Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা যুখরুফ আয়াত ২০

Qur'an Surah Az-Zukhruf Verse 20

যুখরুফ [৪৩]: ২০ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

وَقَالُوْا لَوْ شَاۤءَ الرَّحْمٰنُ مَا عَبَدْنٰهُمْ ۗمَا لَهُمْ بِذٰلِكَ مِنْ عِلْمٍ اِنْ هُمْ اِلَّا يَخْرُصُوْنَۗ (الزخرف : ٤٣)

waqālū
وَقَالُوا۟
And they say
এবং তারা বলে
law
لَوْ
"If
"যদি
shāa
شَآءَ
had willed
ইচ্ছে করতেন
l-raḥmānu
ٱلرَّحْمَٰنُ
the Most Gracious
দয়াময়
مَا
we would not have worshipped them"
না"
ʿabadnāhum
عَبَدْنَٰهُمۗ
we would not have worshipped them"
তাদের আমরা পূজা করতাম"
مَّا
Not
নেই
lahum
لَهُم
they have
তাদের জন্যে
bidhālika
بِذَٰلِكَ
about that
এই সম্পর্কে
min
مِنْ
any
কোনো
ʿil'min
عِلْمٍۖ
knowledge
জ্ঞান
in
إِنْ
Nothing
না
hum
هُمْ
they (do)
তারা
illā
إِلَّا
but
এ ব্যতীত
yakhruṣūna
يَخْرُصُونَ
lie
আন্দাজ অনুমান করে

Transliteration:

Wa qaaloo law shaaa'ar Rahmaanu maa 'abadnaahum; maa lahum bizaalika min 'ilmin in hum illaa yakhrusoon (QS. az-Zukhruf:20)

English Sahih International:

And they said, "If the Most Merciful had willed, we would not have worshipped them." They have of that no knowledge. They are not but misjudging. (QS. Az-Zukhruf, Ayah ২০)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তারা আরো বলে- দয়াময় আল্লাহ ইচ্ছে করলে আমরা ওদের পূঁজা করতাম না। এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞানই নেই। তারা শুধু আন্দাজ অনুমানে কথা বলে। (যুখরুফ, আয়াত ২০)

Tafsir Ahsanul Bayaan

ওরা বলে, ‘পরম দয়াময় ইচ্ছা না করলে আমরা এদের পূজা করতাম না।’ এ বিষয়ে ওদের কোন জ্ঞান নেই;[১] ওরা তো কেবল অনুমান-ভিত্তিক কথাই বলে।

[১] অর্থাৎ, নিজেদের কার্যকলাপের উপর আল্লাহর ইচ্ছার দোহাই দেয়। এটাই তাদের সব থেকে বড় দলীল। কেননা, বাহ্যিকভাবে এ কথা ঠিক যে, আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত কোন কাজ না হয়, আর না হতে পারে। কিন্তু তারা এ ব্যাপারে অজ্ঞ যে, তাঁর ইচ্ছা তাঁর সন্তুষ্টি থেকে পৃথক জিনিস। অবশ্যই প্রতিটি কাজ তাঁর ইচ্ছায় হয়, কিন্তু তিনি সন্তুষ্ট সেই কাজগুলোতেই হন, যার তিনি নির্দেশ দিয়েছেন; প্রত্যেক সেই কাজেই তিনি সন্তুষ্ট নন, যা মানুষ তাঁর (আল্লাহর) ইচ্ছার আওতায় করে থাকে। মানুষ চুরি, ব্যভিচার এবং অত্যাচার ও বড় বড় পাপ করে। আল্লাহ তাআলা ইচ্ছা করলে কাউকেই এ সব করার সামর্থ্য দেবেন না। সত্বর তার হাত ধরে নিবেন, পায়ের চলা বন্ধ করে দিবেন এবং চোখের দৃষ্টি কেড়ে নিবেন। কিন্তু এটা হবে বাধ্য করার ব্যাপার। অথচ তিনি মানুষকে ইচ্ছা ও এখতিয়ারের স্বাধীনতা দিয়ে রেখেছেন। যাতে তাকে পরীক্ষা করা যায়। আর এরই কারণে তিনি দুই প্রকারের কাজগুলোকে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিয়েছেন; যেগুলোতে তিনি সন্তুষ্ট হন, সেগুলোও এবং যেগুলোতে তিনি সন্তুষ্ট নন, সেগুলোও। এই উভয় প্রকার কাজগুলোর মধ্য থেকে মানুষ যে কাজই করবে, আল্লাহ তার হাত ধরবেন না। হ্যাঁ, সে কাজ যদি অন্যায় ও পাপাচার হয়, তবে তিনি অবশ্যই অসন্তুষ্ট হবেন। কেননা, সে আল্লাহ প্রদত্ত স্বাধীনতার অপব্যবহার করেছে। আর দুনিয়াতে এই এখতিয়ার তার কাছ থেকে ছিনিয়েও নেবেন না। তবে কিয়ামতে এর শাস্তি অবশ্যই দেবেন।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

তারা আরও বলে, ‘রহমান ইচ্ছে করলে আমরা এদের ইবাদাত করতাম না।’ এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান নেই ; তারা তো শুধু মনগড়া কথা বলছে।

Tafsir Bayaan Foundation

তারা আর বলে, ‘পরম করুণাময় আল্লাহ ইচ্ছা করলে আমরা এদের ইবাদাত করতাম না’, এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান নেই। তারা শুধু মনগড়া কথা বলছে।

Muhiuddin Khan

তারা বলে, রহমান আল্লাহ ইচছা না করলে আমরা ওদের পূজা করতাম না। এ বিষয়ে তারা কিছুই জানে না। তারা কেবল অনুমানে কথা বলে।

Zohurul Hoque

আর তারা বলে -- ''পরম করুণাময় যদি চাইতেন তবে আমরা এ-সবের উপাসনা করতাম না।’’ তাদের এ ব্যাপারে কোনো জ্ঞান নেই, তারা তো শুধু ঝুটা আন্দাজই করছে।