কুরআন মজীদ সূরা যুখরুফ আয়াত ৮১
Qur'an Surah Az-Zukhruf Verse 81
যুখরুফ [৪৩]: ৮১ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ
قُلْ اِنْ كَانَ لِلرَّحْمٰنِ وَلَدٌ ۖفَاَنَا۠ اَوَّلُ الْعٰبِدِيْنَ (الزخرف : ٤٣)
- qul
- قُلْ
- Say
- বলো
- in
- إِن
- "If
- "যদি
- kāna
- كَانَ
- had
- থাকতো
- lilrraḥmāni
- لِلرَّحْمَٰنِ
- the Most Gracious
- দয়াময়ের জন্যে
- waladun
- وَلَدٌ
- a son
- কোনো ছেলে
- fa-anā
- فَأَنَا۠
- Then I
- তবে আমি
- awwalu
- أَوَّلُ
- (would be the) first
- প্রথম (হতাম)
- l-ʿābidīna
- ٱلْعَٰبِدِينَ
- (of) the worshippers"
- উপাসকদের মধ্যে"
Transliteration:
Qul in kaana lir Rahmaani walad; fa-ana awwalul 'aabideen(QS. az-Zukhruf:81)
English Sahih International:
Say, [O Muhammad], "If the Most Merciful had a son, then I would be the first of [his] worshippers." (QS. Az-Zukhruf, Ayah ৮১)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
বল- দয়াময়ের কোন সন্তান থাকলে আমিই তার সর্বপ্রথম ‘ইবাদাতকারী হতাম। (যুখরুফ, আয়াত ৮১)
Tafsir Ahsanul Bayaan
বল, ‘পরম দয়াময় আল্লাহর কোন সন্তান থাকলে আমিই হতাম তার উপাসকগণের অগ্রণী।’[১]
[১] কেননা, আমি আল্লাহর বাধ্য ও তাঁর অনুগত বান্দা। যদি সত্যিকারই তাঁর সন্তান-সন্ততি হত, তবে সর্বপ্রথম আমিই তাদের ইবাদত ও উপাসনা করতাম। আসলে মুশরিকদের বিশ্বাসকে বাতিল ও খন্ডন করা হয়েছে; যারা আল্লাহর সন্তান-সন্ততি সাব্যস্ত করে।
Tafsir Abu Bakr Zakaria
বলুন, ‘দয়াময় আল্লাহর কোন সন্তান থাকলে আমি হতাম তাঁর ইবাদতে ঘৃণাকারীদের অগ্রণী [১] ;
[১] ওপরে عَابِدِيْنَ এর অর্থ করা হয়েছে, ঘৃণাকারী। এটা আরবী বিভিন্ন বাকরীতিতে ব্যবহৃত আছে। অন্য অনুবাদ হচ্ছে, বলুন হে মুহাম্মাদ! যদি রহমানের কোন সন্তান থাকে যেটা তোমরা তোমাদের কথায় দাবী করছ, তবে তোমাদেরকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করণে ও তোমাদের দাবী অস্বীকারকরণে আমি প্রথম আল্লাহর উপর মুমিন। কারণ, তাঁর কোন সন্তান থাকতে পারে না। [তাবারী]
তখন عَابِدِيْنَ শব্দের অর্থ হবে, مُؤْمِنِيْنَ আর কথার বাকী অংশ উহ্য থাকবে। তাছাড়া আরেক অনুবাদ হচ্ছে, ইবাদতকারী। অর্থাৎ যদি ধরে নেয়া হয়, তাঁর সন্তান আছে তারপরও আমি আল্লাহরই ইবাদাত করব। কারণ, আমি তাঁর বান্দা। আর বান্দা স্রষ্টার নির্দেশের বাইরে যেতে পারে না। [ইবন কাসীর] কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, আল্লাহর সন্তান হওয়া কোন পর্যায়ে সম্ভব। বরং উদ্দেশ্য একথা ব্যক্ত করা যে, আমি কোন শক্রতা ও হঠকারিতাবশতঃ তোমাদের বিশ্বাস অস্বীকার করছি না; বরং প্রমাণাদির আলোকেই করছি। বিশুদ্ধ প্রমাণাদি দ্বারা আল্লাহর সন্তান থাকা প্রমাণিত হলে আমি অবশ্যই তা মেনে নিতাম। কিন্তু সর্বপ্রকার দলীল এর বিপক্ষে। কাজেই মেনে নেয়ার প্রশ্নই উঠে না। এ থেকে জানা গেল যে, মিথ্যাপন্থীদের সাথে বিতর্কের সময় নিজের সত্যপ্রিয়তা ফুটানোর উদ্দেশ্যে একথা বলা জায়েয ও সমীচীন যে, তোমার দাবী সত্য প্রমাণিত হলে আমি মেনে নিতাম। কেননা, মাঝে মাঝে এধরনের কথায় প্রতিপক্ষের মনে নম্রতা সৃষ্টি হয়, যা তাকে সত্য গ্রহণে উৎসাহিত করে। [দেখুন, তাবারী; কুরতুবী; ইবন কাসীরা আদওয়াউল বায়ান]
Tafsir Bayaan Foundation
বল, ‘রহমানের যদি সন্তান থাকত তবে আমি প্রথম তাঁর ইবাদাতকারী হতাম।
Muhiuddin Khan
বলুন, দয়াময় আল্লাহর কোন সন্তান থাকলে আমি সর্ব প্রথম তার এবাদত করব।
Zohurul Hoque
তুমি বলো -- ''যদি পরম করুণাময়ের কোনো সন্তান থাকত তবে আমিই হচ্ছি উপাসনাকারীদের মধ্যে অগ্রণী।’’