১১
اِنَّا لَمَّا طَغَا الْمَاۤءُ حَمَلْنٰكُمْ فِى الْجَارِيَةِۙ ١١
- innā
- إِنَّا
- আমরা নিশ্চয়ই
- lammā
- لَمَّا
- যখন
- ṭaghā
- طَغَا
- জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল
- l-māu
- ٱلْمَآءُ
- (পানি)
- ḥamalnākum
- حَمَلْنَٰكُمْ
- তোমাদের আমরা আরোহী করেছিলাম
- fī
- فِى
- মধ্যে
- l-jāriyati
- ٱلْجَارِيَةِ
- নৌযানের
(নূহের বানের) পানি যখন কূল ছাপিয়ে সীমা ছাড়িয়ে গেল, তখন আমি তোমাদেরকে চলন্ত নৌযানে আরোহণ করালাম। ([৬৯] আল হাক্বক্বাহ: ১১)ব্যাখ্যা
১২
لِنَجْعَلَهَا لَكُمْ تَذْكِرَةً وَّتَعِيَهَآ اُذُنٌ وَّاعِيَةٌ ١٢
- linajʿalahā
- لِنَجْعَلَهَا
- তা বানাই আমরা যেন
- lakum
- لَكُمْ
- তোমাদের জন্যে
- tadhkiratan
- تَذْكِرَةً
- শিক্ষা
- wataʿiyahā
- وَتَعِيَهَآ
- এবং তার ষ্মৃতি বহন করে
- udhunun
- أُذُنٌ
- কান
- wāʿiyatun
- وَٰعِيَةٌ
- স্মরন বাহক
যেন এ ঘটনাটিকে আমি তোমাদের জন্য শিক্ষাপ্রদ-স্মারক করে রাখি আর সংরক্ষণকারী কান তা সংরক্ষণ করে। ([৬৯] আল হাক্বক্বাহ: ১২)ব্যাখ্যা
১৩
فَاِذَا نُفِخَ فِى الصُّوْرِ نَفْخَةٌ وَّاحِدَةٌ ۙ ١٣
- fa-idhā
- فَإِذَا
- যখন অতঃপর
- nufikha
- نُفِخَ
- ফুক দেয়া হবে
- fī
- فِى
- মধ্যে
- l-ṣūri
- ٱلصُّورِ
- শিঙ্গায়
- nafkhatun
- نَفْخَةٌ
- ফুক
- wāḥidatun
- وَٰحِدَةٌ
- একবার
অতঃপর যখন সিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে- মাত্র একটি ফুঁৎকার। ([৬৯] আল হাক্বক্বাহ: ১৩)ব্যাখ্যা
১৪
وَّحُمِلَتِ الْاَرْضُ وَالْجِبَالُ فَدُكَّتَا دَكَّةً وَّاحِدَةًۙ ١٤
- waḥumilati
- وَحُمِلَتِ
- এবং উঠানো হবে
- l-arḍu
- ٱلْأَرْضُ
- যমীন
- wal-jibālu
- وَٱلْجِبَالُ
- এবং পাহাড়গুলো
- fadukkatā
- فَدُكَّتَا
- বিচূর্ণ করা হবে অতঃপর
- dakkatan
- دَكَّةً
- চূর্ণ বিচূর্ণ
- wāḥidatan
- وَٰحِدَةً
- একবার
পৃথিবী আর পর্বতমালা উৎক্ষিপ্ত হবে আর একই আঘাতে তাদেরকে চূর্ণ বিচূর্ণ করা হবে। ([৬৯] আল হাক্বক্বাহ: ১৪)ব্যাখ্যা
১৫
فَيَوْمَىِٕذٍ وَّقَعَتِ الْوَاقِعَةُۙ ١٥
- fayawma-idhin
- فَيَوْمَئِذٍ
- সেদিন অতঃপর
- waqaʿati
- وَقَعَتِ
- সংঘটিত হবে
- l-wāqiʿatu
- ٱلْوَاقِعَةُ
- মহাপ্রলয়
সেদিন ঘটবে সেই সংঘটিতব্য (মহা) ঘটনা। ([৬৯] আল হাক্বক্বাহ: ১৫)ব্যাখ্যা
১৬
وَانْشَقَّتِ السَّمَاۤءُ فَهِيَ يَوْمَىِٕذٍ وَّاهِيَةٌۙ ١٦
- wa-inshaqqati
- وَٱنشَقَّتِ
- এবং বিদীর্ণ হবে
- l-samāu
- ٱلسَّمَآءُ
