Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা আল হুজরাত আয়াত ৫

Qur'an Surah Al-Hujurat Verse 5

আল হুজরাত [৪৯]: ৫ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

وَلَوْ اَنَّهُمْ صَبَرُوْا حَتّٰى تَخْرُجَ اِلَيْهِمْ لَكَانَ خَيْرًا لَّهُمْ ۗوَاللّٰهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ (الحجرات : ٤٩)

walaw
وَلَوْ
And if
এবং যদি (এমন হতো)
annahum
أَنَّهُمْ
they
যে তারা
ṣabarū
صَبَرُوا۟
had been patient
ধৈর্য ধরত
ḥattā
حَتَّىٰ
until
যতক্ষণ না
takhruja
تَخْرُجَ
you came out
তুমি বের হতে
ilayhim
إِلَيْهِمْ
to them
তাদের দিকে
lakāna
لَكَانَ
certainly it would be
হতো অবশ্যই
khayran
خَيْرًا
better
উত্তম
lahum
لَّهُمْۚ
for them
তাদের জন্যে
wal-lahu
وَٱللَّهُ
And Allah
এবং আল্লাহ্
ghafūrun
غَفُورٌ
(is) Oft-Forgiving
ক্ষমাশীল
raḥīmun
رَّحِيمٌ
Most Merciful
পরম দয়ালু

Transliteration:

Wa law annahum sabaroo hatta takhruja ilaihim lakaana khairal lahum; wallaahu Ghafoorur Raheem (QS. al-Ḥujurāt:5)

English Sahih International:

And if they had been patient until you [could] come out to them, it would have been better for them. But Allah is Forgiving and Merciful. (QS. Al-Hujurat, Ayah ৫)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তারা যদি ধৈর্য ধরত যে পর্যন্ত না তুমি তাদের কাছে বেরিয়ে আস, সেটাই তাদের জন্য উত্তম হত। আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু। (আল হুজরাত, আয়াত ৫)

Tafsir Ahsanul Bayaan

তুমি বের হয়ে তাদের নিকট আসা পর্যন্ত যদি তারা ধৈর্যধারণ করত, তাহলে তাই তাদের জন্য উত্তম হত।[১] আর আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [২]

[১] অর্থাৎ, তোমার বের হওয়ার অপেক্ষা করত এবং তোমাকে ডাকার ব্যাপারে তাড়াহুড়ো না করত, তবে তা দ্বীন ও দুনিয়া উভয় দিক দিয়ে তাদের জন্য উত্তম হত।

[২] এই জন্য তাদেরকে পাকড়াও করেননি, বরং আগামীতে নবী (সাঃ)-এর প্রতি আদব ও শ্রদ্ধা-সম্মানের খেয়াল রাখার তাকীদ করে দিলেন।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

আর আপনি বের হয়ে তাদের কাছে আসা পর্যন্ত যদি তারা ধৈর্য ধারণ করত, তবে তা-ই তাদের জন্য উত্তম হত [১]। আর আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

[১] এই আয়াত নাযিল হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন বর্ণনায় এসেছে, বনি-তামিমের লোকগণ দুপুরের সময় মদীনায় উপস্থিত হয়েছিল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনো এক হুজরায় বিশ্রামরত ছিলেন। তারা ছিল বেদুঈন এবং সামাজিকতার রীতি-নীতি সম্পর্কে অজ্ঞ। কাজেই তারা হুজরার বাইরে থেকেই ডাকাডাকি শুরু করল, এর পরিপ্রেক্ষিতে আলোচ্য আয়াত অবতীর্ণ হয়। [মুসনাদে আহমাদ; ৩/৪৮৮] এতে এভাবে ডাকাডাকি করতে নিষেধ করা হয় এবং অপেক্ষা করার আদেশ দেয়া হয়।

সাহাবী ও তাবেয়িগণ তাদের আলেম ও উস্তাদ-মাশায়েখের সাথেও এই আদব ব্যবহার করেছেন। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত আছে— আমি যখন কোনো আলেম সাহাবীর কাছ থেকে কোনো হাদিস লাভ করতে চাইতাম, তখন তার গৃহে পৌঁছে ডাকাডাকি অথবা দরজার কড়া নাড়া থেকে বিরত থাকতাম এবং দরজার বাইরে বসে অপেক্ষা করতাম। তিনি যখন নিজেই বাইরে আগমন করতেন, তখন আমি তার কাছে হাদিস জিজ্ঞেস করতাম। তিনি আমাকে দেখে বলতেনঃ হে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর চাচাত ভাই। আপনি দরজার কড়া নেড়ে আমাকে সংবাদ দিলেন না কেন? ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু উত্তরে বলতেনঃ আলেম কোন জাতির জন্যে নবী সদৃশ। আল্লাহ তা'আলা নবী সম্পর্কে আদেশ দিয়েছেন যে, তার বাইরে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা কর। [দারমী; ২/১২৩, ১২৭, মুস্তাদরাকে হাকিম; ৩৩৪, ৫৮১৩, ৬৩৫৫, ৮০৭৫]

Tafsir Bayaan Foundation

তুমি তাদের কাছে বের হয়ে আসা পর্যন্ত যদি তারা ধৈর্যধারণ করত, তাহলে সেটাই তাদের জন্য উত্তম হত। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

Muhiuddin Khan

যদি তারা আপনার বের হয়ে তাদের কাছে আসা পর্যন্ত সবর করত, তবে তা-ই তাদের জন্যে মঙ্গলজনক হত। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

Zohurul Hoque

আর যদি তারা ধৈর্য ধরত যতক্ষণ না তুমি তাদের কাছে বেরিয়ে আস তাহলে তাদের জন্য তা বেশি ভাল হতো । আর আল্লাহ্ পরিত্রাণকারী, অফুরন্ত ফলদাতা।