Skip to content

সূরা আল হাদীদ - Page: 2

Al-Hadid

(al-Ḥadīd)

১১

مَنْ ذَا الَّذِيْ يُقْرِضُ اللّٰهَ قَرْضًا حَسَنًا فَيُضٰعِفَهٗ لَهٗ وَلَهٗٓ اَجْرٌ كَرِيْمٌ ١١

man
مَّن
কে (আছে)
dhā
ذَا
সেই (ব্যক্তি)
alladhī
ٱلَّذِى
যে
yuq'riḍu
يُقْرِضُ
ঋণ দেবে
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহকে
qarḍan
قَرْضًا
ঋণ
ḥasanan
حَسَنًا
উত্তম
fayuḍāʿifahu
فَيُضَٰعِفَهُۥ
অতঃপর তা বহুগুণ বৃদ্ধি করবেন
lahu
لَهُۥ
তার জন্যে
walahu
وَلَهُۥٓ
এবং তার জন্যে
ajrun
أَجْرٌ
পুরস্কার (আছে)
karīmun
كَرِيمٌ
সম্মানজনক
এমন কে আছে যে, আল্লাহকে উত্তম ঋণ দিবে? তাহলে তিনি তা তার জন্য কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিবেন আর তার জন্য আছে সম্মানজনক প্রতিফল। ([৫৭] আল হাদীদ: ১১)
ব্যাখ্যা
১২

يَوْمَ تَرَى الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنٰتِ يَسْعٰى نُوْرُهُمْ بَيْنَ اَيْدِيْهِمْ وَبِاَيْمَانِهِمْ بُشْرٰىكُمُ الْيَوْمَ جَنّٰتٌ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ خٰلِدِيْنَ فِيْهَاۗ ذٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيْمُۚ ١٢

yawma
يَوْمَ
সেদিন
tarā
تَرَى
তুমি দেখবে
l-mu'minīna
ٱلْمُؤْمِنِينَ
মুমিন পুরুষকে
wal-mu'mināti
وَٱلْمُؤْمِنَٰتِ
ও মুমিন নারীকে
yasʿā
يَسْعَىٰ
ছুটে চলছে
nūruhum
نُورُهُم
তাদের আলো
bayna
بَيْنَ
তাদের সামনে
aydīhim
أَيْدِيهِمْ
তাদের সামনে
wabi-aymānihim
وَبِأَيْمَٰنِهِم
ও তাদের ডানে
bush'rākumu
بُشْرَىٰكُمُ
"(বলা হবে) তোমাদের জন্যে সুসংবাদ
l-yawma
ٱلْيَوْمَ
আজ
jannātun
جَنَّٰتٌ
এক জান্নাতের
tajrī
تَجْرِى
প্রবাহিত হয়
min
مِن
থেকে
taḥtihā
تَحْتِهَا
তার নিচ
l-anhāru
ٱلْأَنْهَٰرُ
ঝর্ণাসমূহ
khālidīna
خَٰلِدِينَ
তারা স্থায়ী হবে
fīhā
فِيهَاۚ
তার মধ্যে
dhālika
ذَٰلِكَ
এটাই
huwa
هُوَ
সেই
l-fawzu
ٱلْفَوْزُ
সাফল্য
l-ʿaẓīmu
ٱلْعَظِيمُ
মহা"
সে দিন তুমি মু’মিন ও মু’মিনাদের দেখবে, তাদের সামনে আর তাদের ডানে তাদের জ্যোতি ছুটতে থাকবে। (তাদেরকে বলা হবে) ‘আজ তোমাদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদ যার নীচ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, তাতে (তোমরা) চিরকাল থাকবে। এটাই হল বিরাট সফলতা। ([৫৭] আল হাদীদ: ১২)
ব্যাখ্যা
১৩

