Skip to content

সূরা আল হাক্বক্বাহ - Page: 2

Al-Haqqah

(al-Ḥāq̈q̈ah)

১১

اِنَّا لَمَّا طَغَا الْمَاۤءُ حَمَلْنٰكُمْ فِى الْجَارِيَةِۙ ١١

innā
إِنَّا
আমরা নিশ্চয়ই
lammā
لَمَّا
যখন
ṭaghā
طَغَا
জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল
l-māu
ٱلْمَآءُ
(পানি)
ḥamalnākum
حَمَلْنَٰكُمْ
তোমাদের আমরা আরোহী করেছিলাম
فِى
মধ্যে
l-jāriyati
ٱلْجَارِيَةِ
নৌযানের
(নূহের বানের) পানি যখন কূল ছাপিয়ে সীমা ছাড়িয়ে গেল, তখন আমি তোমাদেরকে চলন্ত নৌযানে আরোহণ করালাম। ([৬৯] আল হাক্বক্বাহ: ১১)
ব্যাখ্যা
১২

لِنَجْعَلَهَا لَكُمْ تَذْكِرَةً وَّتَعِيَهَآ اُذُنٌ وَّاعِيَةٌ ١٢

linajʿalahā
لِنَجْعَلَهَا
তা বানাই আমরা যেন
lakum
لَكُمْ
তোমাদের জন্যে
tadhkiratan
تَذْكِرَةً
শিক্ষা
wataʿiyahā
وَتَعِيَهَآ
এবং তার ষ্মৃতি বহন করে
udhunun
أُذُنٌ
কান
wāʿiyatun
وَٰعِيَةٌ
স্মরন বাহক
যেন এ ঘটনাটিকে আমি তোমাদের জন্য শিক্ষাপ্রদ-স্মারক করে রাখি আর সংরক্ষণকারী কান তা সংরক্ষণ করে। ([৬৯] আল হাক্বক্বাহ: ১২)
ব্যাখ্যা
১৩

فَاِذَا نُفِخَ فِى الصُّوْرِ نَفْخَةٌ وَّاحِدَةٌ ۙ ١٣

fa-idhā
فَإِذَا
যখন অতঃপর
nufikha
نُفِخَ
ফুক দেয়া হবে
فِى
মধ্যে
l-ṣūri
ٱلصُّورِ
শিঙ্গায়
nafkhatun
نَفْخَةٌ
ফুক
wāḥidatun
وَٰحِدَةٌ
একবার
অতঃপর যখন সিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে- মাত্র একটি ফুঁৎকার। ([৬৯] আল হাক্বক্বাহ: ১৩)
ব্যাখ্যা
১৪

وَّحُمِلَتِ الْاَرْضُ وَالْجِبَالُ فَدُكَّتَا دَكَّةً وَّاحِدَةًۙ ١٤

waḥumilati
وَحُمِلَتِ
এবং উঠানো হবে
l-arḍu
ٱلْأَرْضُ
যমীন
wal-jibālu
وَٱلْجِبَالُ
এবং পাহাড়গুলো
fadukkatā
فَدُكَّتَا
বিচূর্ণ করা হবে অতঃপর
dakkatan
دَكَّةً
চূর্ণ বিচূর্ণ
wāḥidatan
وَٰحِدَةً
একবার
পৃথিবী আর পর্বতমালা উৎক্ষিপ্ত হবে আর একই আঘাতে তাদেরকে চূর্ণ বিচূর্ণ করা হবে। ([৬৯] আল হাক্বক্বাহ: ১৪)
ব্যাখ্যা
১৫

فَيَوْمَىِٕذٍ وَّقَعَتِ الْوَاقِعَةُۙ ١٥

fayawma-idhin
فَيَوْمَئِذٍ
সেদিন অতঃপর
waqaʿati
وَقَعَتِ
সংঘটিত হবে
l-wāqiʿatu
ٱلْوَاقِعَةُ
মহাপ্রলয়
সেদিন ঘটবে সেই সংঘটিতব্য (মহা) ঘটনা। ([৬৯] আল হাক্বক্বাহ: ১৫)
ব্যাখ্যা
১৬

