কুরআন মজীদ সূরা আন নিসা আয়াত ৭৭
Qur'an Surah An-Nisa Verse 77
আন নিসা [৪]: ৭৭ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ
اَلَمْ تَرَ اِلَى الَّذِيْنَ قِيْلَ لَهُمْ كُفُّوْٓا اَيْدِيَكُمْ وَاَقِيْمُوا الصَّلٰوةَ وَاٰتُوا الزَّكٰوةَۚ فَلَمَّا كُتِبَ عَلَيْهِمُ الْقِتَالُ اِذَا فَرِيْقٌ مِّنْهُمْ يَخْشَوْنَ النَّاسَ كَخَشْيَةِ اللّٰهِ اَوْ اَشَدَّ خَشْيَةً ۚ وَقَالُوْا رَبَّنَا لِمَ كَتَبْتَ عَلَيْنَا الْقِتَالَۚ لَوْلَآ اَخَّرْتَنَآ اِلٰٓى اَجَلٍ قَرِيْبٍۗ قُلْ مَتَاعُ الدُّنْيَا قَلِيْلٌۚ وَالْاٰخِرَةُ خَيْرٌ لِّمَنِ اتَّقٰىۗ وَلَا تُظْلَمُوْنَ فَتِيْلًا (النساء : ٤)
- alam
- أَلَمْ
- Have not
- নাই কি
- tara
- تَرَ
- you seen
- তুমি দেখ
- ilā
- إِلَى
- [towards]
- প্রতি
- alladhīna
- ٱلَّذِينَ
- those who
- যাদের
- qīla
- قِيلَ
- (when) it was said
- বলা হয়েছিল
- lahum
- لَهُمْ
- to them
- তাদেরকে
- kuffū
- كُفُّوٓا۟
- "Restrain
- ''সংবরণ কর (তোমরা)
- aydiyakum
- أَيْدِيَكُمْ
- your hands
- তোমাদের হাতগুলো
- wa-aqīmū
- وَأَقِيمُوا۟
- and establish
- ও তোমরা কায়েম কর
- l-ṣalata
- ٱلصَّلَوٰةَ
- the prayer
- সলাত
- waātū
- وَءَاتُوا۟
- and give
- ও তোমরা দাও
- l-zakata
- ٱلزَّكَوٰةَ
- the zakah?"
- জাকাত''
- falammā
- فَلَمَّا
- Then when
- যখন অতঃপর
- kutiba
- كُتِبَ
- was ordained
- নির্দেশ দেয়া হলো
- ʿalayhimu
- عَلَيْهِمُ
- on them
- তাদের উপর
- l-qitālu
- ٱلْقِتَالُ
- the fighting
- যুদ্ধের
- idhā
- إِذَا
- then
- তখন
- farīqun
- فَرِيقٌ
- a group
- একদল
- min'hum
- مِّنْهُمْ
- of them
- তাদের মধ্য হতে
- yakhshawna
- يَخْشَوْنَ
- [they] fear
- ভয় করেছে
- l-nāsa
- ٱلنَّاسَ
- the people
- মানুষকে
- kakhashyati
- كَخَشْيَةِ
- as (they) fear
- ভয় যেমন (করা উচিৎ)
- l-lahi
- ٱللَّهِ
- Allah
- আল্লাহকে
- aw
- أَوْ
- or
- বা
- ashadda
- أَشَدَّ
- more intense
- অধিকতর
- khashyatan
- خَشْيَةًۚ
- fear
- ভয়
- waqālū
- وَقَالُوا۟
- and they said
- এবং তারা বলেছিল
- rabbanā
- رَبَّنَا
- "Our Lord
- ''হে আমাদের রব
- lima
- لِمَ
- why
- কেন
- katabta
- كَتَبْتَ
- have You ordained
- তুমি নির্ধারিত করলে
- ʿalaynā
- عَلَيْنَا
- upon us
- আমাদের উপর
- l-qitāla
- ٱلْقِتَالَ
- [the] fighting?
