Skip to content

সূরা মুহাম্মদ - Page: 2

Muhammad

(Muḥammad)

১১

ذٰلِكَ بِاَنَّ اللّٰهَ مَوْلَى الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَاَنَّ الْكٰفِرِيْنَ لَا مَوْلٰى لَهُمْ ࣖ ١١

dhālika
ذَٰلِكَ
এটা
bi-anna
بِأَنَّ
এ জন্যে যে
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ্‌
mawlā
مَوْلَى
অভিভাবক
alladhīna
ٱلَّذِينَ
(তাদের) যারা
āmanū
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছে
wa-anna
وَأَنَّ
এবং (এও) যে
l-kāfirīna
ٱلْكَٰفِرِينَ
কাফেরদের
لَا
নেই
mawlā
مَوْلَىٰ
কোনো অভিভাবক
lahum
لَهُمْ
তাদের জন্যে
এর কারণ এই যে, যারা ঈমান আনে আল্লাহ তাদের অভিভাবক আর কাফিরদের কোন অভিভাবক নেই। ([৪৭] মুহাম্মদ: ১১)
ব্যাখ্যা
১২

اِنَّ اللّٰهَ يُدْخِلُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ جَنّٰتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ ۗوَالَّذِيْنَ كَفَرُوْا يَتَمَتَّعُوْنَ وَيَأْكُلُوْنَ كَمَا تَأْكُلُ الْاَنْعَامُ وَالنَّارُ مَثْوًى لَّهُمْ ١٢

inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ্‌
yud'khilu
يُدْخِلُ
প্রবেশ করাবেন
alladhīna
ٱلَّذِينَ
(তাদেরকে) যারা
āmanū
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছে
waʿamilū
وَعَمِلُوا۟
ও কাজ করেছে
l-ṣāliḥāti
ٱلصَّٰلِحَٰتِ
সৎকর্ম
jannātin
جَنَّٰتٍ
জান্নাতে
tajrī
تَجْرِى
প্র্রবাহিত হয়
min
مِن
থেকে
taḥtihā
تَحْتِهَا
তার নিচ
l-anhāru
ٱلْأَنْهَٰرُۖ
ঝর্না ধারাসমুহ
wa-alladhīna
وَٱلَّذِينَ
এবং যারা
kafarū
كَفَرُوا۟
অস্বীকার করেছে
yatamattaʿūna
يَتَمَتَّعُونَ
তারা ভোগবিলাস করছে
wayakulūna
وَيَأْكُلُونَ
ও তারা খাচ্ছে
kamā
كَمَا
যেমন
takulu
تَأْكُلُ
খায়
l-anʿāmu
ٱلْأَنْعَٰمُ
চতুষ্পদ জন্তু
wal-nāru
وَٱلنَّارُ
এবং জাহান্নামই
mathwan
مَثْوًى
নিবাস
lahum
لَّهُمْ
তাদের জন্যে
যারা ঈমান আনে আর সৎকাজ করে আল্লাহ তাদেরকে প্রবিষ্ট করবেন জান্নাতে যার তলদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত। আর যারা কুফুরী করে তারা ভোগ বিলাসে মত্ত থাকে আর আহার করে যেভাবে আহার করে জন্তু জানোয়াররা। জাহান্নামই তাদের বাসস্থান। ([৪৭] মুহাম্মদ: ১২)
ব্যাখ্যা
১৩

وَكَاَيِّنْ مِّنْ قَرْيَةٍ هِيَ اَشَدُّ قُوَّةً مِّنْ قَرْيَتِكَ الَّتِيْٓ اَخْرَجَتْكَۚ اَهْلَكْنٰهُمْ فَلَا نَاصِرَ لَهُمْ ١٣

