কুরআন মজীদ সূরা আয-যারিয়াত আয়াত ৪৭
Qur'an Surah Adh-Dhariyat Verse 47
আয-যারিয়াত [৫১]: ৪৭ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ
وَالسَّمَاۤءَ بَنَيْنٰهَا بِاَيْىدٍ وَّاِنَّا لَمُوْسِعُوْنَ (الذاريات : ٥١)
- wal-samāa
- وَٱلسَّمَآءَ
- And the Heaven
- এবং আকাশ
- banaynāhā
- بَنَيْنَٰهَا
- We constructed it
- তা আমরা সৃষ্টি করেছি
- bi-aydin
- بِأَيْي۟دٍ
- with strength
- (নিজের) হাত দিয়ে
- wa-innā
- وَإِنَّا
- and indeed We
- এবং আমরা নিশ্চয়ই
- lamūsiʿūna
- لَمُوسِعُونَ
- (are) surely (its) Expanders
- অবশ্যই সপ্রসারণকারী
Transliteration:
Wassamaaa'a banainaa haa bi aydinw wa innaa lamoosi'oon(QS. aḏ-Ḏāriyāt:47)
English Sahih International:
And the heaven We constructed with strength, and indeed, We are [its] expander. (QS. Adh-Dhariyat, Ayah ৪৭)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
আমি নিজ হাত দ্বারা আসমান সৃষ্টি করেছি আর আমি অবশ্যই মহা প্রশস্তকারী। (আয-যারিয়াত, আয়াত ৪৭)
Tafsir Ahsanul Bayaan
আমি আকাশ[১] নির্মাণ করেছি আমার (নিজ) ক্ষমতাবলে[২] এবং আমি অবশ্যই মহা সম্প্রসারণকারী। [৩]
[১] السَّمَاءَ এর শেষের বর্ণটির উপর নসব (যবর) এসেছে। কারণ তার بَنَيْنَا (ক্রিয়াপদ) ঊহ্য আছে। অর্থাৎ, بَنَيْنَا السَّمَاءَ بَنَيْنَاهَا
[২] ) এখানে أيدٍ শব্দটি يَدٌ এর জমা নয়। বরং এর অর্থ ক্ষমতা ও শক্তি। যেমন দাঊদ (আঃ)-এর ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, {وَاذْكُرْ عَبْدَنَا دَاوُودَ ذَا الْأَيْدِ إِنَّهُ أَوَّابٌ} (১৭) سورة ص
[৩] অর্থাৎ, আকাশ প্রথম থেকেই বিশাল ও প্রশস্ত, কিন্তু আমি এর থেকেও আরো বিশাল, সম্প্রসারিত ও প্রশস্ত করার ক্ষমতা রাখি। অথবা আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করে জীবিকা প্রশস্ত করার শক্তি রাখি। কিংবা مُوْسِعٌ শব্দটিকে وُسْعٌ (শক্তি) ধাতু থেকে গঠিত মনে করলে অর্থ হবে, আমার মধ্যে এই ধরনের আরো আকাশ তৈরী করার শক্তি-সামর্থ্য আছে। আমি আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করে ক্লান্ত হয়ে যাইনি; বরং আমার শক্তি ও ক্ষমতা অসীম।
Tafsir Abu Bakr Zakaria
আর আসমান আমরা তা নির্মাণ করেছি আমাদের ক্ষমতা বলে [১] এবং আমরা নিশ্চয়ই মহাসম্প্রসারণকারী [২]।
[১] أيْيد শব্দের অর্থ শক্তি ও সামৰ্থ্য। এ স্থলে ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু, মুজাহিদ, কাতাদাহ ও সাওরী রাহে মাহুমুল্লাহ এ তাফসীরই করেছেন। কারণ, এখানে أيد শব্দটি يَدٌ এর বহুবচন নয়। যদি শব্দটি يد এর বহুবচন হতো তবে তার বহুবচন হতো, أيديَ । বরং أيد শব্দটির প্রতিটি বর্ণ মূল শব্দ। যার অর্থই হলো শক্তি। অন্য আয়াতে এ শব্দ থেকে বলা হয়েছে, وَاَيَّدُنٰهُ بِرُوْحِ الْقُدُسِ “আর আমরা তাকে রুহুল কুদ্দুস বা জিবরালের মাধ্যমে শক্তি যুগিয়েছি”। [সূরা আল-বাকারাহ; ৮৭, ২৫৩] সুতরাং কেউ যেন এটা না ভাবে যে, এখানে أيد শব্দটি يد এর বহুবচন [দেখুন, আদওয়াউল বায়ান]।
[২] মূল আয়াতাংশ مُوْسِعُوْنَ অর্থ ক্ষমতা ও শক্তির অধিকারী এবং প্রশস্তকারী উভয়টিই হতে পারে। তাছাড়া مُوْسِعُوْنَ শব্দের অন্য আরেকটি অর্থও কোন কোন মুফাসসির থেকে বর্ণিত আছে, তা হলো রিযিক সম্প্রসারণকারী। অর্থাৎ আল্লাহ তা’আলা বান্দাদের রিযিকে প্রশস্ততা প্রদানকারী। [দেখুন, কুরতুবী] তবে ইবন কাসীর প্রশস্তকারী অর্থ গ্ৰহণ করেছেন। তিনি অর্থ করেছেন, “আমরা আকাশের প্রান্তদেশের সম্প্রসারণ করেছি এবং একে বিনা খুঁটিতে উপরে উঠিয়েছি, অবশেষে তা তার স্থানে অবস্থান করছে।” [ইবন কাসীর]
Tafsir Bayaan Foundation
আর আমি হাতসমূহ দ্বারা আকাশ নির্মাণ করেছি এবং নিশ্চয় আমি শক্তিশালী।
Muhiuddin Khan
আমি স্বীয় ক্ষমতাবলে আকাশ নির্মাণ করেছি এবং আমি অবশ্যই ব্যাপক ক্ষমতাশালী।
Zohurul Hoque
আর মহাকাশমন্ডল -- আমরা তা নির্মাণ করেছি হাতে, আর আমরাই বিশালতার নির্মাতা।