Skip to content

সূরা আল মায়িদাহ - Page: 5

Al-Ma'idah

(al-Māʾidah)

৪১

۞ يٰٓاَيُّهَا الرَّسُوْلُ لَا يَحْزُنْكَ الَّذِيْنَ يُسَارِعُوْنَ فِى الْكُفْرِ مِنَ الَّذِيْنَ قَالُوْٓا اٰمَنَّا بِاَفْوَاهِهِمْ وَلَمْ تُؤْمِنْ قُلُوْبُهُمْ ۛ وَمِنَ الَّذِيْنَ هَادُوْا ۛ سَمّٰعُوْنَ لِلْكَذِبِ سَمّٰعُوْنَ لِقَوْمٍ اٰخَرِيْنَۙ لَمْ يَأْتُوْكَ ۗ يُحَرِّفُوْنَ الْكَلِمَ مِنْۢ بَعْدِ مَوَاضِعِهٖۚ يَقُوْلُوْنَ اِنْ اُوْتِيْتُمْ هٰذَا فَخُذُوْهُ وَاِنْ لَّمْ تُؤْتَوْهُ فَاحْذَرُوْا ۗوَمَنْ يُّرِدِ اللّٰهُ فِتْنَتَهٗ فَلَنْ تَمْلِكَ لَهٗ مِنَ اللّٰهِ شَيْـًٔا ۗ اُولٰۤىِٕكَ الَّذِيْنَ لَمْ يُرِدِ اللّٰهُ اَنْ يُّطَهِّرَ قُلُوْبَهُمْ ۗ لَهُمْ فِى الدُّنْيَا خِزْيٌ ۖوَّلَهُمْ فِى الْاٰخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيْمٌ ٤١