- যুদ্ধ
- lawlā
- لَوْلَآ
- Why not
- না কেন
- akhartanā
- أَخَّرْتَنَآ
- You postpone (it for) us
- আমাদের অবকাশ দিলে
- ilā
- إِلَىٰٓ
- to
- পর্যন্ত
- ajalin
- أَجَلٍ
- a term"
- কাল''
- qarībin
- قَرِيبٍۗ
- near"
- আরও কিছু''
- qul
- قُلْ
- Say
- বল
- matāʿu
- مَتَٰعُ
- "Enjoyment
- ''সম্ভোগ
- l-dun'yā
- ٱلدُّنْيَا
- (of) the world
- দুনিয়ার
- qalīlun
- قَلِيلٌ
- (is) little
- অতি সামান্য
- wal-ākhiratu
- وَٱلْءَاخِرَةُ
- and the Hereafter
- আর আখিরাত
- khayrun
- خَيْرٌ
- (is) better
- উত্তম
- limani
- لِّمَنِ
- for whoever
- (তার) জন্য যে
- ittaqā
- ٱتَّقَىٰ
- fears (Allah)
- ভয় করে (আল্লাহকে)
- walā
- وَلَا
- and not
- এবং না
- tuẓ'lamūna
- تُظْلَمُونَ
- you will be wronged
- তোমাদেরকে জুলুম করা হবে
- fatīlan
- فَتِيلًا
- (even as much as) a hair on a date-seed"
- একবিন্দুও''
Transliteration:
Alam tara ilal lazeena qeela lahum kuffooo aidiyakum wa aqeemus Salaata w aaatuz Zakaata falammaa kutiba 'alaihimul qitaalu izaa fareequm minhum yakhshawnnan naasa kakhashyatil laahi aw ashadda khashyah; wa qaaloo Rabbanaa lima katabta 'alainal qitaala law laaa akhkhartanaa ilaaa ajalin qareeb; qul mataa'ud dunyaa qaleelunw wal Aakhiratu khairul limanit taqaa wa laa tuzlamoona fateelaa(QS. an-Nisāʾ:77)
English Sahih International:
Have you not seen those who were told, "Restrain your hands [from fighting] and establish prayer and give Zakah"? But then when battle was ordained for them, at once a party of them feared men as they fear Allah or with [even] greater fear. They said, "Our Lord, why have You decreed upon us fighting? If only You had postponed [it for] us for a short time." Say, "The enjoyment of this world is little, and the Hereafter is better for he who fears Allah. And injustice will not be done to you, [even] as much as a thread [inside a date seed]." (QS. An-Nisa, Ayah ৭৭)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যাদেরকে বলা হয়েছিল, তোমরা তোমাদের হাত সংযত রাখ, নামায কায়িম কর এবং যাকাত দাও? অতঃপর যখন তাদের প্রতি জিহাদ ফরয করা হল, তখন তাদের একদল মানুষকে এমন ভয় করতে লাগল যেমন আল্লাহকে ভয় করা উচিত, বরং তার চেয়েও বেশী এবং বলতে লাগল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! কেন আমাদের প্রতি জিহাদ ফরয করলে, আমাদেরকে আরও কিছু অবসর দিলে না কেন?’ বল, ‘পার্থিব ভোগ সামান্য, যে তাকওয়া অবলম্বন করে তার জন্য আখিরাতই উত্তম, তোমাদের প্রতি বিন্দুমাত্র অন্যায় করা হবে না।’ (আন নিসা, আয়াত ৭৭)
Tafsir Ahsanul Bayaan
তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যাদেরকে বলা হয়েছিল, ‘তোমরা তোমাদের হস্ত সংবরণ কর, (যুদ্ধ বন্ধ কর,) যথাযথভাবে নামায পড় এবং যাকাত দাও।’ অতঃপর যখন তাদেরকে যুদ্ধের বিধান দেওয়া হল, তখন তাদের একদল আল্লাহকে ভয় করার মত অথবা তার অপেক্ষা অধিক মানুষকে ভয় করতে লাগল। আর তারা বলল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জন্য যুদ্ধের বিধান কেন দিলে?[১] কেন আমাদেরকে আর কিছু কালের অবকাশ দিলে না?’[২] বল, ‘পার্থিব ভোগ অতি সামান্য এবং যে ধর্মভীরু তার জন্য পরকালই উত্তম। আর তোমাদের প্রতি খেজুরের আঁটির ফাটলে সুতো বরাবর (সামান্য পরিমাণ)ও যুলুম করা হবে না।’
[১] মক্কায় মুসলিমদের সংখ্যা ও যুদ্ধসামগ্রীর স্বল্পতার কারণে যুদ্ধ করার মত যোগ্যতা ছিল না। তাই তাদের যুদ্ধ করার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে তা থেকে বিরত রাখা হয় এবং দু'টি বিষয়ের প্রতি তাদেরকে তাকীদ করা হয়। প্রথমঃ কাফেরদের অত্যাচারমূলক আচরণকে ধৈর্য ও হিম্মতের সাথে সহ্য করে তাদের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন কর। আর দ্বিতীয়টি হল নামায, যাকাত সহ অন্যান্য ইসলামী নির্দেশাবলীর উপর আমল করার প্রতি যত্ন নাও। যাতে সুদৃঢ় ভিত্তির উপর আল্লাহর সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে হিজরতের পর মদীনায় যখন মুসলিমদের সম্মিলিত শক্তি প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন তাঁদেরকে জিহাদ করার অনুমতি দেওয়া হয়। আর এই অনুমতি পাওয়ার পর কেউ কেউ দুর্বলতা ও উদ্যমহীনতা প্রকাশ করে। তাই আয়াতে তাদেরকে তাদের মক্কী জীবনের আকাঙ্ক্ষার কথা স্মরণ করিয়ে বলা হচ্ছে যে, এখন এই মুসলিমরা জিহাদের নির্দেশ শুনে ভীত-সন্ত্রস্ত কেন অথচ জিহাদের এই নির্দেশ তো তাদের ইচ্ছানুযায়ী দেওয়া হয়েছে?
