Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা আল জিন আয়াত ১৮

Qur'an Surah Al-Jinn Verse 18

আল জিন [৭২]: ১৮ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

وَّاَنَّ الْمَسٰجِدَ لِلّٰهِ فَلَا تَدْعُوْا مَعَ اللّٰهِ اَحَدًاۖ (الجن : ٧٢)

wa-anna
وَأَنَّ
And that
এবং যে
l-masājida
ٱلْمَسَٰجِدَ
the masajid
মসজিদ সমূহ
lillahi
لِلَّهِ
(are) for Allah
আল্লাহর জন্যে
falā
فَلَا
so (do) not
না অতএব
tadʿū
تَدْعُوا۟
call
তোমরা ডেকো
maʿa
مَعَ
with
সাথে
l-lahi
ٱللَّهِ
Allah
আল্লাহর
aḥadan
أَحَدًا
anyone
কাউকে

Transliteration:

Wa annal masaajida lillaahi falaa tad'oo ma'al laahi ahadaa (QS. al-Jinn:18)

English Sahih International:

And [He revealed] that the masjids are for Allah, so do not invoke with Allah anyone. (QS. Al-Jinn, Ayah ১৮)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আরো এই যে, মাসজিদগুলো কেবলমাত্র আল্লাহরই জন্য, কাজেই তোমরা আল্লাহর সঙ্গে অন্য আর কাউকে ডেকো না। (আল জিন, আয়াত ১৮)

Tafsir Ahsanul Bayaan

আর এই যে, মসজিদসমূহ আল্লাহরই জন্য। সুতরাং আল্লাহর সাথে তোমরা অন্য কাউকেও ডেকো না।[১]

[১] মসজিদের অর্থ সিজদা করার জায়গা। সিজদাও নামাযের একটি রুকন। এই জন্য নামায পড়ার স্থানকে মসজিদ বলা হয়। আয়াতের উদ্দেশ্য স্পষ্ট যে, মসজিদগুলোর উদ্দেশ্য হল, কেবল এক আল্লাহর ইবাদত করা। তাই মসজিদগুলোতে অন্য কারো ইবাদত করা, অন্য কারো কাছে প্রার্থনা করা এবং অন্য কারো নিকট ফরিয়াদ করা ও সাহায্য চাওয়া জায়েয নয়। এই বিষয়গুলো তো এমনিতেই নিষেধ। কোথাও গায়রুল্লাহর ইবাদত করা জায়েয নয়। তবে মসজিদের কথা বিশেষ করে এই জন্য উল্লেখ করা হয়েছে যে, এগুলোর নির্মাণ করার উদ্দেশ্যই হল এক আল্লাহর ইবাদত করা। যদি এখানেও গায়রুল্লাহর আহবান আরম্ভ হয়ে যায়, তাহলে এটা অতি জঘন্য এবং অন্যায় আচরণ হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, বর্তমানে অনেক অজ্ঞ মুসলমান মসজিদগুলোতেও আল্লাহর সাথে অন্যকেও সাহায্যের জন্য আহবান করে। বরং মসজিদগুলোতে এমন এমন বাক্য লিপিবদ্ধ থাকে, যাতে আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যের নিকট ফরিয়াদ করা হয়। فَلْيَبْكِ عَلَى الإِسْلاَمِ مَنْ كَانَ بَاكِيًا

Tafsir Abu Bakr Zakaria

আর নিশ্চয় মসজিদসমূহ আল্লাহ্রই জন্য। কাজেই আল্লাহ্র সাথে তোমরা অন্য কাউকে ডেকো না [১]।

[১] مساجد শব্দটি مسجد এর বহুবচন। মুফাস্সিরগণ শব্দটি সাধারণভাবে ইবাদাতখানা বা উপাসনালয় অর্থে গ্রহণ করেছেন। তখন আয়াতের এক অর্থ এই যে, মসজিদসমূহ কেবল আল্লাহ্ তা‘আলার ইবাদতের জন্যে নির্মিত হয়েছে। অতএব, তোমরা মসজিদে গিয়ে আল্লাহ্ তা‘আলা ব্যতীত অন্য কাউকে সাহায্যের জন্যে ডেকো না। সেগুলোতে আল্লাহ্র ইবাদাতের সাথে সাথে আর কারো ইবাদাত করো না। যেমন ইহুদী ও নাসারারা তাদের উপাসনালয়সমূহে এ ধরনের শির্ক করে থাকে। অনুরূপভাবে মসজিদসমূহকে ভ্রান্ত আকীদা-বিশ্বাস ও মিথ্যা কর্মকাণ্ড থেকেও পবিত্র রাখতে হবে। হাসান বাস্রী বলেন, সমস্ত পৃথিবীটাই ইবাদাতখানা বা উপাসনালয়। তাই আয়াতটির মূল বক্তব্য হলো আল্লাহ্র এ পৃথিবীতে কোথাও যেন শির্ক করা না হয়। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ বাণী থেকে প্রমাণ পেশ করেছেন, তিনি বলেছেন, “আমার জন্য সমগ্ৰ পৃথিবীকে ইবাদাতের স্থান এবং পবিত্রতা অর্জনের উপায় বানিয়ে দেয়া হয়েছে।” [বুখারী; ৩৩৫, তিরমিয়ী; ৩১৭] সাঈদ ইবনে জুবাইর এর মতে, মসজিদ বলতে যেসব অংগ-প্রত্যংগের সাহায্যে মানুষ সিজদা করে সেগুলো অর্থাৎ হাত, হাঁটু, পা ও কপাল বুঝানো হয়েছে। এ ব্যাখ্যা অনুসারে আয়াতটির অর্থ হলো, সমস্ত অংগ-প্রত্যংগ আল্লাহ্র তৈরী। এগুলোর সাহায্যে একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া আর কাউকে সিজদা করা যাবে না। [কুরতুবী]

Tafsir Bayaan Foundation

আর নিশ্চয় মসজিদগুলো আল্লাহরই জন্য। কাজেই তোমরা আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে ডেকো না।

Muhiuddin Khan

এবং এই ওহীও করা হয়েছে যে, মসজিদসমূহ আল্লাহ তা’আলাকে স্মরণ করার জন্য। অতএব, তোমরা আল্লাহ তা’আলার সাথে কাউকে ডেকো না।

Zohurul Hoque

আর এই যে মসজিদগুলো হচ্ছে আল্লাহ্‌র জন্য, সুতরাং তোমরা আল্লাহ্‌র সঙ্গে আর কাউকেও ডেকো না।