Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা আল কলম আয়াত ৪

Qur'an Surah Al-Qalam Verse 4

আল কলম [৬৮]: ৪ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

وَاِنَّكَ لَعَلٰى خُلُقٍ عَظِيْمٍ (القلم : ٦٨)

wa-innaka
وَإِنَّكَ
And indeed you
এবং তুমি নিশ্চয়
laʿalā
لَعَلَىٰ
surely (are)
উপর অবশ্যই(অথিষ্ঠিত)
khuluqin
خُلُقٍ
(of) a moral character
চরিত্রের
ʿaẓīmin
عَظِيمٍ
great
মহান

Transliteration:

Wa innaka la'alaa khuluqin 'azeem (QS. al-Q̈alam:4)

English Sahih International:

And indeed, you are of a great moral character. (QS. Al-Qalam, Ayah ৪)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

নিশ্চয়ই তুমি মহান চরিত্রের উচ্চমার্গে উন্নীত। (আল কলম, আয়াত ৪)

Tafsir Ahsanul Bayaan

তুমি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী। [১]

[১] خُلُقٍ عَظِيْمٍ থেকে ইসলাম, দ্বীন অথবা কুরআন মাজীদকে বুঝানো হয়েছে। অর্থ হল, তুমি ঐ মহান চরিত্রের উপর প্রতিষ্ঠিত আছ, যার আদেশ মহান আল্লাহ তোমাকে কুরআনে অথবা ইসলামে দিয়েছেন। অথবা এর অর্থ হল, এমন শিষ্টাচার, ভদ্রতা, নম্রতা, দয়া-দাক্ষিণ্য, বিশ্বস্ততা, সততা, সহিষ্ণুতা এবং দানশীলতা ইত্যাদি সহ অন্য যাবতীয় চারিত্রিক ও নৈতিক গুণাবলী যার অধিকারী তিনি নবুঅতের পূর্বেও ছিলেন এবং নবুঅতের পর যা আরো উন্নত হয় ও সৌন্দর্য-সমৃদ্ধ হয়। আর এই কারণেই যখন আয়েশা (রাঃ) কে তাঁর চরিত্র সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়, তখন তিনি বলেন, كَانَ خُلُقُهُ القُرْآنَ অর্থাৎ, তাঁর চরিত্র ছিল কুরআন। (মুসলিমঃ মুসাফিরীন অধ্যায়) মা আয়েশার এই উত্তর خُلُقٍ عَظِيْمٍ এর উল্লিখিত উভয় অর্থেই শামিল।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

আর নিশ্চয় আপনি মহান চরিত্রের উপর রয়েছেন [১] ।

[১] আয়াতে উল্লেখিত, “মহৎ চরিত্র” এর অর্থ নির্ধারণে কয়েকটি মত বর্ণিত আছে। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, মহৎ চরিত্রের অর্থ মহৎ দ্বীন। কেননা, আল্লাহ তা‘আলার কাছে ইসলাম অপেক্ষা অধিক প্রিয় কোনো দ্বীন নেই। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, স্বয়ং কুরআন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর “মহৎ চরিত্র”। অর্থাৎ কুরআন পাক যেসব উত্তম কর্ম ও চরিত্র শিক্ষা দেয়, তিনি সেসবের বাস্তব নমুনা। আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “মহৎ চরিত্র” বলে কুরআনের শিষ্টাচার বোঝানো হয়েছে; অর্থাৎ যেসব শিষ্টাচার কুরআন শিক্ষা দিয়েছে। [কুরতুবী]

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নৈতিক চরিত্রের সর্বোত্তম সংজ্ঞা দিয়েছেন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা। তিনি বলেছেন, কুরআনই ছিলো তার চরিত্র। [মুসনাদে আহমাদ; ৬/৯১] আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বৰ্ণনা করেছেন, “আমি দশ বছর যাবত রাসূলুল্লাহ্র খেদমতে নিয়োজিত ছিলাম। আমার কোন কাজ সম্পর্কে তিনি কখনো উহ! শব্দ পর্যন্ত উচ্চারণ করেননি। আমার কোন কাজ দেখে কখনো বলেননি, তুমি এ কাজ করলে কেন? কিংবা কোন কাজ না করলে কখনো বলেননি, তুমি এ কাজ করলে না কেন? [বুখারী; ৬০৩৮, মুসলিম; ২৩০৯] রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সত্তায় আল্লাহ্ তা‘আলা যাবতীয় উত্তম চরিত্র পূর্ণমাত্রায় সন্নিবেশিত করে দিয়েছিলেন। তিনি নিজেই বলেন, “আমি উত্তম চরিত্রকে পূর্ণতা দান করার জন্যই প্রেরিত হয়েছি।” [মুসনাদে আহমাদ; ২/৩৮১, মুস্তাদরাকে হাকিম; ২/৬৭০]

Tafsir Bayaan Foundation

আর নিশ্চয় তুমি মহান চরিত্রের উপর অধিষ্ঠিত।

Muhiuddin Khan

আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী।

Zohurul Hoque

আর নিঃসন্দেহ তুমি সুমহান চরিত্রে অধিষ্ঠিত।