- আসমান
- fahiya
- فَهِىَ
- তা অতঃপর
- yawma-idhin
- يَوْمَئِذٍ
- সেদিন
- wāhiyatun
- وَاهِيَةٌ
- বিশ্লিষ্ট হবে
আকাশ হয়ে যাবে দীর্ণ বিদীর্ণ আর সেদিন তা হবে বাঁধন-হারা-বিক্ষিপ্ত। ([৬৯] আল হাক্বক্বাহ: ১৬)ব্যাখ্যা
১৭
وَّالْمَلَكُ عَلٰٓى اَرْجَاۤىِٕهَاۗ وَيَحْمِلُ عَرْشَ رَبِّكَ فَوْقَهُمْ يَوْمَىِٕذٍ ثَمٰنِيَةٌ ۗ ١٧
- wal-malaku
- وَٱلْمَلَكُ
- এবং ফেরেশতাগণ
- ʿalā
- عَلَىٰٓ
- উপর
- arjāihā
- أَرْجَآئِهَاۚ
- (আসমানের) বিভিন্ন প্রান্তে থাকবে
- wayaḥmilu
- وَيَحْمِلُ
- এবং বহন করবে
- ʿarsha
- عَرْشَ
- আরশ
- rabbika
- رَبِّكَ
- তোমার রবের
- fawqahum
- فَوْقَهُمْ
- তাদের উপরে,
- yawma-idhin
- يَوْمَئِذٍ
- সেদিন
- thamāniyatun
- ثَمَٰنِيَةٌ
- আট (ফেরেশতা)
ফেরেশতারা থাকবে আকাশের আশে পাশে। আটজন ফেরেশতা সেদিন তোমার প্রতিপালকের ‘আরশ নিজেদের ঊর্ধ্বে বহন করবে। ([৬৯] আল হাক্বক্বাহ: ১৭)ব্যাখ্যা
১৮
يَوْمَىِٕذٍ تُعْرَضُوْنَ لَا تَخْفٰى مِنْكُمْ خَافِيَةٌ ١٨
- yawma-idhin
- يَوْمَئِذٍ
- সেদিন
- tuʿ'raḍūna
- تُعْرَضُونَ
- পেশ করা হবে তোমাদের
- lā
- لَا
- না
- takhfā
- تَخْفَىٰ
- আড়াল করা হবে
- minkum
- مِنكُمْ
- তোমাদের মধ্যে
- khāfiyatun
- خَافِيَةٌ
- কোন গোপন কিছুই
সেদিন তোমাদেরকে (বিচারের জন্য) হাজির করা হবে আর তোমাদের কোন কাজই- যা তোমরা গোপন কর- গোপন থাকবে না। ([৬৯] আল হাক্বক্বাহ: ১৮)ব্যাখ্যা
১৯
فَاَمَّا مَنْ اُوْتِيَ كِتٰبَهٗ بِيَمِيْنِهٖ فَيَقُوْلُ هَاۤؤُمُ اقْرَءُوْا كِتٰبِيَهْۚ ١٩
- fa-ammā
- فَأَمَّا
- আর
- man
- مَنْ
- যাকে
- ūtiya
- أُوتِىَ
- দেয়া হবে
- kitābahu
- كِتَٰبَهُۥ
- তার আমলনামা
- biyamīnihi
- بِيَمِينِهِۦ
- তাঁর ডান হাতে
- fayaqūlu
- فَيَقُولُ
- সে বলবে অতংপর
- hāumu
- هَآؤُمُ
- "এখানে,
- iq'raū
- ٱقْرَءُوا۟
- তোমরা পড়
- kitābiyah
- كِتَٰبِيَهْ
- আমার আমলনামা
তখন যাকে তার ‘আমালনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে সে বলবে, ‘এই যে আমার ‘আমালানামা পড়ে দেখ, ([৬৯] আল হাক্বক্বাহ: ১৯)ব্যাখ্যা
২০
اِنِّيْ ظَنَنْتُ اَنِّيْ مُلٰقٍ حِسَابِيَهْۚ ٢٠
- innī
- إِنِّى
- নিশ্চয়ই, আমি
- ẓanantu
- ظَنَنتُ
- মনে করেছিলাম
- annī
- أَنِّى
- আমি যে
- mulāqin
- مُلَٰقٍ
- সাক্ষাৎকারী
- ḥisābiyah
- حِسَابِيَهْ
- আমার হিসাবের"
আমি জানতাম যে, আমাকে আমার হিসাবের সম্মুখীন হতে হবে।’ ([৬৯] আল হাক্বক্বাহ: ২০)ব্যাখ্যা