Skip to content

সূরা আল জাসিয়া - Page: 3

Al-Jathiyah

(al-Jāthiyah)

২১

اَمْ حَسِبَ الَّذِيْنَ اجْتَرَحُوا السَّيِّاٰتِ اَنْ نَّجْعَلَهُمْ كَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ سَوَاۤءً مَّحْيَاهُمْ وَمَمَاتُهُمْ ۗسَاۤءَ مَا يَحْكُمُوْنَ ࣖࣖ ٢١

am
أَمْ
কি
ḥasiba
حَسِبَ
মনে করেছে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
ij'taraḥū
ٱجْتَرَحُوا۟
লিপ্ত রয়েছে
l-sayiāti
ٱلسَّيِّـَٔاتِ
পাপকাজ
an
أَن
যে
najʿalahum
نَّجْعَلَهُمْ
তাদেরকে করব আমরা
ka-alladhīna
كَٱلَّذِينَ
(তাদের) মতো যারা
āmanū
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছে
waʿamilū
وَعَمِلُوا۟
ও কাজ করেছে
l-ṣāliḥāti
ٱلصَّٰلِحَٰتِ
সৎ
sawāan
سَوَآءً
(উভয়ে) সমান
maḥyāhum
مَّحْيَاهُمْ
তাদের জীবন
wamamātuhum
وَمَمَاتُهُمْۚ
ও তাদের মৃত্যু (এক রকম হবে)
sāa
سَآءَ
কত মন্দ
مَا
যা
yaḥkumūna
يَحْكُمُونَ
তারা মীমাংসা করে
যারা অন্যায় কাজ করে তারা কি এ কথা ভেবে নিয়েছে যে, আমি তাদেরকে আর ঈমান গ্রহণকারী সৎকর্মশীলদেরকে সমান গণ্য করব যার ফলে তাদের উভয় দলের জীবন ও মৃত্যু সমান হয়ে যাবে? কতই না মন্দ তাদের ফয়সালা! ([৪৫] আল জাসিয়া: ২১)
ব্যাখ্যা
২২

وَخَلَقَ اللّٰهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ بِالْحَقِّ وَلِتُجْزٰى كُلُّ نَفْسٍۢ بِمَا كَسَبَتْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُوْنَ ٢٢

wakhalaqa
وَخَلَقَ
এবং সৃষ্টি করেছেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
l-samāwāti
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশ
wal-arḍa
وَٱلْأَرْضَ
ও পৃথিবী
bil-ḥaqi
بِٱلْحَقِّ
যথাযথভাবে
walituj'zā
وَلِتُجْزَىٰ
এবং যেন প্রতিদান দেওয়া যায়
kullu
كُلُّ
প্রত্যেক
nafsin
نَفْسٍۭ
ব্যক্তিকে
bimā
بِمَا
ঐ বিষয়ে যা
kasabat
كَسَبَتْ
সে অর্জন করেছে
wahum
وَهُمْ
এবং তাদের (উপর)
لَا
না
yuẓ'lamūna
يُظْلَمُونَ
যুলুম করা হবে
আল্লাহ আকাশ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন এক সত্যিকার লক্ষ্যে যাতে প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার কৃতকর্ম অনুযায়ী প্রতিফল দেয়া যেতে পারে, আর তাদের প্রতি কোন যুলম করা হবে না। ([৪৫] আল জাসিয়া: ২২)
ব্যাখ্যা
২৩

اَفَرَءَيْتَ مَنِ اتَّخَذَ اِلٰهَهٗ هَوٰىهُ وَاَضَلَّهُ اللّٰهُ عَلٰى عِلْمٍ وَّخَتَمَ عَلٰى سَمْعِهٖ وَقَلْبِهٖ وَجَعَلَ عَلٰى بَصَرِهٖ غِشٰوَةًۗ فَمَنْ يَّهْدِيْهِ مِنْۢ بَعْدِ اللّٰهِ ۗ اَفَلَا تَذَكَّرُوْنَ ٢٣

