فَاطِرُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِۗ جَعَلَ لَكُمْ مِّنْ اَنْفُسِكُمْ اَزْوَاجًا وَّمِنَ الْاَنْعَامِ اَزْوَاجًاۚ يَذْرَؤُكُمْ فِيْهِۗ لَيْسَ كَمِثْلِهٖ شَيْءٌ ۚوَهُوَ السَّمِيْعُ الْبَصِيْرُ ١١
- fāṭiru
- فَاطِرُ
- (আল্লাহ-ই) সৃষ্টিকর্তা
- l-samāwāti
- ٱلسَّمَٰوَٰتِ
- আকাশের
- wal-arḍi
- وَٱلْأَرْضِۚ
- এবং পৃথিবীর
- jaʿala
- جَعَلَ
- তিনি সৃষ্টি করেছেন
- lakum
- لَكُم
- তোমাদের জন্যে
- min
- مِّنْ
- মধ্য হ'তে
- anfusikum
- أَنفُسِكُمْ
- তোমাদের নিজেদের
- azwājan
- أَزْوَٰجًا
- জোড়া জোড়া
- wamina
- وَمِنَ
- এবং মধ্য হতে
- l-anʿāmi
- ٱلْأَنْعَٰمِ
- গবাদি পশুর
- azwājan
- أَزْوَٰجًاۖ
- জোড়া জোড়া
- yadhra-ukum
- يَذْرَؤُكُمْ
- তোমাদের বিস্তার করেন (বংশ)
- fīhi
- فِيهِۚ
- তার মধ্যে
- laysa
- لَيْسَ
- নেই
- kamith'lihi
- كَمِثْلِهِۦ
- তাঁর মতো
- shayon
- شَىْءٌۖ
- কোনো কিছুই
- wahuwa
- وَهُوَ
- এবং তিনি
- l-samīʿu
- ٱلسَّمِيعُ
- সবকিছু শুনেন
- l-baṣīru
- ٱلْبَصِيرُ
- সবকিছুই দেখেন
আকাশসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা। তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতে যুগল সৃষ্টি করেছেন, চতুস্পদ জন্তুদের মধ্যেও সৃষ্টি করেছেন জোড়া, এভাবেই তিনি তোমাদের বংশধারা বিস্তৃত করেন, কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয়, তিনি সব শোনেন, সব দেখেন। ([৪২] আশ-শুরা: ১১)ব্যাখ্যা
لَهٗ مَقَالِيْدُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِۚ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَّشَاۤءُ وَيَقْدِرُ ۚاِنَّهٗ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْمٌ ١٢
- lahu
- لَهُۥ
- তাঁরই (নিয়ন্ত্রণে)
- maqālīdu
- مَقَالِيدُ
- চাবিসমূহ
- l-samāwāti
- ٱلسَّمَٰوَٰتِ
- আকাশের
- wal-arḍi
- وَٱلْأَرْضِۖ
- ও পৃথিবীর
- yabsuṭu
- يَبْسُطُ
- প্রশস্ত করে দেন
- l-riz'qa
- ٱلرِّزْقَ
- জীবনের উপকরণ
- liman
- لِمَن
- (তার) জন্যে যাকে
- yashāu
- يَشَآءُ
- তিনি ইচ্ছে করেন
- wayaqdiru
- وَيَقْدِرُۚ
- এবং পরিমিত দেন (যাকে ইচ্ছে করেন)
- innahu
- إِنَّهُۥ
- তিনি নিশ্চয়ই
- bikulli
- بِكُلِّ
- সম্পর্কে সব
- shayin
- شَىْءٍ
- কিছু
- ʿalīmun
- عَلِيمٌ
- খুব অবহিত
আসমান ও যমীনের চাবিকাঠি তাঁরই হাতে নিবদ্ধ। যার জন্য ইচ্ছে তিনি রিযক প্রশস্ত করেন ও (যার জন্য ইচ্ছে) সীমিত করেন। সব বিষয়েই তিনি সবচেয়ে জ্ঞানী। ([৪২] আশ-শুরা: ১২)ব্যাখ্যা