waka-ayyin
وَكَأَيِّن
এবং কতই না
min
مِّن
থেকে
qaryatin
قَرْيَةٍ
জনপদ (বিলীন হয়েছে)
hiya
هِىَ
যা (ছিল)
ashaddu
أَشَدُّ
অধিকতর দৃঢ়
quwwatan
قُوَّةً
শক্তিতে
min
مِّن
চেয়েও
qaryatika
قَرْيَتِكَ
তোমার জনপদের
allatī
ٱلَّتِىٓ
যা (হতে)
akhrajatka
أَخْرَجَتْكَ
তোমাকে বের করেছে
ahlaknāhum
أَهْلَكْنَٰهُمْ
আমরা তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছি
falā
فَلَا
অতঃপর না (ছিল)
nāṣira
نَاصِرَ
কোনো সাহায্যকারী
lahum
لَهُمْ
তাদের জন্যে
তোমার যে জনপদ থেকে তারা তোমাকে বের করে দিয়েছে তার অপেক্ষা শক্তিশালী কত জনপদকে আমি ধ্বংস করে দিয়েছি, অতঃপর কেউ ছিল না তাদের সাহায্যকারী। ([৪৭] মুহাম্মদ: ১৩)
ব্যাখ্যা
১৪

اَفَمَنْ كَانَ عَلٰى بَيِّنَةٍ مِّنْ رَّبِّهٖ كَمَنْ زُيِّنَ لَهٗ سُوْۤءُ عَمَلِهٖ وَاتَّبَعُوْٓا اَهْوَاۤءَهُمْ ١٤

afaman
أَفَمَن
তবে কি যে
kāna
كَانَ
হয়
ʿalā
عَلَىٰ
(হেদায়াতের) উপর
bayyinatin
بَيِّنَةٍ
সুস্পষ্ট
min
مِّن
পক্ষ হতে
rabbihi
رَّبِّهِۦ
তার রবের
kaman
كَمَن
(তার) মতো যাকে
zuyyina
زُيِّنَ
শোভনীয় করা হয়েছে
lahu
لَهُۥ
তার জন্যে
sūu
سُوٓءُ
খারাপ
ʿamalihi
عَمَلِهِۦ
তার কাজকে
wa-ittabaʿū
وَٱتَّبَعُوٓا۟
এবং তারা অনুসরণ করেছে
ahwāahum
أَهْوَآءَهُم
তাদের খেয়াল খুশির
যে ব্যক্তি তার প্রতিপালক থেকে আগত সুস্পষ্ট প্রমাণের উপর প্রতিষ্ঠিত সে কি তার মত যার কাছে তার মন্দ কর্ম সুশোভিত করা হয়েছে আর তারা নিজেদের খেয়ালখুশির অনুসরণ করে। ([৪৭] মুহাম্মদ: ১৪)
ব্যাখ্যা
১৫

مَثَلُ الْجَنَّةِ الَّتِيْ وُعِدَ الْمُتَّقُوْنَ ۗفِيْهَآ اَنْهٰرٌ مِّنْ مَّاۤءٍ غَيْرِ اٰسِنٍۚ وَاَنْهٰرٌ مِّنْ لَّبَنٍ لَّمْ يَتَغَيَّرْ طَعْمُهٗ ۚوَاَنْهٰرٌ مِّنْ خَمْرٍ لَّذَّةٍ لِّلشّٰرِبِيْنَ ەۚ وَاَنْهٰرٌ مِّنْ عَسَلٍ مُّصَفًّى ۗوَلَهُمْ فِيْهَا مِنْ كُلِّ الثَّمَرٰتِ وَمَغْفِرَةٌ مِّنْ رَّبِّهِمْ ۗ كَمَنْ هُوَ خَالِدٌ فِى النَّارِ وَسُقُوْا مَاۤءً حَمِيْمًا فَقَطَّعَ اَمْعَاۤءَهُمْ ١٥

