Skip to content

সূরা আল জাসিয়া - Page: 2

Al-Jathiyah

(al-Jāthiyah)

১১

هٰذَا هُدًىۚ وَالَّذِيْنَ كَفَرُوْا بِاٰيٰتِ رَبِّهِمْ لَهُمْ عَذَابٌ مِّنْ رِّجْزٍ اَلِيْمٌ ࣖ ١١

hādhā
هَٰذَا
এই (কুরআন)
hudan
هُدًىۖ
সৎপথের দিশারি
wa-alladhīna
وَٱلَّذِينَ
এবং যারা
kafarū
كَفَرُوا۟
অস্বীকার করেছে
biāyāti
بِـَٔايَٰتِ
নিদর্শনাবলীকে
rabbihim
رَبِّهِمْ
তাদের রবের
lahum
لَهُمْ
তাদের জন্যে রয়েছে
ʿadhābun
عَذَابٌ
শাস্তি
min
مِّن
থেকে
rij'zin
رِّجْزٍ
(বড় কঠিন) শাস্তি
alīmun
أَلِيمٌ
যন্ত্রণাদায়ক
এ (কুরআন) সঠিক পথের দিশারী। যারা তাদের পালনকর্তার নিদর্শনগুলোকে প্রত্যাখ্যান করে, তাদের জন্য আছে কঠোর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। ([৪৫] আল জাসিয়া: ১১)
ব্যাখ্যা
১২

۞ اَللّٰهُ الَّذِيْ سَخَّرَ لَكُمُ الْبَحْرَ لِتَجْرِيَ الْفُلْكُ فِيْهِ بِاَمْرِهٖ وَلِتَبْتَغُوْا مِنْ فَضْلِهٖ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُوْنَۚ ١٢

al-lahu
ٱللَّهُ
(তিনিই) আল্লাহ
alladhī
ٱلَّذِى
যিনি
sakhara
سَخَّرَ
অধীন করে দিয়েছেন
lakumu
لَكُمُ
তোমাদের জন্যে
l-baḥra
ٱلْبَحْرَ
সমুদ্রকে
litajriya
لِتَجْرِىَ
যেন চলাচল করতে থাকে
l-ful'ku
ٱلْفُلْكُ
নৌযানসমূহ
fīhi
فِيهِ
তার মধ্যে
bi-amrihi
بِأَمْرِهِۦ
তাঁর নির্দেশের মাধ্যমে
walitabtaghū
وَلِتَبْتَغُوا۟
এবং যেন তোমরা সন্ধান করতে পার
min
مِن
হতে
faḍlihi
فَضْلِهِۦ
তাঁর অনুগ্রহ
walaʿallakum
وَلَعَلَّكُمْ
এবং যাতে তোমরা
tashkurūna
تَشْكُرُونَ
কৃতজ্ঞ হও
আল্লাহ- যিনি সমুদ্রকে তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন যাতে তাঁর হুকুমে তোমাদের নৌযানসমূহ তাতে চলাচল করতে পারে, আর যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ তালাশ কর এবং তোমরা (তাঁর) শোকর আদায় কর। ([৪৫] আল জাসিয়া: ১২)
ব্যাখ্যা
১৩

وَسَخَّرَ لَكُمْ مَّا فِى السَّمٰوٰتِ وَمَا فِى الْاَرْضِ جَمِيْعًا مِّنْهُ ۗاِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيٰتٍ لِّقَوْمٍ يَّتَفَكَّرُوْنَ ١٣

wasakhara
وَسَخَّرَ
এবং অধীন করে দিয়েছেন
lakum
لَكُم
তোমাদের জন্যে
مَّا
যা কিছু
فِى
মধ্যে আছে
l-samāwāti
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশের
wamā
وَمَا
ও যা কিছু
فِى
মধ্যে আছে
l-arḍi
ٱلْأَرْضِ
পৃথিবীর
jamīʿan
جَمِيعًا
সবকিছুকেই
min'hu
مِّنْهُۚ
তাঁর নিকট হতে
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
فِى
মধ্যে রয়েছে
dhālika
ذَٰلِكَ
এর
laāyātin
لَءَايَٰتٍ
অবশ্যই নিদর্শনাবলী
liqawmin
لِّقَوْمٍ
লোকদের জন্যে (যারা)
yatafakkarūna
يَتَفَكَّرُونَ
চিন্তাভাবনা করে
আর তিনি তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত রেখেছেন যা আছে আকাশে আর যা আছে যমীনে সেগুলোর সব কিছুকে। এতে চিন্তাশীল মানুষদের জন্য অবশ্যই অনেক নিদর্শন আছে। ([৪৫] আল জাসিয়া: ১৩)
ব্যাখ্যা
১৪

