Skip to content

সূরা আল হুজরাত - Page: 2

Al-Hujurat

(al-Ḥujurāt)

১১

يٰٓاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا يَسْخَرْ قَوْمٌ مِّنْ قَوْمٍ عَسٰٓى اَنْ يَّكُوْنُوْا خَيْرًا مِّنْهُمْ وَلَا نِسَاۤءٌ مِّنْ نِّسَاۤءٍ عَسٰٓى اَنْ يَّكُنَّ خَيْرًا مِّنْهُنَّۚ وَلَا تَلْمِزُوْٓا اَنْفُسَكُمْ وَلَا تَنَابَزُوْا بِالْاَلْقَابِۗ بِئْسَ الِاسْمُ الْفُسُوْقُ بَعْدَ الْاِيْمَانِۚ وَمَنْ لَّمْ يَتُبْ فَاُولٰۤىِٕكَ هُمُ الظّٰلِمُوْنَ ١١

yāayyuhā
يَٰٓأَيُّهَا
হে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
āmanū
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছ
لَا
না
yaskhar
يَسْخَرْ
উপহাস করে (যেন)
qawmun
قَوْمٌ
কোনো পুরুষ
min
مِّن
মধ্য থেকে
qawmin
قَوْمٍ
(অন্য) কোনো পুরুষের
ʿasā
عَسَىٰٓ
হয়তো (যাদের বিদ্রুপ করা হচ্ছে)
an
أَن
যে
yakūnū
يَكُونُوا۟
তারা হবে
khayran
خَيْرًا
উত্তম
min'hum
مِّنْهُمْ
তাদের চেয়ে
walā
وَلَا
আর না
nisāon
نِسَآءٌ
মহিলারা
min
مِّن
মধ্য থেকে
nisāin
نِّسَآءٍ
(অন্য) মহিলাদের
ʿasā
عَسَىٰٓ
হয়তো
an
أَن
যে
yakunna
يَكُنَّ
তারা হবে
khayran
خَيْرًا
উত্তম
min'hunna
مِّنْهُنَّۖ
তাদের চেয়ে
walā
وَلَا
এবং না
talmizū
تَلْمِزُوٓا۟
তোমরা দোষারোপ করো
anfusakum
أَنفُسَكُمْ
তোমাদের নিজেদেরকে
walā
وَلَا
এবং না
tanābazū
تَنَابَزُوا۟
তোমরা ডেকো পরস্পরে
bil-alqābi
بِٱلْأَلْقَٰبِۖ
(মন্দ) উপনামে
bi'sa
بِئْسَ
অত্যন্ত খারাপ ব্যাপার
l-s'mu
ٱلِٱسْمُ
নামযুক্ত হওয়া
l-fusūqu
ٱلْفُسُوقُ
অন্যায় (কাজে)
baʿda
بَعْدَ
পরে
l-īmāni
ٱلْإِيمَٰنِۚ
ঈমান (গ্রহণের)
waman
وَمَن
এবং যে
lam
لَّمْ
না
yatub
يَتُبْ
বিরত থাকে
fa-ulāika
فَأُو۟لَٰٓئِكَ
তবে ঐসব লোক
humu
هُمُ
তারাই
l-ẓālimūna
ٱلظَّٰلِمُونَ
সীমালঙ্ঘঙ্কারী
হে মু’মিনগণ! কোন সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে ঠাট্টা-বিদ্রূপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রূপকারীদের চেয়ে উত্তম। আর নারীরা যেন অন্য নারীদেরক ঠাট্টা-বিদ্রূপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রূপকারিণীদের চেয়ে উত্তম। তোমরা একে অন্যের নিন্দা করো না, একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। ঈমান গ্রহণের পর (ঈমানের আগে কৃত অপরাধকে যা মনে করিয়ে দেয় সেই) মন্দ নাম কতই না মন্দ! (এ সব হতে) যারা তাওবাহ না করে তারাই যালিম। ([৪৯] আল হুজরাত: ১১)
ব্যাখ্যা
১২

يٰٓاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اجْتَنِبُوْا كَثِيْرًا مِّنَ الظَّنِّۖ اِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ اِثْمٌ وَّلَا تَجَسَّسُوْا وَلَا يَغْتَبْ بَّعْضُكُمْ بَعْضًاۗ اَيُحِبُّ اَحَدُكُمْ اَنْ يَّأْكُلَ لَحْمَ اَخِيْهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوْهُۗ وَاتَّقُوا اللّٰهَ ۗاِنَّ اللّٰهَ تَوَّابٌ رَّحِيْمٌ ١٢

yāayyuhā
يَٰٓأَيُّهَا
হে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
āmanū
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছ
ij'tanibū
ٱجْتَنِبُوا۟
দূরে থাক
kathīran
كَثِيرًا
অত্যাধিক
mina
مِّنَ
হতে
l-ẓani
ٱلظَّنِّ
অনুমান করা
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
baʿḍa
بَعْضَ
কিছু
l-ẓani
ٱلظَّنِّ
অনুমান
ith'mun
إِثْمٌۖ
পাপ
walā
وَلَا
এবং না
tajassasū
تَجَسَّسُوا۟
তোমরা দোষ খোঁজ করো
walā
وَلَا
এবং না
yaghtab
يَغْتَب
নিন্দা করো
baʿḍukum
بَّعْضُكُم
তোমাদের কেউ
baʿḍan
بَعْضًاۚ
কাউকে
ayuḥibbu
أَيُحِبُّ
পছন্দ করে কি
aḥadukum
أَحَدُكُمْ
তোমাদের কেউ
an
أَن
যে
yakula
يَأْكُلَ
সে খাবে
laḥma
لَحْمَ
গোশত
akhīhi
أَخِيهِ
তার ভাইয়ের
maytan
مَيْتًا
(যে) মৃত
fakarih'tumūhu
فَكَرِهْتُمُوهُۚ
বস্তুতঃ তা তোমরা ঘৃণাই কর
wa-ittaqū
وَٱتَّقُوا۟
এবং তোমরা ভয় করো
l-laha
ٱللَّهَۚ
আল্লাহকে
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
tawwābun
تَوَّابٌ
তওবা কবুলকারী
raḥīmun
رَّحِيمٌ
পরম দয়ালু
হে মু’মিনগণ! তোমরা অধিক ধারণা হতে বিরত থাক। কতক ধারণা পাপের অন্তর্ভুক্ত। তোমরা অন্যের দোষ খোঁজাখুঁজি করো না, একে অন্যের অনুপস্থিতিতে দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করো না। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো সেটাকে ঘৃণাই করে থাক। আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহ খুব বেশি তাওবাহ ক্ববূলকারী, অতি দয়ালু। ([৪৯] আল হুজরাত: ১২)
ব্যাখ্যা
১৩

يٰٓاَيُّهَا النَّاسُ اِنَّا خَلَقْنٰكُمْ مِّنْ ذَكَرٍ وَّاُنْثٰى وَجَعَلْنٰكُمْ شُعُوْبًا وَّقَبَاۤىِٕلَ لِتَعَارَفُوْا ۚ اِنَّ اَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللّٰهِ اَتْقٰىكُمْ ۗاِنَّ اللّٰهَ عَلِيْمٌ خَبِيْرٌ ١٣

yāayyuhā
يَٰٓأَيُّهَا
হে
l-nāsu
ٱلنَّاسُ
মানুষ
innā
إِنَّا
নিশ্চয়ই
khalaqnākum
خَلَقْنَٰكُم
আমরা তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি
min
مِّن
হতে
dhakarin
ذَكَرٍ
এক পুরুষ
wa-unthā
وَأُنثَىٰ
ও এক মহিলা
wajaʿalnākum
وَجَعَلْنَٰكُمْ
এবং আমরা তোমাদেরকে  বিভক্ত করেছি
shuʿūban
شُعُوبًا
বিভিন্ন সম্প্রদায়
waqabāila
وَقَبَآئِلَ
ও (বিভিন্ন) গোত্রে
litaʿārafū
لِتَعَارَفُوٓا۟ۚ
যাতে তোমরা একে অপরের সাথে পরিচিত হতে পার
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
akramakum
أَكْرَمَكُمْ
তোমাদের মধ্যে বেশি মর্যাদাসম্পন্ন
ʿinda
عِندَ
নিকট
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
atqākum
أَتْقَىٰكُمْۚ
তোমাদের মধ্যে যে সর্বাধিক মুত্তাকি
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
ʿalīmun
عَلِيمٌ
সবকিছু জানেন
khabīrun
خَبِيرٌ
খুব অবহিত
হে মানুষ! তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীতে বিভক্ত করেছি যাতে তোমরা পরস্পরকে চিনতে পার। তোমাদের মধ্যে আল্লাহর নিকট সেই লোকই অধিক সম্মানীয় যে লোক অধিক মুত্তাক্বী। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সব খবর রাখেন। ([৪৯] আল হুজরাত: ১৩)
ব্যাখ্যা
১৪

