Skip to content

সূরা আশ-শুরা - Page: 2

Ash-Shuraa

(aš-Šūrā)

১১

فَاطِرُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِۗ جَعَلَ لَكُمْ مِّنْ اَنْفُسِكُمْ اَزْوَاجًا وَّمِنَ الْاَنْعَامِ اَزْوَاجًاۚ يَذْرَؤُكُمْ فِيْهِۗ لَيْسَ كَمِثْلِهٖ شَيْءٌ ۚوَهُوَ السَّمِيْعُ الْبَصِيْرُ ١١

fāṭiru
فَاطِرُ
(আল্লাহ-ই) সৃষ্টিকর্তা
l-samāwāti
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশের
wal-arḍi
وَٱلْأَرْضِۚ
এবং পৃথিবীর
jaʿala
جَعَلَ
তিনি সৃষ্টি করেছেন
lakum
لَكُم
তোমাদের জন্যে
min
مِّنْ
মধ্য হ'তে
anfusikum
أَنفُسِكُمْ
তোমাদের নিজেদের
azwājan
أَزْوَٰجًا
জোড়া জোড়া
wamina
وَمِنَ
এবং মধ্য হতে
l-anʿāmi
ٱلْأَنْعَٰمِ
গবাদি পশুর
azwājan
أَزْوَٰجًاۖ
জোড়া জোড়া
yadhra-ukum
يَذْرَؤُكُمْ
তোমাদের বিস্তার করেন (বংশ)
fīhi
فِيهِۚ
তার মধ্যে
laysa
لَيْسَ
নেই
kamith'lihi
كَمِثْلِهِۦ
তাঁর মতো
shayon
شَىْءٌۖ
কোনো কিছুই
wahuwa
وَهُوَ
এবং তিনি
l-samīʿu
ٱلسَّمِيعُ
সবকিছু শুনেন
l-baṣīru
ٱلْبَصِيرُ
সবকিছুই দেখেন
আকাশসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা। তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতে যুগল সৃষ্টি করেছেন, চতুস্পদ জন্তুদের মধ্যেও সৃষ্টি করেছেন জোড়া, এভাবেই তিনি তোমাদের বংশধারা বিস্তৃত করেন, কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয়, তিনি সব শোনেন, সব দেখেন। ([৪২] আশ-শুরা: ১১)
ব্যাখ্যা
১২

لَهٗ مَقَالِيْدُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِۚ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَّشَاۤءُ وَيَقْدِرُ ۚاِنَّهٗ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْمٌ ١٢

lahu
لَهُۥ
তাঁরই (নিয়ন্ত্রণে)
maqālīdu
مَقَالِيدُ
চাবিসমূহ
l-samāwāti
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশের
wal-arḍi
وَٱلْأَرْضِۖ
ও পৃথিবীর
yabsuṭu
يَبْسُطُ
প্রশস্ত করে দেন
l-riz'qa
ٱلرِّزْقَ
জীবনের উপকরণ
liman
لِمَن
(তার) জন্যে যাকে
yashāu
يَشَآءُ
তিনি ইচ্ছে করেন
wayaqdiru
وَيَقْدِرُۚ
এবং পরিমিত দেন (যাকে ইচ্ছে করেন)
innahu
إِنَّهُۥ
তিনি নিশ্চয়ই
bikulli
بِكُلِّ
সম্পর্কে সব
shayin
شَىْءٍ
কিছু
ʿalīmun
عَلِيمٌ
খুব অবহিত
আসমান ও যমীনের চাবিকাঠি তাঁরই হাতে নিবদ্ধ। যার জন্য ইচ্ছে তিনি রিযক প্রশস্ত করেন ও (যার জন্য ইচ্ছে) সীমিত করেন। সব বিষয়েই তিনি সবচেয়ে জ্ঞানী। ([৪২] আশ-শুরা: ১২)
ব্যাখ্যা
১৩

