Skip to content

সূরা আল আ'রাফ - Page: 3

Al-A'raf

(al-ʾAʿrāf)

২১

وَقَاسَمَهُمَآ اِنِّيْ لَكُمَا لَمِنَ النّٰصِحِيْنَۙ ٢١

waqāsamahumā
وَقَاسَمَهُمَآ
এবং তাদের দুজনের কাছে সে শপথ করলে
innī
إِنِّى
"নিশ্চয়ই আমি
lakumā
لَكُمَا
জন্যে তোমাদের দুজনের
lamina
لَمِنَ
অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত
l-nāṣiḥīna
ٱلنَّٰصِحِينَ
শুভাকাঙ্ক্ষী"
সে শপথ করে তাদের বলল, ‘আমি তোমাদের সত্যিকারের হিতাকাঙ্ক্ষী।’ ([৭] আল আ'রাফ: ২১)
ব্যাখ্যা
২২

فَدَلّٰىهُمَا بِغُرُورٍۚ فَلَمَّا ذَاقَا الشَّجَرَةَ بَدَتْ لَهُمَا سَوْاٰتُهُمَا وَطَفِقَا يَخْصِفٰنِ عَلَيْهِمَا مِنْ وَّرَقِ الْجَنَّةِۗ وَنَادٰىهُمَا رَبُّهُمَآ اَلَمْ اَنْهَكُمَا عَنْ تِلْكُمَا الشَّجَرَةِ وَاَقُلْ لَّكُمَآ اِنَّ الشَّيْطٰنَ لَكُمَا عَدُوٌّ مُّبِيْنٌ ٢٢

fadallāhumā
فَدَلَّىٰهُمَا
এভাবে সে অধঃপতিত করলো তাদের দুজনকে
bighurūrin
بِغُرُورٍۚ
দ্বারা ধোঁকা
falammā
فَلَمَّا
অতঃপর যখন
dhāqā
ذَاقَا
দু'জনে স্বাদ নিলো
l-shajarata
ٱلشَّجَرَةَ
গাছের (ফলের)
badat
بَدَتْ
প্রকাশ পেলো
lahumā
لَهُمَا
কাছে তাদের দু'জনের
sawātuhumā
سَوْءَٰتُهُمَا
লজ্জাস্থানগুলো তাদের দু'জনের
waṭafiqā
وَطَفِقَا
এবং দু'জনে শুরু করলো
yakhṣifāni
يَخْصِفَانِ
দু'জনে ঢাকতে
ʿalayhimā
عَلَيْهِمَا
দু'জনের উপর তাদের
min
مِن
দিয়ে
waraqi
وَرَقِ
পাতা
l-janati
ٱلْجَنَّةِۖ
জান্নাতের
wanādāhumā
وَنَادَىٰهُمَا
এবং দু'জনকে ডাকলেন তাদের
rabbuhumā
رَبُّهُمَآ
দু'জনের রব তাদের
alam
أَلَمْ
"কি নি
anhakumā
أَنْهَكُمَا
তোমাদের দু'জনকে আমি নিষেধ করি
ʿan
عَن
থেকে
til'kumā
تِلْكُمَا
এই
l-shajarati
ٱلشَّجَرَةِ
গাছ
wa-aqul
وَأَقُل
এবং আমি বলি (নি)
lakumā
لَّكُمَآ
উদ্দেশ্যে তোমাদের দু'জনের
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
l-shayṭāna
ٱلشَّيْطَٰنَ
শয়তান
lakumā
لَكُمَا
জন্যে তোমাদের দু'জনের
ʿaduwwun
عَدُوٌّ
শত্রু"
mubīnun
مُّبِينٌ
প্রকাশ্য"
এভাবে সে ধোঁকা দিয়ে তাদের অধঃপতন ঘটিয়ে দিল। যখন তারা গাছের ফলের স্বাদ নিল, তখন তাদের গোপনীয় স্থান পরস্পরের নিকট প্রকাশিত হয়ে গেল, তারা জান্নাতের পাতা দিয়ে নিজেদেরকে ঢাকতে লাগল। তখন তাদের প্রতিপালক তাদেরকে ডেকে বললেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে এ গাছের কাছে যেতে নিষেধ করিনি আর বলিনি- শয়ত্বান হচ্ছে তোমাদের উভয়ের খোলাখুলি দুশমন?’ ([৭] আল আ'রাফ: ২২)
ব্যাখ্যা
২৩

