কুরআন মজীদ সূরা আল মায়িদাহ আয়াত ৭৯
Qur'an Surah Al-Ma'idah Verse 79
আল মায়িদাহ [৫]: ৭৯ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ
كَانُوْا لَا يَتَنَاهَوْنَ عَنْ مُّنْكَرٍ فَعَلُوْهُۗ لَبِئْسَ مَا كَانُوْا يَفْعَلُوْنَ (المائدة : ٥)
- kānū
- كَانُوا۟
- They had been
- তারা ছিলো (এমন যে)
- lā
- لَا
- not
- না
- yatanāhawna
- يَتَنَاهَوْنَ
- forbidding each other
- তারা পরস্পরে নিষেধ করতো
- ʿan
- عَن
- from
- হতে
- munkarin
- مُّنكَرٍ
- wrongdoing
- অন্যায় কাজ
- faʿalūhu
- فَعَلُوهُۚ
- they did [it]
- তারা করতো যা
- labi'sa
- لَبِئْسَ
- Surely, evil
- অবশ্যই নিকৃষ্ট
- mā
- مَا
- (was) what
- যা
- kānū
- كَانُوا۟
- they were
- তারা ছিলো
- yafʿalūna
- يَفْعَلُونَ
- doing
- তারা করতে
Transliteration:
Kaanoo laa yatanaahawna 'am munkarin fa'aluhoo; labi'sa maa kaanoo yafa'loon(QS. al-Māʾidah:79)
English Sahih International:
They used not to prevent one another from wrongdoing that they did. How wretched was that which they were doing. (QS. Al-Ma'idah, Ayah ৭৯)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তারা যে সব অসৎকর্ম করত তাত্থেকে একে অন্যকে নিষেধ করত না। তারা যা করত তা কতই না নিকৃষ্ট! (আল মায়িদাহ, আয়াত ৭৯)
Tafsir Ahsanul Bayaan
তারা যেসব গর্হিত কাজ করত, তা থেকে তারা একে অন্যকে বারণ করত না।[১] তারা যা করত, নিশ্চয় তা নিকৃষ্ট।
[১] এর উপর (অভিশাপের) অতিরিক্ত কারণ হল, তারা একে অপরকে মন্দ কর্ম হতে বাধা প্রদান করত না, যা স্বস্থানে একটা বড় অপরাধ। কোন কোন ভাষ্যকার (মন্দ কর্মে) বাধা প্রদান না করাকেই অবাধ্যতা ও সীমালঙ্ঘন হিসাবে গণ্য করেছেন, যা তাদের অভিশপ্ত হওয়ার কারণ। যাই হোক, উভয় অবস্থাতেই মন্দ কাজ দেখে সেই মন্দ থেকে বাধা প্রদান না করা মহা অপরাধ এবং আল্লাহর গযব বা ক্রোধ ও অভিশাপের কারণ। ('অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃণা তারে যেন তৃণসম দহে।') আর হাদীসেও এ ধরনের অপরাধের বড় কঠিন শাস্তির কথা বর্ণনা করা হয়েছে। এক হাদীসে মহানবী (সাঃ) বলেন, "সর্বপ্রথম বানী ইস্রাঈলের মধ্যে যে ত্রুটি প্রবেশ করেছিল তা হচ্ছে, একজন মানুষ যখন অপরকে কোন অন্যায় অপকর্মে লিপ্ত দেখত, তখন বলত, আল্লাহকে ভয় কর। আর এই পাপ বর্জন কর। এ তোমার জন্য বৈধ নয়। কিন্তু তারপর দিনই তার সাথে পানাহার ও উঠা-বসা করতে কোন প্রকার ঘৃণা বা লজ্জা বোধ করত না। (অর্থাৎ তারা একই মজলিসে এক সঙ্গে বসে পানাহার করত।) অথচ ঈমানের দাবী ছিল, তাদের প্রতি ঘৃণা ও সম্পর্ক ছেদন করা। যার ফলে আল্লাহ তাদের পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা প্রক্ষিপ্ত করেন এবং তারা আল্লাহর শাস্তির উপযুক্ত হয়ে যায়।" নবী (সাঃ) তারপর বললেন, আল্লাহর কসম! তোমরা অবশ্যই লোকদেরকে নেকী বা সৎকর্মের নির্দেশ প্রদান করবে এবং মন্দ কর্ম থেকে বাধা দান করবে। আর অত্যাচারীর হাত ধরে নেবে। (তা-না হলে তোমাদের অবস্থাও অনুরূপ হবে।)---।" (আবু দাউদ ৪৩৩৬নং) অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, এই অপরিহার্য কর্তব্য ত্যাগ করার শাস্তি এই বর্ণনা করা হয়েছে যে, তোমরা আল্লাহর আযাবের উপযুক্ত হয়ে যাবে। অতঃপর তোমরা আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলে তা গ্রহণ করা হবে না। (আহমাদ ৫/৩৮৮)
Tafsir Abu Bakr Zakaria
তারা যেসব গর্হিত কাজ করত তা হতে তারা একে অন্যকে বারণ করত না। তারা যা করত তা কতই না নিকৃষ্ট!
Tafsir Bayaan Foundation
তারা পরস্পরকে মন্দ থেকে নিষেধ করত না, যা তারা করত। তারা যা করত, তা কতইনা মন্দ!
Muhiuddin Khan
তারা পরস্পরকে মন্দ কাজে নিষেধ করত না, যা তারা করত। তারা যা করত তা অবশ্যই মন্দ ছিল
Zohurul Hoque
তারা পরস্পরকে নিষেধ করতো না কুকর্ম সন্বন্ধে যা তারা করতো। নিশ্চয়ই মন্দ যা তারা করে চলতো।