يَوْمَ يَقُوْلُ الْمُنٰفِقُوْنَ وَالْمُنٰفِقٰتُ لِلَّذِيْنَ اٰمَنُوا انْظُرُوْنَا نَقْتَبِسْ مِنْ نُّوْرِكُمْۚ قِيْلَ ارْجِعُوْا وَرَاۤءَكُمْ فَالْتَمِسُوْا نُوْرًاۗ فَضُرِبَ بَيْنَهُمْ بِسُوْرٍ لَّهٗ بَابٌۗ بَاطِنُهٗ فِيْهِ الرَّحْمَةُ وَظَاهِرُهٗ مِنْ قِبَلِهِ الْعَذَابُۗ ١٣

yawma
يَوْمَ
সেদিন
yaqūlu
يَقُولُ
বলবে
l-munāfiqūna
ٱلْمُنَٰفِقُونَ
মোনাফেক পুরুষরা
wal-munāfiqātu
وَٱلْمُنَٰفِقَٰتُ
ও মোনাফেক নারীরা
lilladhīna
لِلَّذِينَ
(তাদের) কে যারা
āmanū
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছিল
unẓurūnā
ٱنظُرُونَا
"আমাদের দিকে একটু দেখ
naqtabis
نَقْتَبِسْ
(আলো নিয়ে) আমরা উপকৃত হব
min
مِن
হতে
nūrikum
نُّورِكُمْ
তোমাদের আলো"
qīla
قِيلَ
বলা হবে
ir'jiʿū
ٱرْجِعُوا۟
"তোমরা ফিরে যাও
warāakum
وَرَآءَكُمْ
তোমাদের পিছনে
fal-tamisū
فَٱلْتَمِسُوا۟
তোমরা অতঃপর খোঁজ করো
nūran
نُورًا
আলো"
faḍuriba
فَضُرِبَ
অতঃপর খাড়া করে দেওয়া হবে
baynahum
بَيْنَهُم
তাদের মাঝে
bisūrin
بِسُورٍ
প্রাচীর
lahu
لَّهُۥ
তার থাকবে
bābun
بَابٌۢ
একটি দরজা
bāṭinuhu
بَاطِنُهُۥ
তার ভিতর দিকে
fīhi
فِيهِ
সেখানে আছে
l-raḥmatu
ٱلرَّحْمَةُ
অনুগ্রহ
waẓāhiruhu
وَظَٰهِرُهُۥ
এবং তার বাইরে
min
مِن
হতে
qibalihi
قِبَلِهِ
তার সামনের দিক
l-ʿadhābu
ٱلْعَذَابُ
শাস্তি
সেদিন মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিক নারীরা মু’মিনদেরকে বলবে- ‘তোমরা আমাদের জন্য অপেক্ষা কর, তোমাদের জ্যোতি থেকে আমরা কিছুটা নিয়ে নেই।’ তাদেরকে বলা হবে- ‘তোমরা তোমাদের পেছনে ফিরে যাও, ‘আর আলোর খোঁজ কর।’ তখন তাদের মাঝে একটি আড়াল খাড়া করে দেয়া হবে যার থাকবে একটি দরজা। তার ভিতর ভাগে থাকবে রহমত আর বহির্ভাগের সর্বত্র থাকবে ‘আযাব। ([৫৭] আল হাদীদ: ১৩)
ব্যাখ্যা
১৪

يُنَادُوْنَهُمْ اَلَمْ نَكُنْ مَّعَكُمْۗ قَالُوْا بَلٰى وَلٰكِنَّكُمْ فَتَنْتُمْ اَنْفُسَكُمْ وَتَرَبَّصْتُمْ وَارْتَبْتُمْ وَغَرَّتْكُمُ الْاَمَانِيُّ حَتّٰى جَاۤءَ اَمْرُ اللّٰهِ وَغَرَّكُمْ بِاللّٰهِ الْغَرُوْرُ ١٤