yāayyuhā
يَٰٓأَيُّهَا
হে
l-rasūlu
ٱلرَّسُولُ
রাসূল
لَا
(যেন) না
yaḥzunka
يَحْزُنكَ
তোমাকে দুঃখ দেয়
alladhīna
ٱلَّذِينَ
(তাদের কার্যক্রম) যারা
yusāriʿūna
يُسَٰرِعُونَ
দ্রুত ধাবিত হয়
فِى
মধ্যে
l-kuf'ri
ٱلْكُفْرِ
অবিশ্বাসের
mina
مِنَ
মধ্য হতে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
(তাদের) যারা
qālū
قَالُوٓا۟
বলে
āmannā
ءَامَنَّا
"ঈমান এনেছি আমরা"
bi-afwāhihim
بِأَفْوَٰهِهِمْ
দিয়ে মুখগুলো তাদের
walam
وَلَمْ
কিন্তু নি
tu'min
تُؤْمِن
ঈমান আনে
qulūbuhum
قُلُوبُهُمْۛ
অন্তরগুলো তাদের
wamina
وَمِنَ
এবং মধ্য হতে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
(তাদের) যারা
hādū
هَادُوا۟ۛ
ইয়াহুদী হয়েছে
sammāʿūna
سَمَّٰعُونَ
শুনতে বেশি আগ্রহী
lil'kadhibi
لِلْكَذِبِ
প্রতি মিথ্যার
sammāʿūna
سَمَّٰعُونَ
শুনতে বেশি আগ্রহী
liqawmin
لِقَوْمٍ
প্রতি সম্প্রদায়ের
ākharīna
ءَاخَرِينَ
অন্যান্য (যারা)
lam
لَمْ
নি
yatūka
يَأْتُوكَۖ
তোমার কাছে আসে
yuḥarrifūna
يُحَرِّفُونَ
তারা বিকৃত করে
l-kalima
ٱلْكَلِمَ
(আল্লাহর) কথা
min
مِنۢ
থেকেও
baʿdi
بَعْدِ
পর
mawāḍiʿihi
مَوَاضِعِهِۦۖ
প্রসঙ্গস্থান তার (নির্ধারণের)
yaqūlūna
يَقُولُونَ
তারা বলে
in
إِنْ
"যদি
ūtītum
أُوتِيتُمْ
দেয়া হয় তোমাদের
hādhā
هَٰذَا
এই (আদেশ)
fakhudhūhu
فَخُذُوهُ
তবে গ্রহণ করো তা
wa-in
وَإِن
এবং যদি
lam
لَّمْ
না
tu'tawhu
تُؤْتَوْهُ
দেয়া হয় তা
fa-iḥ'dharū
فَٱحْذَرُوا۟ۚ
তবে তোমরা বর্জন করো"
waman
وَمَن
এবং যাকে
yuridi
يُرِدِ
চান
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
fit'natahu
فِتْنَتَهُۥ
তার পরীক্ষায় (ফেলতে)
falan
فَلَن
তবে কখনও না
tamlika
تَمْلِكَ
সক্ষম হবে তুমি
lahu
لَهُۥ
তাকে (বাঁচাতে)
mina
مِنَ
থেকে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহ
shayan
شَيْـًٔاۚ
কিছু মাত্রও
ulāika
أُو۟لَٰٓئِكَ
ঐসব লোক
alladhīna
ٱلَّذِينَ
(তারাই) যাদের
lam
لَمْ
না
yuridi
يُرِدِ
চেয়েছেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
an
أَن
যে
yuṭahhira
يُطَهِّرَ
পবিত্র করবেন
qulūbahum
قُلُوبَهُمْۚ
অন্তরগুলোকে তাদের
lahum
لَهُمْ
জন্যে তাদের (রয়েছে)
فِى
মধ্যে
l-dun'yā
ٱلدُّنْيَا
পৃথিবীর
khiz'yun
خِزْىٌۖ
অপমান
walahum
وَلَهُمْ
ও জন্যে তাদের (রয়েছে)
فِى
মধ্যে
l-ākhirati
ٱلْءَاخِرَةِ
আখেরাতে
ʿadhābun
عَذَابٌ
শাস্তি
ʿaẓīmun
عَظِيمٌ
কঠোর
হে রসূল! কুফরীর ব্যাপারে তাদের প্রতিযোগিতা যেন তোমাকে দুঃখ না দেয়, যারা মুখে বলে ঈমান এনেছি কিন্তু তাদের অন্তর ঈমান আনেনি। আর যারা ইয়াহূদী, তারা মিথ্যা কথা শুনতে বিশেষ পারদর্শী, তারা তোমার কথাগুলো অন্য সম্প্রদায়ের স্বার্থে কান পেতে শোনে যারা তোমার নিকট (কখনো) আসেনি, এরা আল্লাহর কিতাবের শব্দগুলোকে প্রকৃত অর্থ হতে বিকৃত করে। তারা বলে, তোমরা এ রকম নির্দেশপ্রাপ্ত হলে মানবে, আর তা না হলে বর্জন করবে। বস্তুত আল্লাহই যাকে ফিতনায় ফেলতে চান, তার জন্য আল্লাহর কাছে তোমার কিছুই করার নেই। ওরা হল সেই লোক, যাদের অন্তরাত্মাকে আল্লাহ পবিত্র করতে চান না। তাদের জন্য দুনিয়াতে আছে লাঞ্ছনা, আর তাদের জন্য আখেরাতে আছে মহা শাস্তি। ([৫] আল মায়িদাহ: ৪১)
ব্যাখ্যা
৪২

سَمّٰعُوْنَ لِلْكَذِبِ اَكّٰلُوْنَ لِلسُّحْتِۗ فَاِنْ جَاۤءُوْكَ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ اَوْ اَعْرِضْ عَنْهُمْ ۚوَاِنْ تُعْرِضْ عَنْهُمْ فَلَنْ يَّضُرُّوْكَ شَيْـًٔا ۗ وَاِنْ حَكَمْتَ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ بِالْقِسْطِۗ اِنَّ اللّٰهَ يُحِبُّ الْمُقْسِطِيْنَ ٤٢