قَالَا رَبَّنَا ظَلَمْنَآ اَنْفُسَنَا وَاِنْ لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِيْنَ ٢٣

qālā
قَالَا
(আদম ও হাওয়া) দু'জনে বললো
rabbanā
رَبَّنَا
"হে আমাদের রব
ẓalamnā
ظَلَمْنَآ
অন্যায় করেছি আমরা
anfusanā
أَنفُسَنَا
আমাদের নিজেদের (উপর)
wa-in
وَإِن
এবং যদি
lam
لَّمْ
না
taghfir
تَغْفِرْ
ক্ষমা করো তুমি
lanā
لَنَا
আমাদেরকে
watarḥamnā
وَتَرْحَمْنَا
ও আমাদেরকে দয়া (না) করো
lanakūnanna
لَنَكُونَنَّ
অবশ্যই আমরা হবো
mina
مِنَ
অন্তর্ভুক্ত
l-khāsirīna
ٱلْخَٰسِرِينَ
ক্ষতিগ্রস্তদের"
তারা বলল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করে ফেলেছি, যদি তুমি আমাদেরকে ক্ষমা না কর আর দয়া না কর তাহলে আমরা অবশ্য অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।’ ([৭] আল আ'রাফ: ২৩)
ব্যাখ্যা
২৪

قَالَ اهْبِطُوْا بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ ۚوَلَكُمْ فِى الْاَرْضِ مُسْتَقَرٌّ وَّمَتَاعٌ اِلٰى حِيْنٍ ٢٤

qāla
قَالَ
(আল্লাহ) বললেন
ih'biṭū
ٱهْبِطُوا۟
"তোমরা নেমে যাও
baʿḍukum
بَعْضُكُمْ
তোমাদের একে
libaʿḍin
لِبَعْضٍ
জন্যে অপরের
ʿaduwwun
عَدُوٌّۖ
শত্রু
walakum
وَلَكُمْ
এবং জন্যে তোমাদের (থাকবে)
فِى
মধ্যে
l-arḍi
ٱلْأَرْضِ
পৃথিবীর
mus'taqarrun
مُسْتَقَرٌّ
অবস্থান
wamatāʿun
وَمَتَٰعٌ
ও জীবন সামগ্রী
ilā
إِلَىٰ
পর্যন্ত
ḥīnin
حِينٍ
নির্দিষ্ট সময়"
তিনি বললেন, ‘তোমরা নেমে যাও, তোমরা একে অন্যের শত্রু, পৃথিবীতে তোমাদের অবস্থান ও জীবিকা থাকবে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য।’ ([৭] আল আ'রাফ: ২৪)
ব্যাখ্যা
২৫

قَالَ فِيْهَا تَحْيَوْنَ وَفِيْهَا تَمُوْتُوْنَ وَمِنْهَا تُخْرَجُوْنَ ࣖ ٢٥

qāla
قَالَ
তিনি বললেন
fīhā
فِيهَا
"মধ্যে তার
taḥyawna
تَحْيَوْنَ
জীবিত থাকবে তোমরা
wafīhā
وَفِيهَا
ও মধ্যে তার
tamūtūna
تَمُوتُونَ
মৃত্যুবরণ করবে তোমরা
wamin'hā
وَمِنْهَا
ও থেকে তা
tukh'rajūna
تُخْرَجُونَ
তোমাদের বের করা হবে"
বললেন, ‘ওখানে তোমরা জীবন যাপন করবে, ওখানেই তোমাদের মৃত্যু হবে, আর তাথেকেই তোমাদেরকে বের করা হবে।’ ([৭] আল আ'রাফ: ২৫)
ব্যাখ্যা
২৬

يَا بَنِيْٓ اٰدَمَ قَدْ اَنْزَلْنَا عَلَيْكُمْ لِبَاسًا يُّوَارِيْ سَوْاٰتِكُمْ وَرِيْشًاۗ وَلِبَاسُ التَّقْوٰى ذٰلِكَ خَيْرٌۗ ذٰلِكَ مِنْ اٰيٰتِ اللّٰهِ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُوْنَ ٢٦

yābanī
يَٰبَنِىٓ
হে সন্তান
ādama
ءَادَمَ
আদমের
qad
قَدْ
নিশ্চয়ই
anzalnā
أَنزَلْنَا
অবতীর্ণ করেছি আমরা
ʿalaykum
عَلَيْكُمْ
উপর তোমাদের
libāsan
لِبَاسًا
পোশাক
yuwārī
يُوَٰرِى
তা ঢেকে রাখে
sawātikum
سَوْءَٰتِكُمْ
লজ্জাস্থানগুলো তোমাদের
warīshan
وَرِيشًاۖ
ও শোভা বর্ধকরূপে
walibāsu
وَلِبَاسُ
ও পোশাক
l-taqwā
ٱلتَّقْوَىٰ
তাকওয়ার
dhālika
ذَٰلِكَ
এটাই
khayrun
خَيْرٌۚ
উত্তম
dhālika
ذَٰلِكَ
এটা
min
مِنْ
অন্তর্ভুক্ত
āyāti
ءَايَٰتِ
নিদর্শনাবলীর
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
laʿallahum
لَعَلَّهُمْ
সম্ভবতঃ তারা
yadhakkarūna
يَذَّكَّرُونَ
শিক্ষা গ্রহন করবে
হে আদাম সন্তান! আমি তোমাদেরকে পোষাক-পরিচ্ছদ দিয়েছি তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করার জন্য এবং শোভা বর্ধনের জন্য। আর তাকওয়ার পোশাক হচ্ছে সর্বোত্তম পোশাক। ওটা আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে একটি যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে। ([৭] আল আ'রাফ: ২৬)
ব্যাখ্যা
২৭

يٰبَنِيْٓ اٰدَمَ لَا يَفْتِنَنَّكُمُ الشَّيْطٰنُ كَمَآ اَخْرَجَ اَبَوَيْكُمْ مِّنَ الْجَنَّةِ يَنْزِعُ عَنْهُمَا لِبَاسَهُمَا لِيُرِيَهُمَا سَوْاٰتِهِمَا ۗاِنَّهٗ يَرٰىكُمْ هُوَ وَقَبِيْلُهٗ مِنْ حَيْثُ لَا تَرَوْنَهُمْۗ اِنَّا جَعَلْنَا الشَّيٰطِيْنَ اَوْلِيَاۤءَ لِلَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ ٢٧