afara-ayta
أَفَرَءَيْتَ
তুমি (ভেবে) দেখেছ কি
mani
مَنِ
যে
ittakhadha
ٱتَّخَذَ
বানিয়েছে
ilāhahu
إِلَٰهَهُۥ
তার ইলাহ
hawāhu
هَوَىٰهُ
নিজ প্রবৃত্তিকে
wa-aḍallahu
وَأَضَلَّهُ
এবং তাকে পথভ্রষ্ট করেছে
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
ʿalā
عَلَىٰ
ভিত্তিতে
ʿil'min
عِلْمٍ
জ্ঞানের
wakhatama
وَخَتَمَ
এবং মোহর মেরে দিয়েছেন
ʿalā
عَلَىٰ
উপর
samʿihi
سَمْعِهِۦ
তার কানের
waqalbihi
وَقَلْبِهِۦ
ও তার অন্তরের
wajaʿala
وَجَعَلَ
ও রেখে দিয়েছেন
ʿalā
عَلَىٰ
উপর
baṣarihi
بَصَرِهِۦ
তার চোখের
ghishāwatan
غِشَٰوَةً
আবরণ
faman
فَمَن
সুতরাং কে
yahdīhi
يَهْدِيهِ
তাকে সৎপথ দেখাবে
min
مِنۢ
মধ্য হতে
baʿdi
بَعْدِ
পরে
l-lahi
ٱللَّهِۚ
আল্লাহর
afalā
أَفَلَا
তবুও কি না
tadhakkarūna
تَذَكَّرُونَ
তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করবে
তুমি কি লক্ষ্য করেছ তার প্রতি যে তার খেয়াল-খুশিকে ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে? আল্লাহ জেনে শুনেই তাকে পথভ্রষ্ট করেছেন আর তার কানে ও দিলে মোহর মেরে দিয়েছেন আর তার চোখের উপর টেনে দিয়েছেন পর্দা। অতঃপর আল্লাহর পর আর কে (আছে যে) তাকে সঠিক পথ দেখাবে? এরপরও কি তোমরা শিক্ষাগ্রহণ করবে না? ([৪৫] আল জাসিয়া: ২৩)
ব্যাখ্যা
২৪

وَقَالُوْا مَا هِيَ اِلَّا حَيَاتُنَا الدُّنْيَا نَمُوْتُ وَنَحْيَا وَمَا يُهْلِكُنَآ اِلَّا الدَّهْرُۚ وَمَا لَهُمْ بِذٰلِكَ مِنْ عِلْمٍۚ اِنْ هُمْ اِلَّا يَظُنُّوْنَ ٢٤

waqālū
وَقَالُوا۟
এবং তারা বলে
مَا
"না
hiya
هِىَ
সেটা (অর্থাৎ পূনরুত্থান)
illā
إِلَّا
(যদি থাকে) তবে
ḥayātunā
حَيَاتُنَا
আমাদের এ জীবন
l-dun'yā
ٱلدُّنْيَا
দুনিয়ার
namūtu
نَمُوتُ
আমরা মরি
wanaḥyā
وَنَحْيَا
ও আমরা বাঁচি (তা সব এখানেই)
wamā
وَمَا
এবং না
yuh'likunā
يُهْلِكُنَآ
আমাদের ধ্বংস করে
illā
إِلَّا
এ ব্যতীত
l-dahru
ٱلدَّهْرُۚ
কালের (আবর্তন)"
wamā
وَمَا
এবং নেই
lahum
لَهُم
তাদের কাছে
bidhālika
بِذَٰلِكَ
এ সম্বন্ধে
min
مِنْ
কোনো
ʿil'min
عِلْمٍۖ
জ্ঞান
in
إِنْ
না
hum
هُمْ
তারা
illā
إِلَّا
এ ব্যতীত
yaẓunnūna
يَظُنُّونَ
অনুমান করে
তারা বলে- জীবন বলতে তো শুধু আমাদের এ দুনিয়ারই জীবন, আমরা মরি আর বেঁচে থাকি (এখানেই)। কালের প্রবাহ ছাড়া অন্য কিছুই আমাদেরকে ধ্বংস করে না। আসলে এ ব্যাপারে তাদের কোন জ্ঞানই নেই। তারা শুধু ধারণা করে। ([৪৫] আল জাসিয়া: ২৪)
ব্যাখ্যা
২৫