sammāʿūna
سَمَّٰعُونَ
তারা শুনতে বেশি আগ্রহী
lil'kadhibi
لِلْكَذِبِ
প্রতি মিথ্যার
akkālūna
أَكَّٰلُونَ
অধিক ভক্ষণকারী
lilssuḥ'ti
لِلسُّحْتِۚ
জন্যে অবৈধ জিনিষের
fa-in
فَإِن
অতএব যদি
jāūka
جَآءُوكَ
তোমার কাছে আসে
fa-uḥ'kum
فَٱحْكُم
তবে বিচার করে দাও
baynahum
بَيْنَهُمْ
মাঝে তাদের
aw
أَوْ
অথবা
aʿriḍ
أَعْرِضْ
উপেক্ষা করো
ʿanhum
عَنْهُمْۖ
থেকে তাদের (এটা তোমার ইচ্ছা)
wa-in
وَإِن
এবং যদি
tuʿ'riḍ
تُعْرِضْ
তুমি উপেক্ষা করো
ʿanhum
عَنْهُمْ
থেকে তাদের
falan
فَلَن
তবে কখনও না
yaḍurrūka
يَضُرُّوكَ
তারা তোমাকে ক্ষতি করতে পারবে
shayan
شَيْـًٔاۖ
কিছুমাত্র
wa-in
وَإِنْ
আর যদি
ḥakamta
حَكَمْتَ
তুমি বিচার করো
fa-uḥ'kum
فَٱحْكُم
তবে বিচার করো
baynahum
بَيْنَهُم
মাঝে তাদের
bil-qis'ṭi
بِٱلْقِسْطِۚ
সাথের ন্যায়ের
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
yuḥibbu
يُحِبُّ
ভালবাসেন
l-muq'siṭīna
ٱلْمُقْسِطِينَ
ন্যায়বিচারকারীদেরকে
তারা বেশিবেশি মিথ্যে শুনতে আগ্রহী, হারাম ভক্ষণকারী, তারা যদি তোমার কাছে আসে তাহলে (ইচ্ছে হলে) তাদের বিবাদ নিস্পত্তি কর নতুবা অস্বীকার কর। অস্বীকার করলে তারা তোমার কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। যদি বিচার ফায়সালা কর তাহলে ইনসাফের সাথে তাদের বিচার ফায়সালা কর, আল্লাহ্ ন্যায়পরায়ণদেরকে ভালবাসেন। ([৫] আল মায়িদাহ: ৪২)
ব্যাখ্যা
৪৩

وَكَيْفَ يُحَكِّمُوْنَكَ وَعِنْدَهُمُ التَّوْرٰىةُ فِيْهَا حُكْمُ اللّٰهِ ثُمَّ يَتَوَلَّوْنَ مِنْۢ بَعْدِ ذٰلِكَ ۗوَمَآ اُولٰۤىِٕكَ بِالْمُؤْمِنِيْنَ ࣖ ٤٣

wakayfa
وَكَيْفَ
এবং কিরূপে
yuḥakkimūnaka
يُحَكِّمُونَكَ
তোমাকে তারা বিচারক মানবে
waʿindahumu
وَعِندَهُمُ
অথচ কাছে (আছে)তাদের
l-tawrātu
ٱلتَّوْرَىٰةُ
তাওরাত
fīhā
فِيهَا
মধ্যে তার(রয়েছে)
ḥuk'mu
حُكْمُ
নির্দেশ
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
thumma
ثُمَّ
এরপর
yatawallawna
يَتَوَلَّوْنَ
তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়
min
مِنۢ
থেকেও
baʿdi
بَعْدِ
পর
dhālika
ذَٰلِكَۚ
এর
wamā
وَمَآ
এবং না
ulāika
أُو۟لَٰٓئِكَ
ঐসব লোক
bil-mu'minīna
بِٱلْمُؤْمِنِينَ
মু’মিন
এরা তোমাকে কীভাবে বিচারক মানতে পারে যখন তাদের মাঝেই তাওরাত বিদ্যমান আছে, তার ভিতর আল্লাহর বিধান আছে, এর পরেও তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, বস্তুত তারা মু’মিনই নয়। ([৫] আল মায়িদাহ: ৪৩)
ব্যাখ্যা
৪৪

اِنَّآ اَنْزَلْنَا التَّوْرٰىةَ فِيْهَا هُدًى وَّنُوْرٌۚ يَحْكُمُ بِهَا النَّبِيُّوْنَ الَّذِيْنَ اَسْلَمُوْا لِلَّذِيْنَ هَادُوْا وَالرَّبَّانِيُّوْنَ وَالْاَحْبَارُ بِمَا اسْتُحْفِظُوْا مِنْ كِتٰبِ اللّٰهِ وَكَانُوْا عَلَيْهِ شُهَدَاۤءَۚ فَلَا تَخْشَوُا النَّاسَ وَاخْشَوْنِ وَلَا تَشْتَرُوْا بِاٰيٰتِيْ ثَمَنًا قَلِيْلًا ۗوَمَنْ لَّمْ يَحْكُمْ بِمَآ اَنْزَلَ اللّٰهُ فَاُولٰۤىِٕكَ هُمُ الْكٰفِرُوْنَ ٤٤