mathalu
مَّثَلُ
একটি দৃষ্টান্ত
l-janati
ٱلْجَنَّةِ
জান্নাতের
allatī
ٱلَّتِى
যা
wuʿida
وُعِدَ
প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে
l-mutaqūna
ٱلْمُتَّقُونَۖ
মুত্তাকীদের (জন্যে)
fīhā
فِيهَآ
তার মধ্যে আছে
anhārun
أَنْهَٰرٌ
ঝর্নাধারাসমূহ
min
مِّن
থেকে
māin
مَّآءٍ
পানির
ghayri
غَيْرِ
নয়/ অ
āsinin
ءَاسِنٍ
পরিবর্তনীয় (তার রং গন্ধ)
wa-anhārun
وَأَنْهَٰرٌ
এবং ঝর্ণাসমূহ
min
مِّن
থেকে
labanin
لَّبَنٍ
দুধের
lam
لَّمْ
না
yataghayyar
يَتَغَيَّرْ
পরিবর্তন হয়
ṭaʿmuhu
طَعْمُهُۥ
তার স্বাদ
wa-anhārun
وَأَنْهَٰرٌ
এবং ঝর্ণাসমূহ
min
مِّنْ
থেকে
khamrin
خَمْرٍ
সুধার
ladhatin
لَّذَّةٍ
সুস্বাদু
lilshāribīna
لِّلشَّٰرِبِينَ
পানকারীদের জন্যে
wa-anhārun
وَأَنْهَٰرٌ
এবং ঝর্ণাসমূহ
min
مِّنْ
থেকে
ʿasalin
عَسَلٍ
মধুর
muṣaffan
مُّصَفًّىۖ
পরিশোধিত পরিচ্ছন্ন
walahum
وَلَهُمْ
এবং তাদের জন্যে (রয়েছে)
fīhā
فِيهَا
তার মধ্যে
min
مِن
থেকে
kulli
كُلِّ
সব (ধরনের)
l-thamarāti
ٱلثَّمَرَٰتِ
ফলমূল
wamaghfiratun
وَمَغْفِرَةٌ
এবং ক্ষমা
min
مِّن
পক্ষ হতে
rabbihim
رَّبِّهِمْۖ
তাদের রবের
kaman
كَمَنْ
(এসবের অধিকারী কি) তার মতো
huwa
هُوَ
যে
khālidun
خَٰلِدٌ
স্থায়ী হবে
فِى
মধ্যে
l-nāri
ٱلنَّارِ
জাহান্নামের
wasuqū
وَسُقُوا۟
ও যাদেরকে পান করানো হবে
māan
مَآءً
পানি
ḥamīman
حَمِيمًا
উত্তপ্ত/ ফুটন্ত
faqaṭṭaʿa
فَقَطَّعَ
ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দেবে
amʿāahum
أَمْعَآءَهُمْ
তাদের নাড়িভুঁড়ি
মুত্তাক্বীদেরকে যে জান্নাতের ও‘য়াদা দেয়া হয়েছে তার উপমা হলঃ তাতে আছে নির্মল পানির ঝর্ণা, আর আছে দুধের নদী যার স্বাদ অপরিবর্তনীয়, আছে পানকারীদের জন্য সুস্বাদু মদের নদী আর পরিশোধিত মধুর নদী। তাদের জন্য সেখানে আছে সব রকম ফলমূল আর তাদের প্রতিপালকের নিকট হতে ক্ষমা। (এরা কি) তাদের মত যারা চিরকাল থাকবে জাহান্নামে যাদেরকে পান করতে দেয়া হবে গরম পানীয় যা তাদের নাড়িভুঁড়ি ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলবে? ([৪৭] মুহাম্মদ: ১৫)
ব্যাখ্যা
১৬

وَمِنْهُمْ مَّنْ يَّسْتَمِعُ اِلَيْكَۚ حَتّٰىٓ اِذَا خَرَجُوْا مِنْ عِنْدِكَ قَالُوْا لِلَّذِيْنَ اُوْتُوا الْعِلْمَ مَاذَا قَالَ اٰنِفًا ۗ اُولٰۤىِٕكَ الَّذِيْنَ طَبَعَ اللّٰهُ عَلٰى قُلُوْبِهِمْ وَاتَّبَعُوْٓا اَهْوَاۤءَهُمْ ١٦

wamin'hum
وَمِنْهُم
এবং তাদের মধ্যে
man
مَّن
কেউ কেউ (এমন আছে)
yastamiʿu
يَسْتَمِعُ
যে শুনে
ilayka
إِلَيْكَ
তোমার দিকে মনোযোগ দিয়ে
ḥattā
حَتَّىٰٓ
এমন কি
idhā
إِذَا
যখন
kharajū
خَرَجُوا۟
তারা বের হয়ে যায়
min
مِنْ
হতে
ʿindika
عِندِكَ
তোমার নিকট
qālū
قَالُوا۟
তারা বলে
lilladhīna
لِلَّذِينَ
যাদের (আহলে-কিতাবদেরকে)
ūtū
أُوتُوا۟
দেওয়া হয়েছে
l-ʿil'ma
ٱلْعِلْمَ
জ্ঞান
mādhā
مَاذَا
"কি
qāla
قَالَ
বলল
ānifan
ءَانِفًاۚ
এইমাত্র"
ulāika
أُو۟لَٰٓئِكَ
ঐসব লোক
alladhīna
ٱلَّذِينَ
(তারাই) যাদের
ṭabaʿa
طَبَعَ
মোহর মেরে দিয়েছেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ্‌
ʿalā
عَلَىٰ
উপর
qulūbihim
قُلُوبِهِمْ
তাদের অন্তর গুলোর
wa-ittabaʿū
وَٱتَّبَعُوٓا۟
এবং তারা অনুসরণ করে
ahwāahum
أَهْوَآءَهُمْ
তাদের খেয়াল খুশির
তাদের মধ্যে কতক লোক তোমার কথা শুনে, অতঃপর যখন তারা তোমার কাছ থেকে বেরিয়ে যায়, তখন যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে তাদেরকে বলে- এই মাত্র সে কী বলল? এদের অন্তরে আল্লাহ মোহর মেরে দিয়েছেন আর তারা নিজেদের খেয়ালখুশির অনুসরণ করে। ([৪৭] মুহাম্মদ: ১৬)
ব্যাখ্যা
১৭