۞ شَرَعَ لَكُمْ مِّنَ الدِّيْنِ مَا وَصّٰى بِهٖ نُوْحًا وَّالَّذِيْٓ اَوْحَيْنَآ اِلَيْكَ وَمَا وَصَّيْنَا بِهٖٓ اِبْرٰهِيْمَ وَمُوْسٰى وَعِيْسٰٓى اَنْ اَقِيْمُوا الدِّيْنَ وَلَا تَتَفَرَّقُوْا فِيْهِۗ كَبُرَ عَلَى الْمُشْرِكِيْنَ مَا تَدْعُوْهُمْ اِلَيْهِۗ اَللّٰهُ يَجْتَبِيْٓ اِلَيْهِ مَنْ يَّشَاۤءُ وَيَهْدِيْٓ اِلَيْهِ مَنْ يُّنِيْبُۗ ١٣

sharaʿa
شَرَعَ
তিনি বিধান দিয়েছেন
lakum
لَكُم
তোমাদের জন্যে (একমাত্র)
mina
مِّنَ
থেকে
l-dīni
ٱلدِّينِ
দ্বীনের
مَا
যা
waṣṣā
وَصَّىٰ
আদেশ দিয়েছিলেন
bihi
بِهِۦ
সে সম্পর্কে
nūḥan
نُوحًا
নূহকে
wa-alladhī
وَٱلَّذِىٓ
এবং (হে নাবী) যা
awḥaynā
أَوْحَيْنَآ
আমরা ওহী করেছি
ilayka
إِلَيْكَ
তোমার প্রতিও
wamā
وَمَا
এবং যা
waṣṣaynā
وَصَّيْنَا
আমরা আদেশ দিয়েছি
bihi
بِهِۦٓ
সে সম্পর্কে
ib'rāhīma
إِبْرَٰهِيمَ
ইব্রাহীমকে
wamūsā
وَمُوسَىٰ
ও মূসাকে
waʿīsā
وَعِيسَىٰٓۖ
ও ঈসাকে
an
أَنْ
(এ তাগিদসহ) যে
aqīmū
أَقِيمُوا۟
তোমরা প্রতিষ্ঠিত করো
l-dīna
ٱلدِّينَ
দ্বীনকে
walā
وَلَا
এবং না
tatafarraqū
تَتَفَرَّقُوا۟
তোমরা মতবিরোধ করো
fīhi
فِيهِۚ
তার মধ্যে
kabura
كَبُرَ
বড় কঠিন হয়েছে
ʿalā
عَلَى
কাছে
l-mush'rikīna
ٱلْمُشْرِكِينَ
মুশরিকদের
مَا
যার
tadʿūhum
تَدْعُوهُمْ
তুমি আহবান করছো তাদেরকে
ilayhi
إِلَيْهِۚ
তাঁর দিকে
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
yajtabī
يَجْتَبِىٓ
বেছে নেন
ilayhi
إِلَيْهِ
তাঁর দিকে
man
مَن
যাকে
yashāu
يَشَآءُ
তিনি ইচ্ছে করেন
wayahdī
وَيَهْدِىٓ
এবং পথ দেখান
ilayhi
إِلَيْهِ
তাঁর দিকে
man
مَن
যে
yunību
يُنِيبُ
মুখ ফিরায় (তাঁর দিকে)
তিনি তোমাদের জন্য দ্বীনের সেই বিধি-ব্যবস্থাই দিয়েছেন যার হুকুম তিনি দিয়েছিলেন নূহকে। আর সেই (বিধি ব্যবস্থাই) তোমাকে ওয়াহীর মাধ্যমে দিলাম যার হুকুম দিয়েছিলাম ইবরাহীম, মূসা ও ‘ঈসাকে- তা এই যে, তোমরা দ্বীন প্রতিষ্ঠিত কর, আর তাতে বিভক্তি সৃষ্টি করো না, ব্যাপারটি মুশরিকদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে যার দিকে তুমি তাদেরকে আহবান জানাচ্ছ। আল্লাহ যাকে ইচ্ছে করেন তাঁর পথে বেছে নেন, আর তিনি তাঁর পথে পরিচালিত করেন তাকে, যে তাঁর অভিমুখী হয়। ([৪২] আশ-শুরা: ১৩)
ব্যাখ্যা
১৪