innā
إِنَّآ
নিশ্চয়ই আমরা
anzalnā
أَنزَلْنَا
আমরা অবতীর্ণ করেছি
l-tawrāta
ٱلتَّوْرَىٰةَ
তাওরাত
fīhā
فِيهَا
মধ্যে তার(ছিলো)
hudan
هُدًى
পথনির্দেশ
wanūrun
وَنُورٌۚ
ও আলো
yaḥkumu
يَحْكُمُ
বিধান দিতেন
bihā
بِهَا
দিয়ে তা
l-nabiyūna
ٱلنَّبِيُّونَ
নাবীগণ
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
aslamū
أَسْلَمُوا۟
আত্মসমর্পণ করেছিলো
lilladhīna
لِلَّذِينَ
জন্যে তাদের (যারা)
hādū
هَادُوا۟
ইয়াহুদী হয়েছিলো
wal-rabāniyūna
وَٱلرَّبَّٰنِيُّونَ
ও রব্বানিরা (বিধান দিতেন)
wal-aḥbāru
وَٱلْأَحْبَارُ
ও পন্ডিতগণ
bimā
بِمَا
কেননা
us'tuḥ'fiẓū
ٱسْتُحْفِظُوا۟
তাদের রক্ষক বানানো (হয়েছিলো)
min
مِن
থেকে
kitābi
كِتَٰبِ
কিতাবের
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
wakānū
وَكَانُوا۟
এবং তারা ছিলো
ʿalayhi
عَلَيْهِ
উপর তার
shuhadāa
شُهَدَآءَۚ
সাক্ষী
falā
فَلَا
(হে বনী ইসরাঈল)অতএব না
takhshawū
تَخْشَوُا۟
তোমরা ভয় করো
l-nāsa
ٱلنَّاسَ
মানুষকে
wa-ikh'shawni
وَٱخْشَوْنِ
এবং আমাকে তোমরা ভয় করো
walā
وَلَا
এবং না
tashtarū
تَشْتَرُوا۟
তোমরা ক্রয় করো
biāyātī
بِـَٔايَٰتِى
বিনিময়ে আমার আয়াতগুলোর
thamanan
ثَمَنًا
মূল্য
qalīlan
قَلِيلًاۚ
সামান্য
waman
وَمَن
এবং যে কেউ
lam
لَّمْ
না
yaḥkum
يَحْكُم
বিচার করে
bimā
بِمَآ
তা দিয়ে যা
anzala
أَنزَلَ
অবতীর্ণ করেছেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
fa-ulāika
فَأُو۟لَٰٓئِكَ
তবে ঐ সব লোক
humu
هُمُ
তারাই
l-kāfirūna
ٱلْكَٰفِرُونَ
কাফির
আমি তাওরাত অবতীর্ণ করেছিলাম, তাতে ছিল সঠিক পথের দিশা ও আলো। অনুগত নাবীগণ এর দ্বারা ইয়াহূদীদেরকে ফায়সালা দিত। দরবেশ ও আলিমরাও (তাই করত) কারণ তাদেরকে আল্লাহর কিতাবের রক্ষক করা হয়েছিল আর তারা ছিল এর সাক্ষী। কাজেই মানুষকে ভয় করো না, আমাকেই ভয় কর, আর আমার আয়াতকে নগণ্য মূল্যে বিক্রয় করো না। আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, সে অনুযায়ী যারা বিচার ফায়সালা করে না তারাই কাফির। ([৫] আল মায়িদাহ: ৪৪)
ব্যাখ্যা
৪৫

وَكَتَبْنَا عَلَيْهِمْ فِيْهَآ اَنَّ النَّفْسَ بِالنَّفْسِ وَالْعَيْنَ بِالْعَيْنِ وَالْاَنْفَ بِالْاَنْفِ وَالْاُذُنَ بِالْاُذُنِ وَالسِّنَّ بِالسِّنِّۙ وَالْجُرُوْحَ قِصَاصٌۗ فَمَنْ تَصَدَّقَ بِهٖ فَهُوَ كَفَّارَةٌ لَّهٗ ۗوَمَنْ لَّمْ يَحْكُمْ بِمَآ اَنْزَلَ اللّٰهُ فَاُولٰۤىِٕكَ هُمُ الظّٰلِمُوْنَ ٤٥

