Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা আর রহমান আয়াত ৭৭

Qur'an Surah Ar-Rahman Verse 77

আর রহমান [৫৫]: ৭৭ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

فَبِاَيِّ اٰلَاۤءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبٰنِۚ (الرحمن : ٥٥)

fabi-ayyi
فَبِأَىِّ
So which
অতএব কোন কোন
ālāi
ءَالَآءِ
(of the) favors
অনুগ্রহ সমূহকে
rabbikumā
رَبِّكُمَا
(of) your Lord
তোমাদের উভয়ের রবের
tukadhibāni
تُكَذِّبَانِ
will you both deny?
উভয়ে অস্বীকার করবে

Transliteration:

Fabi ayyi aalaaa'i Rabbikumaa tukazzibaan. (QS. ar-Raḥmān:77)

English Sahih International:

So which of the favors of your Lord would you deny? (QS. Ar-Rahman, Ayah ৭৭)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

অতএব (হে জ্বিন ও মানুষ!) তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ নি‘মাতকে অস্বীকার করবে? (আর রহমান, আয়াত ৭৭)

Tafsir Ahsanul Bayaan

অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহকে মিথ্যাজ্ঞান করবে? [১]

[১] এই আয়াতটি এই সূরার মধ্যে একত্রিশ বার এসেছে। মহান আল্লাহ এই সূরায় তাঁর বিভিন্ন প্রকার নিয়ামত ও অনুগ্রহের কথা উল্লেখ করেছেন এবং প্রত্যেক নিয়ামত বা কয়েকটি নিয়ামত উল্লেখ করার পর মানব-দানবকে এ কথা জিজ্ঞাসা করেছেন। এমন কি হাশরের মাঠের ভয়াবহতা এবং জাহান্নামের শাস্তির কথা উল্লেখ করার পরও এই জিজ্ঞাসার পুনরাবৃত্তি করেছেন। যার অর্থ এই যে, পরকাল সংক্রান্ত বিষয়াদি সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেওয়াও অতি বড় নিয়ামত। যাতে পরকালের শাস্তি থেকে নিষ্কৃতি পেতে আগ্রহীরা তা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার প্রচেষ্টা করে। দ্বিতীয় কথা এটাও জানা গেল যে, জ্বিনরাও মানুষদের মত আল্লাহর একটি সৃষ্টি। বরং মানুষের পর জ্বিনরাই হল দ্বিতীয় এমন সৃষ্টি, যাদেরকে বিবেক-বুদ্ধি দানে ধন্য করা হয়েছে। আর এর বিনিময়ে তাদের নিকট কেবল এতটুকু চাওয়া হয়েছে যে, তারা যেন একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করে। তাঁর সাথে যেন অন্য কাউকে অংশীদার স্থাপন না করে। সৃষ্টিকুলের এই উভয় সম্প্রদায়ই এমন, যাদের উপর শরীয়তের বিধি-বিধান এবং তার ফরয কার্যাদির ভার আরোপ করা হয়েছে। আর এরই জন্য তাদেরকে ইচ্ছা ও এখতিয়ারের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে; যাতে তাদেরকে পরীক্ষা করা হয়। তৃতীয়তঃ নিয়ামতসমূহের বর্ণনা থেকে এটাও প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহর নিয়ামতসমূহ দ্বারা উপকৃত হওয়া বৈধ ও মুস্তাহাব। এটা বিষয়-বিরাগ, পরহেযগারী ও আল্লাহভীরুতার বিপরীতও নয় এবং আল্লাহর প্রতি আস্থার পরিপন্থীও নয়। যেমন কোন কোন সূফীবাদীরা এ শ্রেণীর ধারণা পোষণ করে বা করায়। চতুর্থতঃ বারংবার এ প্রশ্ন যে, "তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহকে মিথ্যাজ্ঞান করবে বা অস্বীকার করবে?" এটা ধমক ও হুমকি প্রদর্শন স্বরূপ। যার উদ্দেশ্য হল সেই আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বিরত থাকা, যিনি এ সমস্ত নিয়ামত সৃষ্টি ও সুলভ করেছেন। তাই নবী কারীম (সাঃ) উক্ত জিজ্ঞাসার উত্তরে (নিম্নের) এই দু'আটি পড়া পছন্দ করেছেন। (لاَ بِشَيْءٍ مِّنْ نِّعَمِِكَ رَبَّنَا نُكَذِّبُ فَلَكَ الْحَمْدُ) "হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা তোমার কোন নিয়ামতকে মিথ্যা মনে করি না। সুতরাং তোমারই সমস্ত প্রশংসা।" (তিরমিযী, সিলসিলাহ সাহীহাহ আলবানী) তবে নামাযের মধ্যে (ইমাম সুযোগ না দিলে অথবা উচ্চস্বরে) দু'আটি পাঠ করা বিধেয় নয়।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

কাজেই তোমারা উভয়ে তোমাদের রবের কোন্‌ অনুগ্রহে মিথ্যারোপ করবে?

Tafsir Bayaan Foundation

সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নি‘আমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?

Muhiuddin Khan

অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Zohurul Hoque

সুতরাং তোমাদের প্রভুর কোন্ অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে?