Skip to content

সূরা হা-মীম সেজদাহ - Page: 5

Fussilat

(Fuṣṣilat)

৪১

اِنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا بِالذِّكْرِ لَمَّا جَاۤءَهُمْ ۗوَاِنَّهٗ لَكِتٰبٌ عَزِيْزٌ ۙ ٤١

inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
alladhīna
ٱلَّذِينَ
(তারা সেই লোক) যারা
kafarū
كَفَرُوا۟
মেনে নিতে অস্বীকার করেছে
bil-dhik'ri
بِٱلذِّكْرِ
কুরআনকে
lammā
لَمَّا
যখন
jāahum
جَآءَهُمْۖ
এসেছে তাদের কাছে
wa-innahu
وَإِنَّهُۥ
এবং নিশ্চয়ই তা
lakitābun
لَكِتَٰبٌ
অবশ্যই কিতাব
ʿazīzun
عَزِيزٌ
শক্তিমান
যারা তাদের কাছে উপদেশ বাণী আসার পর তা প্রত্যাখ্যান করে (তারা আমার থেকে লুক্কায়িত নয়)। এটা হল অবশ্যই এক মহা শক্তিশালী গ্রন্থ। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৪১)
ব্যাখ্যা
৪২

لَّا يَأْتِيْهِ الْبَاطِلُ مِنْۢ بَيْنِ يَدَيْهِ وَلَا مِنْ خَلْفِهٖ ۗتَنْزِيْلٌ مِّنْ حَكِيْمٍ حَمِيْدٍ ٤٢

لَّا
না
yatīhi
يَأْتِيهِ
তার কাছে আসতে পারে
l-bāṭilu
ٱلْبَٰطِلُ
অসত্য
min
مِنۢ
থেকে
bayni
بَيْنِ
সামনে
yadayhi
يَدَيْهِ
তার
walā
وَلَا
আর না
min
مِنْ
থেকে
khalfihi
خَلْفِهِۦۖ
তার পিছন
tanzīlun
تَنزِيلٌ
অবতীর্ণ করা (এই কুরআন)
min
مِّنْ
(আল্লাহর) পক্ষ হ'তে
ḥakīmin
حَكِيمٍ
(যিনি) প্রজ্ঞাময়
ḥamīdin
حَمِيدٍ
সুপ্রশংসিত
মিথ্যা এর কাছে না এর সামনে দিয়ে আসতে পারে, না এর পিছন দিয়ে। এটা অবতীর্ণ হয়েছে মহাজ্ঞানী, সকল প্রশংসার যোগ্য (আল্লাহ)’র পক্ষ হতে। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৪২)
ব্যাখ্যা
৪৩

مَا يُقَالُ لَكَ اِلَّا مَا قَدْ قِيْلَ لِلرُّسُلِ مِنْ قَبْلِكَ ۗاِنَّ رَبَّكَ لَذُوْ مَغْفِرَةٍ وَّذُوْ عِقَابٍ اَلِيْمٍ ٤٣

مَّا
(হে নাবী) না
yuqālu
يُقَالُ
বলা হচ্ছে
laka
لَكَ
তোমাকে
illā
إِلَّا
এ ব্যতীত
مَا
যা
qad
قَدْ
নিশ্চয়ই
qīla
قِيلَ
বলা হয়েছে
lilrrusuli
لِلرُّسُلِ
রাসূলগণকে
min
مِن
পূর্বে
qablika
قَبْلِكَۚ
তোমার
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
rabbaka
رَبَّكَ
তোমার রব
ladhū
لَذُو
অধিকারী
maghfiratin
مَغْفِرَةٍ
ক্ষমার অবশ্যই
wadhū
وَذُو
আবার অধিকারী
ʿiqābin
عِقَابٍ
শাস্তিদানের
alīmin
أَلِيمٍ
কষ্টদায়ক
তোমাকে তা-ই বলা হচ্ছে যা বলা হত তোমার পূর্ববর্তী রসূলদেরকে। তোমার প্রতিপালক অবশ্যই ক্ষমার অধিকারী, আর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তিদাতা। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৪৩)
ব্যাখ্যা
৪৪

