَنْفُسِكُمْ مِّنْ خَيْرٍ تَجِدُوْهُ عِنْدَ اللّٰهِ ۙهُوَ خَيْرًا وَّاَعْظَمَ اَجْرًاۗ وَاسْتَغْفِرُوا اللّٰهَ ۗاِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ ࣖ ٢٠

inna
إِنَّ
নিশ্চয়
rabbaka
رَبَّكَ
তোমার রব
yaʿlamu
يَعْلَمُ
জানেন
annaka
أَنَّكَ
তুমি যে
taqūmu
تَقُومُ
(ইবাদতে) দাঁড়াও
adnā
أَدْنَىٰ
প্রায়
min
مِن
মধ্য হতে
thuluthayi
ثُلُثَىِ
দুই তৃিতীয়াংশ
al-layli
ٱلَّيْلِ
রাতের
waniṣ'fahu
وَنِصْفَهُۥ
এবং তার অর্ধেক
wathuluthahu
وَثُلُثَهُۥ
এবং এক তৃিতীয়াংশ
waṭāifatun
وَطَآئِفَةٌ
এবং একদল
mina
مِّنَ
থেকে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা (তাদের)
maʿaka
مَعَكَۚ
তোমার সাথে
wal-lahu
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহই
yuqaddiru
يُقَدِّرُ
নির্ধারণ করেন
al-layla
ٱلَّيْلَ
রাত কে
wal-nahāra
وَٱلنَّهَارَۚ
ও দিনকে
ʿalima
عَلِمَ
তিনি জেনেছেন
an
أَن
যে
lan
لَّن
পারবে না
tuḥ'ṣūhu
تُحْصُوهُ
তা হিসাব রাখতে
fatāba
فَتَابَ
তিনি মাফ অতএব করলেন
ʿalaykum
عَلَيْكُمْۖ
তোমাদেরকে
fa-iq'raū
فَٱقْرَءُوا۟
তোমরা পর অতএব
مَا
যা
tayassara
تَيَسَّرَ
সহজসাধ্য হয়
mina
مِنَ
থেকে
l-qur'āni
ٱلْقُرْءَانِۚ
কুরআন
ʿalima
عَلِمَ
তিনি জেনেছেন
an
أَن
যে
sayakūnu
سَيَكُونُ
হবে
minkum
مِنكُم
তোমাদের মধ্যে (বিতর্ক)
marḍā
مَّرْضَىٰۙ
রোগী
waākharūna
وَءَاخَرُونَ
এবং অন্য অনেকে
yaḍribūna
يَضْرِبُونَ
ভ্রমণ করবে
فِى
মধ্যে
l-arḍi
ٱلْأَرْضِ
পৃথিবীর
yabtaghūna
يَبْتَغُونَ
অনুসন্ধান করবে
min
مِن
থেকে
faḍli
فَضْلِ
অনুগ্র্রহ
l-lahi
ٱللَّهِۙ
আল্লাহ্‌র
waākharūna
وَءَاخَرُونَ
এবং অন্য অনেকে
yuqātilūna
يُقَٰتِلُونَ
যুদ্ধ করবে
فِى
মধ্যে
sabīli
سَبِيلِ
পথে
l-lahi
ٱللَّهِۖ
আল্লাহ্‌‌র
fa-iq'raū
فَٱقْرَءُوا۟
তোমরা পর সুতরাং
مَا
যা
tayassara
تَيَسَّرَ
সহজ হয়
min'hu
مِنْهُۚ
তা থেকে
wa-aqīmū
وَأَقِيمُوا۟
এবং তোমরা কায়েম করো
l-ṣalata
ٱلصَّلَوٰةَ
নামায
waātū
وَءَاتُوا۟
এবং তোমরা দাও
l-zakata
ٱلزَّكَوٰةَ
যাকাত
wa-aqriḍū
وَأَقْرِضُوا۟
এবং তোমরা কর্জ দাও
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ্‌কে
qarḍan
قَرْضًا
কর্জ
ḥasanan
حَسَنًاۚ
উত্তম
wamā
وَمَا
এবং যা
tuqaddimū
تُقَدِّمُوا۟
তোমরা আগে পাঠাবে
li-anfusikum
لِأَنفُسِكُم
তোমাদের নিজেদের জন্যে
min
مِّنْ
থেকে
khayrin
خَيْرٍ
ভালো
tajidūhu
تَجِدُوهُ
তা তোমরা পাবে
ʿinda
عِندَ
কাছে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহ্‌র
huwa
هُوَ
তাই
khayran
خَيْرًا
উত্তম
wa-aʿẓama
وَأَعْظَمَ
এবং অতীব উত্তম
ajran
أَجْرًاۚ
প্রতিফল
wa-is'taghfirū
وَٱسْتَغْفِرُوا۟
এবং তোমরা ক্ষমা চাও
l-laha
ٱللَّهَۖ
আল্লাহ্‌র কাছে
inna
إِنَّ
নিশ্চয়
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ্‌
ghafūrun
غَفُورٌ
বড় ক্ষমাশীল
raḥīmun
رَّحِيمٌۢ
অত্যন্ত মেহেরবান
তোমার প্রতিপালক জানেন যে, তুমি কখনও রাতের দু’তৃতীয়াংশ ‘ইবাদাতের জন্য দাঁড়াও, কখনও অর্ধেক, কখনও রাতের এক তৃতীয়াংশ, তোমার সঙ্গী-সাথীদের একটি দলও (তাই করে)। আল্লাহ্ই রাত আর দিনের পরিমাণ নির্ধারণ করেন। তিনি জানেন, তোমরা তা যথাযথ হিসাব রেখে পালন করতে পারবে না। কাজেই তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমাপরবশ হয়েছেন। কাজেই কুরআনের যতটুকু পড়া তোমার জন্য সহজ হয়, তুমি ততটুকু পড়। তিনি জানেন, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হবে, আর কতক আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে যমীনে ভ্রমণ করবে, আর কতক আল্লাহর পথে যুদ্ধ করবে। কাজেই তোমাদের জন্য যতটুকু সহজসাধ্য হয় তাই তাত্থেকে পাঠ কর, আর নামায প্রতিষ্ঠা কর, যাকাত দাও আর আল্লাহকে ঋণ দাও উত্তম ঋণ। তোমরা যা কিছু কল্যাণ নিজেদের জন্য আগে পাঠাবে, তা আল্লাহর নিকট (সঞ্চিত) পাবে, তাই উত্তম এবং পুরস্কার হিসেবে খুব বড়। তোমরা আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর, আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু। ([৭৩] মুযযামমিল: ২০)
ব্যাখ্যা