۞ شَرَعَ لَكُمْ مِّنَ الدِّيْنِ مَا وَصّٰى بِهٖ نُوْحًا وَّالَّذِيْٓ اَوْحَيْنَآ اِلَيْكَ وَمَا وَصَّيْنَا بِهٖٓ اِبْرٰهِيْمَ وَمُوْسٰى وَعِيْسٰٓى اَنْ اَقِيْمُوا الدِّيْنَ وَلَا تَتَفَرَّقُوْا فِيْهِۗ كَبُرَ عَلَى الْمُشْرِكِيْنَ مَا تَدْعُوْهُمْ اِلَيْهِۗ اَللّٰهُ يَجْتَبِيْٓ اِلَيْهِ مَنْ يَّشَاۤءُ وَيَهْدِيْٓ اِلَيْهِ مَنْ يُّنِيْبُۗ ١٣
- sharaʿa
- شَرَعَ
- তিনি বিধান দিয়েছেন
- lakum
- لَكُم
- তোমাদের জন্যে (একমাত্র)
- mina
- مِّنَ
- থেকে
- l-dīni
- ٱلدِّينِ
- দ্বীনের
- mā
- مَا
- যা
- waṣṣā
- وَصَّىٰ
- আদেশ দিয়েছিলেন
- bihi
- بِهِۦ
- সে সম্পর্কে
- nūḥan
- نُوحًا
- নূহকে
- wa-alladhī
- وَٱلَّذِىٓ
- এবং (হে নাবী) যা
- awḥaynā
- أَوْحَيْنَآ
- আমরা ওহী করেছি
- ilayka
- إِلَيْكَ
- তোমার প্রতিও
- wamā
- وَمَا
- এবং যা
- waṣṣaynā
- وَصَّيْنَا
- আমরা আদেশ দিয়েছি
- bihi
- بِهِۦٓ
- সে সম্পর্কে
- ib'rāhīma
- إِبْرَٰهِيمَ
- ইব্রাহীমকে
- wamūsā
- وَمُوسَىٰ
- ও মূসাকে
- waʿīsā
- وَعِيسَىٰٓۖ
- ও ঈসাকে
- an
- أَنْ
- (এ তাগিদসহ) যে
- aqīmū
- أَقِيمُوا۟
- তোমরা প্রতিষ্ঠিত করো
- l-dīna
- ٱلدِّينَ
- দ্বীনকে
- walā
- وَلَا
- এবং না
- tatafarraqū
- تَتَفَرَّقُوا۟
- তোমরা মতবিরোধ করো
- fīhi
- فِيهِۚ
- তার মধ্যে
- kabura
- كَبُرَ
- বড় কঠিন হয়েছে
- ʿalā
- عَلَى
- কাছে
- l-mush'rikīna
- ٱلْمُشْرِكِينَ
- মুশরিকদের
- mā
- مَا
- যার
- tadʿūhum
- تَدْعُوهُمْ
- তুমি আহবান করছো তাদেরকে
- ilayhi
- إِلَيْهِۚ
- তাঁর দিকে
- l-lahu
- ٱللَّهُ
- আল্লাহ
- yajtabī
- يَجْتَبِىٓ
- বেছে নেন
- ilayhi
- إِلَيْهِ
- তাঁর দিকে
- man
- مَن
- যাকে
- yashāu
- يَشَآءُ
- তিনি ইচ্ছে করেন
- wayahdī
- وَيَهْدِىٓ
- এবং পথ দেখান
- ilayhi
- إِلَيْهِ
- তাঁর দিকে
- man
- مَن
- যে
- yunību
- يُنِيبُ
- মুখ ফিরায় (তাঁর দিকে)
তিনি তোমাদের জন্য দ্বীনের সেই বিধি-ব্যবস্থাই দিয়েছেন যার হুকুম তিনি দিয়েছিলেন নূহকে। আর সেই (বিধি ব্যবস্থাই) তোমাকে ওয়াহীর মাধ্যমে দিলাম যার হুকুম দিয়েছিলাম ইবরাহীম, মূসা ও ‘ঈসাকে- তা এই যে, তোমরা দ্বীন প্রতিষ্ঠিত কর, আর তাতে বিভক্তি সৃষ্টি করো না, ব্যাপারটি মুশরিকদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে যার দিকে তুমি তাদেরকে আহবান জানাচ্ছ। আল্লাহ যাকে ইচ্ছে করেন তাঁর পথে বেছে নেন, আর তিনি তাঁর পথে পরিচালিত করেন তাকে, যে তাঁর অভিমুখী হয়। ([৪২] আশ-শুরা: ১৩)ব্যাখ্যা
