সূরা আল ফাতহ - শব্দ দ্বারা শব্দ

اِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُّبِيْنًاۙ ١

আমি তোমাকে দিয়েছি স্পষ্ট বিজয়। ([৪৮] আল ফাতহ: ১)

لِّيَغْفِرَ لَكَ اللّٰهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْۢبِكَ وَمَا تَاَخَّرَ وَيُتِمَّ نِعْمَتَهٗ عَلَيْكَ وَيَهْدِيَكَ صِرَاطًا مُّسْتَقِيْمًاۙ ٢

যাতে আল্লাহ তোমার আগের ও পিছের যাবতীয় ভুলভ্রান্তি ক্ষমা করেন, তোমার উপর তাঁর নি‘মাত পূর্ণ করেন এবং তোমাকে সরল সঠিক পথে পরিচালিত করেন। ([৪৮] আল ফাতহ: ২)

وَّيَنْصُرَكَ اللّٰهُ نَصْرًا عَزِيْزًا ٣

আর আল্লাহ তোমাকে প্রবল পরাক্রান্ত সাহায্য দান করেন। ([৪৮] আল ফাতহ: ৩)

هُوَ الَّذِيْٓ اَنْزَلَ السَّكِيْنَةَ فِيْ قُلُوْبِ الْمُؤْمِنِيْنَ لِيَزْدَادُوْٓا اِيْمَانًا مَّعَ اِيْمَانِهِمْ ۗ وَلِلّٰهِ جُنُوْدُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِۗ وَكَانَ اللّٰهُ عَلِيْمًا حَكِيْمًاۙ ٤

তিনিই মু’মিনদের দিলে প্রশান্তি নাযিল করেন যাতে তারা তাদের ঈমানের সাথে আরো ঈমান বাড়িয়ে নেয়। আসমান ও যমীনের যাবতীয় বাহিনী আল্লাহর কর্তৃত্বের অধীন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ ও প্রজ্ঞাময়। ([৪৮] আল ফাতহ: ৪)

لِّيُدْخِلَ الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنٰتِ جَنّٰتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ خٰلِدِيْنَ فِيْهَا وَيُكَفِّرَ عَنْهُمْ سَيِّاٰتِهِمْۗ وَكَانَ ذٰلِكَ عِنْدَ اللّٰهِ فَوْزًا عَظِيْمًاۙ ٥

(তিনি এ কাজ করেন এজন্য) যাতে তিনি মু’মিন পুরুষ ও মু’মিনা নারীকে জান্নাতে প্রবিষ্ট করেন যার তলদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত। তাতে তারা চিরকাল থাকবে। তিনি তাদের পাপ মোচন করে দিবেন। আল্লাহর দৃষ্টিতে এটাই বিরাট সাফল্য। ([৪৮] আল ফাতহ: ৫)

وَّيُعَذِّبَ الْمُنٰفِقِيْنَ وَالْمُنٰفِقٰتِ وَالْمُشْرِكِيْنَ وَالْمُشْرِكٰتِ الظَّاۤنِّيْنَ بِاللّٰهِ ظَنَّ السَّوْءِۗ عَلَيْهِمْ دَاۤىِٕرَةُ السَّوْءِۚ وَغَضِبَ اللّٰهُ عَلَيْهِمْ وَلَعَنَهُمْ وَاَعَدَّ لَهُمْ جَهَنَّمَۗ وَسَاۤءَتْ مَصِيْرًا ٦

আর তিনি মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিকা নারী, মুশরিক পুরুষ ও মুশরিকা নারীকে শাস্তি দিবেন যারা আল্লাহ সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ করে। তাদের জন্য আছে অশুভ চক্র। আল্লাহ তাদের উপর রাগান্বিত হয়েছেন আর তাদেরকে লা‘নাত করেছেন। তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন জাহান্নাম। তা কতই না নিকৃষ্ট আবাসস্থল! ([৪৮] আল ফাতহ: ৬)

وَلِلّٰهِ جُنُوْدُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِۗ وَكَانَ اللّٰهُ عَزِيْزًا حَكِيْمًا ٧

আসমান ও যমীনের যাবতীয় বাহিনী আল্লাহর কর্তৃত্বের অধীন। আল্লাহ মহা পরাক্রমশালী, মহা প্রজ্ঞাময়। ([৪৮] আল ফাতহ: ৭)

اِنَّآ اَرْسَلْنٰكَ شَاهِدًا وَّمُبَشِّرًا وَّنَذِيْرًاۙ ٨

(হে রাসূল) আমি তোমাকে (সত্যের) সাক্ষ্যদাতা. (বিশ্বাসীদের জন্য) সুসংবাদদাতা ও (অবিশ্বাসীদের জন্য) সতর্ককারী হিসেবে পাঠিয়েছি। ([৪৮] আল ফাতহ: ৮)

لِّتُؤْمِنُوْا بِاللّٰهِ وَرَسُوْلِهٖ وَتُعَزِّرُوْهُ وَتُوَقِّرُوْهُۗ وَتُسَبِّحُوْهُ بُكْرَةً وَّاَصِيْلًا ٩

যেন (ওহে মানুষেরা) তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি ঈমান আন, রসূলকে শক্তি যোগাও আর তাকে সম্মান কর, আর সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর মহিমা ঘোষণা কর। ([৪৮] আল ফাতহ: ৯)

اِنَّ الَّذِيْنَ يُبَايِعُوْنَكَ اِنَّمَا يُبَايِعُوْنَ اللّٰهَ ۗيَدُ اللّٰهِ فَوْقَ اَيْدِيْهِمْ ۚ فَمَنْ نَّكَثَ فَاِنَّمَا يَنْكُثُ عَلٰى نَفْسِهٖۚ وَمَنْ اَوْفٰى بِمَا عٰهَدَ عَلَيْهُ اللّٰهَ فَسَيُؤْتِيْهِ اَجْرًا عَظِيْمًا ࣖ ١٠

যারা তোমার কাছে বাই‘আত (অর্থাৎ আনুগত্য করার শপথ) করে আসলে তারা আল্লাহর কাছে বাই‘আত করে। তাদের হাতের উপর আছে আল্লাহর হাত। এক্ষণে যে এ ও‘য়াদা ভঙ্গ করে, এ ও‘য়াদা ভঙ্গের কুফল তার নিজেরই উপর পড়বে। আর যে ও‘য়াদা পূর্ণ করবে- যা সে আল্লাহর সঙ্গে করেছে- তিনি অচিরেই তাকে মহা পুরস্কার দান করবেন। ([৪৮] আল ফাতহ: ১০)