কুরআন মজীদ সূরা আল আনআম আয়াত ৫১
Qur'an Surah Al-An'am Verse 51
আল আনআম [৬]: ৫১ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ
وَاَنْذِرْ بِهِ الَّذِيْنَ يَخَافُوْنَ اَنْ يُّحْشَرُوْٓا اِلٰى رَبِّهِمْ لَيْسَ لَهُمْ مِّنْ دُوْنِهٖ وَلِيٌّ وَّلَا شَفِيْعٌ لَّعَلَّهُمْ يَتَّقُوْنَ (الأنعام : ٦)
- wa-andhir
- وَأَنذِرْ
- And warn
- আর (হে নাবী) তুমি সতর্ক করো
- bihi
- بِهِ
- with it
- সম্পর্কে এ
- alladhīna
- ٱلَّذِينَ
- those who
- (তাদেরকে) যারা
- yakhāfūna
- يَخَافُونَ
- fear
- ভয় করে
- an
- أَن
- that
- যে
- yuḥ'sharū
- يُحْشَرُوٓا۟
- they will be gathered
- একত্র করা হবে
- ilā
- إِلَىٰ
- to
- দিকে
- rabbihim
- رَبِّهِمْۙ
- their Lord
- রবের তাদের
- laysa
- لَيْسَ
- not
- নেই
- lahum
- لَهُم
- for them
- জন্যে তাদের
- min
- مِّن
- of
- দিয়ে
- dūnihi
- دُونِهِۦ
- other than Him
- বাদ তাঁকে
- waliyyun
- وَلِىٌّ
- any protector
- কোনো অভিভাবক
- walā
- وَلَا
- and not
- এবং না
- shafīʿun
- شَفِيعٌ
- any intercessor
- কোনো সুপারিশকারী
- laʿallahum
- لَّعَلَّهُمْ
- so that they may
- যাতে তারা
- yattaqūna
- يَتَّقُونَ
- (become) righteous
- তাকওয়া অবলম্বন করে
Transliteration:
Wa anzir bihil lazeena yakhaafoona ai yuhsharooo ilaa Rabbihim laisa lahum min doonihee waliyyunw wa laa shafee'ul la'allahum yattaqoon(QS. al-ʾAnʿām:51)
English Sahih International:
And warn by it [i.e., the Quran] those who fear that they will be gathered before their Lord – for them besides Him will be no protector and no intercessor – that they might become righteous. (QS. Al-An'am, Ayah ৫১)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তুমি তা দিয়ে (অর্থাৎ কুরআন দিয়ে) তাদেরকে সতর্ক কর যারা ভয় করে যে, তাদেরকে তাদের প্রতিপালকের দিকে একত্রিত করা হবে, যিনি ছাড়া তাদের জন্য কোন অভিভাবক নেই এবং সুপারিশকারী নেই- যাতে তারা সংযত হয়ে চলে। (আল আনআম, আয়াত ৫১)
Tafsir Ahsanul Bayaan
যারা ভয় করে যে, তাদের প্রতিপালকের নিকট তাদেরকে এমন অবস্থায় সমবেত করা হবে যে, তিনি ব্যতীত তাদের কোন অভিভাবক বা সুপারিশকারী থাকবে না, তুমি তাদেরকে এ (কুরআন) দ্বারা সতর্ক কর; হয়তো তারা সাবধান হবে। [১]
[১] অর্থাৎ, এই ধরনের লোকদেরকেই ভয় দেখানোতে লাভ আছে। নচেৎ যারা পুনরুত্থান এবং হাশরের মাঠে একত্রিত হওয়া ইত্যাদির উপর বিশ্বাসই রাখে না, তারা তো তাদের কুফরী ও অমান্য করার নীতির উপরেই কায়েম থাকে। এ ছাড়াও এতে সেই কিতাবধারী, কাফের এবং মুশরিকদের খন্ডনও করা হয়েছে, যারা তাদের পূর্বপুরুষ এবং প্রতিমাদেরকে নিজেদের সুপারিশকারী মনে করত। অনুরূপ 'অভিভাবক ও সুপারিশকারী থাকবে না' কথার অর্থ হল, তাদের জন্য, যারা জাহান্নামের আযাবের যোগ্য বিবেচিত হয়ে গেছে। কেননা, মু'মিনদের জন্য তো আল্লাহর নেক বান্দারা আল্লাহর নির্দেশে সুপারিশ করবেন। অর্থাৎ, সুপারিশের অস্বীকৃতি কাফের ও মুশরিকদের জন্য এবং তার সবীকৃতি তাদের জন্য, যারা তাওহীদবাদী মু'মিন বান্দা হবে। এইভাবে উভয় প্রকারের আয়াতের মধ্যে কোন বিরোধ থাকবে না।
Tafsir Abu Bakr Zakaria
আর আপনি এর দ্বারা তাদেরকে সতর্ক করুন ,যারা ভয় করে যে , তাদেরকে তাদের রব-এর কাছে সমবেত করা হবে এমন অবস্থায় যে, তিনি ছাড়া তাদের জন্য থাকবে না কোন অভিভাবক বা সুপারিশকারী। যাতে তারা তাকওয়ার অধিকারী হয় [১]
ষষ্ট রুকূ’
[১] যারা আখেরাতে নিশ্চিত বিশ্বাসী আলোচ্য আয়াতে বিশেষভাবে তাদের দিকে মনোযোগ দানের নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, “যারা আল্লাহর কাছে একত্রিত হওয়ার আশংকা করে, তাদেরকে কুরআন দ্বারা ভীতি প্রদর্শন করুন"। কারণ, তারাই এর দ্বারা উপকৃত হবে। [সা'দী]
Tafsir Bayaan Foundation
আর এ দ্বারা তুমি তাদেরকে সতর্ক কর, যারা ভয় করে যে, তাদেরকে তাদের রবের দিকে সমবেত করা হবে, (এ অবস্থায় যে) তিনি ছাড়া তাদের জন্য থাকবে না কোন সাহায্যকারী আর না সুপারিশকারী। হয়ত তারা তাকওয়া অবলম্বন করবে।
Muhiuddin Khan
আপনি এ কোরআন দ্বারা তাদেরকে ভয়-প্রদর্শন করুন, যারা আশঙ্কা করে স্বীয় পালনকর্তার কাছে এমতাবস্থায় একত্রিত হওয়ার যে, তাদের কোন সাহায্যকারী ও সুপারিশকারী হবে না-যাতে তারা গোনাহ থেকে বেঁচে থাকে।
Zohurul Hoque
আর এর দ্বারা তাদের সতর্ক করো যারা ভয় করে যে তাদের প্রভুর কাছে তাদের সমবেত করা হবে, তাদের জন্য তিনি ছাড়া কোনো অভিভাবক নেই আর কোনো সুপারিশকারীও নেই, অতএব তারা যেন ধর্মপরায়ণতা অবলন্বন করে।