Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা আল আনআম আয়াত ২৮

Qur'an Surah Al-An'am Verse 28

আল আনআম [৬]: ২৮ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

بَلْ بَدَا لَهُمْ مَّا كَانُوْا يُخْفُوْنَ مِنْ قَبْلُ ۗوَلَوْ رُدُّوْا لَعَادُوْا لِمَا نُهُوْا عَنْهُ وَاِنَّهُمْ لَكٰذِبُوْنَ (الأنعام : ٦)

bal
بَلْ
Nay
বরং
badā
بَدَا
became manifest
প্রকাশ পাবে
lahum
لَهُم
for them
কাছে তাদের
مَّا
what
যা
kānū
كَانُوا۟
they used to
তারা ছিলো
yukh'fūna
يُخْفُونَ
conceal
তারা গোপন করতে
min
مِن
from
থেকে
qablu
قَبْلُۖ
before
পূর্ব
walaw
وَلَوْ
And if
এবং যদি
ruddū
رُدُّوا۟
they were sent back
তারা প্রত্যাবর্তিত হয়ও
laʿādū
لَعَادُوا۟
certainly they (would) return
অবশ্যই পুনরাবৃত্তি করবে
limā
لِمَا
to what
যা কিছু
nuhū
نُهُوا۟
they were forbidden
তাদের নিষেধ করা হয়েছিলো
ʿanhu
عَنْهُ
from it
হতে তা
wa-innahum
وَإِنَّهُمْ
and indeed they
এবং নিশ্চয়ই তারা
lakādhibūna
لَكَٰذِبُونَ
certainly are liars
অবশ্যই মিথ্যাবাদী

Transliteration:

Bal badaa lahum maa kaanoo yukhfoona min qablu wa law ruddoo la'aadoo limaa nuhoo 'anhu wa innahum lakaaziboon (QS. al-ʾAnʿām:28)

English Sahih International:

But what they concealed before has [now] appeared to them. And even if they were returned, they would return to that which they were forbidden; and indeed, they are liars. (QS. Al-An'am, Ayah ২৮)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

বরং(আসল ব্যাপার হল) আগে (দুনিয়াতে) তারা (মিথ্যের আবরণে) যা গোপন করে রাখত এখন তা তাদের কাছে প্রকাশ করা হয়েছে আর তাদেরকে (পৃথিবীতে) ফিরিয়ে দেয়া হলে তারা আবার তা-ই করবে যা করতে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে, নিশ্চয় তারা হল মিথ্যুক। (আল আনআম, আয়াত ২৮)

Tafsir Ahsanul Bayaan

বরং পূর্বে তারা যা গোপন করত, তা তখন তাদের নিকট প্রকাশ পেয়ে যাবে।[১] তারা প্রত্যাবর্তিত হলেও যা করতে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল, পুনরায় তারা তাই করবে। আর অবশ্যই তারা মিথ্যাবাদী। [২]

[১] بَلْ যেটা إِضْرَاب (অর্থাৎ, পূর্বের কথাকে প্রত্যাহার করার) জন্য আসে। এ বাক্যের কয়েকটি ব্যাখ্যা বর্ণনা করা হয়েছে। (ক) তাদের সেই কুফরী, বিরুদ্ধাচরণ এবং মিথ্যাজ্ঞান প্রকাশিত হয়ে যাবে, যা ইতিপূর্বে তারা দুনিয়াতে অথবা আখেরাতে গোপন করত। অর্থাৎ, যেটাকে অস্বীকার করত। যেমন, সেখানে প্রথম পর্যায়ে বলবে, مَا كُنَّا مُشْرِكِيْنَ)) "আমরা তো মুশরিকই ছিলাম না।" (খ) অথবা রসূল (সাঃ) এবং কুরআনে কারীমের যে সত্যতার জ্ঞান তাদের অন্তরে ছিল, কিন্তু তা তাদের অনুসারীদের নিকট গোপন করত, সেখানে প্রকাশিত হয়ে যাবে। (গ) কিংবা মুনাফেকদের সেই মুনাফেকী সেখানে প্রকাশিত হয়ে যাবে, যা তারা দুনিয়াতে ঈমানদারদের নিকট গোপন করত। (তাফসীর ইবনে কাসীর)

[২] অর্থাৎ, পুনরায় দুনিয়াতে আসার ইচ্ছা ঈমান আনার জন্য নয়, বরং কেবল সেই আযাব থেকে বাঁচার জন্য, যা কিয়ামতের দিন প্রকাশ হয়ে যাবে এবং যা তারা প্রত্যক্ষ দেখেও নেবে। তাছাড়া দুনিয়াতে যদি এদেরকে পুনরায় পাঠানোও যায়, তবুও তারা তা-ই করবে, যা পূর্বে করেছে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

বরং আগে তারা যা গপন করত তা এখন তাদের কাছে প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। আর তাদের আবার (দুনিয়ায়) ফেরৎ পাঠানো হলেও তাদেরকে যা করতে নিষেধ করা হয়েছিল আবার তারা তাই করত এবং নিশ্চয়ই তারা মিথ্যাবাদী [১]।

[১] তাদের এ উক্তিকে মিথ্যা বলা পরিণতির দিক দিয়েও হতে পারে। অর্থাৎ তারা ওয়াদা করেছে যে, আমরা দুনিয়াতে পুনঃ প্রেরিত হলে মিথ্যারোপ করবো না, এর পরিণতি কিন্তু এরূপ হবে না; তারা দুনিয়াতে পৌঁছে আবারো মিথ্যারোপ করবে। [ইবন কাসীর] আবার এ মিথ্যা বলার এ অর্থও হতে পারে যে, তারা এখনো যা কিছু বলছে, তা সদিচ্ছায় বলছে না, বরং সাময়িক বিপদ টলানোর উদ্দেশ্যে, শাস্তির কবল থেকে বাঁচার জন্যে বলছে- অন্তরে এখনো তাদের সদিচ্ছা নেই। [ইবন কাসীর]

Tafsir Bayaan Foundation

বরং তাদের কাছে প্রকাশ হয়ে গিয়েছে পূর্বে যা তারা গোপন করত। আর যদি তাদের ফেরত পাঠানো হয় অবশ্যই যা থেকে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে তারা তাতে ফিরে যেত এবং নিশ্চয়ই তারা মিথ্যাবাদী।

Muhiuddin Khan

এবং তারা ইতি পূর্বে যা গোপন করত, তা তাদের সামনে প্রকাশ হয়ে পড়েছে। যদি তারা পুনঃ প্রেরিত হয়, তবুও তাই করবে, যা তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল। নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী।

Zohurul Hoque

না, তারা পূর্বে যা লুকিয়েছিল তা প্রকাশ পাবে তাদের কাছে। আর তাদের ফেরত পাঠানো হলেও তারা তাতেই ফিরে যেতো যা থেকে তাদের নিষেধ করা হয়েছিল, আর নিঃসন্দেহ তারাই মিথ্যাবাদী।