wakatabnā
وَكَتَبْنَا
এবং বিধান দিয়েছি আমরা
ʿalayhim
عَلَيْهِمْ
উপর তাদের
fīhā
فِيهَآ
মধ্যে তার (অর্থাৎ তাওরাতে)
anna
أَنَّ
যে
l-nafsa
ٱلنَّفْسَ
প্রাণ
bil-nafsi
بِٱلنَّفْسِ
বদলে প্রাণের
wal-ʿayna
وَٱلْعَيْنَ
ও চোখ
bil-ʿayni
بِٱلْعَيْنِ
বদলে চোখের
wal-anfa
وَٱلْأَنفَ
ও নাক
bil-anfi
بِٱلْأَنفِ
বদলে নাকের
wal-udhuna
وَٱلْأُذُنَ
ও কান
bil-udhuni
بِٱلْأُذُنِ
বদলে কানের
wal-sina
وَٱلسِّنَّ
ও দাঁত
bil-sini
بِٱلسِّنِّ
বদলে দাঁতের
wal-jurūḥa
وَٱلْجُرُوحَ
ও জখমগুলোর
qiṣāṣun
قِصَاصٌۚ
(কিসাস)অনুরূপ জখম
faman
فَمَن
তবে যে
taṣaddaqa
تَصَدَّقَ
ক্ষমা করে
bihi
بِهِۦ
দিয়ে তা (অর্থাৎ কিসাসের)
fahuwa
فَهُوَ
তবে তা
kaffāratun
كَفَّارَةٌ
পাপ মোচন
lahu
لَّهُۥۚ
জন্যে তার
waman
وَمَن
এবং যে
lam
لَّمْ
না
yaḥkum
يَحْكُم
বিচার করে
bimā
بِمَآ
দিয়ে তা(যা)
anzala
أَنزَلَ
অবতীর্ণ করেছেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
fa-ulāika
فَأُو۟لَٰٓئِكَ
তবে ঐসব লোক
humu
هُمُ
তারাই
l-ẓālimūna
ٱلظَّٰلِمُونَ
সীমালঙ্ঘনকারী
আমি তাদের জন্য তাতে বিধান দিয়েছিলাম যে, জানের বদলে জান, চোখের বদলে চোখ, নাকের বদলে নাক, কানের বদলে কান, আর দাঁতের বদলে দাঁত। আর জখমের বদলে অনুরূপ জখম। কেউ ক্ষমা করে দিলে তাতে তারই পাপ মোচন হবে। আল্লাহ যা নাযিল করেছেন সে অনুযায়ী যারা বিচার ফায়সালা করে না তারাই যালিম। ([৫] আল মায়িদাহ: ৪৫)
ব্যাখ্যা
৪৬

وَقَفَّيْنَا عَلٰٓى اٰثَارِهِمْ بِعِيْسَى ابْنِ مَرْيَمَ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ التَّوْرٰىةِ ۖواٰتَيْنٰهُ الْاِنْجِيْلَ فِيْهِ هُدًى وَّنُوْرٌۙ وَّمُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ التَّوْرٰىةِ وَهُدًى وَّمَوْعِظَةً لِّلْمُتَّقِيْنَۗ ٤٦

waqaffaynā
وَقَفَّيْنَا
এবং পিছনে পাঠিয়েছি আমরা
ʿalā
عَلَىٰٓ
উপর
āthārihim
ءَاثَٰرِهِم
পদচিহ্নের তাদের
biʿīsā
بِعِيسَى
ঈসাকে
ib'ni
ٱبْنِ
পুত্র
maryama
مَرْيَمَ
মারইয়ামের
muṣaddiqan
مُصَدِّقًا
সত্যায়নকারীরূপে
limā
لِّمَا
তার যা কিছু
bayna
بَيْنَ
মাঝে
yadayhi
يَدَيْهِ
হাতের তার
mina
مِنَ
মধ্য হতে
l-tawrāti
ٱلتَّوْرَىٰةِۖ
তাওরাতের
waātaynāhu
وَءَاتَيْنَٰهُ
ও আমরা দিয়েছি তাকে
l-injīla
ٱلْإِنجِيلَ
ইঞ্জিল
fīhi
فِيهِ
মধ্যে তার(ছিলো)
hudan
هُدًى
পথনির্দেশ
wanūrun
وَنُورٌ
ও আলো
wamuṣaddiqan
وَمُصَدِّقًا
এবং (ইঞ্জিলও) সত্যায়নকারী
limā
لِّمَا
তার যা কিছু
bayna
بَيْنَ
মাঝে
yadayhi
يَدَيْهِ
হাতের তার
mina
مِنَ
মধ্য হতে
l-tawrāti
ٱلتَّوْرَىٰةِ
তওরাতের
wahudan
وَهُدًى
এবং পথনির্দেশ
wamawʿiẓatan
وَمَوْعِظَةً
ও উপদেশ
lil'muttaqīna
لِّلْمُتَّقِينَ
জন্যে মুত্তাকীদের
তাদের পশ্চাতে মারইয়াম পুত্র ‘ঈসাকে পাঠিয়েছিলাম তাদের সামনে তাওরাত কিতাবের যা কিছু ছিল তার সত্যতা প্রতিপাদনকারী হিসেবে। তাকে ইঞ্জিল দিয়েছিলাম, যাতে ছিল সত্য পথের দিশা ও আলো, এবং ইহা পূর্ববর্তী কিতাব তাওরাতকে সত্যায়নকারী এবং মুত্তাকীদের জন্য সঠিক পথের দিশা ও নাসীহাত। ([৫] আল মায়িদাহ: ৪৬)
ব্যাখ্যা
৪৭