وَلَوْ جَعَلْنٰهُ قُرْاٰنًا اَعْجَمِيًّا لَّقَالُوْا لَوْلَا فُصِّلَتْ اٰيٰتُهٗ ۗ ءَاَ۬عْجَمِيٌّ وَّعَرَبِيٌّ ۗ قُلْ هُوَ لِلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا هُدًى وَّشِفَاۤءٌ ۗوَالَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ فِيْٓ اٰذَانِهِمْ وَقْرٌ وَّهُوَ عَلَيْهِمْ عَمًىۗ اُولٰۤىِٕكَ يُنَادَوْنَ مِنْ مَّكَانٍۢ بَعِيْدٍ ࣖ ٤٤

walaw
وَلَوْ
এবং যদি
jaʿalnāhu
جَعَلْنَٰهُ
তা আমরা অবতীর্ণ করতাম
qur'ānan
قُرْءَانًا
(অর্থাৎ) কুরআন
aʿjamiyyan
أَعْجَمِيًّا
অনারবী (ভাষায়)
laqālū
لَّقَالُوا۟
অবশ্যই তারা বলতো
lawlā
لَوْلَا
"কেন না
fuṣṣilat
فُصِّلَتْ
বিশদভাবে বিবৃত হলো
āyātuhu
ءَايَٰتُهُۥٓۖ
তার আয়াতগুলো
āʿ'jamiyyun
ءَا۬عْجَمِىٌّ
(আশ্চর্য নয়) কি অনারবী (কুরআন)
waʿarabiyyun
وَعَرَبِىٌّۗ
আর আরবী (রাসূল ও তাঁর জাতি)"
qul
قُلْ
বলো
huwa
هُوَ
"তা (অর্থাৎ কুরআন)
lilladhīna
لِلَّذِينَ
(তাদের) জন্যে যারা
āmanū
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছে
hudan
هُدًى
পথনির্দেশনা
washifāon
وَشِفَآءٌۖ
ও ব্যাধির প্রতিকার"
wa-alladhīna
وَٱلَّذِينَ
এবং যারা
لَا
না
yu'minūna
يُؤْمِنُونَ
ঈমান আনে
فِىٓ
মধ্যে (আছে)
ādhānihim
ءَاذَانِهِمْ
তাদের কানগুলোর
waqrun
وَقْرٌ
এবং বধিরতা
wahuwa
وَهُوَ
এবং তা
ʿalayhim
عَلَيْهِمْ
তাদের উপর (আছে)
ʿaman
عَمًىۚ
অন্ধত্ব
ulāika
أُو۟لَٰٓئِكَ
ঐ সব লোককে
yunādawna
يُنَادَوْنَ
ডাকা হচ্ছে তাদেরকে যেন
min
مِن
হ'তে
makānin
مَّكَانٍۭ
স্থান
baʿīdin
بَعِيدٍ
দূরবর্তী"
আমি যদি একে অনারব ভাষায় (অবতীর্ণ) কুরআন করতাম তাহলে তারা অবশ্যই বলত- এর আয়াতগুলো সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হল না কেন? আশ্চর্য ব্যাপার! কিতাব হল অনারব দেশীয় আর শ্রোতারা হল আরবীভাষী। বল- যারা ঈমান আনে তাদের জন্য এ কুরআন সঠিক পথের দিশারী ও আরোগ্য (লাভের উপায়)। যারা ঈমান আনে না তাদের কানে আছে বধিরতা, আর এ কুরআন তাদের জন্য অন্ধত্ব। (যেন) বহু দূর থেকে তাদেরকে ডাকা হচ্ছে। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৪৪)
ব্যাখ্যা
৪৫