وَاِذَا تُتْلٰى عَلَيْهِمْ اٰيٰتُنَا بَيِّنٰتٍ مَّا كَانَ حُجَّتَهُمْ اِلَّآ اَنْ قَالُوا ائْتُوْا بِاٰبَاۤىِٕنَآ اِنْ كُنْتُمْ صٰدِقِيْنَ ٢٥

wa-idhā
وَإِذَا
এবং যখন
tut'lā
تُتْلَىٰ
আবৃত্তি করা হয়
ʿalayhim
عَلَيْهِمْ
তাদের কাছে
āyātunā
ءَايَٰتُنَا
আমাদের আয়াতসমূহকে
bayyinātin
بَيِّنَٰتٍ
সুস্পষ্ট
مَّا
না
kāna
كَانَ
থাকে
ḥujjatahum
حُجَّتَهُمْ
তাদের যুক্তি
illā
إِلَّآ
এ ব্যতীত
an
أَن
যে
qālū
قَالُوا۟
তারা বলে
i'tū
ٱئْتُوا۟
"তোমরা উপস্থিত হও
biābāinā
بِـَٔابَآئِنَآ
আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে নিয়ে
in
إِن
যদি
kuntum
كُنتُمْ
তোমরা হও
ṣādiqīna
صَٰدِقِينَ
সত্যবাদী"
তাদের সামনে যখন আমার সুস্পষ্ট আয়াতগুলো পাঠ করা হয়, তখন তাদের কাছে এ কথা বলা ছাড়া আর কোন যুক্তি থাকে না যে, তোমরা যদি সত্যবাদীই হয়ে থাক, তাহলে আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে হাজির কর। ([৪৫] আল জাসিয়া: ২৫)
ব্যাখ্যা
২৬

قُلِ اللّٰهُ يُحْيِيْكُمْ ثُمَّ يُمِيْتُكُمْ ثُمَّ يَجْمَعُكُمْ اِلٰى يَوْمِ الْقِيٰمَةِ لَارَيْبَ فِيْهِ وَلٰكِنَّ اَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُوْنَ ࣖ ٢٦

quli
قُلِ
বলো
l-lahu
ٱللَّهُ
"আল্লাহই
yuḥ'yīkum
يُحْيِيكُمْ
তোমাদেরকে জীবন দেন
thumma
ثُمَّ
এরপর
yumītukum
يُمِيتُكُمْ
তোমাদেরকে মৃত্যু দেন
thumma
ثُمَّ
এরপর
yajmaʿukum
يَجْمَعُكُمْ
তোমাদেরকে একত্র করবেন
ilā
إِلَىٰ
দিকে
yawmi
يَوْمِ
দিনের
l-qiyāmati
ٱلْقِيَٰمَةِ
কিয়ামতের
لَا
নেই
rayba
رَيْبَ
কোন সন্দেহ
fīhi
فِيهِ
তার মধ্যে"
walākinna
وَلَٰكِنَّ
কিন্তু
akthara
أَكْثَرَ
অধিকাংশ
l-nāsi
ٱلنَّاسِ
মানুষই
لَا
না
yaʿlamūna
يَعْلَمُونَ
তারা জানে
বল- আল্লাহই তোমাদেরকে জীবন দান করেন অতঃপর তোমাদের মৃত্যু ঘটান। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে ক্বিয়ামতের দিন একত্রিত করবেন যাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না। ([৪৫] আল জাসিয়া: ২৬)
ব্যাখ্যা
২৭

وَلِلّٰهِ مُلْكُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِۗ وَيَوْمَ تَقُوْمُ السَّاعَةُ يَوْمَىِٕذٍ يَّخْسَرُ الْمُبْطِلُوْنَ ٢٧

walillahi
وَلِلَّهِ
এবং আল্লাহরই জন্য
mul'ku
مُلْكُ
সার্বভৌমত্ব
l-samāwāti
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশের
wal-arḍi
وَٱلْأَرْضِۚ
ও পৃথিবীর
wayawma
وَيَوْمَ
এবং যেদিন
taqūmu
تَقُومُ
সংঘটিত হবে
l-sāʿatu
ٱلسَّاعَةُ
কিয়ামত
yawma-idhin
يَوْمَئِذٍ
সেদিন
yakhsaru
يَخْسَرُ
ক্ষতিগ্রস্ত হবে
l-mub'ṭilūna
ٱلْمُبْطِلُونَ
মিথ্যাশ্রয়ীরা
আকাশ ও যমীনের রাজত্ব আল্লাহরই, যে দিন ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন মিথ্যার অনুসারীরা ধ্বংস হয়ে যাবে। ([৪৫] আল জাসিয়া: ২৭)
ব্যাখ্যা
২৮