وَمَا تَفَرَّقُوْٓا اِلَّا مِنْۢ بَعْدِ مَا جَاۤءَهُمُ الْعِلْمُ بَغْيًاۢ بَيْنَهُمْۗ وَلَوْلَا كَلِمَةٌ سَبَقَتْ مِنْ رَّبِّكَ اِلٰٓى اَجَلٍ مُّسَمًّى لَّقُضِيَ بَيْنَهُمْۗ وَاِنَّ الَّذِيْنَ اُوْرِثُوا الْكِتٰبَ مِنْۢ بَعْدِهِمْ لَفِيْ شَكٍّ مِّنْهُ مُرِيْبٍ ١٤
- wamā
- وَمَا
- এবং না
- tafarraqū
- تَفَرَّقُوٓا۟
- তারা মতবিরোধ করেছে
- illā
- إِلَّا
- এ ব্যতীত
- min
- مِنۢ
- মধ্য হতে
- baʿdi
- بَعْدِ
- পরে
- mā
- مَا
- যা
- jāahumu
- جَآءَهُمُ
- (কাছে) এসেছিলো তাদের
- l-ʿil'mu
- ٱلْعِلْمُ
- (অর্থাৎ) জ্ঞান
- baghyan
- بَغْيًۢا
- (এমন করেছে) বিদ্বেষ বশতঃ
- baynahum
- بَيْنَهُمْۚ
- তাদের মাঝে
- walawlā
- وَلَوْلَا
- এবং যদি না
- kalimatun
- كَلِمَةٌ
- একটি বাণী (ফায়সালার)
- sabaqat
- سَبَقَتْ
- অতীতে সিদ্ধান্ত করা হতো
- min
- مِن
- পক্ষ হতে
- rabbika
- رَّبِّكَ
- তোমার রবের
- ilā
- إِلَىٰٓ
- পর্যন্ত
- ajalin
- أَجَلٍ
- সময় (অবকাশের)
- musamman
- مُّسَمًّى
- নির্ধারিত
- laquḍiya
- لَّقُضِىَ
- মীমাংসা অবশ্যই করে দেওয়া হতো
- baynahum
- بَيْنَهُمْۚ
- তাদের মাঝে
- wa-inna
- وَإِنَّ
- এবং নিশ্চয়ই
- alladhīna
- ٱلَّذِينَ
- যাদের
- ūrithū
- أُورِثُوا۟
- উত্তরাধিকারী করা হয়েছিলো
- l-kitāba
- ٱلْكِتَٰبَ
- কিতাবের
- min
- مِنۢ
- মধ্য হতে
- baʿdihim
- بَعْدِهِمْ
- তাদের পরে
- lafī
- لَفِى
- অবশ্যই মধ্যে আছে
- shakkin
- شَكٍّ
- সন্দেহের
- min'hu
- مِّنْهُ
- তা সম্পর্কে
- murībin
- مُرِيبٍ
- বিভ্রান্তিকর
মানুষের কাছে ইলম আসার পর (বিভিন্ন অংশে) বিভক্ত হয়ে গেল নিজেদের মধ্যে বাড়াবাড়ি করার কারণে। পূর্বেই যদি তোমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত ফয়সালা মূলতবী রাখার কথা ঘোষিত না হত, তাহলে তাদের মধ্যে (পূর্বেই) ফয়সালা করে দেয়া হত। আগেকার লোকেদের পরে যারা (তাওরাত ও ইঞ্জিল এ দু’) কিতাব উত্তরাধিকার সূত্রে পাপ্ত হয়েছে, তারা অস্বস্তিকর সন্দেহে পতিত হয়েছে। ([৪২] আশ-শুরা: ১৪)ব্যাখ্যা
فَلِذٰلِكَ فَادْعُ ۚوَاسْتَقِمْ كَمَآ اُمِرْتَۚ وَلَا تَتَّبِعْ اَهْوَاۤءَهُمْۚ وَقُلْ اٰمَنْتُ بِمَآ اَنْزَلَ اللّٰهُ مِنْ كِتٰبٍۚ وَاُمِرْتُ لِاَعْدِلَ بَيْنَكُمْ ۗ اَللّٰهُ رَبُّنَا وَرَبُّكُمْ ۗ لَنَآ اَعْمَالُنَا وَلَكُمْ اَعْمَالُكُمْ ۗ لَاحُجَّةَ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ ۗ اَللّٰهُ يَجْمَعُ بَيْنَنَا ۚوَاِلَيْهِ الْمَصِيْرُ ۗ ١٥
- falidhālika
- فَلِذَٰلِكَ