وَلَقَدْ اٰتَيْنَا مُوْسَى الْكِتٰبَ فَاخْتُلِفَ فِيْهِ ۗوَلَوْلَا كَلِمَةٌ سَبَقَتْ مِنْ رَّبِّكَ لَقُضِيَ بَيْنَهُمْ ۗوَاِنَّهُمْ لَفِيْ شَكٍّ مِّنْهُ مُرِيْبٍ ٤٥

walaqad
وَلَقَدْ
এবং নিশ্চয়ই
ātaynā
ءَاتَيْنَا
আমরা দিয়েছিলাম
mūsā
مُوسَى
মূসাকে
l-kitāba
ٱلْكِتَٰبَ
কিতাব
fa-ukh'tulifa
فَٱخْتُلِفَ
অতঃপর মতভেদ ঘটেছিলো
fīhi
فِيهِۗ
তার মধ্যে
walawlā
وَلَوْلَا
এবং না যদি (হতো)
kalimatun
كَلِمَةٌ
একটি কথা
sabaqat
سَبَقَتْ
পূর্ব নির্ধারিত
min
مِن
পক্ষ হ'তে
rabbika
رَّبِّكَ
তোমার রবের
laquḍiya
لَقُضِىَ
মীমাংসা করেই দেওয়া হতো
baynahum
بَيْنَهُمْۚ
তাদের মাঝে
wa-innahum
وَإِنَّهُمْ
এবং তারা নিশ্চয়ই
lafī
لَفِى
অবশ্যই মধ্যে আছে
shakkin
شَكٍّ
সন্দেহের
min'hu
مِّنْهُ
তা সম্বন্ধে
murībin
مُرِيبٍ
বিভ্রান্তিকর
(ইতোপূর্বে) মূসাকে আমি কিতাব দিয়েছিলাম, কিন্তু তাতে মতভেদ করা হয়েছিল। তোমার প্রতিপালক যদি পূর্বেই একটি কথা ঘোষণা করে না দিতেন, তাহলে তাদের মধ্যে (মতভেদের ব্যাপারে) ফয়সালা করেই দিতেন। তারা এ ব্যাপারে এক অস্থিরতাপূর্ণ সন্দেহে লিপ্ত। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৪৫)
ব্যাখ্যা
৪৬

مَنْ عَمِلَ صَالِحًا فَلِنَفْسِهٖ ۙوَمَنْ اَسَاۤءَ فَعَلَيْهَا ۗوَمَا رَبُّكَ بِظَلَّامٍ لِّلْعَبِيْدِ ۔ ٤٦

man
مَّنْ
যে
ʿamila
عَمِلَ
কাজ করবে
ṣāliḥan
صَٰلِحًا
সৎ
falinafsihi
فَلِنَفْسِهِۦۖ
(সে করবে) তা নিজের জন্যে
waman
وَمَنْ
এবং যে
asāa
أَسَآءَ
মন্দকর্ম করবে
faʿalayhā
فَعَلَيْهَاۗ
(পড়বে) তা তার উপর
wamā
وَمَا
আর নন
rabbuka
رَبُّكَ
তোমার রব
biẓallāmin
بِظَلَّٰمٍ
অত্যাচারী
lil'ʿabīdi
لِّلْعَبِيدِ
দাসদের উপর
যে সৎকাজ করবে নিজের কল্যাণেই করবে. যে অসৎ কাজ করবে তার পরিণতি তাকেই ভোগ করতে হবে। তোমার প্রতিপালক বান্দাদের প্রতি যালিম নন। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৪৬)
ব্যাখ্যা
৪৭

۞ اِلَيْهِ يُرَدُّ عِلْمُ السَّاعَةِ ۗوَمَا تَخْرُجُ مِنْ ثَمَرٰتٍ ِمّنْ اَكْمَامِهَا وَمَا تَحْمِلُ مِنْ اُنْثٰى وَلَا تَضَعُ اِلَّا بِعِلْمِهٖ ۗوَيَوْمَ يُنَادِيْهِمْ اَيْنَ شُرَكَاۤءِيْۙ قَالُوْٓا اٰذَنّٰكَ مَا مِنَّا مِنْ شَهِيْدٍ ۚ ٤٧