قُلْ لِّلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا يَغْفِرُوْا لِلَّذِيْنَ لَا يَرْجُوْنَ اَيَّامَ اللّٰهِ لِيَجْزِيَ قَوْمًا ۢبِمَا كَانُوْا يَكْسِبُوْنَ ١٤

qul
قُل
(হে নাবী) বলো
lilladhīna
لِّلَّذِينَ
(তাদের)-কে যারা
āmanū
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছে
yaghfirū
يَغْفِرُوا۟
তারা যেন ক্ষমা করে
lilladhīna
لِلَّذِينَ
(তাদের)-কে যারা
لَا
না
yarjūna
يَرْجُونَ
প্রত্যাশা করে
ayyāma
أَيَّامَ
(খারাপ) দিনগুলোর
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
liyajziya
لِيَجْزِىَ
যেন প্রতিদান দেন তিনি
qawman
قَوْمًۢا
লোকদেরকে
bimā
بِمَا
এ বিষয়ে যা
kānū
كَانُوا۟
তারা
yaksibūna
يَكْسِبُونَ
অর্জন করছিল
মু’মিনদেরকে বল ঐ লোকদেরকে ক্ষমা করতে যারা আল্লাহর ‘আযাবের দিন আসার ব্যাপারে কোন আশংকাবোধ করে না। কেননা আল্লাহই (ভাল বা মন্দ) প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তাদের কৃতকর্ম অনুসারে প্রতিফল দিবেন। ([৪৫] আল জাসিয়া: ১৪)
ব্যাখ্যা
১৫

مَنْ عَمِلَ صَالِحًا فَلِنَفْسِهٖۚ وَمَنْ اَسَاۤءَ فَعَلَيْهَا ۖ ثُمَّ اِلٰى رَبِّكُمْ تُرْجَعُوْنَ ١٥

man
مَنْ
যে
ʿamila
عَمِلَ
কাজ করবে
ṣāliḥan
صَٰلِحًا
সৎ
falinafsihi
فَلِنَفْسِهِۦۖ
তা তার নিজের জন্যে
waman
وَمَنْ
এবং যে
asāa
أَسَآءَ
মন্দ করবে
faʿalayhā
فَعَلَيْهَاۖ
তা তার উপর পড়বে
thumma
ثُمَّ
এরপর
ilā
إِلَىٰ
দিকে
rabbikum
رَبِّكُمْ
তোমার রবের
tur'jaʿūna
تُرْجَعُونَ
তোমাদেরকে ফিরিয়ে আনা হবে
যে লোক ভাল কাজ করবে, সে তার নিজের কল্যাণেই তা করবে আর যে মন্দ কাজ করবে তার কুফল সে-ই ভোগ করবে। অতঃপর তোমাদেরকে তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ফিরিয়ে নেয়া হবে। ([৪৫] আল জাসিয়া: ১৫)
ব্যাখ্যা
১৬

وَلَقَدْ اٰتَيْنَا بَنِيْٓ اِسْرَاۤءِيْلَ الْكِتٰبَ وَالْحُكْمَ وَالنُّبُوَّةَ وَرَزَقْنٰهُمْ مِّنَ الطَّيِّبٰتِ وَفَضَّلْنٰهُمْ عَلَى الْعٰلَمِيْنَ ۚ ١٦

