১১
فَفَتَحْنَآ اَبْوَابَ السَّمَاۤءِ بِمَاۤءٍ مُّنْهَمِرٍۖ ١١
- fafataḥnā
- فَفَتَحْنَآ
- তখন আমরা খুলে দিয়েছিলাম
- abwāba
- أَبْوَٰبَ
- দরজাগুলোকে
- l-samāi
- ٱلسَّمَآءِ
- আকাশের
- bimāin
- بِمَآءٍ
- বৃষ্টি দ্বারা
- mun'hamirin
- مُّنْهَمِرٍ
- মুষলধারে
তখন আমি আকাশের দরজাগুলো খুলে দিয়ে মুষলধারায় বৃষ্টি বর্ষিয়েছিলাম। ([৫৪] আল ক্বামার: ১১)ব্যাখ্যা
১২
وَّفَجَّرْنَا الْاَرْضَ عُيُوْنًا فَالْتَقَى الْمَاۤءُ عَلٰٓى اَمْرٍ قَدْ قُدِرَ ۚ ١٢
- wafajjarnā
- وَفَجَّرْنَا
- এবং আমরা দীর্ণকরে বের করলাম
- l-arḍa
- ٱلْأَرْضَ
- মাটি (হতে)
- ʿuyūnan
- عُيُونًا
- ফোয়ারা
- fal-taqā
- فَٱلْتَقَى
- অতঃপর মিলে গেল
- l-māu
- ٱلْمَآءُ
- (সমস্ত) পানি
- ʿalā
- عَلَىٰٓ
- উপর
- amrin
- أَمْرٍ
- এমন এক ব্যাপারে (সম্পূর্ণ করতে)
- qad
- قَدْ
- (যা ছিল)
- qudira
- قُدِرَ
- নির্দিষ্ট করা
আর যমীন থেকে উৎসারিত করেছিলাম ঝর্ণাধারা, অতঃপর (সব) পানি মিলিত হল যে পরিমাণ (পূর্বেই) নির্ধারিত করা হয়েছিল। ([৫৪] আল ক্বামার: ১২)ব্যাখ্যা
১৩
وَحَمَلْنٰهُ عَلٰى ذَاتِ اَلْوَاحٍ وَّدُسُرٍۙ ١٣
- waḥamalnāhu
- وَحَمَلْنَٰهُ
- এবং তাকে আমরা আরোহণ করালাম
- ʿalā
- عَلَىٰ
- (নৌকার) উপর
- dhāti
- ذَاتِ
- (তৈরি) বিশিষ্ট
- alwāḥin
- أَلْوَٰحٍ
- (অনেক) তক্তা
- wadusurin
- وَدُسُرٍ
- এবং (বহু) পেরেকের
আর আমি নূহকে বহন করলাম কাষ্ঠ আর কীলক যুক্ত (নৌযানে)। ([৫৪] আল ক্বামার: ১৩)ব্যাখ্যা
১৪
تَجْرِيْ بِاَعْيُنِنَاۚ جَزَاۤءً لِّمَنْ كَانَ كُفِرَ ١٤
- tajrī
- تَجْرِى
- চলে
- bi-aʿyuninā
- بِأَعْيُنِنَا
- আমাদের পর্যবেক্ষণে
- jazāan
- جَزَآءً
- পুরস্কার
- liman
- لِّمَن
- তার জন্য যে
- kāna
- كَانَ
- হয়েছিল
- kufira
- كُفِرَ
- প্রত্যাখ্যাত
যা আমার চোখের সামনে (ও আমার তত্ত্বাবধানে) ভেসে চলল সেই ব্যক্তির পক্ষে প্রতিশোধ হিসেবে যাকে অমান্য ও অস্বীকার করা হয়েছিল। ([৫৪] আল ক্বামার: ১৪)ব্যাখ্যা
১৫
وَلَقَدْ تَّرَكْنٰهَآ اٰيَةً فَهَلْ مِنْ مُّدَّكِرٍ ١٥
- walaqad
- وَلَقَد
- এবং নিশ্চয়ই
- taraknāhā
- تَّرَكْنَٰهَآ
- তা আমরা রেখেছি
- āyatan
- ءَايَةً
- একটি নিদর্শন হিসেবে
- fahal
- فَهَلْ
- কি তবে (আছে)
- min
- مِن
- কোনো
- muddakirin
- مُّدَّكِرٍ
- উপদেশ গ্রহণকারী
এ (ঘটনা) টিকে আমি (চিরকালের জন্য) নিদর্শন হিসেবে রেখে দিলাম, অতএব উপদেশ গ্রহণ করার কেউ আছে কি? ([৫৪] আল ক্বামার: ১৫)ব্যাখ্যা