وَانْشَقَّتِ السَّمَاۤءُ فَهِيَ يَوْمَىِٕذٍ وَّاهِيَةٌۙ ١٦

wa-inshaqqati
وَٱنشَقَّتِ
এবং বিদীর্ণ হবে
l-samāu
ٱلسَّمَآءُ
আসমান
fahiya
فَهِىَ
তা অতঃপর
yawma-idhin
يَوْمَئِذٍ
সেদিন
wāhiyatun
وَاهِيَةٌ
বিশ্লিষ্ট হবে
আকাশ হয়ে যাবে দীর্ণ বিদীর্ণ আর সেদিন তা হবে বাঁধন-হারা-বিক্ষিপ্ত। ([৬৯] আল হাক্বক্বাহ: ১৬)
ব্যাখ্যা
১৭

وَّالْمَلَكُ عَلٰٓى اَرْجَاۤىِٕهَاۗ وَيَحْمِلُ عَرْشَ رَبِّكَ فَوْقَهُمْ يَوْمَىِٕذٍ ثَمٰنِيَةٌ ۗ ١٧

wal-malaku
وَٱلْمَلَكُ
এবং ফেরেশতাগণ
ʿalā
عَلَىٰٓ
উপর
arjāihā
أَرْجَآئِهَاۚ
(আসমানের) বিভিন্ন প্রান্তে থাকবে
wayaḥmilu
وَيَحْمِلُ
এবং বহন করবে
ʿarsha
عَرْشَ
আরশ
rabbika
رَبِّكَ
তোমার রবের
fawqahum
فَوْقَهُمْ
তাদের উপরে,
yawma-idhin
يَوْمَئِذٍ
সেদিন
thamāniyatun
ثَمَٰنِيَةٌ
আট (ফেরেশতা)
ফেরেশতারা থাকবে আকাশের আশে পাশে। আটজন ফেরেশতা সেদিন তোমার প্রতিপালকের ‘আরশ নিজেদের ঊর্ধ্বে বহন করবে। ([৬৯] আল হাক্বক্বাহ: ১৭)
ব্যাখ্যা
১৮

يَوْمَىِٕذٍ تُعْرَضُوْنَ لَا تَخْفٰى مِنْكُمْ خَافِيَةٌ ١٨

yawma-idhin
يَوْمَئِذٍ
সেদিন
tuʿ'raḍūna
تُعْرَضُونَ
পেশ করা হবে তোমাদের
لَا
না
takhfā
تَخْفَىٰ
আড়াল করা হবে
minkum
مِنكُمْ
তোমাদের মধ্যে
khāfiyatun
خَافِيَةٌ
কোন গোপন কিছুই
সেদিন তোমাদেরকে (বিচারের জন্য) হাজির করা হবে আর তোমাদের কোন কাজই- যা তোমরা গোপন কর- গোপন থাকবে না। ([৬৯] আল হাক্বক্বাহ: ১৮)
ব্যাখ্যা
১৯

فَاَمَّا مَنْ اُوْتِيَ كِتٰبَهٗ بِيَمِيْنِهٖ فَيَقُوْلُ هَاۤؤُمُ اقْرَءُوْا كِتٰبِيَهْۚ ١٩

fa-ammā
فَأَمَّا
আর
man
مَنْ
যাকে
ūtiya
أُوتِىَ
দেয়া হবে
kitābahu
كِتَٰبَهُۥ
তার আমলনামা
biyamīnihi
بِيَمِينِهِۦ
তাঁর ডান হাতে
fayaqūlu
فَيَقُولُ
সে বলবে অতংপর
hāumu
هَآؤُمُ
"এখানে,
iq'raū
ٱقْرَءُوا۟
তোমরা পড়
kitābiyah
كِتَٰبِيَهْ
আমার আমলনামা
তখন যাকে তার ‘আমালনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে সে বলবে, ‘এই যে আমার ‘আমালানামা পড়ে দেখ, ([৬৯] আল হাক্বক্বাহ: ১৯)
ব্যাখ্যা
২০

اِنِّيْ ظَنَنْتُ اَنِّيْ مُلٰقٍ حِسَابِيَهْۚ ٢٠

innī
إِنِّى
নিশ্চয়ই, আমি
ẓanantu
ظَنَنتُ
মনে করেছিলাম
annī
أَنِّى
আমি যে
mulāqin
مُلَٰقٍ
সাক্ষাৎকারী
ḥisābiyah
حِسَابِيَهْ
আমার হিসাবের"
আমি জানতাম যে, আমাকে আমার হিসাবের সম্মুখীন হতে হবে।’ ([৬৯] আল হাক্বক্বাহ: ২০)
ব্যাখ্যা