Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা আয-যারিয়াত আয়াত ৩৬

Qur'an Surah Adh-Dhariyat Verse 36

আয-যারিয়াত [৫১]: ৩৬ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

فَمَا وَجَدْنَا فِيْهَا غَيْرَ بَيْتٍ مِّنَ الْمُسْلِمِيْنَۚ (الذاريات : ٥١)

famā
فَمَا
But not
না অতঃপর
wajadnā
وَجَدْنَا
We found
আমরা পেয়েছি
fīhā
فِيهَا
therein
তার মধ্যে
ghayra
غَيْرَ
other than
এ ব্যতীত
baytin
بَيْتٍ
a house
একটি ঘর
mina
مِّنَ
of
থেকে
l-mus'limīna
ٱلْمُسْلِمِينَ
the Muslims
মুসলমানদের

Transliteration:

Famaa wajadnaa feehaa ghaira baitim minal muslimeen (QS. aḏ-Ḏāriyāt:36)

English Sahih International:

And We found not within them other than a [single] house of Muslims. (QS. Adh-Dhariyat, Ayah ৩৬)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আমি সেখানে মুসলিমদের একটি পরিবার ছাড়া আর পাইনি। (আয-যারিয়াত, আয়াত ৩৬)

Tafsir Ahsanul Bayaan

আর সেখানে একটি (লূতের) ঘর ব্যতীত কোন আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম) আমি পাইনি। [১]

[১] আর এই ঘরটি ছিল আল্লাহর নবী লূত (আঃ)-এর ঘর। যেখানে তাঁর দুই কন্যা এবং তাঁর উপর ঈমান আনয়নকারী কিছু লোক ছিল। বলা হয় যে, এরা মোট তের জন ছিল। এদের মধ্যে লূত (আঃ)-এর স্ত্রী শামিল ছিল না। বরং সে তার ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতির অন্তর্ভুক্ত ছিল। (আয়সারুত তাফাসীর) ইসলামের অর্থ, আত্মসমর্পণ করা, আনুগত্য করা ও মেনে নেওয়া। আল্লাহর নির্দেশাবলীর সামনে আনুগত্যের মাথা নতকারীকে মুসলিম বলা হয়। এই দিক দিয়ে প্রত্যেক মু'মিনই মুসলিম। তাই প্রথমে তাদের জন্যে মু'মিন শব্দ ব্যবহার করা হয় এবং পরে আবার তাদেরই জন্য মুসলিম শব্দ ব্যবহার করা হয়। এ থেকে প্রমাণ করা হয়েছে যে, লক্ষ্যার্থে উভয় শব্দের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই; যেমন অনেকে পার্থক্য করে থাকেন। কুরআনে যে কোথাও মু'মিন ও কোথাও মুসলিম শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, তো সেটা আরবী অভিধানে যে অর্থগুলো বলা হয়েছে সেই দিক দিয়ে। কাজেই আভিধানিক প্রয়োগের তুলনায় শরীয়তের পরিভাষার গণ্যতা বেশী। আর শরয়ী পরিভাষার দিক দিয়ে এই উভয় শব্দের মধ্যে পার্থক্য কেবল ততটুকুই, যতটুক হাদীসে জিবরীল দ্বারা প্রমাণিত। যখন নবী করীম (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হল, ইসলাম কি? তখন তিনি (সাঃ) বললেন, "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ---'র সাক্ষ্য দেওয়া, নামায কায়েম করা, যাকাত দেওয়া এবং হজ্জ করা ও রোযা রাখা।" আর যখন ঈমান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল, তখন বললেন, "আল্লাহর উপর, তাঁর ফিরিশতাদের উপর, তাঁর অবতীর্ণ করা কিতাবগুলোর উপর, তাঁর রসূলদের উপর, আখেরাতের উপর এবং ভাগ্যের (ভাল-মন্দের) উপর ঈমান আনা।" অর্থাৎ, অন্তর থেকে এই জিনিসগুলোর প্রতি বিশ্বাস রাখার নাম হল ঈমান এবং বিধি-বিধান ও ফরয কার্যাদি পালন করার নাম হল ইসলাম। এই দিক দিয়ে প্রত্যেক মু'মিনই হল মুসলিম এবং প্রত্যেক মুসলিমই হল মু'মিন। (ফাতহুল ক্বাদীর) আর যাঁরা মু'মিন ও মুসলিমের মধ্যে পার্থক্য করেন, তাঁরা বলেন যে, এ কথা ঠিকই যে, এখানে কুরআন একই দলের জন্য মু'মিন ও মুসলিম শব্দ ব্যবহার করেছে, তবে এর মধ্যে যে পার্থক্য আছে সেই দিক দিয়ে প্রত্যেক মু'মিন হল মুসলিম কিন্তু প্রত্যেক মুসলিমের মু'মিন হওয়া জরুরী নয়। (ইবনে কাসীর) যাই হোক এটা একটি ইলমী মতভেদ। আর প্রত্যেক দলের কাছে সব সব মতের পক্ষে দলীলও আছে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

তবে আমরা সেখানে একটি পরিবার ছাড়া আর কোন মুসলিম পাইনি।

Tafsir Bayaan Foundation

তবে আমি সেখানে একটি বাড়ী ছাড়া কোন মুসলমান পাইনি।

Muhiuddin Khan

এবং সেখানে একটি গৃহ ব্যতীত কোন মুসলমান আমি পাইনি।

Zohurul Hoque

কিন্ত আমরা সেখানে মুসলিমদের একটি পরিবার ব্যতীত আর কাউকে পাইনি।