Skip to content

সূরা মুহাম্মদ - Page: 3

Muhammad

(Muḥammad)

২১

طَاعَةٌ وَّقَوْلٌ مَّعْرُوْفٌۗ فَاِذَا عَزَمَ الْاَمْرُۗ فَلَوْ صَدَقُوا اللّٰهَ لَكَانَ خَيْرًا لَّهُمْۚ ٢١

ṭāʿatun
طَاعَةٌ
(তাদের মুখে তো) আনুগত্য
waqawlun
وَقَوْلٌ
ও কথা
maʿrūfun
مَّعْرُوفٌۚ
ন্যায়সংগত / ভালো ভালো
fa-idhā
فَإِذَا
কিন্তু যখন
ʿazama
عَزَمَ
চূড়ান্ত হলো
l-amru
ٱلْأَمْرُ
(জিহাদের) বিষয়টি
falaw
فَلَوْ
তখন যদি
ṣadaqū
صَدَقُوا۟
তারা সত্য প্রমাণ করত
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহকে( দেওয়া ওয়াদা)
lakāna
لَكَانَ
অবশই হতো
khayran
خَيْرًا
উত্তম
lahum
لَّهُمْ
তাদের জন্যে
(আল্লাহর) আনুগত্য করা ও ন্যায়সঙ্গত কথা বলা। অতঃপর যুদ্ধের সিদ্ধান্ত হলে তারা যদি আল্লাহর নিকট দেয়া অঙ্গীকার পূর্ণ করত, তবে তা তাদের জন্য কল্যাণকর হত। ([৪৭] মুহাম্মদ: ২১)
ব্যাখ্যা
২২

فَهَلْ عَسَيْتُمْ اِنْ تَوَلَّيْتُمْ اَنْ تُفْسِدُوْا فِى الْاَرْضِ وَتُقَطِّعُوْٓا اَرْحَامَكُمْ ٢٢

fahal
فَهَلْ
তবে কি
ʿasaytum
عَسَيْتُمْ
তোমাদের হতে এ সম্ভাবনা আছে?
in
إِن
যদি
tawallaytum
تَوَلَّيْتُمْ
তোমরা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হও
an
أَن
যে
tuf'sidū
تُفْسِدُوا۟
তোমরা বিপর্যয় সৃষ্টি করবে
فِى
মধ্যে
l-arḍi
ٱلْأَرْضِ
পৃথিবীর
watuqaṭṭiʿū
وَتُقَطِّعُوٓا۟
এবং তোমরা ছিন্ন করবে
arḥāmakum
أَرْحَامَكُمْ
তোমাদের আত্মীয়তার বন্ধনসমূহকে
ক্ষমতা পেলে সম্ভবতঃ তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে আর আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে। ([৪৭] মুহাম্মদ: ২২)
ব্যাখ্যা
২৩

اُولٰۤىِٕكَ الَّذِيْنَ لَعَنَهُمُ اللّٰهُ فَاَصَمَّهُمْ وَاَعْمٰٓى اَبْصَارَهُمْ ٢٣

ulāika
أُو۟لَٰٓئِكَ
ঐসব লোক
alladhīna
ٱلَّذِينَ
তারাই
laʿanahumu
لَعَنَهُمُ
যাদেরকে অভিশাপ দিয়েছেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ্‌
fa-aṣammahum
فَأَصَمَّهُمْ
এরপর তাদেরকে বধির করে দিয়েছেন
wa-aʿmā
وَأَعْمَىٰٓ
ও অন্ধ করে দিয়েছেন
abṣārahum
أَبْصَٰرَهُمْ
তাদের দৃষ্টি শক্তিকে
এদের প্রতিই আল্লাহ অভিসম্পাত করেন, অতঃপর তাদেরকে বধির করেন আর তাদের দৃষ্টিশক্তিকে করেন অন্ধ। ([৪৭] মুহাম্মদ: ২৩)
ব্যাখ্যা
২৪

اَفَلَا يَتَدَبَّرُوْنَ الْقُرْاٰنَ اَمْ عَلٰى قُلُوْبٍ اَقْفَالُهَا ٢٤

afalā
أَفَلَا
না তবে কি
yatadabbarūna
يَتَدَبَّرُونَ
তারা চিন্তা গবেষণা করে
l-qur'āna
ٱلْقُرْءَانَ
কুরআন (সম্বন্ধে)
am
أَمْ
অথবা
ʿalā
عَلَىٰ
উপর
qulūbin
قُلُوبٍ
অন্তরসমূহের
aqfāluhā
أَقْفَالُهَآ
তাদের তালা (পড়েছে)
তারা কি কুরআন সম্বন্ধে গভীরভাবে চিন্তা করে না, না তাদের অন্তরে তালা দেয়া আছে? ([৪৭] মুহাম্মদ: ২৪)
ব্যাখ্যা
২৫