১৬
فَكَيْفَ كَانَ عَذَابِيْ وَنُذُرِ ١٦
- fakayfa
- فَكَيْفَ
- তখন কেমন
- kāna
- كَانَ
- ছিল
- ʿadhābī
- عَذَابِى
- আমার শাস্তি(তা লক্ষ্য কর)
- wanudhuri
- وَنُذُرِ
- ও আমার সতর্ক বাণী
কত ভয়ংকর ছিল আমার ‘আযাব ও ভীতি প্রদর্শন। ([৫৪] আল ক্বামার: ১৬)ব্যাখ্যা
১৭
وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْاٰنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِنْ مُّدَّكِرٍ ١٧
- walaqad
- وَلَقَدْ
- এবং নিশ্চয়ই
- yassarnā
- يَسَّرْنَا
- আমরা সহজ করে দিয়েছি
- l-qur'āna
- ٱلْقُرْءَانَ
- কুরআনকে
- lildhik'ri
- لِلذِّكْرِ
- উপদেশ গ্রহণের জন্য
- fahal
- فَهَلْ
- তবে কি(আছে)
- min
- مِن
- কোনো
- muddakirin
- مُّدَّكِرٍ
- উপদেশ গ্রহণকারী
আমি কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য, উপদেশ গ্রহণ করার কেউ আছে কি? ([৫৪] আল ক্বামার: ১৭)ব্যাখ্যা
১৮
كَذَّبَتْ عَادٌ فَكَيْفَ كَانَ عَذَابِيْ وَنُذُرِ ١٨
- kadhabat
- كَذَّبَتْ
- মিথ্যারোপ করেছিল
- ʿādun
- عَادٌ
- আদ'
- fakayfa
- فَكَيْفَ
- কেমন অতঃপর
- kāna
- كَانَ
- ছিল
- ʿadhābī
- عَذَابِى
- আমার শাস্তি
- wanudhuri
- وَنُذُرِ
- ও আমার সতর্কবাণী(তা লক্ষ্যকর)
‘আদ জাতি সত্য প্রত্যাখ্যান করেছিল, ফলে কত ভয়ংকর ছিল আমার ‘আযাব ও ভীতি প্রদর্শন। ([৫৪] আল ক্বামার: ১৮)ব্যাখ্যা
১৯
اِنَّآ اَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ رِيْحًا صَرْصَرًا فِيْ يَوْمِ نَحْسٍ مُّسْتَمِرٍّۙ ١٩
- innā
- إِنَّآ
- নিশ্চয়ই আমরা
- arsalnā
- أَرْسَلْنَا
- আমরা পাঠিয়েছি
- ʿalayhim
- عَلَيْهِمْ
- তাদের উপর
- rīḥan
- رِيحًا
- বাতাস
- ṣarṣaran
- صَرْصَرًا
- প্রবল বেগে
- fī
- فِى
- (আছে)
- yawmi
- يَوْمِ
- দিনে
- naḥsin
- نَحْسٍ
- দুর্ভাগ্য
- mus'tamirrin
- مُّسْتَمِرٍّ
- ক্রমাগত
আমি তাদের উপর পাঠিয়েছিলাম ঝঞ্ঝাবায়ু এক অবিরাম অশুভ দিনে, ([৫৪] আল ক্বামার: ১৯)ব্যাখ্যা
২০
تَنْزِعُ النَّاسَۙ كَاَنَّهُمْ اَعْجَازُ نَخْلٍ مُّنْقَعِرٍ ٢٠
- tanziʿu
- تَنزِعُ
- উৎখাত করে
- l-nāsa
- ٱلنَّاسَ
- মানুষকে
- ka-annahum
- كَأَنَّهُمْ
- তারা যেন
- aʿjāzu
- أَعْجَازُ
- কাণ্ডসমূহ
- nakhlin
- نَخْلٍ
- খেজুরগাছের
- munqaʿirin
- مُّنقَعِرٍ
- উপড়ানো (মূল হতে)
মানুষকে তা উৎপাটিত করেছিল যেন তারা উৎপাটিত খেজুর গাছের কান্ড। ([৫৪] আল ক্বামার: ২০)ব্যাখ্যা