সূরা হা-মীম সেজদাহ - শব্দ দ্বারা শব্দ

حٰمۤ ۚ ١

হা-মীম। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ১)

تَنْزِيْلٌ مِّنَ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ۚ ٢

পরম দয়াময়, পরম দয়ালুর নিকট হতে অবতীর্ণ। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ২)

كِتٰبٌ فُصِّلَتْ اٰيٰتُهٗ قُرْاٰنًا عَرَبِيًّا لِّقَوْمٍ يَّعْلَمُوْنَۙ ٣

এক কিতাব, যার আয়াতগুলো বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যাকৃত, আরবী ভাষার কুরআন, জ্ঞানসম্পন্ন মানুষদের জন্য। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৩)

بَشِيْرًا وَّنَذِيْرًاۚ فَاَعْرَضَ اَكْثَرُهُمْ فَهُمْ لَا يَسْمَعُوْنَ ٤

সুসংবাদবাহী ও সাবধানকারী। কিন্তু ওদের অধিকাংশই (এ কুরআন থেকে) মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, কাজেই ওরা শুনবে না। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৪)

وَقَالُوْا قُلُوْبُنَا فِيْٓ اَكِنَّةٍ مِّمَّا تَدْعُوْنَآ اِلَيْهِ وَفِيْٓ اٰذَانِنَا وَقْرٌ وَّمِنْۢ بَيْنِنَا وَبَيْنِكَ حِجَابٌ فَاعْمَلْ اِنَّنَا عٰمِلُوْنَ ٥

তারা বলে, তুমি আমাদেরকে যার দিকে ডাক দিচ্ছ তাত্থেকে আমাদের দিল আবরণে ঢাকা আছে, আর আমাদের কানে আছে বধিরতা, আমাদের আর তোমাদের মাঝে আছে এক পর্দা (অর্থাৎ তোমার দীন প্রচারের কারণে আমাদের ও তোমাদের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটে গেছে), কাজেই তুমি তোমার কাজ কর, আমরা আমাদের কাজ করি। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৫)

قُلْ اِنَّمَآ اَنَا۟ بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوْحٰىٓ اِلَيَّ اَنَّمَآ اِلٰهُكُمْ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ فَاسْتَقِيْمُوْٓا اِلَيْهِ وَاسْتَغْفِرُوْهُ ۗوَوَيْلٌ لِّلْمُشْرِكِيْنَۙ ٦

বল, আমি তোমাদের মতই একজন মানুষ। (পার্থক্য শুধু এই যে) আমার কাছে ওয়াহী করা হয় যে, তোমাদের ইলাহ কেবল এক ইলাহ; কাজেই তোমরা তাঁরই সরল সঠিক পথে চল, তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। ধ্বংস তাদের জন্য যারা আল্লাহর সাথে অন্যদেরকে শরীক গণ্য করে। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৬)

الَّذِيْنَ لَا يُؤْتُوْنَ الزَّكٰوةَ وَهُمْ بِالْاٰخِرَةِ هُمْ كٰفِرُوْنَ ٧

যারা যাকাত দেয় না, আর তারা আখিরাত অমান্য করে। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৭)

اِنَّ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَهُمْ اَجْرٌ غَيْرُ مَمْنُوْنٍ ࣖ ٨

যারা ঈমান আনে আর নেক কাজ করে, তাদের জন্য আছে এমন পুরস্কার যা কোন দিনও বন্ধ হবে না। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৮)

۞ قُلْ اَىِٕنَّكُمْ لَتَكْفُرُوْنَ بِالَّذِيْ خَلَقَ الْاَرْضَ فِيْ يَوْمَيْنِ وَتَجْعَلُوْنَ لَهٗٓ اَنْدَادًا ۗذٰلِكَ رَبُّ الْعٰلَمِيْنَ ۚ ٩

বল- তোমরা কি তাঁকে অস্বীকারই করছ যিনি যমীনকে সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে আর তাঁর সমকক্ষ বানাচ্ছ? তিনিই তো বিশ্বজগতের রব্ব। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৯)

وَجَعَلَ فِيْهَا رَوَاسِيَ مِنْ فَوْقِهَا وَبٰرَكَ فِيْهَا وَقَدَّرَ فِيْهَآ اَقْوَاتَهَا فِيْٓ اَرْبَعَةِ اَيَّامٍۗ سَوَاۤءً لِّلسَّاۤىِٕلِيْنَ ١٠

(যমীন সৃষ্টির পর) তার বুকে তিনি সৃদৃঢ় পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, যমীনকে বরকতমন্ডিত করেছেন আর তাতে প্রার্থীদের প্রয়োজন মুতাবেক নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্য সঞ্চিত করেছেন চার দিনে। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ১০)