وَمَا تَفَرَّقُوْٓا اِلَّا مِنْۢ بَعْدِ مَا جَاۤءَهُمُ الْعِلْمُ بَغْيًاۢ بَيْنَهُمْۗ وَلَوْلَا كَلِمَةٌ سَبَقَتْ مِنْ رَّبِّكَ اِلٰٓى اَجَلٍ مُّسَمًّى لَّقُضِيَ بَيْنَهُمْۗ وَاِنَّ الَّذِيْنَ اُوْرِثُوا الْكِتٰبَ مِنْۢ بَعْدِهِمْ لَفِيْ شَكٍّ مِّنْهُ مُرِيْبٍ ١٤

wamā
وَمَا
এবং না
tafarraqū
تَفَرَّقُوٓا۟
তারা মতবিরোধ করেছে
illā
إِلَّا
এ ব্যতীত
min
مِنۢ
মধ্য হতে
baʿdi
بَعْدِ
পরে
مَا
যা
jāahumu
جَآءَهُمُ
(কাছে) এসেছিলো তাদের
l-ʿil'mu
ٱلْعِلْمُ
(অর্থাৎ) জ্ঞান
baghyan
بَغْيًۢا
(এমন করেছে) বিদ্বেষ বশতঃ
baynahum
بَيْنَهُمْۚ
তাদের মাঝে
walawlā
وَلَوْلَا
এবং যদি না
kalimatun
كَلِمَةٌ
একটি বাণী (ফায়সালার)
sabaqat
سَبَقَتْ
অতীতে সিদ্ধান্ত করা হতো
min
مِن
পক্ষ হতে
rabbika
رَّبِّكَ
তোমার রবের
ilā
إِلَىٰٓ
পর্যন্ত
ajalin
أَجَلٍ
সময় (অবকাশের)
musamman
مُّسَمًّى
নির্ধারিত
laquḍiya
لَّقُضِىَ
মীমাংসা অবশ্যই করে দেওয়া হতো
baynahum
بَيْنَهُمْۚ
তাদের মাঝে
wa-inna
وَإِنَّ
এবং নিশ্চয়ই
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যাদের
ūrithū
أُورِثُوا۟
উত্তরাধিকারী করা হয়েছিলো
l-kitāba
ٱلْكِتَٰبَ
কিতাবের
min
مِنۢ
মধ্য হতে
baʿdihim
بَعْدِهِمْ
তাদের পরে
lafī
لَفِى
অবশ্যই মধ্যে আছে
shakkin
شَكٍّ
সন্দেহের
min'hu
مِّنْهُ
তা সম্পর্কে
murībin
مُرِيبٍ
বিভ্রান্তিকর
মানুষের কাছে ইলম আসার পর (বিভিন্ন অংশে) বিভক্ত হয়ে গেল নিজেদের মধ্যে বাড়াবাড়ি করার কারণে। পূর্বেই যদি তোমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত ফয়সালা মূলতবী রাখার কথা ঘোষিত না হত, তাহলে তাদের মধ্যে (পূর্বেই) ফয়সালা করে দেয়া হত। আগেকার লোকেদের পরে যারা (তাওরাত ও ইঞ্জিল এ দু’) কিতাব উত্তরাধিকার সূত্রে পাপ্ত হয়েছে, তারা অস্বস্তিকর সন্দেহে পতিত হয়েছে। ([৪২] আশ-শুরা: ১৪)
ব্যাখ্যা
১৫

فَلِذٰلِكَ فَادْعُ ۚوَاسْتَقِمْ كَمَآ اُمِرْتَۚ وَلَا تَتَّبِعْ اَهْوَاۤءَهُمْۚ وَقُلْ اٰمَنْتُ بِمَآ اَنْزَلَ اللّٰهُ مِنْ كِتٰبٍۚ وَاُمِرْتُ لِاَعْدِلَ بَيْنَكُمْ ۗ اَللّٰهُ رَبُّنَا وَرَبُّكُمْ ۗ لَنَآ اَعْمَالُنَا وَلَكُمْ اَعْمَالُكُمْ ۗ لَاحُجَّةَ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ ۗ اَللّٰهُ يَجْمَعُ بَيْنَنَا ۚوَاِلَيْهِ الْمَصِيْرُ ۗ ١٥

