Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা ফাতির আয়াত ৪২

Qur'an Surah Fatir Verse 42

ফাতির [৩৫]: ৪২ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

وَاَقْسَمُوْا بِاللّٰهِ جَهْدَ اَيْمَانِهِمْ لَىِٕنْ جَاۤءَهُمْ نَذِيْرٌ لَّيَكُوْنُنَّ اَهْدٰى مِنْ اِحْدَى الْاُمَمِۚ فَلَمَّا جَاۤءَهُمْ نَذِيْرٌ مَّا زَادَهُمْ اِلَّا نُفُوْرًاۙ (فاطر : ٣٥)

wa-aqsamū
وَأَقْسَمُوا۟
And they swore
এবং তারা শপথ করে
bil-lahi
بِٱللَّهِ
by Allah
আল্লাহর (নামে)
jahda
جَهْدَ
(the) strongest
কড়া
aymānihim
أَيْمَٰنِهِمْ
(of) their oaths
তাদের শপথসমূহ
la-in
لَئِن
that if
অবশ্যই যদি
jāahum
جَآءَهُمْ
came to them
তাদের কাছে আসেন
nadhīrun
نَذِيرٌ
a warner
কোনো সতর্ককারী
layakūnunna
لَّيَكُونُنَّ
surely they would be
তারা হবে অবশ্যই
ahdā
أَهْدَىٰ
more guided
অধিকতর সৎপথে
min
مِنْ
than
চেয়েও
iḥ'dā
إِحْدَى
any
যে কোনোটির
l-umami
ٱلْأُمَمِۖ
(of) the nations
(অন্যান্য) জাতিগুলোর
falammā
فَلَمَّا
But when
অতঃপর যখন
jāahum
جَآءَهُمْ
came to them
তাদের কাছে আসলেন
nadhīrun
نَذِيرٌ
a warner
সতর্ককারী
مَّا
not
না
zādahum
زَادَهُمْ
it increased them
তাদের বৃদ্ধি করেছে
illā
إِلَّا
but
এ ছাড়া
nufūran
نُفُورًا
(in) aversion
পালনো

Transliteration:

Wa aqsamoo billaahi jahda aymaanihim la'in jaaa'ahum nazeerul layakoonunna ahdaa min ihdal umami falam maa jaaa'ahum nazeerum maa zaadahum illaa nufooraa (QS. Fāṭir:42)

English Sahih International:

And they swore by Allah their strongest oaths that if a warner came to them, they would be more guided than [any] one of the [previous] nations. But when a warner came to them, it did not increase them except in aversion (QS. Fatir, Ayah ৪২)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আর তারা (অর্থাৎ মক্কার মুশরিকরা) শক্তভাবে কসম খেয়ে বলত যে, তাদের কাছে সতর্ককারী আসলে তারা অন্য যে কোন সম্প্রদায়ের চেয়ে অবশ্য অবশ্যই সৎ পথের অধিক অনুসারী হয়ে যাবে। কিন্তু তাদের কাছে যখন সতর্ককারী আসল, তা বাড়িয়েই তুলল তাদের ঘৃণা, (ফাতির, আয়াত ৪২)

Tafsir Ahsanul Bayaan

এরা দৃঢ়তার সাথে আল্লাহর শপথ করে বলত যে, এদের নিকট কোন সতর্ককারী এলে এরা অবশ্যই অন্য সকল সম্প্রদায় অপেক্ষা অধিকতর সৎপথের অনুসারী হবে;[১] কিন্তু এদের নিকট যখন সতর্ককারী এল,[২] তখন তা কেবল এদের বিমুখতাই বৃদ্ধি করল।

[১] এখানে আল্লাহ তাআলা বর্ণনা করছেন যে, নবী মুহাম্মাদ (সাঃ)-কে প্রেরণের পূর্বে এই আরববাসী মুশরিকরা শপথ করে বলত যে, যদি আমাদের নিকট কোন রসূল আসে, তবে আমরা তাঁকে সবাগত জানাব এবং তাঁর প্রতি ঈমান আনাতে এক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করব। এই বিষয়টি অন্য স্থানেও বর্ণনা করা হয়েছে; যেমন সূরা আনআম ৬;১৫৬-১৫৭ আয়াত, স্বাফ্ফাত ৩৭;১৬৭-১৭০ আয়াত।

[২] অর্থাৎ, মুহাম্মাদ (সাঃ) যখন তাদের নিকট নবী হয়ে এলেন, যাঁর তারা আকাঙ্ক্ষী ছিল।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

আর তারা দৃঢ়তার সাথে আল্লাহর শপথ করে বলত যে, তাদের কাছে কোন সতর্কাকারী আসলে এরা অন্য সকল জাতির চেয়ে সৎপথের অধিকতর অনুসারী হবে; অতঃপর যখন এদের কাছে সতর্ককারী আসল [১], তখন তা শুধু তাদের বিমুখতা ও দূরত্বই বৃদ্ধি করল---

[১] অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। [তাবারী]

Tafsir Bayaan Foundation

আর তারা দৃঢ়তার সাথে আল্লাহর নামে কসম করে বলত যে, যদি তাদের কাছে কোন সতর্ককারী আসে, তাহলে তারা অবশ্যই অন্য যে কোন জাতির চেয়ে অধিক হিদায়াতপ্রাপ্ত হবে; কিন্তু যখন তাদের নিকট সতর্ককারী আসল, তখন তা কেবল তাদের বিমুখতাই বৃদ্ধি করল-

Muhiuddin Khan

তারা জোর শপথ করে বলত, তাদের কাছে কোন সতর্ককারী আগমন করলে তারা অন্য যে কোন সম্প্রদায় অপেক্ষা অধিকতর সৎপথে চলবে। অতঃপর যখন তাদের কাছে সতর্ককারী আগমন করল, তখন তাদের ঘৃণাই কেবল বেড়ে গেল।

Zohurul Hoque

আর তারা আল্লাহ্‌র নামে শপথ খায় তাদের সব চাইতে জোরালো শপথের দ্বারা যে যদি তাদের কাছে একজন সতর্ককারী আসতেন তাহলে তারা নিশ্চয়ই অন্যান্য সম্প্রদায়ের যে কোনোটির চেয়ে অধিকতর সৎপথাবলন্বী হতো। কিন্তু যখন তাদের কাছে একজন সতর্ককারী এলেন তখন তাতে বিতৃষ্ণা ব্যতীত তাদের আর কিছুই বাড়লো না, --