yunādūnahum
يُنَادُونَهُمْ
তাদেরকে ডেকে বলবে তারা
alam
أَلَمْ
"নয় কি
nakun
نَكُن
আমরা ছিলাম
maʿakum
مَّعَكُمْۖ
তোমাদের সাথে"
qālū
قَالُوا۟
তারা বলবে
balā
بَلَىٰ
"হ্যাঁ (তোমরা ছিলে)
walākinnakum
وَلَٰكِنَّكُمْ
কিন্তু তোমরা
fatantum
فَتَنتُمْ
তোমরা বিপদে ফেলেছিলে
anfusakum
أَنفُسَكُمْ
তোমাদের নিজেদেরকে
watarabbaṣtum
وَتَرَبَّصْتُمْ
এবং তোমরা অপেক্ষা করেছিলে
wa-ir'tabtum
وَٱرْتَبْتُمْ
ও তোমরা সন্দেহ করেছিলে
wagharratkumu
وَغَرَّتْكُمُ
এবং তোমাদেরকে ধোঁকা দিয়েছিল
l-amāniyu
ٱلْأَمَانِىُّ
মিথ্যা আকাঙ্ক্ষা
ḥattā
حَتَّىٰ
যতক্ষণ না
jāa
جَآءَ
আসল
amru
أَمْرُ
নির্দেশ
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
wagharrakum
وَغَرَّكُم
এবং তোমাদেরকে ধোঁকা দিয়েছিল
bil-lahi
بِٱللَّهِ
আল্লাহ্‌ সম্পর্কে
l-gharūru
ٱلْغَرُورُ
প্রতারক (শয়তান)
তারা মু’মিনদেরকে ডেকে বলবে- ‘আমরা কি তোমাদের সঙ্গে ছিলাম না?’ তারা উত্তর দিবে, ‘হাঁ, কিন্তু তোমরা নিজেরাই নিজেদেরকে বিপদে ফেলে দিয়েছ, তোমরা অপেক্ষা করেছিলে (আমাদের ধ্বংসের জন্য), তোমরা সন্দেহে পতিত ছিলে, আর মিথ্যে আশা আকাঙ্ক্ষা তোমাদেরকে প্রতারিত করেছিল। শেষ পর্যন্ত আল্লাহর হুকুম এসে গেল, আর বড় প্রতারক (শাইত্বন) তোমাদেরকে আল্লাহর ব্যাপারে প্রতারিত করল। ([৫৭] আল হাদীদ: ১৪)
ব্যাখ্যা
১৫

فَالْيَوْمَ لَا يُؤْخَذُ مِنْكُمْ فِدْيَةٌ وَّلَا مِنَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْاۗ مَأْوٰىكُمُ النَّارُۗ هِيَ مَوْلٰىكُمْۗ وَبِئْسَ الْمَصِيْرُ ١٥

fal-yawma
فَٱلْيَوْمَ
অতঃএব আজ
لَا
না
yu'khadhu
يُؤْخَذُ
নেওয়া হবে
minkum
مِنكُمْ
তোমাদের হতে
fid'yatun
فِدْيَةٌ
কোনো মুক্তিপণ
walā
وَلَا
আর না
mina
مِنَ
হতে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
kafarū
كَفَرُوا۟ۚ
অস্বীকার করেছিল
mawākumu
مَأْوَىٰكُمُ
তোমাদের আবাসস্থল
l-nāru
ٱلنَّارُۖ
জাহান্নাম
hiya
هِىَ
তা
mawlākum
مَوْلَىٰكُمْۖ
তোমাদের সঙ্গী
wabi'sa
وَبِئْسَ
এবং অতি নিকৃষ্ট
l-maṣīru
ٱلْمَصِيرُ
প্রত্যাবর্তনস্থল
আজ তোমাদের কাছ থেকে কোন মুক্তিপণ গ্রহণ করা হবে না, আর যারা কুফুরী করেছিল তাদের কাছ থেকেও না। তোমাদের বসবাসের জায়গা জাহান্নাম, সেটাই তোমাদের যথাযোগ্য স্থান। কতই না নিকৃষ্ট সেই আশ্রয়স্থল! ([৫৭] আল হাদীদ: ১৫)
ব্যাখ্যা
১৬

اَلَمْ يَأْنِ لِلَّذِيْنَ اٰمَنُوْٓا اَنْ تَخْشَعَ قُلُوْبُهُمْ لِذِكْرِ اللّٰهِ وَمَا نَزَلَ مِنَ الْحَقِّۙ وَلَا يَكُوْنُوْا كَالَّذِيْنَ اُوْتُوا الْكِتٰبَ مِنْ قَبْلُ فَطَالَ عَلَيْهِمُ الْاَمَدُ فَقَسَتْ قُلُوْبُهُمْۗ وَكَثِيْرٌ مِّنْهُمْ فٰسِقُوْنَ ١٦