falidhālika
فَلِذَٰلِكَ
(হে নাবী) এজন্যে
fa-ud'ʿu
فَٱدْعُۖ
তাই আহবান করো
wa-is'taqim
وَٱسْتَقِمْ
এবং অবিচল থাকো
kamā
كَمَآ
যেমন
umir'ta
أُمِرْتَۖ
তোমাকে আদেশ করা হয়েছে
walā
وَلَا
এবং না
tattabiʿ
تَتَّبِعْ
অনুসরণ করো
ahwāahum
أَهْوَآءَهُمْۖ
তাদের খেয়ালখুশীর
waqul
وَقُلْ
এবং বলো
āmantu
ءَامَنتُ
"আমি ঈমান এনেছি
bimā
بِمَآ
ঐ বিষয়ে যা
anzala
أَنزَلَ
অবতীর্ণ করেছেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
min
مِن
থেকে
kitābin
كِتَٰبٍۖ
(অর্থাৎ) কিতাব
wa-umir'tu
وَأُمِرْتُ
এবং আমাকে আদেশ করা হয়েছে
li-aʿdila
لِأَعْدِلَ
আমি যেন ন্যায় বিচার করি
baynakumu
بَيْنَكُمُۖ
তোমাদের মাঝে
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
rabbunā
رَبُّنَا
আমাদের রব
warabbukum
وَرَبُّكُمْۖ
ও তোমাদের রব
lanā
لَنَآ
আমাদের জন্যে
aʿmālunā
أَعْمَٰلُنَا
আমাদের কাজসমূহ
walakum
وَلَكُمْ
ও তোমাদের জন্যে
aʿmālukum
أَعْمَٰلُكُمْۖ
তোমাদের কাজসমূহ
لَا
নেই
ḥujjata
حُجَّةَ
কোনো বিবাদ
baynanā
بَيْنَنَا
আমাদের মাঝে
wabaynakumu
وَبَيْنَكُمُۖ
ও তোমাদের মাঝে
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
yajmaʿu
يَجْمَعُ
একত্র করবেন
baynanā
بَيْنَنَاۖ
আমাদেরকে
wa-ilayhi
وَإِلَيْهِ
এবং তাঁরই দিকে
l-maṣīru
ٱلْمَصِيرُ
প্রত্যাবর্তন (হবে সবার)"
অবস্থার এই প্রেক্ষাপটে (হে নবী!) তাদেরকে আহবান কর (দ্বীনের প্রতি), আর তোমাকে যে হুকুম দেয়া হয়েছে তুমি তার প্রতি সুদৃঢ় থাক, আর তাদের খেয়াল খুশির অনুসরণ করো না। আর বল, আল্লাহ যে কিতাবই অবতীর্ণ করেছেন আমি তার প্রতি ঈমান এনেছি। তোমাদের মাঝে ইনসাফ করার জন্য আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ আমাদেরও প্রতিপালক, তোমাদেরও প্রতিপালক। আমাদের কাজের প্রতিফল আমরা ভোগ করব। আর তোমাদের কাজের প্রতিফল তোমরা ভোগ করবে। আমাদের আর তোমাদের মাঝে কোন ঝগড়া নেই। আল্লাহ আমাদের সবাইকে (একদিন) একত্রিত করবেন, আর তাঁর কাছেই (সকলকে) ফিরে যেতে হবে। ([৪২] আশ-শুরা: ১৫)
ব্যাখ্যা
১৬