- (হে নাবী) এজন্যে
- fa-ud'ʿu
- فَٱدْعُۖ
- তাই আহবান করো
- wa-is'taqim
- وَٱسْتَقِمْ
- এবং অবিচল থাকো
- kamā
- كَمَآ
- যেমন
- umir'ta
- أُمِرْتَۖ
- তোমাকে আদেশ করা হয়েছে
- walā
- وَلَا
- এবং না
- tattabiʿ
- تَتَّبِعْ
- অনুসরণ করো
- ahwāahum
- أَهْوَآءَهُمْۖ
- তাদের খেয়ালখুশীর
- waqul
- وَقُلْ
- এবং বলো
- āmantu
- ءَامَنتُ
- "আমি ঈমান এনেছি
- bimā
- بِمَآ
- ঐ বিষয়ে যা
- anzala
- أَنزَلَ
- অবতীর্ণ করেছেন
- l-lahu
- ٱللَّهُ
- আল্লাহ
- min
- مِن
- থেকে
- kitābin
- كِتَٰبٍۖ
- (অর্থাৎ) কিতাব
- wa-umir'tu
- وَأُمِرْتُ
- এবং আমাকে আদেশ করা হয়েছে
- li-aʿdila
- لِأَعْدِلَ
- আমি যেন ন্যায় বিচার করি
- baynakumu
- بَيْنَكُمُۖ
- তোমাদের মাঝে
- l-lahu
- ٱللَّهُ
- আল্লাহ
- rabbunā
- رَبُّنَا
- আমাদের রব
- warabbukum
- وَرَبُّكُمْۖ
- ও তোমাদের রব
- lanā
- لَنَآ
- আমাদের জন্যে
- aʿmālunā
- أَعْمَٰلُنَا
- আমাদের কাজসমূহ
- walakum
- وَلَكُمْ
- ও তোমাদের জন্যে
- aʿmālukum
- أَعْمَٰلُكُمْۖ
- তোমাদের কাজসমূহ
- lā
- لَا
- নেই
- ḥujjata
- حُجَّةَ
- কোনো বিবাদ
- baynanā
- بَيْنَنَا
- আমাদের মাঝে
- wabaynakumu
- وَبَيْنَكُمُۖ
- ও তোমাদের মাঝে
- l-lahu
- ٱللَّهُ
- আল্লাহ
- yajmaʿu
- يَجْمَعُ
- একত্র করবেন
- baynanā
- بَيْنَنَاۖ
- আমাদেরকে
- wa-ilayhi
- وَإِلَيْهِ
- এবং তাঁরই দিকে
- l-maṣīru
- ٱلْمَصِيرُ
- প্রত্যাবর্তন (হবে সবার)"
অবস্থার এই প্রেক্ষাপটে (হে নবী!) তাদেরকে আহবান কর (দ্বীনের প্রতি), আর তোমাকে যে হুকুম দেয়া হয়েছে তুমি তার প্রতি সুদৃঢ় থাক, আর তাদের খেয়াল খুশির অনুসরণ করো না। আর বল, আল্লাহ যে কিতাবই অবতীর্ণ করেছেন আমি তার প্রতি ঈমান এনেছি। তোমাদের মাঝে ইনসাফ করার জন্য আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ আমাদেরও প্রতিপালক, তোমাদেরও প্রতিপালক। আমাদের কাজের প্রতিফল আমরা ভোগ করব। আর তোমাদের কাজের প্রতিফল তোমরা ভোগ করবে। আমাদের আর তোমাদের মাঝে কোন ঝগড়া নেই। আল্লাহ আমাদের সবাইকে (একদিন) একত্রিত করবেন, আর তাঁর কাছেই (সকলকে) ফিরে যেতে হবে। ([৪২] আশ-শুরা: ১৫)ব্যাখ্যা
وَالَّذِيْنَ يُحَاۤجُّوْنَ فِى اللّٰهِ مِنْۢ بَعْدِ مَا اسْتُجِيْبَ لَهٗ حُجَّتُهُمْ دَاحِضَةٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ وَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ وَّلَهُمْ عَذَابٌ شَدِيْدٌ ١٦
- wa-alladhīna
- وَٱلَّذِينَ
- এবং যারা
- yuḥājjūna
- يُحَآجُّونَ