۞ قَالَتِ الْاَعْرَابُ اٰمَنَّا ۗ قُلْ لَّمْ تُؤْمِنُوْا وَلٰكِنْ قُوْلُوْٓا اَسْلَمْنَا وَلَمَّا يَدْخُلِ الْاِيْمَانُ فِيْ قُلُوْبِكُمْ ۗوَاِنْ تُطِيْعُوا اللّٰهَ وَرَسُوْلَهٗ لَا يَلِتْكُمْ مِّنْ اَعْمَالِكُمْ شَيْـًٔا ۗاِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ ١٤

qālati
قَالَتِ
বলে
l-aʿrābu
ٱلْأَعْرَابُ
মরুবাসীরা
āmannā
ءَامَنَّاۖ
"আমরা ঈমান এনেছি"
qul
قُل
বলো
lam
لَّمْ
"নি
tu'minū
تُؤْمِنُوا۟
তোমরা ঈমান আনো
walākin
وَلَٰكِن
বরং
qūlū
قُولُوٓا۟
তোমরা বলো
aslamnā
أَسْلَمْنَا
"আমরা বশ্যতা স্বীকার করেছি"
walammā
وَلَمَّا
এবং এখনও না
yadkhuli
يَدْخُلِ
প্রবেশ করেছে
l-īmānu
ٱلْإِيمَٰنُ
ঈমান
فِى
মধ্যে
qulūbikum
قُلُوبِكُمْۖ
তোমাদের অন্তরসমূহের
wa-in
وَإِن
এবং যদি
tuṭīʿū
تُطِيعُوا۟
তোমরা আনুগত্য করো
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহর
warasūlahu
وَرَسُولَهُۥ
ও তাঁর রাসুলের
لَا
না
yalit'kum
يَلِتْكُم
তোমাদের কম করবেন (প্রতিফল দানে)
min
مِّنْ
থেকে
aʿmālikum
أَعْمَٰلِكُمْ
তোমাদের কর্মসমূহের
shayan
شَيْـًٔاۚ
কিছুমাত্র
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
ghafūrun
غَفُورٌ
ক্ষমাশীল
raḥīmun
رَّحِيمٌ
পরম দয়ালু
বেদুঈনরা বলে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’। বল- ‘তোমরা ঈমান আননি, বরং তোমরা বল, ‘আমরা (মৌখিক) আনুগত্য স্বীকার করেছি’, এখন পর্যন্ত তোমাদের অন্তরে ঈমান প্রবেশ করেনি। তোমরা যদি আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে মান্য কর তাহলে তোমাদের কৃতকর্মের কিছুই কমতি করা হবে না। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। ([৪৯] আল হুজরাত: ১৪)
ব্যাখ্যা
১৫

اِنَّمَا الْمُؤْمِنُوْنَ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا بِاللّٰهِ وَرَسُوْلِهٖ ثُمَّ لَمْ يَرْتَابُوْا وَجَاهَدُوْا بِاَمْوَالِهِمْ وَاَنْفُسِهِمْ فِيْ سَبِيْلِ اللّٰهِ ۗ اُولٰۤىِٕكَ هُمُ الصّٰدِقُوْنَ ١٥

innamā
إِنَّمَا
প্রকৃতপক্ষে
l-mu'minūna
ٱلْمُؤْمِنُونَ
(তারাই) মু'মিন
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
āmanū
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছে
bil-lahi
بِٱللَّهِ
আল্লাহর উপর
warasūlihi
وَرَسُولِهِۦ
ও তাঁর রাসুলের (উপর)
thumma
ثُمَّ
পরে
lam
لَمْ
নি
yartābū
يَرْتَابُوا۟
তারা সন্দেহ করে
wajāhadū
وَجَٰهَدُوا۟
এবং তারা জিহাদ করেছে
bi-amwālihim
بِأَمْوَٰلِهِمْ
তাদের ধনসম্পদ দিয়ে
wa-anfusihim
وَأَنفُسِهِمْ
এবং তাদের জানজীবন (দিয়ে)
فِى
মধ্যে
sabīli
سَبِيلِ
পথের
l-lahi
ٱللَّهِۚ
আল্লাহর
ulāika
أُو۟لَٰٓئِكَ
ঐসব লোক
humu
هُمُ
তারাই
l-ṣādiqūna
ٱلصَّٰدِقُونَ
সত্যবাদী"
মু’মিন তারাই যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের উপর ঈমান আনে, অতঃপর কোনরূপ সন্দেহ করে না, আর তাদের মাল দিয়ে ও জান দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করে; তারাই সত্যবাদী। ([৪৯] আল হুজরাত: ১৫)
ব্যাখ্যা
১৬