وَتَرٰى كُلَّ اُمَّةٍ جَاثِيَةً ۗ كُلُّ اُمَّةٍ تُدْعٰٓى اِلٰى كِتٰبِهَاۗ اَلْيَوْمَ تُجْزَوْنَ مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ ٢٨

watarā
وَتَرَىٰ
এবং তুমি দেখবে
kulla
كُلَّ
প্রত্যেক
ummatin
أُمَّةٍ
দলকে
jāthiyatan
جَاثِيَةًۚ
নতজানু অবস্থায়
kullu
كُلُّ
প্রত্যেক
ummatin
أُمَّةٍ
দলকে
tud'ʿā
تُدْعَىٰٓ
ডাকা হবে
ilā
إِلَىٰ
প্রতি
kitābihā
كِتَٰبِهَا
তার আমলনামার
l-yawma
ٱلْيَوْمَ
"(বলা হবে) আজ
tuj'zawna
تُجْزَوْنَ
তোমাদের প্রতিফল দেওয়া হবে
مَا
যা
kuntum
كُنتُمْ
তোমরা
taʿmalūna
تَعْمَلُونَ
কাজ করছিলে
আর প্রত্যেক সম্প্রদায়কে দেখবে নতজানু হয়ে আছে। প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তার ‘আমালনামার পানে আহবান করা হবে। (আর বলা হবে) তোমরা যা করতে আজ তার প্রতিফল দেয়া হবে। ([৪৫] আল জাসিয়া: ২৮)
ব্যাখ্যা
২৯

هٰذَا كِتٰبُنَا يَنْطِقُ عَلَيْكُمْ بِالْحَقِّ ۗاِنَّا كُنَّا نَسْتَنْسِخُ مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ ٢٩

hādhā
هَٰذَا
এই
kitābunā
كِتَٰبُنَا
আমাদের (তৈরী করা) আমলনামা
yanṭiqu
يَنطِقُ
কথা বলছে
ʿalaykum
عَلَيْكُم
তোমাদের বিরুদ্ধে
bil-ḥaqi
بِٱلْحَقِّۚ
যথাযথভাবে
innā
إِنَّا
আমরা নিশ্চয়ই
kunnā
كُنَّا
আমরা ছিলাম
nastansikhu
نَسْتَنسِخُ
আমরা সংরক্ষণ করি
مَا
যা কিছু
kuntum
كُنتُمْ
তোমরা ছিলে
taʿmalūna
تَعْمَلُونَ
তোমরা কাজ করতে"
আমার এ কিতাব তোমাদের ব্যাপারে সত্য কথাই বলবে, তোমরা যা করতে আমি তাই-ই লিখে রাখতাম। ([৪৫] আল জাসিয়া: ২৯)
ব্যাখ্যা
৩০

فَاَمَّا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ فَيُدْخِلُهُمْ رَبُّهُمْ فِيْ رَحْمَتِهٖۗ ذٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْمُبِيْنُ ٣٠

fa-ammā
فَأَمَّا
আর
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
āmanū
ءَامَنُوا۟
ঈমান আনবে
waʿamilū
وَعَمِلُوا۟
ও কাজ করবে
l-ṣāliḥāti
ٱلصَّٰلِحَٰتِ
নেকীর
fayud'khiluhum
فَيُدْخِلُهُمْ
তখন তাদের প্রবেশ করাবেন
rabbuhum
رَبُّهُمْ
তাদের রব
فِى
মধ্যে
raḥmatihi
رَحْمَتِهِۦۚ
তাঁর রহমতের
dhālika
ذَٰلِكَ
এটাাই
huwa
هُوَ
সেই
l-fawzu
ٱلْفَوْزُ
সাফল্য
l-mubīnu
ٱلْمُبِينُ
সুস্পষ্ট
যারা ঈমান আনে আর সৎকর্ম করে তাদের প্রতিপালক তাদেরকে তাঁর রহমাতের মধ্যে দাখিল করবেন। ওটাই সুস্পষ্ট সাফল্য। ([৪৫] আল জাসিয়া: ৩০)
ব্যাখ্যা