ilayhi
إِلَيْهِ
তাঁরই কাছে
yuraddu
يُرَدُّ
ন্যস্ত রয়েছে
ʿil'mu
عِلْمُ
জ্ঞান
l-sāʿati
ٱلسَّاعَةِۚ
ক্বিয়ামাতের (অর্থাৎ তিনিই জানেন কখন তা হবে)
wamā
وَمَا
এবং না
takhruju
تَخْرُجُ
বের হয়
min
مِن
কোনো
thamarātin
ثَمَرَٰتٍ
ফলসমূহ
min
مِّنْ
হ'তে
akmāmihā
أَكْمَامِهَا
তার আবরণ
wamā
وَمَا
আর না
taḥmilu
تَحْمِلُ
গর্ভধারণ করে
min
مِنْ
কোন
unthā
أُنثَىٰ
নারী
walā
وَلَا
আর না
taḍaʿu
تَضَعُ
প্রসব করে সে
illā
إِلَّا
এ ব্যতীত
biʿil'mihi
بِعِلْمِهِۦۚ
তাঁর জানা (আছে)
wayawma
وَيَوْمَ
এবং যে দিন
yunādīhim
يُنَادِيهِمْ
তাদের তিনি ডেকে বলবেন
ayna
أَيْنَ
"কোথায়
shurakāī
شُرَكَآءِى
আমার শরিকরা
qālū
قَالُوٓا۟
তারা বলবে
ādhannāka
ءَاذَنَّٰكَ
"আপনাকে নিবেদন করছি
مَا
(আজ) নেই
minnā
مِنَّا
আমাদের মধ্যে
min
مِن
কোনো
shahīdin
شَهِيدٍ
সাক্ষী (শরিকের পক্ষে)"
ক্বিয়ামত কখন সংঘটিত হবে সে সম্পর্কিত জ্ঞান একমাত্র তাঁর কাছেই আছে। কোন ফলই তার আবরণ থেকে বেরিয়ে আসে না, এবং কোন নারী গর্ভধারণ করে না আর সন্তান প্রসব করে না তাঁর অজ্ঞাতে। যে দিন তিনি তাদেরকে ডেকে বলবেন- আমার শরীকরা কোথায় (তোমরা যেগুলো বানিয়ে নিয়েছিলে)? তারা বলবে- আপনাকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে, (আজ) আমাদের কেউ (আপনার শরীক থাকার ব্যাপারে) সাক্ষ্য দাতা হবে না। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৪৭)
ব্যাখ্যা
৪৮

وَضَلَّ عَنْهُمْ مَّا كَانُوْا يَدْعُوْنَ مِنْ قَبْلُ وَظَنُّوْا مَا لَهُمْ مِّنْ مَّحِيْصٍ ٤٨

waḍalla
وَضَلَّ
এবং হারিয়ে যাবে
ʿanhum
عَنْهُم
তাদের থেকে
مَّا
(ঐসব ইলাহ) যাদেরকে
kānū
كَانُوا۟
তারা
yadʿūna
يَدْعُونَ
ডাকতে থাকতো
min
مِن
পূর্বে
qablu
قَبْلُۖ
ইতি
waẓannū
وَظَنُّوا۟
এবং তারা ভাববে
مَا
নেই
lahum
لَهُم
তাদের জন্যে (আছে)
min
مِّن
কোনো
maḥīṣin
مَّحِيصٍ
নিষ্কৃতি
পূর্বে তারা যাদেরকে ডাকত তারা তাদের থেকে উধাও হয়ে যাবে, আর তারা বুঝতে পারবে যে, তাদের পালানোর কোন জায়গা নেই। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৪৮)
ব্যাখ্যা
৪৯

لَا يَسْـَٔمُ الْاِنْسَانُ مِنْ دُعَاۤءِ الْخَيْرِۖ وَاِنْ مَّسَّهُ الشَّرُّ فَيَـُٔوْسٌ قَنُوْطٌ ٤٩

لَّا
না
yasamu
يَسْـَٔمُ
ক্লান্ত হয়
l-insānu
ٱلْإِنسَٰنُ
মানুষ
min
مِن
থেকে
duʿāi
دُعَآءِ
দুআ
l-khayri
ٱلْخَيْرِ
ধন-সম্পদের (অথবা কল্যাণের)
wa-in
وَإِن
আর যদি
massahu
مَّسَّهُ
তাকে স্পর্শ করে
l-sharu
ٱلشَّرُّ
দুঃখদৈন্য
fayaūsun
فَيَـُٔوسٌ
তখন হতাশ হয়
qanūṭun
قَنُوطٌ
নিরাশ (হয়)
মানুষ নিজের কল্যাণ কামনায় দু‘আ প্রার্থনা করতে ক্লান্ত হয় না, আর মন্দ যখন তাকে স্পর্শ করে, তখন সে নৈরাশ্যে ডুবে যায়। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৪৯)
ব্যাখ্যা
৫০