وَالَّذِيْنَ يُحَاۤجُّوْنَ فِى اللّٰهِ مِنْۢ بَعْدِ مَا اسْتُجِيْبَ لَهٗ حُجَّتُهُمْ دَاحِضَةٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ وَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ وَّلَهُمْ عَذَابٌ شَدِيْدٌ ١٦

wa-alladhīna
وَٱلَّذِينَ
এবং যারা
yuḥājjūna
يُحَآجُّونَ
বিতর্ক করে
فِى
সম্পর্কে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহ্‌র দ্বীনের
min
مِنۢ
মধ্য হতে
baʿdi
بَعْدِ
পরেও
مَا
যা
us'tujība
ٱسْتُجِيبَ
সাড়া দেওয়া হয়েছে (অর্থাৎ দ্বীন গ্রহণের পরেও)
lahu
لَهُۥ
তাকে
ḥujjatuhum
حُجَّتُهُمْ
তাদের যুক্তিতর্ক
dāḥiḍatun
دَاحِضَةٌ
নিরর্থক
ʿinda
عِندَ
কাছে
rabbihim
رَبِّهِمْ
তাদের রবের
waʿalayhim
وَعَلَيْهِمْ
এবং তাদের উপর
ghaḍabun
غَضَبٌ
অভিসম্পাত
walahum
وَلَهُمْ
এবং তাদের জন্যে
ʿadhābun
عَذَابٌ
শাস্তি (রয়েছে)
shadīdun
شَدِيدٌ
কঠিন
আল্লাহর আহবানে সাড়া দেয়ার পর সে সম্পর্কে যারা বিতর্কে লিপ্ত হয়, তাদের দলীল প্রমাণ তাদের রব্ব-এর কাছে বাতিল। তাদের প্রতি (আল্লাহর) গযব আর তাদের জন্য আছে কঠিন শাস্তি। ([৪২] আশ-শুরা: ১৬)
ব্যাখ্যা
১৭

اَللّٰهُ الَّذِيْٓ اَنْزَلَ الْكِتٰبَ بِالْحَقِّ وَالْمِيْزَانَ ۗوَمَا يُدْرِيْكَ لَعَلَّ السَّاعَةَ قَرِيْبٌ ١٧

al-lahu
ٱللَّهُ
(তিনিই) আল্লাহ্‌
alladhī
ٱلَّذِىٓ
যিনি
anzala
أَنزَلَ
অবতীর্ণ করেছেন
l-kitāba
ٱلْكِتَٰبَ
কিতাব
bil-ḥaqi
بِٱلْحَقِّ
সত্যসহ
wal-mīzāna
وَٱلْمِيزَانَۗ
এবং মীযান
wamā
وَمَا
এবং কিসে
yud'rīka
يُدْرِيكَ
তোমাকে জানাবে
laʿalla
لَعَلَّ
সম্ভবতঃ
l-sāʿata
ٱلسَّاعَةَ
ক্বিয়ামাত
qarībun
قَرِيبٌ
আসন্ন
তিনিই আল্লাহ যিনি সত্য ও ইনসাফের মানদন্ড সহকারে কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। তুমি কি জান, সম্ভবতঃ চূড়ান্ত ফয়সালার সময় নিকটবর্তী হয়ে গেছে। ([৪২] আশ-শুরা: ১৭)
ব্যাখ্যা
১৮

يَسْتَعْجِلُ بِهَا الَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ بِهَاۚ وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا مُشْفِقُوْنَ مِنْهَاۙ وَيَعْلَمُوْنَ اَنَّهَا الْحَقُّ ۗ اَلَآ اِنَّ الَّذِيْنَ يُمَارُوْنَ فِى السَّاعَةِ لَفِيْ ضَلٰلٍۢ بَعِيْدٍ ١٨