walaqad
وَلَقَدْ
এবং নিশ্চয়ই
ātaynā
ءَاتَيْنَا
আমরা দিয়েছিলাম
banī
بَنِىٓ
বনী
is'rāīla
إِسْرَٰٓءِيلَ
ইসরাইলকে
l-kitāba
ٱلْكِتَٰبَ
কিতাব
wal-ḥuk'ma
وَٱلْحُكْمَ
ও কর্তৃত্ব
wal-nubuwata
وَٱلنُّبُوَّةَ
ও নবুয়ত
warazaqnāhum
وَرَزَقْنَٰهُم
এবং তাদের আমরা জীবিকা দিয়েছিলাম
mina
مِّنَ
হতে
l-ṭayibāti
ٱلطَّيِّبَٰتِ
উত্তম বস্তু
wafaḍḍalnāhum
وَفَضَّلْنَٰهُمْ
এবং আমরা তাদেরকে মর্যাদা দিয়েছিলাম
ʿalā
عَلَى
উপর
l-ʿālamīna
ٱلْعَٰلَمِينَ
সারা দুনিয়ার (মানুষের)
আমি বানী ইসরাঈলকে কিতাব, রাজত্ব ও নুবুওয়াত দিয়েছিলাম আর তাদেরকে দিয়েছিলাম উত্তম রিযক, আর তাদেরকে বিশ্ববাসীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলাম। ([৪৫] আল জাসিয়া: ১৬)
ব্যাখ্যা
১৭

وَاٰتَيْنٰهُمْ بَيِّنٰتٍ مِّنَ الْاَمْرِۚ فَمَا اخْتَلَفُوْٓا اِلَّا مِنْۢ بَعْدِ مَا جَاۤءَهُمُ الْعِلْمُ بَغْيًاۢ بَيْنَهُمْ ۗاِنَّ رَبَّكَ يَقْضِيْ بَيْنَهُمْ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ فِيْمَا كَانُوْا فِيْهِ يَخْتَلِفُوْنَ ١٧

waātaynāhum
وَءَاتَيْنَٰهُم
এবং তাদেরকে আমরা দিয়েছি
bayyinātin
بَيِّنَٰتٍ
সুস্পষ্ট প্রমাণ
mina
مِّنَ
সম্পর্কে
l-amri
ٱلْأَمْرِۖ
(দ্বীনের) নির্দেশ
famā
فَمَا
অতঃপর নি
ikh'talafū
ٱخْتَلَفُوٓا۟
(মতবিরোধ করেছিল) বাড়াবাড়ি করে
illā
إِلَّا
কিন্তু
min
مِنۢ
মধ্য হতে
baʿdi
بَعْدِ
এরপরে
مَا
যা
jāahumu
جَآءَهُمُ
তাদের কাছে এসেছিল
l-ʿil'mu
ٱلْعِلْمُ
(নির্ভুল) জ্ঞান
baghyan
بَغْيًۢا
বাড়াবাড়ি করে
baynahum
بَيْنَهُمْۚ
তাদের মাঝে
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
rabbaka
رَبَّكَ
তোমার রব
yaqḍī
يَقْضِى
মীমাংসা করে দিবেন
baynahum
بَيْنَهُمْ
তাদের মাঝে
yawma
يَوْمَ
দিনে
l-qiyāmati
ٱلْقِيَٰمَةِ
কিয়ামতের
fīmā
فِيمَا
সে বিষয়ে
kānū
كَانُوا۟
তারা ছিল
fīhi
فِيهِ
যার মধ্যে
yakhtalifūna
يَخْتَلِفُونَ
মতবিরোধ করত
আর দ্বীনের ব্যাপারে তাদেরকে দিয়েছিলাম সুস্পষ্ট নিদর্শন। কিন্তু তাদের কাছে (সত্য মিথ্যা সম্পর্কিত নির্ভুল) জ্ঞান আসার পরও শুধু নিজেদের মধ্যে বাড়াবাড়ির কারণে তারা মতভেদ করেছিল। তারা যে বিষয়ে মতভেদ করত, তোমার প্রতিপালক কিয়ামাতের দিন সে বিষয়ে তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন। ([৪৫] আল জাসিয়া: ১৭)
ব্যাখ্যা
১৮