- বিতর্ক করে
- fī
- فِى
- সম্পর্কে
- l-lahi
- ٱللَّهِ
- আল্লাহ্র দ্বীনের
- min
- مِنۢ
- মধ্য হতে
- baʿdi
- بَعْدِ
- পরেও
- mā
- مَا
- যা
- us'tujība
- ٱسْتُجِيبَ
- সাড়া দেওয়া হয়েছে (অর্থাৎ দ্বীন গ্রহণের পরেও)
- lahu
- لَهُۥ
- তাকে
- ḥujjatuhum
- حُجَّتُهُمْ
- তাদের যুক্তিতর্ক
- dāḥiḍatun
- دَاحِضَةٌ
- নিরর্থক
- ʿinda
- عِندَ
- কাছে
- rabbihim
- رَبِّهِمْ
- তাদের রবের
- waʿalayhim
- وَعَلَيْهِمْ
- এবং তাদের উপর
- ghaḍabun
- غَضَبٌ
- অভিসম্পাত
- walahum
- وَلَهُمْ
- এবং তাদের জন্যে
- ʿadhābun
- عَذَابٌ
- শাস্তি (রয়েছে)
- shadīdun
- شَدِيدٌ
- কঠিন
আল্লাহর আহবানে সাড়া দেয়ার পর সে সম্পর্কে যারা বিতর্কে লিপ্ত হয়, তাদের দলীল প্রমাণ তাদের রব্ব-এর কাছে বাতিল। তাদের প্রতি (আল্লাহর) গযব আর তাদের জন্য আছে কঠিন শাস্তি। ([৪২] আশ-শুরা: ১৬)ব্যাখ্যা
اَللّٰهُ الَّذِيْٓ اَنْزَلَ الْكِتٰبَ بِالْحَقِّ وَالْمِيْزَانَ ۗوَمَا يُدْرِيْكَ لَعَلَّ السَّاعَةَ قَرِيْبٌ ١٧
- al-lahu
- ٱللَّهُ
- (তিনিই) আল্লাহ্
- alladhī
- ٱلَّذِىٓ
- যিনি
- anzala
- أَنزَلَ
- অবতীর্ণ করেছেন
- l-kitāba
- ٱلْكِتَٰبَ
- কিতাব
- bil-ḥaqi
- بِٱلْحَقِّ
- সত্যসহ
- wal-mīzāna
- وَٱلْمِيزَانَۗ
- এবং মীযান
- wamā
- وَمَا
- এবং কিসে
- yud'rīka
- يُدْرِيكَ
- তোমাকে জানাবে
- laʿalla
- لَعَلَّ
- সম্ভবতঃ
- l-sāʿata
- ٱلسَّاعَةَ
- ক্বিয়ামাত
- qarībun
- قَرِيبٌ
- আসন্ন
তিনিই আল্লাহ যিনি সত্য ও ইনসাফের মানদন্ড সহকারে কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। তুমি কি জান, সম্ভবতঃ চূড়ান্ত ফয়সালার সময় নিকটবর্তী হয়ে গেছে। ([৪২] আশ-শুরা: ১৭)ব্যাখ্যা
يَسْتَعْجِلُ بِهَا الَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ بِهَاۚ وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا مُشْفِقُوْنَ مِنْهَاۙ وَيَعْلَمُوْنَ اَنَّهَا الْحَقُّ ۗ اَلَآ اِنَّ الَّذِيْنَ يُمَارُوْنَ فِى السَّاعَةِ لَفِيْ ضَلٰلٍۢ بَعِيْدٍ ١٨
- yastaʿjilu
- يَسْتَعْجِلُ
- তাড়াহুড়া করে
- bihā
- بِهَا
- তা সম্পর্কে
- alladhīna
- ٱلَّذِينَ
- (তারাই) যারা
- lā
- لَا
- না
- yu'minūna
- يُؤْمِنُونَ
- ঈমান আনে
- bihā
- بِهَاۖ
- তা সম্পর্কে
- wa-alladhīna
- وَٱلَّذِينَ
- কিন্তু যারা
- āmanū
- ءَامَنُوا۟
- ঈমান এনেছে
- mush'fiqūna
- مُشْفِقُونَ
- তারা ভয় করে
- min'hā
- مِنْهَا
- তা থেকে
- wayaʿlamūna
- وَيَعْلَمُونَ
- এবং তারা জানে
- annahā
- أَنَّهَا