وَالَّذِيْنَ اهْتَدَوْا زَادَهُمْ هُدًى وَّاٰتٰىهُمْ تَقْوٰىهُمْ ١٧

wa-alladhīna
وَٱلَّذِينَ
এবং যারা
ih'tadaw
ٱهْتَدَوْا۟
সৎপথ অবলম্বন করেছে
zādahum
زَادَهُمْ
তাদেরকে (আল্লাহ্‌) বাড়িয়ে দেন
hudan
هُدًى
সৎপথে চলার শক্তি
waātāhum
وَءَاتَىٰهُمْ
এবং তাদের দান করেন
taqwāhum
تَقْوَىٰهُمْ
তাদের তাকওয়া
যারা সঠিক পথে চলে আল্লাহ তাদের সৎপথ প্রাপ্তি বৃদ্ধি করে দেন আর তাদেরকে তাক্বওয়া দান করেন। ([৪৭] মুহাম্মদ: ১৭)
ব্যাখ্যা
১৮

فَهَلْ يَنْظُرُوْنَ اِلَّا السَّاعَةَ اَنْ تَأْتِيَهُمْ بَغْتَةً ۚ فَقَدْ جَاۤءَ اَشْرَاطُهَا ۚ فَاَنّٰى لَهُمْ اِذَا جَاۤءَتْهُمْ ذِكْرٰىهُمْ ١٨

fahal
فَهَلْ
তবে (কি)
yanẓurūna
يَنظُرُونَ
তারা অপেক্ষা করছে
illā
إِلَّا
এছাড়া
l-sāʿata
ٱلسَّاعَةَ
কিয়ামতের
an
أَن
যে
tatiyahum
تَأْتِيَهُم
তাদের কাছে আসবে
baghtatan
بَغْتَةًۖ
হঠাৎ করে
faqad
فَقَدْ
নিশ্চয়ই
jāa
جَآءَ
এসেছে
ashrāṭuhā
أَشْرَاطُهَاۚ
তার লক্ষণসমূহ
fa-annā
فَأَنَّىٰ
অতএব কেমন করে
lahum
لَهُمْ
তাদের জন্যে
idhā
إِذَا
যখন
jāathum
جَآءَتْهُمْ
তা তাদের কাছে আসবে (কিয়ামত)
dhik'rāhum
ذِكْرَىٰهُمْ
তাদের উপদেশ (গ্রহণ সম্ভব হবে?)
তারা কি শুধু এ অপেক্ষায় আছে যে, ক্বিয়ামত তাদের কাছে অকস্মাৎ এসে পড়ুক? ক্বিয়ামতের লক্ষণগুলো তো এসেই গেছে। কাজেই তা এসে পড়লে তারা উপদেশ গ্রহণ করবে কেমন করে? ([৪৭] মুহাম্মদ: ১৮)
ব্যাখ্যা
১৯

