কুরআন মজীদ সূরা হা-মীম সেজদাহ আয়াত ১৪
Qur'an Surah Fussilat Verse 14
হা-মীম সেজদাহ [৪১]: ১৪ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ
اِذْ جَاۤءَتْهُمُ الرُّسُلُ مِنْۢ بَيْنِ اَيْدِيْهِمْ وَمِنْ خَلْفِهِمْ اَلَّا تَعْبُدُوْٓا اِلَّا اللّٰهَ ۗقَالُوْا لَوْ شَاۤءَ رَبُّنَا لَاَنْزَلَ مَلٰۤىِٕكَةً فَاِنَّا بِمَآ اُرْسِلْتُمْ بِهٖ كٰفِرُوْنَ (فصلت : ٤١)
- idh
- إِذْ
- When
- যখন
- jāathumu
- جَآءَتْهُمُ
- came to them
- তাদের কাছে এসেছিলো
- l-rusulu
- ٱلرُّسُلُ
- the Messengers
- রাসূলগণ
- min
- مِنۢ
- from before them
- মধ্য হতে
- bayni
- بَيْنِ
- from before them
- থেকে
- aydīhim
- أَيْدِيهِمْ
- from before them
- সামনে তাদের
- wamin
- وَمِنْ
- and from
- ও থেকে
- khalfihim
- خَلْفِهِمْ
- behind them
- তাদের পিছন
- allā
- أَلَّا
- (saying) Do not
- (এই বলে) যে না
- taʿbudū
- تَعْبُدُوٓا۟
- worship
- তোমরা ইবাদত করো
- illā
- إِلَّا
- but
- ছাড়া
- l-laha
- ٱللَّهَۖ
- Allah"
- আল্লাহকে"
- qālū
- قَالُوا۟
- They said
- তারা বলেছিলো
- law
- لَوْ
- "If
- "যদি
- shāa
- شَآءَ
- (had) willed
- ইচ্ছে করতেন
- rabbunā
- رَبُّنَا
- our Lord
- আমাদের রব
- la-anzala
- لَأَنزَلَ
- surely, He (would have) sent down
- অবশ্যই পাঠাতেন
- malāikatan
- مَلَٰٓئِكَةً
- Angels
- ফেরেশতাদেরকে
- fa-innā
- فَإِنَّا
- So indeed, we
- সুতরাং নিশ্চয়ই আমরা
- bimā
- بِمَآ
- in what
- দিয়ে ঐ বিষয় যা
- ur'sil'tum
- أُرْسِلْتُم
- you have been sent
- তোমাদেরকে পাঠানো হয়েছে
- bihi
- بِهِۦ
- with
- প্রতি তার
- kāfirūna
- كَٰفِرُونَ
- (are) disbelievers"
- তোমরা অস্বীকারকারী"
Transliteration:
Iz jaaa'at humur Rusulu mim baini aydeehim wa min khalfihim allaa ta'budooo illal laaha qaaloo law shaaa'a Rabunaa la anzala malaaa 'ikatan fa innaa bimaaa ursiltum bihee kaafiroon(QS. Fuṣṣilat:14)
English Sahih International:
[That occurred] when the messengers had come to them before them and after them, [saying], "Worship not except Allah." They said, "If our Lord had willed, He would have sent down the angels, so indeed we, in that with which you have been sent, are disbelievers." (QS. Fussilat, Ayah ১৪)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তাদের কাছে যখন তাদের অগ্রে ও পশ্চাতে (একের পর এক) রসূলগণ এসেছিল (আর বলেছিল)- তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ‘ইবাদাত করো না। (জবাবে) তারা বলেছিল- আমাদের প্রতিপালক ইচ্ছে করলে তো অবশ্যই ফেরেশতা নাযিল করতেন। কাজেই তোমাদেরকে যা দিয়ে পাঠানো হয়েছে আমরা তা অমান্য করছি। (হা-মীম সেজদাহ, আয়াত ১৪)
Tafsir Ahsanul Bayaan
যখন ওদের নিকট ওদের সম্মুখ ও পশ্চাৎ দিক হতে রসূলগণ এসেছিল (এবং তারা বলেছিল), ‘তোমরা আল্লাহ ব্যতীত কারও উপাসনা করো না।’ তখন ওরা বলেছিল, ‘আমাদের প্রতিপালকের এরূপ ইচ্ছা হলে তিনি অবশ্যই ফিরিশতা প্রেরণ করতেন। অতএব তোমরা যা নিয়ে প্রেরিত হয়েছ আমরা তা প্রত্যাখ্যান করলাম।’ [১]
[১] অর্থাৎ, যেহেতু তুমি আমাদের মতনই মানুষ, তাই আমরা তোমাকে নবী মানতে পারি না। আল্লাহর নবী প্রেরণ করার প্রয়োজন হলে ফিরিশতা প্রেরণ করতেন; মানুষ নয়।
Tafsir Abu Bakr Zakaria
যখন তাদের কাছে তাদের সামনে ও পিছন থেকে রাসূলগণ এসে বলেছিলেন যে, 'তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদাত করো না।' তারা বলেছিল, 'যদি আমাদের রব ইচ্ছে করতেন তবে তিনি অবশ্যই ফেরেশতা নাযিল করতেন। অতএব তোমরা যা সহ প্রেরিত হয়েছ, নিশ্চয় আমরা তার সাথে কুফরী করলাম।'
Tafsir Bayaan Foundation
যখন তাদের অগ্র ও পশ্চাৎ থেকে রাসূলগণ তাদের কাছে এসে বলেছিল যে, ‘তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদাত করো না’। তারা বলেছিল, ‘যদি আমাদের রব ইচ্ছা করতেন তাহলে অবশ্যই ফেরেশতা নাযিল করতেন। অতএব, তোমাদেরকে যা দিয়ে পাঠানো হয়েছে নিশ্চয় আমরা তা প্রত্যাখ্যান করলাম।
Muhiuddin Khan
যখন তাদের কাছে রসূলগণ এসেছিলেন সম্মুখ দিক থেকে এবং পিছন দিক থেকে এ কথা বলতে যে, তোমরা আল্লাহ ব্যতীত কারও পূজা করো না। তারা বলেছিল, আমাদের পালনকর্তা ইচ্ছা করলে অবশ্যই ফেরেশতা প্রেরণ করতেন, অতএব, আমরা তোমাদের আনীত বিষয় অমান্য করলাম।
Zohurul Hoque
স্মরণ করো! রসূলগণ তাদের কাছে এসেছিলেন তাদের সামনে থেকে ও তাদের পেছন থেকে এই বলে -- ''আল্লাহ্ ব্যতীত কারো উপাসনা করো না।’’ তারা বলেছিল -- ''আমাদের প্রভু যদি ইচ্ছা করতেন তাহলে তিনি নিশ্চয়ই ফিরিশ্তাদের পাঠাতে পারতেন, সেজন্য তোমাদের যা দিয়ে পাঠানো হয়েছে আমরা আলবৎ তাতে অবিশ্বাসী।’’