قُلْ اَتُعَلِّمُوْنَ اللّٰهَ بِدِيْنِكُمْۗ وَاللّٰهُ يَعْلَمُ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَمَا فِى الْاَرْضِۗ وَاللّٰهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْمٌ ١٦

qul
قُلْ
(হে নবী) বলো
atuʿallimūna
أَتُعَلِّمُونَ
"তোমরা কি জানাচ্ছ
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহকে
bidīnikum
بِدِينِكُمْ
তোমাদের দীন (পালন) সম্পর্কে
wal-lahu
وَٱللَّهُ
অথচ আল্লাহ
yaʿlamu
يَعْلَمُ
জানেন
مَا
যা কিছু
فِى
মধ্যে (আছে)
l-samāwāti
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশসমূহের
wamā
وَمَا
ও যা কিছু
فِى
মধ্যে (আছে)
l-arḍi
ٱلْأَرْضِۚ
পৃথিবীর
wal-lahu
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
bikulli
بِكُلِّ
সম্পর্কে
shayin
شَىْءٍ
সব জিনিসের
ʿalīmun
عَلِيمٌ
খুব জানেন"
বল, ‘তোমরা কি তোমাদের দ্বীন সম্পর্কে আল্লাহকে অবগত করতে চাও’? আল্লাহ তো জানেন যা আছে আসমানে আর যা আছে যমীনে। আল্লাহ প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে সবিশেষ অবগত। ([৪৯] আল হুজরাত: ১৬)
ব্যাখ্যা
১৭

يَمُنُّوْنَ عَلَيْكَ اَنْ اَسْلَمُوْا ۗ قُلْ لَّا تَمُنُّوْا عَلَيَّ اِسْلَامَكُمْ ۚبَلِ اللّٰهُ يَمُنُّ عَلَيْكُمْ اَنْ هَدٰىكُمْ لِلْاِيْمَانِ اِنْ كُنْتُمْ صٰدِقِيْنَ ١٧

yamunnūna
يَمُنُّونَ
তারা অনুগ্রহ প্রকাশ করে
ʿalayka
عَلَيْكَ
তোমার প্রতি
an
أَنْ
যে
aslamū
أَسْلَمُوا۟ۖ
তারা ইসলাম গ্রহণ করেছে
qul
قُل
বলো
لَّا
"না
tamunnū
تَمُنُّوا۟
তোমরা অনুগ্রহ বলে মনে করো
ʿalayya
عَلَىَّ
আমার প্রতি
is'lāmakum
إِسْلَٰمَكُمۖ
তোমাদের ইসলাম গ্রহণের
bali
بَلِ
বরং
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
yamunnu
يَمُنُّ
অনুগ্রহ করেছেন
ʿalaykum
عَلَيْكُمْ
তোমাদের উপর
an
أَنْ
যে
hadākum
هَدَىٰكُمْ
তিনি তোমাদেরকে পথ দেখিয়েছেন
lil'īmāni
لِلْإِيمَٰنِ
ঈমানের দিকে
in
إِن
যদি
kuntum
كُنتُمْ
তোমরা হও
ṣādiqīna
صَٰدِقِينَ
সত্যবাদী (ঈমানের দাবিতে)
এই লোকেরা মনে করে যে, তারা ইসলাম কবূল ক’রে তোমার প্রতি অনুগ্রহ করেছে। তাদেরকে বলে দাও, ‘তোমরা তোমাদের ইসলাম কবূলের দ্বারা আমার প্রতি কোন অনুগ্রহ করনি বরং আল্লাহ্ই তোমাদেরকে ঈমানের পথে পরিচালিত ক’রে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন, তোমরা যদি (তোমাদের ঈমান আনার দাবীতে) সত্যবাদী হয়েই থাক। ([৪৯] আল হুজরাত: ১৭)
ব্যাখ্যা
১৮

اِنَّ اللّٰهَ يَعْلَمُ غَيْبَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِۗ وَاللّٰهُ بَصِيْرٌۢ بِمَا تَعْمَلُوْنَ ࣖ ١٨

inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
yaʿlamu
يَعْلَمُ
জানেন
ghayba
غَيْبَ
অদৃশ্য (সম্পর্কে)
l-samāwāti
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশসমূহের
wal-arḍi
وَٱلْأَرْضِۚ
ও পৃথিবীর
wal-lahu
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
baṣīrun
بَصِيرٌۢ
সবকিছু দেখেন
bimā
بِمَا
ঐ বিষয়েও যা
taʿmalūna
تَعْمَلُونَ
তোমরা করছ"
আসমান ও যমীনের গোপন বিষয়ের খবর আল্লাহই জানেন। তোমরা যা কর আল্লাহ তা দেখেন। ([৪৯] আল হুজরাত: ১৮)
ব্যাখ্যা