فَاعْلَمْ اَنَّهٗ لَآ اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ وَاسْتَغْفِرْ لِذَنْۢبِكَ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنٰتِۚ وَاللّٰهُ يَعْلَمُ مُتَقَلَّبَكُمْ وَمَثْوٰىكُمْ ࣖ ١٩

fa-iʿ'lam
فَٱعْلَمْ
অতএব জেনে রাখো
annahu
أَنَّهُۥ
যে
لَآ
নেই
ilāha
إِلَٰهَ
কোনো ইলাহ (যে ইবাদাত পেতে পারে)
illā
إِلَّا
ছাড়া
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ্‌
wa-is'taghfir
وَٱسْتَغْفِرْ
এবং ক্ষমা প্রার্থনা করো
lidhanbika
لِذَنۢبِكَ
তোমার পাপের জন্যে
walil'mu'minīna
وَلِلْمُؤْمِنِينَ
এবং মু'মিন পুরুষদের জন্যে
wal-mu'mināti
وَٱلْمُؤْمِنَٰتِۗ
এবং মু'মিন নারীদের জন্যে
wal-lahu
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ্‌
yaʿlamu
يَعْلَمُ
জানেন
mutaqallabakum
مُتَقَلَّبَكُمْ
তোমাদের গতিবিধি
wamathwākum
وَمَثْوَىٰكُمْ
এবং তোমাদের অবস্থান
কাজেই জেনে রেখ, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, ক্ষমা প্রার্থনা কর তোমার ভুলত্রুটির জন্য আর মু’মিন ও মু’মিনাদের জন্য, আল্লাহ তোমাদের গতিবিধি ও অবস্থান সম্পর্কে অবগত। ([৪৭] মুহাম্মদ: ১৯)
ব্যাখ্যা
২০

وَيَقُوْلُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَوْلَا نُزِّلَتْ سُوْرَةٌ ۚفَاِذَآ اُنْزِلَتْ سُوْرَةٌ مُّحْكَمَةٌ وَّذُكِرَ فِيْهَا الْقِتَالُ ۙرَاَيْتَ الَّذِيْنَ فِيْ قُلُوْبِهِمْ مَّرَضٌ يَّنْظُرُوْنَ اِلَيْكَ نَظَرَ الْمَغْشِيِّ عَلَيْهِ مِنَ الْمَوْتِۗ فَاَوْلٰى لَهُمْۚ ٢٠

wayaqūlu
وَيَقُولُ
এবং বলে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
āmanū
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছে
lawlā
لَوْلَا
"কেন না
nuzzilat
نُزِّلَتْ
নাযিল করা হয়
sūratun
سُورَةٌۖ
একটি সূরাহ (যুদ্ধাদেশ দিয়ে)"
fa-idhā
فَإِذَآ
অতঃপর যখন
unzilat
أُنزِلَتْ
নাযিল করা হলো
sūratun
سُورَةٌ
একটি সূরাহ
muḥ'kamatun
مُّحْكَمَةٌ
দ্ব্যর্থহীন
wadhukira
وَذُكِرَ
এবং উল্লেখ করা ছিল
fīhā
فِيهَا
তার মধ্যে
l-qitālu
ٱلْقِتَالُۙ
যুদ্ধের (নির্দেশ)
ra-ayta
رَأَيْتَ
তুমি দেখলে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
তাদেরকে (যাদের)
فِى
আছে
qulūbihim
قُلُوبِهِم
তাদের অন্তরসমূহে
maraḍun
مَّرَضٌ
রোগ
yanẓurūna
يَنظُرُونَ
তারা তাকাচ্ছে
ilayka
إِلَيْكَ
তোমার দিকে
naẓara
نَظَرَ
(এমন) দৃষ্টিতে
l-maghshiyi
ٱلْمَغْشِىِّ
ছেয়ে গেছে
ʿalayhi
عَلَيْهِ
যার উপর
mina
مِنَ
থেকে
l-mawti
ٱلْمَوْتِۖ
মৃত্যু
fa-awlā
فَأَوْلَىٰ
সুতরাং দুর্ভোগ
lahum
لَهُمْ
তাদের জন্যে
মু’মিনরা বলে- একটি সূরাহ নাযিল হয় না কেন? অতঃপর যখন কোন সুস্পষ্ট অর্থবোধক সূরাহ অবতীর্ণ হয় আর তাতে যুদ্ধের কথা উল্লেখ থাকে, তখন যাদের অন্তরে রোগ আছে তুমি তাদেরকে দেখবে মৃত্যুর ভয়ে জ্ঞানহারা লোকের মত তোমার দিকে তাকাচ্ছে। কাজেই ধ্বংস তাদের জন্য। ([৪৭] মুহাম্মদ: ২০)
ব্যাখ্যা