اِنَّ الَّذِيْنَ ارْتَدُّوْا عَلٰٓى اَدْبَارِهِمْ مِّنْۢ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمُ الْهُدَى الشَّيْطٰنُ سَوَّلَ لَهُمْۗ وَاَمْلٰى لَهُمْ ٢٥

inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
ir'taddū
ٱرْتَدُّوا۟
ফিরে যায়
ʿalā
عَلَىٰٓ
দিকে
adbārihim
أَدْبَٰرِهِم
তাদের পিছনের
min
مِّنۢ
থেকে
baʿdi
بَعْدِ
এরপরেও
مَا
যা
tabayyana
تَبَيَّنَ
সুস্পষ্ট হয়েছে
lahumu
لَهُمُ
তাদের কাছে
l-hudā
ٱلْهُدَىۙ
(অর্থাৎ) সৎপথ
l-shayṭānu
ٱلشَّيْطَٰنُ
শয়তান
sawwala
سَوَّلَ
শোভন করে দেখায়
lahum
لَهُمْ
তাদের জন্যে (একাজ)
wa-amlā
وَأَمْلَىٰ
মিথ্যা আশা দেয়
lahum
لَهُمْ
তাদের জন্যে
যাদের কাছে সঠিক পথ সুস্পষ্ট হওয়ার পর তারা পিছনে ফিরে যায়, শয়ত্বান তাদের জন্য তাদের কাজকে সুন্দর করে দেখায়, আর তাদেরকে দেয় মিথ্যা আশা। ([৪৭] মুহাম্মদ: ২৫)
ব্যাখ্যা
২৬

ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَالُوْا لِلَّذِيْنَ كَرِهُوْا مَا نَزَّلَ اللّٰهُ سَنُطِيْعُكُمْ فِيْ بَعْضِ الْاَمْرِۚ وَاللّٰهُ يَعْلَمُ اِسْرَارَهُمْ ٢٦

dhālika
ذَٰلِكَ
এটা
bi-annahum
بِأَنَّهُمْ
এ কারণে যে তারা
qālū
قَالُوا۟
বলে
lilladhīna
لِلَّذِينَ
(তাদের)-কে যারা
karihū
كَرِهُوا۟
অপছন্দ করেছে
مَا
যা
nazzala
نَزَّلَ
অবতরণ করেছেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ্‌
sanuṭīʿukum
سَنُطِيعُكُمْ
"অচিরেই আমরা তোমাদের আনুগত্য করব
فِى
ক্ষেত্রে
baʿḍi
بَعْضِ
কিছু
l-amri
ٱلْأَمْرِۖ
বিষয়ের"
wal-lahu
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ্‌
yaʿlamu
يَعْلَمُ
জানেন
is'rārahum
إِسْرَارَهُمْ
তাদের গোপন অভিসন্ধি (সম্পর্কে)
এ কারণেই আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তাকে যারা অপছন্দ করে তাদেরকে তারা বলে দিয়েছে যে, কোন কোন ব্যাপারে আমরা তোমাদেরকে মানবো। আল্লাহ তাদের গোপন কথাবার্তাকে খুব ভাল করেই জানেন। ([৪৭] মুহাম্মদ: ২৬)
ব্যাখ্যা
২৭

فَكَيْفَ اِذَا تَوَفَّتْهُمُ الْمَلٰۤىِٕكَةُ يَضْرِبُوْنَ وُجُوْهَهُمْ وَاَدْبَارَهُمْ ٢٧

fakayfa
فَكَيْفَ
অতঃপর কেমন হবে
idhā
إِذَا
(তখন) যখন
tawaffathumu
تَوَفَّتْهُمُ
তাদের প্রান হরণ করবে
l-malāikatu
ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ
ফেরেশতারা
yaḍribūna
يَضْرِبُونَ
তারা মারবে
wujūhahum
وُجُوهَهُمْ
তাদের মুখমন্ডলগুলোতে
wa-adbārahum
وَأَدْبَٰرَهُمْ
ও তাদের পিঠে
তখন কেমন দশা হবে যখন ফেরেশতারা তাদের মুখে আর পিঠে মারতে মারতে তাদের জান বের করবে। ([৪৭] মুহাম্মদ: ২৭)
ব্যাখ্যা
২৮