কুরআনের আয়াতের অপব্যাখ্যাঃ আয়াতের প্রথম অংশ যাতে বলা হয়েছে, 'তোমরা তোমাদের হস্ত সংবরণ কর এবং যথাযথভাবে নামায পড়।' কেউ কেউ এটাকে দলীল বানিয়ে বলে যে, নামাযে রুকূ থেকে উঠার সময় হাত দু'টিকে (কাঁধ বা কান পর্যন্ত) উঠানো নিষেধ। কেননা, মহান আল্লাহ কুরআনে নামাযের অবস্থায় হাতকে সংযত রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। এটা সীমাহীন বিভ্রান্তিকর এবং অপ্রাসঙ্গিক অন্তঃসারশূন্য প্রতিপাদন। এতে তারা আয়াতের শাব্দিক এবং আর্থিক উভয় প্রকারের পরিবর্তনও ঘটিয়েছে! নাঊযু বিল্লাহি মিন যালিক।
[২] এই আয়াতের দ্বিতীয় আর এক অর্থ হল, কেন এই নির্দেশকে আরো কিছু দিনের জন্য বিলম্ব করা হল না। অর্থাৎ, اَجَلٍ قَرِيْبٍ এর অর্থ মৃত্যু অথবা জিহাদ ফরয হওয়ার সময়কাল। (তাফসীর ইবনে কাসীর)
Tafsir Abu Bakr Zakaria
আপনি তাদেরকে দেখেননি যাদেরকে বলা হয়েছিল, ‘তোমরা তোমাদের হস্ত সংবরণ কর, সালাত কায়েম কর [১] এবং যাকাত দাও [২] ?’ অতঃপর যখন তাদেরকে যুদ্ধের বিধান দেয়া হল তখন তাদের একদল মানুষকে ভয় করছিল আল্লাহকে ভয় করার মত অথবা তারচেয়েও বেশী এবং বলল, ‘হে আমাদের রব! আমাদের জন্য যুদ্ধের বিধান কেন দিলেন? আমাদেরকে কিছু দিনের অবকাশ কেন দিলেন না?’ [৩] বলুন, ‘পার্থিব ভোগ সামান্য [৪] এবং যে তাকওয়া অবলম্বন করে তার জন্য আখেরাতই উত্তম [৫]। আর তোমাদের প্রতি সামান্য পরিমাণও যুলুম করা হবে না’।
এগারতম রুকূ‘
[১] ইমাম যুহরী বলেন, সালাত কায়েম করার অর্থ, পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের প্রত্যেকটিকে তার নির্ধারিত সময়ে আদায় করা। [আত-তাফসীরুস সহীহ]
[২] আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, আব্দুর রহমান ইবন আউফ রাদিয়াল্লাহু আনহু এবং তার কয়েকজন সাথী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমরা যখন মুশরিক ছিলাম তখন আমরা সম্মানিত ছিলাম। কিন্তু যখন ঈমান আনলাম তখন আমাদেরকে অসম্মানিত হতে হচ্ছে। একথা শুনে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ‘আমি ক্ষমা করতে নির্দেশিত হয়েছি, সুতরাং তোমরা যুদ্ধ করো না। তারপর যখন আল্লাহ তাকে মদীনায় হিজরত করালেন এবং যুদ্ধের নির্দেশ দেয়া হল তখন তাদের কেউ কেউ যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকল। তখন আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত নাযিল করেন। [নাসায়ী; ৩০৮৬; মুস্তাদরাকে হাকিমঃ ২/৬৭, ৩০৬]
[৩] সুদ্দী বলেন, তারা ‘কিছুদিনের অবকাশ’ বলে মৃত্যু পর্যন্ত সময় চাচ্ছিল। অর্থাৎ তারা যেন বলছে যে, তাদের মৃত্যু হয়ে গেলে তারপর এ আয়াত নাযিল হওয়ার দরকার ছিল। [আত-তাফসীরুস সহীহ]