وَلْيَحْكُمْ اَهْلُ الْاِنْجِيْلِ بِمَآ اَنْزَلَ اللّٰهُ فِيْهِۗ وَمَنْ لَّمْ يَحْكُمْ بِمَآ اَنْزَلَ اللّٰهُ فَاُولٰۤىِٕكَ هُمُ الْفٰسِقُوْنَ ٤٧

walyaḥkum
وَلْيَحْكُمْ
এবং (নির্দেশ ছিলো) যেন বিচার করে
ahlu
أَهْلُ
অনুসারীরা
l-injīli
ٱلْإِنجِيلِ
ইঞ্জিলের
bimā
بِمَآ
সেই অনুসারে যা
anzala
أَنزَلَ
অবতীর্ণ করেছেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
fīhi
فِيهِۚ
মধ্যে তার
waman
وَمَن
এবং যে
lam
لَّمْ
না
yaḥkum
يَحْكُم
বিচার করে
bimā
بِمَآ
তা দিয়ে যা
anzala
أَنزَلَ
অবতীর্ণ করেছেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
fa-ulāika
فَأُو۟لَٰٓئِكَ
তবে ঐসব লোক
humu
هُمُ
তারা
l-fāsiqūna
ٱلْفَٰسِقُونَ
সত্যত্যাগী
ইঞ্জিলের অনুসারীগণ যেন আল্লাহ তাতে যে বিধান দিয়েছেন তদনুযায়ী বিচার ফয়সালা করে। আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুযায়ী যারা বিচার ফায়সালা করে না তারাই ফাসিক। ([৫] আল মায়িদাহ: ৪৭)
ব্যাখ্যা
৪৮

وَاَنْزَلْنَآ اِلَيْكَ الْكِتٰبَ بِالْحَقِّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ الْكِتٰبِ وَمُهَيْمِنًا عَلَيْهِ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ بِمَآ اَنْزَلَ اللّٰهُ وَلَا تَتَّبِعْ اَهْوَاۤءَهُمْ عَمَّا جَاۤءَكَ مِنَ الْحَقِّۗ لِكُلٍّ جَعَلْنَا مِنْكُمْ شِرْعَةً وَّمِنْهَاجًا ۗوَلَوْ شَاۤءَ اللّٰهُ لَجَعَلَكُمْ اُمَّةً وَّاحِدَةً وَّلٰكِنْ لِّيَبْلُوَكُمْ فِيْ مَآ اٰتٰىكُمْ فَاسْتَبِقُوا الْخَيْرٰتِۗ اِلَى اللّٰهِ مَرْجِعُكُمْ جَمِيْعًا فَيُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ فِيْهِ تَخْتَلِفُوْنَۙ ٤٨