وَلَىِٕنْ اَذَقْنٰهُ رَحْمَةً مِّنَّا مِنْۢ بَعْدِ ضَرَّاۤءَ مَسَّتْهُ لَيَقُوْلَنَّ هٰذَا لِيْۙ وَمَآ اَظُنُّ السَّاعَةَ قَاۤىِٕمَةًۙ وَّلَىِٕنْ رُّجِعْتُ اِلٰى رَبِّيْٓ اِنَّ لِيْ عِنْدَهٗ لَلْحُسْنٰىۚ فَلَنُنَبِّئَنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا بِمَا عَمِلُوْاۖ وَلَنُذِيْقَنَّهُمْ مِّنْ عَذَابٍ غَلِيْظٍ ٥٠

wala-in
وَلَئِنْ
কিন্তু অবশ্য যদি
adhaqnāhu
أَذَقْنَٰهُ
আমরা তাকে আস্বাদন করাই
raḥmatan
رَحْمَةً
অনুগ্রহের
minnā
مِّنَّا
আমাদের পক্ষ হতে
min
مِنۢ
মধ্য হতে
baʿdi
بَعْدِ
পরে
ḍarrāa
ضَرَّآءَ
বিপদাপদের
massathu
مَسَّتْهُ
(যা) তাকে স্পর্শ করেছিলো
layaqūlanna
لَيَقُولَنَّ
সে বলে অবশ্যই
hādhā
هَٰذَا
"এটা
لِى
আমারই (প্রাপ্য)
wamā
وَمَآ
এবং (বলে) না
aẓunnu
أَظُنُّ
মনে করি আমি
l-sāʿata
ٱلسَّاعَةَ
ক্বিয়ামাত
qāimatan
قَآئِمَةً
ঘটবে
wala-in
وَلَئِن
এবং অবশ্যই যদি
rujiʿ'tu
رُّجِعْتُ
প্রত্যাবর্তিত হই আমি
ilā
إِلَىٰ
দিকে
rabbī
رَبِّىٓ
আমার রবের
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
لِى
আমার জন্যে
ʿindahu
عِندَهُۥ
তাঁর কাছে (থাকবে)
lalḥus'nā
لَلْحُسْنَىٰۚ
অবশ্যই খুব কল্যাণ"
falanunabbi-anna
فَلَنُنَبِّئَنَّ
আমরা অথচ জানিয়ে দিবোই
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
kafarū
كَفَرُوا۟
অস্বীকার করেছে
bimā
بِمَا
ঐ বিষয়ে যা
ʿamilū
عَمِلُوا۟
তারা কাজ করেছিলো
walanudhīqannahum
وَلَنُذِيقَنَّهُم
এবং তাদেরকে আমরা অবশ্যই আস্বাদন করাবোই
min
مِّنْ
থেকে
ʿadhābin
عَذَابٍ
শাস্তি
ghalīẓin
غَلِيظٍ
কঠিন
দুঃখ-বিপদ মানুষকে স্পর্শ করার পর আমি যখন তাকে আমার অনুগ্রহ আস্বাদন করাই তখন সে অবশ্য অবশ্যই বলে- এটা আমার ন্যায্য পাওনা। ক্বিয়ামত যে সংঘটিত হবে আমি মোটেই তা মনে করি না। আর যদি আমাকে আমার প্রতিপালকের নিকট ফিরিয়ে নেয়া হয়ই, তবে তাঁর কাছে আমার জন্য অবশ্যই কল্যাণ আছে। অতঃপর আমি কাফিরদেরকে অবশ্য অবশ্যই জানিয়ে দেব তারা (দুনিয়াতে) কী কাজ করেছিল। আর অবশ্য অবশ্যই তাদেরকে আমি কঠিন শাস্তি আস্বাদন করাব। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৫০)
ব্যাখ্যা