alam
أَلَمْ
নি কি (সে সময়)
yani
يَأْنِ
সময় আসে
lilladhīna
لِلَّذِينَ
(তাদের) জন্যে যারা
āmanū
ءَامَنُوٓا۟
ঈমান এনেছে
an
أَن
যে
takhshaʿa
تَخْشَعَ
বিগলিত হওয়ার
qulūbuhum
قُلُوبُهُمْ
তাদের অন্তর গুলো
lidhik'ri
لِذِكْرِ
স্মরণে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহ্‌র
wamā
وَمَا
এবং যা
nazala
نَزَلَ
অবতীর্ণ হয়েছে
mina
مِنَ
থেকে
l-ḥaqi
ٱلْحَقِّ
সত্য
walā
وَلَا
এবং না
yakūnū
يَكُونُوا۟
তারা হবে
ka-alladhīna
كَٱلَّذِينَ
(তাদের) মত যাদের
ūtū
أُوتُوا۟
দেওয়া হয়েছিল
l-kitāba
ٱلْكِتَٰبَ
কিতাব
min
مِن
মধ্য হতে
qablu
قَبْلُ
ইতি পূর্বে
faṭāla
فَطَالَ
অতঃপর অতিবাহিত হল
ʿalayhimu
عَلَيْهِمُ
তাদের উপর
l-amadu
ٱلْأَمَدُ
বহুকাল
faqasat
فَقَسَتْ
এখন শক্ত হয়ে গিয়েছে
qulūbuhum
قُلُوبُهُمْۖ
তাদের অন্তরগুলো
wakathīrun
وَكَثِيرٌ
এবং অধিকাংশই
min'hum
مِّنْهُمْ
তাদের মধ্য হতে
fāsiqūna
فَٰسِقُونَ
সত্যত্যাগী
যারা ঈমান এনেছে তাদের জন্য সে সময় কি এখনও আসেনি যে আল্লাহর স্মরণে আর যে প্রকৃত সত্য অবতীর্ণ হয়েছে তাতে তাদের অন্তর বিগলিত হয়ে যাবে? আর তারা যেন সেই লোকদের মত না হয়ে যায় যাদেরকে পূর্বে কিতাব দেয়া হয়েছিল, অতঃপর তাদের উপর অতিবাহিত হয়ে গেল বহু বহু যুগ আর তাদের অন্তর কঠিন হয়ে পড়ল। তাদের অধিকাংশই পাপাচারী। ([৫৭] আল হাদীদ: ১৬)
ব্যাখ্যা
১৭

اِعْلَمُوْٓا اَنَّ اللّٰهَ يُحْيِ الْاَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَاۗ قَدْ بَيَّنَّا لَكُمُ الْاٰيٰتِ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُوْنَ ١٧

iʿ'lamū
ٱعْلَمُوٓا۟
তোমরা জেনে রাখ
anna
أَنَّ
যে
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
yuḥ'yī
يُحْىِ
জীবিত করেন
l-arḍa
ٱلْأَرْضَ
মাটিকে
baʿda
بَعْدَ
পরে
mawtihā
مَوْتِهَاۚ
তার মৃত্যুর
qad
قَدْ
নিশ্চয়ই
bayyannā
بَيَّنَّا
আমরা বর্ণনা করেছি
lakumu
لَكُمُ
তোমাদের জন্য
l-āyāti
ٱلْءَايَٰتِ
নিদর্শনগুলোকে
laʿallakum
لَعَلَّكُمْ
তোমরা সম্ভবত
taʿqilūna
تَعْقِلُونَ
বুঝতে পারবে
জেনে রেখ, আল্লাহই যমীনকে তার মৃত্যুর পর আবার জীবিত করেন। আমি তোমাদের কাছে সুস্পষ্টভাবে নিদর্শন বর্ণনা করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পার। ([৫৭] আল হাদীদ: ১৭)
ব্যাখ্যা
১৮