[৪] হাসান বসরী এ আয়াত পাঠ করে বলেন, ঐ বান্দাকে আল্লাহ রহমত করুন, যে দুনিয়াকে এ আয়াত অনুযায়ী সঙ্গী বানিয়েছে। দুনিয়ার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত উদাহরণ হচ্ছে, সে ব্যক্তির ন্যায়, যে একটি ঘুম দিল, ঘুমের মধ্যে সে কিছু ভাল স্বপ্ন দেখল, তারপর তার ঘুম ভেঙ্গে গেল। আত-তাফসীরুস সহীহ]
[৫] আয়াতে দুনিয়ার নেয়ামতের তুলনায় আখেরাতের নেয়ামতসমূহকে উত্তম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তার কয়েকটি কারণ রয়েছে;
দুনিয়ার নেয়ামত অল্প এবং আখেরাতের নেয়ামত অধিক।
দুনিয়ার নেয়ামত ক্ষণস্থায়ী এবং আখেরাতের নেয়ামত অনন্ত-অফুরন্ত।
দুনিয়ার নেয়ামতসমূহের সাথে নানা রকম অস্থিরতাও রয়েছে, কিন্তু আখেরাতের নেয়ামত এ সমস্ত জঞ্জালমুক্ত।
দুনিয়ার নেয়ামত লাভ অনিশ্চিত, কিন্তু আখেলাতের নেয়ামত প্রত্যেক মুত্তাকী ব্যক্তির জন্য একান্ত নিশ্চিত। [তাফসীরে কাবীর]
Tafsir Bayaan Foundation
তুমি কি তাদেরকে দেখনি যাদেরকে বলা হয়েছিল, তোমরা তোমাদের হাত গুটিয়ে নাও এবং সালাত কায়েম কর ও যাকাত প্রদান কর? অতঃপর তাদের উপর যখন লড়াই ফরয করা হল, তখন তাদের একদল মানুষকে ভয় করতে লাগল আল্লাহকে ভয় করার অনুরূপ অথবা তার চেয়ে কঠিন ভয়। আর বলল, ‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদের উপর লড়াই ফরয করলেন কেন? আমাদেরকে কেন আরো কিছুকালের অবকাশ দিলেন না’? বল, ‘দুনিয়ার সুখ সামান্য। আর যে তাকওয়া অবলম্বন করে তার জন্য আখিরাত উত্তম। আর তোমাদের প্রতি সূতা পরিমাণ যুলমও করা হবে না’।
Muhiuddin Khan
তুমি কি সেসব লোককে দেখনি, যাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, তোমরা নিজেদের হাতকে সংযত রাখ, নামায কায়েম কর এবং যাকাত দিতে থাক? অতঃপর যখন তাদের প্রতি জেহাদের নির্দেশ দেয়া হল, তৎক্ষণাৎ তাদের মধ্যে একদল লোক মানুষকে ভয় করতে আরম্ভ করল, যেমন করে ভয় করা হয় আল্লাহকে। এমন কি তার চেয়েও অধিক ভয়। আর বলতে লাগল, হায় পালনকর্তা, কেন আমাদের উপর যুদ্ধ ফরজ করলে! আমাদেরকে কেন আরও কিছুকাল অবকাশ দান করলে না। ( হে রসূল) তাদেরকে বলে দিন, পার্থিব ফায়দা সীমিত। আর আখেরাত পরহেযগারদের জন্য উত্তম। আর তোমাদের অধিকার একটি সূতা পরিমান ও খর্ব করা হবে না।
Zohurul Hoque
''যেখানেই তোমরা থাকো মৃত্যু তোমাদের ধরবেই, যদিও তোমরা উঁচু দুর্গে অবস্থান করো।’’ আর যদি ভালো কিছু তাদের জন্য ঘটে তারা বলে, ''এ আল্লাহ্র তরফ থেকে।’’ আর যদি খারাপ কিছু তাদের জন্য ঘটে তারা বলে, ''এ তোমার কাছ থেকে।’’ তুমি বলো, ''সবই আল্লাহ্র কাছ থেকে।’’ কিন্তু কি হয়েছে এই লোকদের, এরা একথা বুঝবার কোনো চেষ্টা করে না?