ذٰلِكَ بِاَنَّهُمُ اتَّبَعُوْا مَآ اَسْخَطَ اللّٰهَ وَكَرِهُوْا رِضْوَانَهٗ فَاَحْبَطَ اَعْمَالَهُمْ ࣖ ٢٨

dhālika
ذَٰلِكَ
এটা
bi-annahumu
بِأَنَّهُمُ
এ কারণে যে তারা
ittabaʿū
ٱتَّبَعُوا۟
অনুসরণ করেছিল (সেই পথের)
مَآ
যা
askhaṭa
أَسْخَطَ
অসন্তুষ্ট করেছে
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহকে
wakarihū
وَكَرِهُوا۟
ও তারা অপছন্দ করেছে
riḍ'wānahu
رِضْوَٰنَهُۥ
তাঁর সন্তুষ্টির (পথ)
fa-aḥbaṭa
فَأَحْبَطَ
ফলে তিনি নষ্ট করে দিয়েছেন
aʿmālahum
أَعْمَٰلَهُمْ
তাদের কর্মসমূহকে
এর কারণ এই যে, তারা তারই অনুসরণ করে যা আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করে, আর তারা তাঁর সন্তোষকে অপছন্দ করে, ফলে তিনি তাদের সমস্ত ‘আমাল নষ্ট করে দিয়েছেন। ([৪৭] মুহাম্মদ: ২৮)
ব্যাখ্যা
২৯

اَمْ حَسِبَ الَّذِيْنَ فِيْ قُلُوْبِهِمْ مَّرَضٌ اَنْ لَّنْ يُّخْرِجَ اللّٰهُ اَضْغَانَهُمْ ٢٩

am
أَمْ
কি
ḥasiba
حَسِبَ
মনে করেছে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
তারা
فِى
আছে
qulūbihim
قُلُوبِهِم
যাদের অন্তরসমূহে
maraḍun
مَّرَضٌ
রোগ (আছে)
an
أَن
যে
lan
لَّن
কখনও না
yukh'rija
يُخْرِجَ
প্রকাশ করবেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ্‌
aḍghānahum
أَضْغَٰنَهُمْ
তাদের বিদ্বেষগুলোকে
যাদের অন্তরে রোগ আছে তারা কি মনে করে যে, আল্লাহ কক্ষনো তাদের লুকানো বিদ্বেষভাব প্রকাশ করে দিবেন না? ([৪৭] মুহাম্মদ: ২৯)
ব্যাখ্যা
৩০

وَلَوْ نَشَاۤءُ لَاَرَيْنٰكَهُمْ فَلَعَرَفْتَهُمْ بِسِيْمٰهُمْ ۗوَلَتَعْرِفَنَّهُمْ فِيْ لَحْنِ الْقَوْلِۗ وَاللّٰهُ يَعْلَمُ اَعْمَالَكُمْ ٣٠

walaw
وَلَوْ
এবং যদি
nashāu
نَشَآءُ
আমরা ইচ্ছে করি
la-araynākahum
لَأَرَيْنَٰكَهُمْ
আমরা অবশ্যই তাদের দেখাতে পারি
falaʿaraftahum
فَلَعَرَفْتَهُم
তুমি তখন তাদের চিনবেই
bisīmāhum
بِسِيمَٰهُمْۚ
দ্বারা তাদের লক্ষণগুলো
walataʿrifannahum
وَلَتَعْرِفَنَّهُمْ
এবং তাদেরকে তুমি অবশ্যই চিনবে
فِى
আছে
laḥni
لَحْنِ
ভংগিতে
l-qawli
ٱلْقَوْلِۚ
কথা (বলার)
wal-lahu
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ্‌ই
yaʿlamu
يَعْلَمُ
জানেন
aʿmālakum
أَعْمَٰلَكُمْ
তোমাদের কর্মসমূহকে
আমি যদি ইচ্ছে করতাম তাহলে আমি তোমায় ওদেরকে দেখিয়ে দিতাম। তুমি তাদের মুখ দেখে অবশ্যই চিনতে পারবে আর তাদের কথাবার্তার ধরন দেখে তুমি তাদেরকে অবশ্যই অবশ্যই চিনতে পারবে। আল্লাহ তোমাদের ‘আমাল সম্পর্কে ভালভাবেই জানেন। ([৪৭] মুহাম্মদ: ৩০)
ব্যাখ্যা