কুরআন মজীদ সূরা আল হাদীদ আয়াত ২৬
Qur'an Surah Al-Hadid Verse 26
আল হাদীদ [৫৭]: ২৬ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ
وَلَقَدْ اَرْسَلْنَا نُوْحًا وَّاِبْرٰهِيْمَ وَجَعَلْنَا فِيْ ذُرِّيَّتِهِمَا النُّبُوَّةَ وَالْكِتٰبَ فَمِنْهُمْ مُّهْتَدٍۚ وَكَثِيْرٌ مِّنْهُمْ فٰسِقُوْنَ (الحديد : ٥٧)
- walaqad
- وَلَقَدْ
- And certainly
- এবং নিশ্চয়ই
- arsalnā
- أَرْسَلْنَا
- We sent
- আমরা পাঠিয়েছি
- nūḥan
- نُوحًا
- Nuh
- নূহকে
- wa-ib'rāhīma
- وَإِبْرَٰهِيمَ
- and Ibrahim
- ও ইবরাহীমকে
- wajaʿalnā
- وَجَعَلْنَا
- and We placed
- এবং আমরা বজায় রেখেছি
- fī
- فِى
- in
- মধ্যে
- dhurriyyatihimā
- ذُرِّيَّتِهِمَا
- their offspring
- উভয়ের বংশধরদের
- l-nubuwata
- ٱلنُّبُوَّةَ
- Prophethood
- নবুয়্যত
- wal-kitāba
- وَٱلْكِتَٰبَۖ
- and the Scripture;
- ও কিতাব
- famin'hum
- فَمِنْهُم
- and among them
- অতঃপর তাদের মধ্য হতে
- muh'tadin
- مُّهْتَدٍۖ
- (is) a guided one
- (কিছু হয়েছে) সৎ পথ প্রাপ্ত
- wakathīrun
- وَكَثِيرٌ
- but most
- আর অনেকেই
- min'hum
- مِّنْهُمْ
- of them
- তাদের মধ্যে হতে
- fāsiqūna
- فَٰسِقُونَ
- (are) defiantly disobediently
- সত্যত্যাগী
Transliteration:
Wa laqad arsalnaa Noohanw wa Ibraaheema wa ja'alnaa fee zurriyyatihiman nubuwwata wal Kitaaba faminhum muhtad; wa kaseerum minhum faasiqoon(QS. al-Ḥadīd:26)
English Sahih International:
And We have already sent Noah and Abraham and placed in their descendants prophethood and scripture; and among them is he who is guided, but many of them are defiantly disobedient. (QS. Al-Hadid, Ayah ২৬)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
আমি নূহ (আলাইহিস সালাম) আর ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম)-কে পাঠিয়েছিলাম আর তাদের বংশধরদের মধ্যে নুবুওয়াত ও কিতাবের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সঠিক পথ অবলম্বন করেছিল আর তাদের অধিকাংশই ছিল পাপাচারী। (আল হাদীদ, আয়াত ২৬)
Tafsir Ahsanul Bayaan
অবশ্যই আমি নূহ ও ইব্রাহীমকে রসূলরূপে প্রেরণ করেছিলাম এবং আমি তাদের বংশধরদের জন্য স্থির করেছিলাম নবুঅত ও কিতাব, কিন্তু তাদের কিছু সংখ্যক সৎপথ অবলম্বন করেছিল এবং বহু সংখ্যক ছিল সত্যত্যাগী।
Tafsir Abu Bakr Zakaria
আর অবশ্যই আমরা নূহ এবং ইবরাহীমকে রাসূল রূপে পাঠিয়েছিলাম এবং আমরা তাদের বংশধরগণের জন্য স্থির করেছিলাম নবুওয়াত ও কিতাব [১], কিন্তু তাদের অল্পই সৎপথ অবলম্বন করেছিল। আর তাদের অধিকাংশই ফাসিক।
[১] আলোচ্য আয়াতসমূহে বিশেষ বিশেষ নবী-রাসূলের আলোচনা করা হচ্ছে। প্রথমে নূহ আলাইহিস সালাম-এর এবং পরে নবী-রাসূলগণের শ্রদ্ধাভাজন ও মানবমণ্ডলীর ইমাম ইবরাহীম আলাইহিস সালাম-এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর সাথে ঘোষণা করা হয়েছে যে, ভবিষ্যতে যত নবী-রাসূল ও ঐশী কিতাব দুনিয়াতে আগমন করবে, তারা সব এদের বংশধরের মধ্য থেকে হবে। অর্থাৎ, নুহ আলাইহিস সালাম-এর সেই শাখাকে ঐ গৌরব অর্জনের জন্যে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যাতে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম জন্মগ্রহণ করেছেন। এ কারণেই পরবর্তীকালে যত নবী-রাসূল প্রেরিত হয়েছেন এবং যত কিতাব নাযিল করা হয়েছে, তারা সব ছিলেন ইবরাহীম আলাইহিস সালাম-এর বংশধর। এই বিশেষ আলোচনার পর পরবর্তী নবী-রাসূলগণের পরস্পরকে একটি সংক্ষিপ্ত বাক্যে ব্যক্ত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এরপর তাদের পশ্চাতে একের পর এক আমি আমার নবী-রাসূলগণকে প্রেরণ করেছি। পরিশেষে বিশেষভাবে বনী-ইসরাঈলের সর্বশেষ রাসূল ঈসা আলাইহিস সালাম-এর উল্লেখ করেছেন যিনি শেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার শরীয়ত সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বানী করে গেছেন। [ইবন কাসীর]
Tafsir Bayaan Foundation
আর আমি তো নূহ ও ইবরাহীমকে রাসূলরূপে পাঠিয়েছিলাম এবং তাদের বংশধরদের মধ্যে নবুওয়াত ও কিতাব দিয়েছিলাম। তারপর তাদের মধ্যে কেউ কেউ সঠিক পথ অবলম্বনকারী ছিল, আর তাদের অধিকাংশই ছিল ফাসিক।
Muhiuddin Khan
আমি নূহ ও ইব্রাহীমকে রসূলরূপে প্রেরণ করেছি এবং তাদের বংশধরের মধ্যে নবুওয়ত ও কিতাব অব্যাহত রেখেছি। অতঃপর তাদের কতক সৎপথপ্রাপ্ত হয়েছে এবং অধিকাংশই হয়েছে পাপাচারী।
Zohurul Hoque
আর আমরা ইতিপূর্বে নূহ্কে ও ইব্রাহীমকে পাঠিয়েছিলাম, আর তাঁদের বংশধরদের মধ্যে নবুওৎ ও গ্রন্থ সংস্থাপন করেছিলাম, কাজেই তাদের কেউ-কেউ ছিল সৎপথপ্রাপ্ত, কিন্ত তাদের অধিকাংশই ছিল সত্যত্যাগী।