ثُمَّ جَعَلْنٰكَ عَلٰى شَرِيْعَةٍ مِّنَ الْاَمْرِ فَاتَّبِعْهَا وَلَا تَتَّبِعْ اَهْوَاۤءَ الَّذِيْنَ لَا يَعْلَمُوْنَ ١٨

thumma
ثُمَّ
এরপর
jaʿalnāka
جَعَلْنَٰكَ
তোমাকে আমরা প্রতিষ্ঠিত করেছি
ʿalā
عَلَىٰ
উপর
sharīʿatin
شَرِيعَةٍ
শরীয়তের
mina
مِّنَ
সম্পর্কিত
l-amri
ٱلْأَمْرِ
(দ্বীনের) নির্দেশ
fa-ittabiʿ'hā
فَٱتَّبِعْهَا
তাই তার অনুসরণ করো
walā
وَلَا
এবং না
tattabiʿ
تَتَّبِعْ
অনুসরণ করো
ahwāa
أَهْوَآءَ
খেয়াল খুশির
alladhīna
ٱلَّذِينَ
(তাদের) যারা
لَا
না
yaʿlamūna
يَعْلَمُونَ
জানে
অতঃপর (হে নবী সা.!) আমি তোমাকে দ্বীনের (সঠিক) পথের উপর প্রতিষ্ঠিত করেছি, কাজেই তুমি তারই অনুসরণ কর, আর যারা (দ্বীনের বিধি-বিধান) জানেনা তাদের খেয়ালখুশির অনুসরণ করো না। ([৪৫] আল জাসিয়া: ১৮)
ব্যাখ্যা
১৯

اِنَّهُمْ لَنْ يُّغْنُوْا عَنْكَ مِنَ اللّٰهِ شَيْـًٔا ۗوَاِنَّ الظّٰلِمِيْنَ بَعْضُهُمْ اَوْلِيَاۤءُ بَعْضٍۚ وَاللّٰهُ وَلِيُّ الْمُتَّقِيْنَ ١٩

innahum
إِنَّهُمْ
তারা নিশ্চয়ই
lan
لَن
কখনও না
yugh'nū
يُغْنُوا۟
তারা কাজে আসবে
ʿanka
عَنكَ
তোমার জন্যে
mina
مِنَ
(পাকড়াও) হতে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
shayan
شَيْـًٔاۚ
কিছুমাত্র
wa-inna
وَإِنَّ
এবং নিশ্চয়ই
l-ẓālimīna
ٱلظَّٰلِمِينَ
সীমালঙ্ঘনকারীরা
baʿḍuhum
بَعْضُهُمْ
তাদের একে
awliyāu
أَوْلِيَآءُ
বন্ধু
baʿḍin
بَعْضٍۖ
অপরের
wal-lahu
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
waliyyu
وَلِىُّ
বন্ধু
l-mutaqīna
ٱلْمُتَّقِينَ
মুত্তাকীদের
আল্লাহ হতে তারা তোমার কোনই উপকার করতে পারবে না। যালিমরা একে অপরের বন্ধু, আর আল্লাহ মুত্তাকীদের বন্ধু। ([৪৫] আল জাসিয়া: ১৯)
ব্যাখ্যা
২০

هٰذَا بَصَاۤىِٕرُ لِلنَّاسِ وَهُدًى وَّرَحْمَةٌ لِّقَوْمٍ يُّوْقِنُوْنَ ٢٠

hādhā
هَٰذَا
এটা
baṣāiru
بَصَٰٓئِرُ
(সঠিক পথের) আলো
lilnnāsi
لِلنَّاسِ
সব লোকের জন্যে
wahudan
وَهُدًى
এবং পথনির্দেশ
waraḥmatun
وَرَحْمَةٌ
ও অনুগ্রহ
liqawmin
لِّقَوْمٍ
(এমন) লোকদের জন্যে
yūqinūna
يُوقِنُونَ
(যারা) দৃঢ় বিশ্বাস করে
এ (কুরআন) মানুষের জন্য জ্ঞানের আলো, আর নিশ্চিত বিশ্বাসীদের জন্য পথের দিশারী এবং রহমত স্বরূপ। ([৪৫] আল জাসিয়া: ২০)
ব্যাখ্যা