- তা যে
- l-ḥaqu
- ٱلْحَقُّۗ
- মহাসত্য
- alā
- أَلَآ
- জেনে রাখো
- inna
- إِنَّ
- নিশ্চয়ই
- alladhīna
- ٱلَّذِينَ
- যারা
- yumārūna
- يُمَارُونَ
- কুতর্ক করে
- fī
- فِى
- সম্পর্কে
- l-sāʿati
- ٱلسَّاعَةِ
- ক্বিয়ামাতের
- lafī
- لَفِى
- অবশ্যই মধ্যে
- ḍalālin
- ضَلَٰلٍۭ
- বিভ্রান্তির
- baʿīdin
- بَعِيدٍ
- বহুদূরে (চলে গিয়েছে)
যে সব লোক তাতে বিশ্বাস করে না, তারাই তার (অর্থাৎ ক্বিয়ামতের) আগমনকে তরান্বিত করতে চায়। কিন্তু যারা বিশ্বাসী তারা তাকে ভয় করে আর তারা জানে যে, তা সত্য। জেনে রেখ, যারা ক্বিয়ামত সম্পর্কে বিতর্ক করে, তারা স্পষ্টতই সত্য পথ হতে বহু দূরে চলে গেছে। ([৪২] আশ-শুরা: ১৮)ব্যাখ্যা
اَللّٰهُ لَطِيْفٌۢ بِعِبَادِهٖ يَرْزُقُ مَنْ يَّشَاۤءُ ۚوَهُوَ الْقَوِيُّ الْعَزِيْزُ ࣖ ١٩
- al-lahu
- ٱللَّهُ
- আল্লাহ্
- laṭīfun
- لَطِيفٌۢ
- অতি দয়ালু
- biʿibādihi
- بِعِبَادِهِۦ
- তার দাসদের উপর
- yarzuqu
- يَرْزُقُ
- তিনি জীবিকা দান করেন
- man
- مَن
- যাকে
- yashāu
- يَشَآءُۖ
- ইচ্ছে করেন
- wahuwa
- وَهُوَ
- এবং তিনি
- l-qawiyu
- ٱلْقَوِىُّ
- প্রবল শক্তিমান
- l-ʿazīzu
- ٱلْعَزِيزُ
- পরাক্রমশালী
আল্লাহ তাঁর বান্দাহদের প্রতি মেহেরবান, তিনি যাকে যা ইচ্ছে রিযক দেন। তিনি প্রবল, মহাপরাক্রমশালী। ([৪২] আশ-শুরা: ১৯)ব্যাখ্যা
مَنْ كَانَ يُرِيْدُ حَرْثَ الْاٰخِرَةِ نَزِدْ لَهٗ فِيْ حَرْثِهٖۚ وَمَنْ كَانَ يُرِيْدُ حَرْثَ الدُّنْيَا نُؤْتِهٖ مِنْهَاۙ وَمَا لَهٗ فِى الْاٰخِرَةِ مِنْ نَّصِيْبٍ ٢٠
- man
- مَن
- যে
- kāna
- كَانَ
- ছিল
- yurīdu
- يُرِيدُ
- কামনা করে
- ḥartha
- حَرْثَ
- ফসল
- l-ākhirati
- ٱلْءَاخِرَةِ
- পরকালের
- nazid
- نَزِدْ
- বাড়িয়ে দিই আমরা
- lahu
- لَهُۥ
- তার জন্যে
- fī
- فِى
- মধ্যে
- ḥarthihi
- حَرْثِهِۦۖ
- তার ফসলের
- waman
- وَمَن
- এবং যে
- kāna
- كَانَ
- ছিল
- yurīdu
- يُرِيدُ
- কামনা করে
- ḥartha
- حَرْثَ
- ফসল
- l-dun'yā
- ٱلدُّنْيَا
- দুনিয়ার
- nu'tihi
- نُؤْتِهِۦ
- তাকে দিই আমরা
- min'hā
- مِنْهَا
- তা থেকে কিছু
- wamā
- وَمَا
- এবং নেই
- lahu
- لَهُۥ
- তার জন্যে
- fī
- فِى
- মধ্যে
- l-ākhirati
- ٱلْءَاخِرَةِ
- পরকালের
- min
- مِن
- কোনো
- naṣībin
- نَّصِيبٍ
- অংশ
যে লোক পরকালের ক্ষেত করতে চায়, আমি তার জন্য তার ক্ষেতে বৃদ্ধি দান করি। আর যে লোক দুনিয়ার ক্ষেত চায়, আমি তাকে তাত্থেকে দেই, কিন্তু পরকালে তার অংশে (বা ভাগ্যে) কিছুই নেই। ([৪২] আশ-শুরা: ২০)ব্যাখ্যা