yastaʿjilu
يَسْتَعْجِلُ
তাড়াহুড়া করে
bihā
بِهَا
তা সম্পর্কে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
(তারাই) যারা
لَا
না
yu'minūna
يُؤْمِنُونَ
ঈমান আনে
bihā
بِهَاۖ
তা সম্পর্কে
wa-alladhīna
وَٱلَّذِينَ
কিন্তু যারা
āmanū
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছে
mush'fiqūna
مُشْفِقُونَ
তারা ভয় করে
min'hā
مِنْهَا
তা থেকে
wayaʿlamūna
وَيَعْلَمُونَ
এবং তারা জানে
annahā
أَنَّهَا
তা যে
l-ḥaqu
ٱلْحَقُّۗ
মহাসত্য
alā
أَلَآ
জেনে রাখো
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
yumārūna
يُمَارُونَ
কুতর্ক করে
فِى
সম্পর্কে
l-sāʿati
ٱلسَّاعَةِ
ক্বিয়ামাতের
lafī
لَفِى
অবশ্যই মধ্যে
ḍalālin
ضَلَٰلٍۭ
বিভ্রান্তির
baʿīdin
بَعِيدٍ
বহুদূরে (চলে গিয়েছে)
যে সব লোক তাতে বিশ্বাস করে না, তারাই তার (অর্থাৎ ক্বিয়ামতের) আগমনকে তরান্বিত করতে চায়। কিন্তু যারা বিশ্বাসী তারা তাকে ভয় করে আর তারা জানে যে, তা সত্য। জেনে রেখ, যারা ক্বিয়ামত সম্পর্কে বিতর্ক করে, তারা স্পষ্টতই সত্য পথ হতে বহু দূরে চলে গেছে। ([৪২] আশ-শুরা: ১৮)
ব্যাখ্যা
১৯

اَللّٰهُ لَطِيْفٌۢ بِعِبَادِهٖ يَرْزُقُ مَنْ يَّشَاۤءُ ۚوَهُوَ الْقَوِيُّ الْعَزِيْزُ ࣖ ١٩

al-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ্‌
laṭīfun
لَطِيفٌۢ
অতি দয়ালু
biʿibādihi
بِعِبَادِهِۦ
তার দাসদের উপর
yarzuqu
يَرْزُقُ
তিনি জীবিকা দান করেন
man
مَن
যাকে
yashāu
يَشَآءُۖ
ইচ্ছে করেন
wahuwa
وَهُوَ
এবং তিনি
l-qawiyu
ٱلْقَوِىُّ
প্রবল শক্তিমান
l-ʿazīzu
ٱلْعَزِيزُ
পরাক্রমশালী
আল্লাহ তাঁর বান্দাহদের প্রতি মেহেরবান, তিনি যাকে যা ইচ্ছে রিযক দেন। তিনি প্রবল, মহাপরাক্রমশালী। ([৪২] আশ-শুরা: ১৯)
ব্যাখ্যা
২০

مَنْ كَانَ يُرِيْدُ حَرْثَ الْاٰخِرَةِ نَزِدْ لَهٗ فِيْ حَرْثِهٖۚ وَمَنْ كَانَ يُرِيْدُ حَرْثَ الدُّنْيَا نُؤْتِهٖ مِنْهَاۙ وَمَا لَهٗ فِى الْاٰخِرَةِ مِنْ نَّصِيْبٍ ٢٠

man
مَن
যে
kāna
كَانَ
ছিল
yurīdu
يُرِيدُ
কামনা করে
ḥartha
حَرْثَ
ফসল
l-ākhirati
ٱلْءَاخِرَةِ
পরকালের
nazid
نَزِدْ
বাড়িয়ে দিই আমরা
lahu
لَهُۥ
তার জন্যে
فِى
মধ্যে
ḥarthihi
حَرْثِهِۦۖ
তার ফসলের
waman
وَمَن
এবং যে
kāna
كَانَ
ছিল
yurīdu
يُرِيدُ
কামনা করে
ḥartha
حَرْثَ
ফসল
l-dun'yā
ٱلدُّنْيَا
দুনিয়ার
nu'tihi
نُؤْتِهِۦ
তাকে দিই আমরা
min'hā
مِنْهَا
তা থেকে কিছু
wamā
وَمَا
এবং নেই
lahu
لَهُۥ
তার জন্যে
فِى
মধ্যে
l-ākhirati
ٱلْءَاخِرَةِ
পরকালের
min
مِن
কোনো
naṣībin
نَّصِيبٍ
অংশ
যে লোক পরকালের ক্ষেত করতে চায়, আমি তার জন্য তার ক্ষেতে বৃদ্ধি দান করি। আর যে লোক দুনিয়ার ক্ষেত চায়, আমি তাকে তাত্থেকে দেই, কিন্তু পরকালে তার অংশে (বা ভাগ্যে) কিছুই নেই। ([৪২] আশ-শুরা: ২০)
ব্যাখ্যা