Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা আল আ'রাফ আয়াত ১৯৬

Qur'an Surah Al-A'raf Verse 196

আল আ'রাফ [৭]: ১৯৬ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

اِنَّ وَلِيِّ َۧ اللّٰهُ الَّذِيْ نَزَّلَ الْكِتٰبَۖ وَهُوَ يَتَوَلَّى الصّٰلِحِيْنَ (الأعراف : ٧)

inna
إِنَّ
Indeed
নিশ্চয়ই
waliyyiya
وَلِۦِّىَ
my protector
আমার অভিভাবক
l-lahu
ٱللَّهُ
(is) Allah
আল্লাহ
alladhī
ٱلَّذِى
the One Who
যিনি
nazzala
نَزَّلَ
revealed
অবতীর্ণ করেছেন
l-kitāba
ٱلْكِتَٰبَۖ
the Book
কিতাব
wahuwa
وَهُوَ
And He
এবং তিনি
yatawallā
يَتَوَلَّى
protects
অভিভাবকত্ব করেন
l-ṣāliḥīna
ٱلصَّٰلِحِينَ
the righteous
সৎকর্মশীলদের

Transliteration:

Inna waliyyial laahul lazee nazzalal Kitaaba wa Huwa yatawallas saaliheen (QS. al-ʾAʿrāf:196)

English Sahih International:

Indeed, my protector is Allah, who has sent down the Book; and He is an ally to the righteous. (QS. Al-A'raf, Ayah ১৯৬)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আল্লাহই হলেন আমার অভিভাবক যিনি কিতাব অবতীর্ণ করেছেন, আর তিনিই সৎকর্মশীলদের অভিভাবকত্ব করে থাকেন। (আল আ'রাফ, আয়াত ১৯৬)

Tafsir Ahsanul Bayaan

নিশ্চয়ই আমার অভিভাবক আল্লাহ যিনি কিতাব অবতীর্ণ করেছেন এবং তিনিই সৎকর্মপরায়ণদের অভিভাবকত্ব করে থাকেন।’

Tafsir Abu Bakr Zakaria

‘আমার অভিভাবক তো আল্লাহ্ যিনি কিতাব নাযিল করেছেন এবং তিনিই সৎকর্মপরায়ণদের অভিভাবকত্ব করে থাকেন [১]।

[১] এখানে ‘ওলী’ অর্থ রক্ষাকারী, সাহায্যকারী, অভিভাবক। আর ‘কিতাব' অর্থ কুরআন। ‘সালেহীন’ অর্থ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমার ভাষায় সে সমস্ত লোক, যারা আল্লাহর সাথে কাউকে সমকক্ষ সাব্যস্ত করে না। এতে নবী-রাসূল থেকে শুরু করে সাধারণ সৎকর্মশীল মুসলিম পর্যন্ত সবাই অন্তর্ভুক্ত। আয়াতের অর্থ হচ্ছে, তোমাদের বিরোধিতার কোন ভয় আমার এ কারণেই নেই যে, আমার রক্ষাকারী, সাহায্যকারী ও অভিভাবক হলেন আল্লাহ, যিনি আমার উপর কুরআন নাযিল করেছেন। এখানে আল্লাহ্ তা'আলার সমস্ত গুণাবলীর মধ্যে বিশেষভাবে কুরআন নাযিল করার গুণটি উল্লেখ করা হয়েছে এজন্য যে, তোমরা যে আমার শক্রতা ও বিরোধিতায় বদ্ধপরিকর হয়ে আছ তার কারণ হচ্ছে যে, আমি তোমাদেরকে কুরআনের শিক্ষা দেই এবং কুরআনের প্রতি আহবান করি। কাজেই যিনি আমার উপর কুরআন নাযিল করেছেন তিনিই আমার সাহায্যদাতা ও রক্ষণাবেক্ষণকারী। অতএব, আমার কি চিন্তা? আয়াতের শেষ বাক্যটিতে একটি সাধারণ নিয়ম বাতলে দেয়া হয়েছে যে, নবী -রাসূলগণের মর্যাদা তো বহু উর্ধ্বে, সাধারণ সৎ মুসলিমদের জন্যও আল্লাহ্ সহায়, রক্ষাকারী ও অভিভাবক। অর্থাৎ আল্লাহ্ই আমার জন্য যথেষ্ট। তিনিই আমার সাহায্যকারী, তার উপরই আমার ভরসা। আর তার কাছেই আমি আশ্রয় চাই। দুনিয়া ও আখেরাতে তিনিই আমার অভিভাবক। আর আমার পরে প্রত্যেক নেককার বান্দারও তিনি অভিভাবক। [ইবন কাসীর] এ আয়াতের সমর্থনে অন্যত্র এসেছে, “আমরা তো এটাই বলি, আমাদের উপাস্যদের মধ্যে কেউ তোমাকে অশুভ দ্বারা আবিষ্ট করেছে। তিনি বললেন, ‘নিশ্চয় আমি আল্লাহকে সাক্ষী করছি এবং তোমরাও সাক্ষী হও যে, নিশ্চয় আমি তা থেকে মুক্ত যাকে তোমরা শরীক কর, আল্লাহ ছাড়া। সুতরাং তোমরা সবাই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কর; তারপর আমাকে অবকাশ দিও না। আমি তো নির্ভর করি আমার ও তোমাদের রব আল্লাহর উপর; এমন কোন জীব-জন্তু নেই, যে তাঁর পূর্ণ আয়ত্তাধীন নয় ; নিশ্চয় আমার রব আছেন সরল পথে।’ [সূরা হুদ; ৫৪-৫৬]

Tafsir Bayaan Foundation

‘নিশ্চয় আমার অভিভাবক আল্লাহ, যিনি কিতাব নাযিল করেছেন। আর তিনি নেককারদের দেখাশোনা করেন’।

Muhiuddin Khan

আমার সহায় তো হলেন আল্লাহ, যিনি কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। বস্তুত; তিনিই সাহায্য করেন সৎকর্মশীল বান্দাদের।

Zohurul Hoque

''নিঃসন্দেহ আমার অভিভাবক হচ্ছেন আল্লাহ্ যিনি কিতাব অবতারণ করেছেন, আর তিনিই অভিভাবকত্ব করেন সৎপথা- বলন্বীদের।