اِنَّ الْمُصَّدِّقِيْنَ وَالْمُصَّدِّقٰتِ وَاَقْرَضُوا اللّٰهَ قَرْضًا حَسَنًا يُّضٰعَفُ لَهُمْ وَلَهُمْ اَجْرٌ كَرِيْمٌ ١٨

inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
l-muṣadiqīna
ٱلْمُصَّدِّقِينَ
দানশীল পুরুষরা
wal-muṣadiqāti
وَٱلْمُصَّدِّقَٰتِ
ও দানশীল নারীরা
wa-aqraḍū
وَأَقْرَضُوا۟
এবং যারা ঋণ দিয়েছে
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ্কে
qarḍan
قَرْضًا
ঋণ
ḥasanan
حَسَنًا
উত্তম
yuḍāʿafu
يُضَٰعَفُ
বহুগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হবে
lahum
لَهُمْ
তাদের জন্যে
walahum
وَلَهُمْ
এবং তাদের জন্যে রয়েছে
ajrun
أَجْرٌ
পুরস্কার
karīmun
كَرِيمٌ
সম্মানজনক
দানশীল পুরুষরা আর দানশীলা নারীরা আর যারা আল্লাহকে ঋণ দেয়- উত্তম ঋণ, তাদের জন্য বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়া হবে, আর তাদের জন্য আছে মর্যাদাপূর্ণ প্রতিদান। ([৫৭] আল হাদীদ: ১৮)
ব্যাখ্যা
১৯

وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا بِاللّٰهِ وَرُسُلِهٖٓ اُولٰۤىِٕكَ هُمُ الصِّدِّيْقُوْنَ ۖوَالشُّهَدَاۤءُ عِنْدَ رَبِّهِمْۗ لَهُمْ اَجْرُهُمْ وَنُوْرُهُمْۗ وَالَّذِيْنَ كَفَرُوْا وَكَذَّبُوْا بِاٰيٰتِنَآ اُولٰۤىِٕكَ اَصْحٰبُ الْجَحِيْمِ ࣖ ١٩

wa-alladhīna
وَٱلَّذِينَ
এবং যারা
āmanū
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছে
bil-lahi
بِٱللَّهِ
আল্লাহ্‌র উপর
warusulihi
وَرُسُلِهِۦٓ
এবং তঁর রাসূলদের (উপর)
ulāika
أُو۟لَٰٓئِكَ
ঐসব লোক
humu
هُمُ
তারাই
l-ṣidīqūna
ٱلصِّدِّيقُونَۖ
সিদ্দিক (সত্যনিষ্ঠ)
wal-shuhadāu
وَٱلشُّهَدَآءُ
এবং (তারাই) শহীদ
ʿinda
عِندَ
কাছে
rabbihim
رَبِّهِمْ
তাদের রবের
lahum
لَهُمْ
তাদের জন্যে রয়েছে
ajruhum
أَجْرُهُمْ
তাদের পুরস্কার
wanūruhum
وَنُورُهُمْۖ
ও তাদের জ্যোতি
wa-alladhīna
وَٱلَّذِينَ
এবং যারা
kafarū
كَفَرُوا۟
অস্বীকার করেছে
wakadhabū
وَكَذَّبُوا۟
ও মিথ্যা মনে করেছে
biāyātinā
بِـَٔايَٰتِنَآ
আমাদের আয়াত গুলোকে
ulāika
أُو۟لَٰٓئِكَ
ঐসব লোক
aṣḥābu
أَصْحَٰبُ
অধিবাসী (হবে)
l-jaḥīmi
ٱلْجَحِيمِ
জাহান্নামের
আর যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি ঈমান আনে তারাই তাদের প্রতিপালকের নিকট সিদ্দীক ও শহীদ। তাদের জন্য আছে তাদের প্রতিদান ও তাদের নূর। আর যারা কুফুরী করে আর আমার নিদর্শনকে অস্বীকার করে, তারাই জাহান্নামের বাসিন্দা। ([৫৭] আল হাদীদ: ১৯)
ব্যাখ্যা
২০

اِعْلَمُوْٓا اَنَّمَا الْحَيٰوةُ الدُّنْيَا لَعِبٌ وَّلَهْوٌ وَّزِيْنَةٌ وَّتَفَاخُرٌۢ بَيْنَكُمْ وَتَكَاثُرٌ فِى الْاَمْوَالِ وَالْاَوْلَادِۗ كَمَثَلِ غَيْثٍ اَعْجَبَ الْكُفَّارَ نَبَاتُهٗ ثُمَّ يَهِيْجُ فَتَرٰىهُ مُصْفَرًّا ثُمَّ يَكُوْنُ حُطَامًاۗ وَفِى الْاٰخِرَةِ عَذَابٌ شَدِيْدٌۙ وَّمَغْفِرَةٌ مِّنَ اللّٰهِ وَرِضْوَانٌ ۗوَمَا الْحَيٰوةُ الدُّنْيَآ اِلَّا مَتَاعُ الْغُرُوْرِ ٢٠