yābanī
يَٰبَنِىٓ
হে সন্তান
ādama
ءَادَمَ
আদমের
لَا
না (যেন)
yaftinannakumu
يَفْتِنَنَّكُمُ
তোমাদের পরীক্ষায় ফেলে
l-shayṭānu
ٱلشَّيْطَٰنُ
শয়তান
kamā
كَمَآ
যেমন
akhraja
أَخْرَجَ
সে বের করেছিলো
abawaykum
أَبَوَيْكُم
পিতা-মাতাকে তোমাদের
mina
مِّنَ
থেকে
l-janati
ٱلْجَنَّةِ
জান্নাত
yanziʿu
يَنزِعُ
খুলে ফেলে
ʿanhumā
عَنْهُمَا
থেকে তাদের দু'জন
libāsahumā
لِبَاسَهُمَا
পোষাক তাদের দু'জনের
liyuriyahumā
لِيُرِيَهُمَا
জন্যে তাদের দু'জনকে দেখানোর
sawātihimā
سَوْءَٰتِهِمَآۗ
লজ্জাস্থান তাদের দু'জনের
innahu
إِنَّهُۥ
নিশ্চয়ই সে
yarākum
يَرَىٰكُمْ
দেখে তোমাদের
huwa
هُوَ
সে
waqabīluhu
وَقَبِيلُهُۥ
ও দলবল তার
min
مِنْ
থেকে
ḥaythu
حَيْثُ
যেখান
لَا
না
tarawnahum
تَرَوْنَهُمْۗ
তোমরা দেখো তাদেরকে
innā
إِنَّا
নিশ্চয়ই আমরা
jaʿalnā
جَعَلْنَا
আমরা বানিয়েছি
l-shayāṭīna
ٱلشَّيَٰطِينَ
শয়তানদেরকে
awliyāa
أَوْلِيَآءَ
অভিভাবকরূপে
lilladhīna
لِلَّذِينَ
(তাদের) জন্যে যারা
لَا
না
yu'minūna
يُؤْمِنُونَ
ঈমান আনে
হে আদাম সন্তান! শয়ত্বান যেন তোমাদেরকে কিছুতেই ফিতনায় ফেলতে না পারে যেমনভাবে তোমাদের পিতা-মাতাকে (আদম ও হাওয়াকে) জান্নাত থেকে বের করেছিল। সে তাদের পরস্পরকে লজ্জাস্থান দেখানোর জন্য তাদের দেহ হতে পোষাক খুলিয়ে ফেলেছিল। সে আর তার সাথীরা তোমাদেরকে এমনভাবে দেখতে পায় যে তোমরা তাদেরকে দেখতে পাও না। যারা ঈমান আনে না তাদের জন্য আমি শয়ত্বানকে অভিভাবক বানিয়ে দিয়েছি। ([৭] আল আ'রাফ: ২৭)
ব্যাখ্যা
২৮

وَاِذَا فَعَلُوْا فَاحِشَةً قَالُوْا وَجَدْنَا عَلَيْهَآ اٰبَاۤءَنَا وَاللّٰهُ اَمَرَنَا بِهَاۗ قُلْ اِنَّ اللّٰهَ لَا يَأْمُرُ بِالْفَحْشَاۤءِۗ اَتَقُوْلُوْنَ عَلَى اللّٰهِ مَا لَا تَعْلَمُوْنَ ٢٨

wa-idhā
وَإِذَا
এবং যখন
faʿalū
فَعَلُوا۟
তারা করে
fāḥishatan
فَٰحِشَةً
অশ্লীল কাজ
qālū
قَالُوا۟
তারা বলে
wajadnā
وَجَدْنَا
"পেয়েছি আমরা
ʿalayhā
عَلَيْهَآ
উপর এসবের
ābāanā
ءَابَآءَنَا
বাপ-দাদাদেরকে আমাদের
wal-lahu
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
amaranā
أَمَرَنَا
নির্দেশ দিয়েছেন আমাদের
bihā
بِهَاۗ
সম্পর্কে এর"
qul
قُلْ
তুমি বলো
inna
إِنَّ
"নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
لَا
না
yamuru
يَأْمُرُ
নির্দেশ দেন
bil-faḥshāi
بِٱلْفَحْشَآءِۖ
ব্যাপারে অশ্লীলতার
ataqūlūna
أَتَقُولُونَ
কি তোমরা বলছো
ʿalā
عَلَى
সম্পর্কে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
مَا
যা
لَا
না"
taʿlamūna
تَعْلَمُونَ
তোমরা জানো"
তারা যখন কোন অশ্লীল কাজ করে তখন তারা বলে- ‘আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে এ কাজই করতে দেখেছি, আর আল্লাহ আমাদেরকে এসব কাজ করার আদেশ দিয়েছেন।’ বল, ‘আল্লাহ অশ্লীলতার নির্দেশ দেন না, আল্লাহর সম্বন্ধে তোমরা কি এমন কথা বলছ যা তোমরা জান না?’ ([৭] আল আ'রাফ: ২৮)
ব্যাখ্যা
২৯