wa-anzalnā
وَأَنزَلْنَآ
এবং (হে নাবী)অবতীর্ণ করেছি
ilayka
إِلَيْكَ
প্রতি তোমার
l-kitāba
ٱلْكِتَٰبَ
কিতাব
bil-ḥaqi
بِٱلْحَقِّ
সহকারে সত্য
muṣaddiqan
مُصَدِّقًا
সত্যায়নকারী
limā
لِّمَا
তার যা
bayna
بَيْنَ
মাঝে
yadayhi
يَدَيْهِ
হাতের তার
mina
مِنَ
মধ্য হতে
l-kitābi
ٱلْكِتَٰبِ
সেই কিতাবের
wamuhayminan
وَمُهَيْمِنًا
ও সংরক্ষকরূপে
ʿalayhi
عَلَيْهِۖ
উপর তার
fa-uḥ'kum
فَٱحْكُم
অতএব বিচার করো
baynahum
بَيْنَهُم
মাঝে তাদের
bimā
بِمَآ
সে অনুসারে যা
anzala
أَنزَلَ
অবতীর্ণ করেছেন
l-lahu
ٱللَّهُۖ
আল্লাহ
walā
وَلَا
এবং না
tattabiʿ
تَتَّبِعْ
অনুসরণ করো
ahwāahum
أَهْوَآءَهُمْ
খেয়ালখুশির তাদের
ʿammā
عَمَّا
তা ছেড়ে যা
jāaka
جَآءَكَ
তোমার কাছে এসেছে
mina
مِنَ
থেকে
l-ḥaqi
ٱلْحَقِّۚ
মহাসত্য (অর্থাৎ আল-কুরআন)
likullin
لِكُلٍّ
জন্যে প্রত্যেকের
jaʿalnā
جَعَلْنَا
নির্ধারণ করে দিয়েছি আমরা
minkum
مِنكُمْ
মধ্য থেকে তোমাদের
shir'ʿatan
شِرْعَةً
(শরীয়তের) বিধান
wamin'hājan
وَمِنْهَاجًاۚ
ও কর্মপন্থা
walaw
وَلَوْ
এবং যদি
shāa
شَآءَ
ইচ্ছে করতেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
lajaʿalakum
لَجَعَلَكُمْ
অবশ্যই বানাতেন তোমাদের
ummatan
أُمَّةً
জাতি
wāḥidatan
وَٰحِدَةً
একটি (মাত্র)
walākin
وَلَٰكِن
কিন্তু (ভিন্ন ভিন্ন করেছেন)
liyabluwakum
لِّيَبْلُوَكُمْ
যেন পরীক্ষা করেন তোমাদের
فِى
(তার) মধ্যে
مَآ
যা
ātākum
ءَاتَىٰكُمْۖ
দিয়েছেন তোমাদের
fa-is'tabiqū
فَٱسْتَبِقُوا۟
তাই তোমরা প্রতিযোগিতা করো
l-khayrāti
ٱلْخَيْرَٰتِۚ
কল্যাণসমূহের
ilā
إِلَى
দিকে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহরই
marjiʿukum
مَرْجِعُكُمْ
প্রত্যাবর্তন হবে তোমাদের
jamīʿan
جَمِيعًا
সবারই
fayunabbi-ukum
فَيُنَبِّئُكُم
তখন তিনি জানিয়ে দিবেন তোমাদের
bimā
بِمَا
ঐ বিষয়ে যা
kuntum
كُنتُمْ
তোমরা ছিলে
fīhi
فِيهِ
মধ্যে তার
takhtalifūna
تَخْتَلِفُونَ
মতভেদ করতে
আর আমি সত্য বিধানসহ তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি যা পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের সত্যায়নকারী ও সংরক্ষক। কাজেই মানুষদের মধ্যে বিচার ফায়সালা কর আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুসারে, আর তোমার কাছে যে সত্যবিধান এসেছে তা ছেড়ে দিয়ে তাদের খেয়াল খুশির অনুসরণ করো না। আমি তোমাদের প্রত্যেকের জন্য একটি শরীয়াত ও একটি কর্মপথ নির্ধারণ করেছি। আল্লাহ ইচ্ছে করলে তোমাদেরকে এক উম্মাত করতেন। কিন্তু তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন সেই ব্যাপারে তিনি তোমাদের পরীক্ষা করতে চান। কাজেই তোমরা সৎকর্মে অগ্রগামী হও, তোমাদের সকলের প্রত্যাবর্তন আল্লাহর দিকেই। অতঃপর তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করছিলে, সে সম্বন্ধে তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন। ([৫] আল মায়িদাহ: ৪৮)
ব্যাখ্যা
৪৯