iʿ'lamū
ٱعْلَمُوٓا۟
তোমরা জেনে রাখ
annamā
أَنَّمَا
প্রকৃতপক্ষে
l-ḥayatu
ٱلْحَيَوٰةُ
জীবন
l-dun'yā
ٱلدُّنْيَا
(এই) দুনিয়ার
laʿibun
لَعِبٌ
ক্রীড়া
walahwun
وَلَهْوٌ
ও কৌতুক (মাত্র)
wazīnatun
وَزِينَةٌ
এবং জাঁকজমক
watafākhurun
وَتَفَاخُرٌۢ
ও পারস্পরিক গৌরব অহংকার
baynakum
بَيْنَكُمْ
তোমাদের মাঝে
watakāthurun
وَتَكَاثُرٌ
ও পারস্পরিক প্রাচুর্য লাভের প্রতিযোগিতা
فِى
ক্ষেত্রে
l-amwāli
ٱلْأَمْوَٰلِ
সম্পদ সমুহের
wal-awlādi
وَٱلْأَوْلَٰدِۖ
ও সন্তানসন্ততিতে
kamathali
كَمَثَلِ
(এর) উপমা যেমন
ghaythin
غَيْثٍ
বৃষ্টি (হলে)
aʿjaba
أَعْجَبَ
চমৎকৃত করে
l-kufāra
ٱلْكُفَّارَ
কৃষককে
nabātuhu
نَبَاتُهُۥ
তার উদ্ভিদ সম্ভার
thumma
ثُمَّ
এরপর
yahīju
يَهِيجُ
শুকিয়ে  যায়
fatarāhu
فَتَرَىٰهُ
অতঃপর তুমি তা দেখ
muṣ'farran
مُصْفَرًّا
হলুদবর্ণ (হতে)
thumma
ثُمَّ
এরপর
yakūnu
يَكُونُ
সেটা হয়ে যায়
ḥuṭāman
حُطَٰمًاۖ
খড়কুটা
wafī
وَفِى
আর মধ্যে আছে
l-ākhirati
ٱلْءَاخِرَةِ
আখেরাতের
ʿadhābun
عَذَابٌ
শাস্তি
shadīdun
شَدِيدٌ
কঠোর
wamaghfiratun
وَمَغْفِرَةٌ
আর (আছে) ক্ষমা
mina
مِّنَ
পক্ষ হতে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহ্‌র
wariḍ'wānun
وَرِضْوَٰنٌۚ
এবং সন্তুষ্টিও
wamā
وَمَا
এবং নয়
l-ḥayatu
ٱلْحَيَوٰةُ
জীবন
l-dun'yā
ٱلدُّنْيَآ
দুনিয়ার
illā
إِلَّا
এছাড়া
matāʿu
مَتَٰعُ
সামগ্রী
l-ghurūri
ٱلْغُرُورِ
ছলনার
তোমরা জেনে রেখ, দুনিয়ার জীবন ক্রীড়া-কৌতুক, শোভা-সৌন্দর্য, পারস্পরিক গর্ব-অহঙ্কার আর ধন-মাল ও সন্তানাদিতে আধিক্যের প্রতিযোগিতা মাত্র। তার উদাহরণ হল বৃষ্টি, আর তা হতে উৎপন্ন শষ্যাদি কৃষকের মনকে আনন্দে ভরে দেয়, তারপর তা পেকে যায়, তখন তুমি তাকে হলুদ বর্ণ দেখতে পাও, পরে তা খড় ভুষি হয়ে যায়। (আর আখেরাতের চিত্র অন্যরকম, পাপাচারীদের জন্য), আখেরাতে আছে কঠিন শাস্তি, (আর নেককারদের জন্য আছে) আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তুষ্টি। আর দুনিয়ার জীবনটা তো ধোঁকার বস্তু ছাড়া আর কিছুই না। ([৫৭] আল হাদীদ: ২০)
ব্যাখ্যা