قُلْ اَمَرَ رَبِّيْ بِالْقِسْطِۗ وَاَقِيْمُوْا وُجُوْهَكُمْ عِنْدَ كُلِّ مَسْجِدٍ وَّادْعُوْهُ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ ەۗ كَمَا بَدَاَكُمْ تَعُوْدُوْنَۗ ٢٩

qul
قُلْ
(হে নাবী) বলো
amara
أَمَرَ
"নির্দেশ দিয়েছেন
rabbī
رَبِّى
"আমার রব
bil-qis'ṭi
بِٱلْقِسْطِۖ
ব্যাপারে ন্যায়ের
wa-aqīmū
وَأَقِيمُوا۟
এবং তোমরা স্থির রাখো
wujūhakum
وُجُوهَكُمْ
লক্ষ্য তোমাদের
ʿinda
عِندَ
সময়
kulli
كُلِّ
প্রত্যেক
masjidin
مَسْجِدٍ
মাসজীদের (সালাতের)
wa-id'ʿūhu
وَٱدْعُوهُ
এবং তোমরা ডাকো তাঁকে
mukh'liṣīna
مُخْلِصِينَ
তোমরা একনিষ্ঠভাবে
lahu
لَهُ
জন্যে তাঁরই
l-dīna
ٱلدِّينَۚ
আনুগত্যকে (নিষ্ঠাপূর্ণ করে)
kamā
كَمَا
যেমন
bada-akum
بَدَأَكُمْ
প্রথম সৃষ্টি করেছেন তোমাদের
taʿūdūna
تَعُودُونَ
তোমরা (তেমনি) ফিরে আসবে"
বল, ‘আমার প্রতিপালক ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দিয়েছেন’, আর প্রত্যেক সলাতে তোমাদের লক্ষ্য ও মনোযোগকে (তাঁর প্রতি) নিবদ্ধ কর, তাঁর আনুগত্যে বিশুদ্ধ-চিত্ত হয়ে তাঁকে ডাক। যেভাবে তোমাদেরকে প্রথমে সৃষ্টি করা হয়েছে (তোমাদের মৃত্যুর পর আবার জীবিত হয়ে) সেভাবেই তোমরা ফিরে আসবে। ([৭] আল আ'রাফ: ২৯)
ব্যাখ্যা
৩০

فَرِيْقًا هَدٰى وَفَرِيْقًا حَقَّ عَلَيْهِمُ الضَّلٰلَةُ ۗاِنَّهُمُ اتَّخَذُوا الشَّيٰطِيْنَ اَوْلِيَاۤءَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ وَيَحْسَبُوْنَ اَنَّهُمْ مُّهْتَدُوْنَ ٣٠

farīqan
فَرِيقًا
একদলকে
hadā
هَدَىٰ
তিনি সঠিক পথে চলিয়েছেন
wafarīqan
وَفَرِيقًا
এবং (অপর এক) দলের (জন্যে)
ḥaqqa
حَقَّ
অবধারিত হয়েছে
ʿalayhimu
عَلَيْهِمُ
উপর তাদের
l-ḍalālatu
ٱلضَّلَٰلَةُۗ
পথ ভ্রষ্টতা
innahumu
إِنَّهُمُ
নিশ্চয়ই তারা
ittakhadhū
ٱتَّخَذُوا۟
গ্রহন করেছে
l-shayāṭīna
ٱلشَّيَٰطِينَ
শয়তানদেরকে
awliyāa
أَوْلِيَآءَ
অভিভাবকরূপে
min
مِن
দিয়ে
dūni
دُونِ
বাদ
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহকে
wayaḥsabūna
وَيَحْسَبُونَ
এবং তারা মনে করে
annahum
أَنَّهُم
যে তারা
muh'tadūna
مُّهْتَدُونَ
সঠিক-পথপ্রাপ্ত
একদলকে তিনি সঠিক পথ দেখিয়েছেন, আর অন্য দলের প্রতি গোমরাহী নির্ধারিত হয়েছে, তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে শয়ত্বানদেরকে তাদের অভিভাবক করে নিয়েছে আর মনে করছে যে তারা সঠিক পথে আছে। ([৭] আল আ'রাফ: ৩০)
ব্যাখ্যা