وَاَنِ احْكُمْ بَيْنَهُمْ بِمَآ اَنْزَلَ اللّٰهُ وَلَا تَتَّبِعْ اَهْوَاۤءَهُمْ وَاحْذَرْهُمْ اَنْ يَّفْتِنُوْكَ عَنْۢ بَعْضِ مَآ اَنْزَلَ اللّٰهُ اِلَيْكَۗ فَاِنْ تَوَلَّوْا فَاعْلَمْ اَنَّمَا يُرِيْدُ اللّٰهُ اَنْ يُّصِيْبَهُمْ بِبَعْضِ ذُنُوْبِهِمْ ۗوَاِنَّ كَثِيْرًا مِّنَ النَّاسِ لَفٰسِقُوْنَ ٤٩

wa-ani
وَأَنِ
এবং (এও নির্দেশ) যে
uḥ'kum
ٱحْكُم
বিচার করো তুমি
baynahum
بَيْنَهُم
মাঝে তাদের
bimā
بِمَآ
তা দিয়ে যা
anzala
أَنزَلَ
অবতীর্ণ করেছেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
walā
وَلَا
এবং না
tattabiʿ
تَتَّبِعْ
অনুসরণ করো
ahwāahum
أَهْوَآءَهُمْ
খেয়াল-খুশির তাদের
wa-iḥ'dharhum
وَٱحْذَرْهُمْ
এবং তাদের সম্পর্কে সতর্ক হও
an
أَن
যেন (না)
yaftinūka
يَفْتِنُوكَ
তোমাকে বিপদে ফেলে (বিচ্যুত করে)
ʿan
عَنۢ
হতে
baʿḍi
بَعْضِ
কিছু অংশ
مَآ
যারা
anzala
أَنزَلَ
অবতীর্ণ করেছেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
ilayka
إِلَيْكَۖ
প্রতি তোমার
fa-in
فَإِن
অতএব যদি
tawallaw
تَوَلَّوْا۟
তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়
fa-iʿ'lam
فَٱعْلَمْ
তবে জেনে রাখো
annamā
أَنَّمَا
মূলতঃ
yurīdu
يُرِيدُ
চান
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
an
أَن
যে
yuṣībahum
يُصِيبَهُم
পৌঁছাবেন তাদের(শাস্তি)
bibaʿḍi
بِبَعْضِ
কারণে কিছু অংশের
dhunūbihim
ذُنُوبِهِمْۗ
পাপসমূহের তাদের
wa-inna
وَإِنَّ
এবং নিশ্চয়ই
kathīran
كَثِيرًا
অনেকে
mina
مِّنَ
মধ্য হতে
l-nāsi
ٱلنَّاسِ
মানুষের
lafāsiqūna
لَفَٰسِقُونَ
অবশ্যই সত্যত্যাগী
আর তুমি তাদের মধ্যে বিচার ফয়সালা কর আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুযায়ী, তাদের খেয়াল খুশির অনুসরণ করবে না। আর তাদের থেকে সতর্ক থাক তারা যেন আল্লাহ তোমার প্রতি যা নাযিল করেছেন তার কোন কিছু থেকে তোমাকে ফেতনায় না ফেলতে পারে। যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে জেনে রেখ, আল্লাহ তাদের কোন কোন পাপের কারণে তাদেরকে শাস্তি দিতে চান, মানুষদের অধিকাংশই প্রকৃতপক্ষে সত্য ত্যাগী। ([৫] আল মায়িদাহ: ৪৯)
ব্যাখ্যা
৫০

اَفَحُكْمَ الْجَاهِلِيَّةِ يَبْغُوْنَۗ وَمَنْ اَحْسَنُ مِنَ اللّٰهِ حُكْمًا لِّقَوْمٍ يُّوْقِنُوْنَ ࣖ ٥٠

afaḥuk'ma
أَفَحُكْمَ
কি তবে বিধান
l-jāhiliyati
ٱلْجَٰهِلِيَّةِ
জাহিলীয়াতের
yabghūna
يَبْغُونَۚ
তারা চায়
waman
وَمَنْ
এবং কে (আছে)
aḥsanu
أَحْسَنُ
উত্তম
mina
مِنَ
চেয়ে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
ḥuk'man
حُكْمًا
বিধান দানে
liqawmin
لِّقَوْمٍ
(সেইসব) সম্প্রদায়ের জন্যে
yūqinūna
يُوقِنُونَ
(যারা) দৃঢ় বিশ্বাসী
তারা কি জাহিলী যুগের আইন বিধান চায়? দৃঢ় বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য আইন-বিধান প্রদানে আল্লাহ হতে কে বেশী শ্রেষ্ঠ? ([৫] আল মায়িদাহ: ৫০)
ব্যাখ্যা