۞ اِنَّ اللّٰهَ يُمْسِكُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ اَنْ تَزُوْلَا ەۚ وَلَىِٕنْ زَالَتَآ اِنْ اَمْسَكَهُمَا مِنْ اَحَدٍ مِّنْۢ بَعْدِهٖ ۗاِنَّهٗ كَانَ حَلِيْمًا غَفُوْرًا ٤١
- inna
- إِنَّ
- নিশ্চয়ই
- l-laha
- ٱللَّهَ
- আল্লাহ
- yum'siku
- يُمْسِكُ
- স্হিরভাবে ধরে রেখেছেন
- l-samāwāti
- ٱلسَّمَٰوَٰتِ
- আকাশকে
- wal-arḍa
- وَٱلْأَرْضَ
- ও পৃথিবীকে
- an
- أَن
- যেন (না)
- tazūlā
- تَزُولَاۚ
- কক্ষচ্যুত হয়
- wala-in
- وَلَئِن
- আর অবশ্য যদি
- zālatā
- زَالَتَآ
- কক্ষচ্যুত হয়
- in
- إِنْ
- না
- amsakahumā
- أَمْسَكَهُمَا
- উভয়কে স্হিরভাবে ধরে রাখতে পারবে
- min
- مِنْ
- মধ্য হতে
- aḥadin
- أَحَدٍ
- কেউ
- min
- مِّنۢ
- থেকে
- baʿdihi
- بَعْدِهِۦٓۚ
- তাঁর পরে
- innahu
- إِنَّهُۥ
- নিশ্চয়ই তিনি
- kāna
- كَانَ
- হলেন
- ḥalīman
- حَلِيمًا
- সহনশীল
- ghafūran
- غَفُورًا
- ক্ষমাশীল
আল্লাহই আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন যাতে ও দু’টো টলে না যায়। ও দু’টো যদি টলে যায় তাহলে তিনি ছাড়া কে ও দু’টোকে স্থির রাখবে? তিনি পরম সহিষ্ণু, পরম ক্ষমাশীল। ([৩৫] ফাতির: ৪১)ব্যাখ্যা
وَاَقْسَمُوْا بِاللّٰهِ جَهْدَ اَيْمَانِهِمْ لَىِٕنْ جَاۤءَهُمْ نَذِيْرٌ لَّيَكُوْنُنَّ اَهْدٰى مِنْ اِحْدَى الْاُمَمِۚ فَلَمَّا جَاۤءَهُمْ نَذِيْرٌ مَّا زَادَهُمْ اِلَّا نُفُوْرًاۙ ٤٢
- wa-aqsamū
- وَأَقْسَمُوا۟
- এবং তারা শপথ করে
- bil-lahi
- بِٱللَّهِ
- আল্লাহর (নামে)
- jahda
- جَهْدَ
- কড়া
- aymānihim
- أَيْمَٰنِهِمْ
- তাদের শপথসমূহ
- la-in
- لَئِن
- অবশ্যই যদি
- jāahum
- جَآءَهُمْ
- তাদের কাছে আসেন
- nadhīrun
- نَذِيرٌ
- কোনো সতর্ককারী
- layakūnunna
- لَّيَكُونُنَّ
- তারা হবে অবশ্যই
- ahdā
- أَهْدَىٰ
- অধিকতর সৎপথে
- min
- مِنْ
- চেয়েও
- iḥ'dā
- إِحْدَى
- যে কোনোটির
- l-umami
- ٱلْأُمَمِۖ
- (অন্যান্য) জাতিগুলোর
- falammā
- فَلَمَّا
- অতঃপর যখন
- jāahum
- جَآءَهُمْ
- তাদের কাছে আসলেন
- nadhīrun
- نَذِيرٌ
- সতর্ককারী
- mā
- مَّا
- না
- zādahum
- زَادَهُمْ
- তাদের বৃদ্ধি করেছে
- illā
- إِلَّا
- এ ছাড়া
- nufūran
- نُفُورًا
- পালনো
আর তারা (অর্থাৎ মক্কার মুশরিকরা) শক্তভাবে কসম খেয়ে বলত যে, তাদের কাছে সতর্ককারী আসলে তারা অন্য যে কোন সম্প্রদায়ের চেয়ে অবশ্য অবশ্যই সৎ পথের অধিক অনুসারী হয়ে যাবে। কিন্তু তাদের কাছে যখন সতর্ককারী আসল, তা বাড়িয়েই তুলল তাদের ঘৃণা, ([৩৫] ফাতির: ৪২)ব্যাখ্যা
ۨاسْتِكْبَارًا فِى الْاَرْضِ وَمَكْرَ السَّيِّئِۗ وَلَا يَحِيْقُ الْمَكْرُ السَّيِّئُ اِلَّا بِاَهْلِهٖ ۗفَهَلْ يَنْظُرُوْنَ اِلَّا سُنَّتَ الْاَوَّلِيْنَۚ فَلَنْ تَجِدَ لِسُنَّتِ اللّٰهِ تَبْدِيْلًا ەۚ وَلَنْ تَجِدَ لِسُنَّتِ اللّٰهِ تَحْوِيْلًا ٤٣
- is'tik'bāran
- ٱسْتِكْبَارًا
- ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে
- fī
- فِى
- মধ্যে
- l-arḍi
- ٱلْأَرْضِ
- পৃথিবীর
- wamakra
- وَمَكْرَ
- ও ষড়যন্ত্র (এঁটে)
- l-sayi-i
- ٱلسَّيِّئِۚ
- নিকৃষ্ট
- walā
- وَلَا
- অথচ না
- yaḥīqu
- يَحِيقُ
- ঘিরে ধরে
- l-makru
- ٱلْمَكْرُ
- ষড়যন্ত্র
- l-sayi-u
- ٱلسَّيِّئُ
- নিকৃষ্ট
- illā
- إِلَّا
- কিন্তু
- bi-ahlihi
- بِأَهْلِهِۦۚ
- তার উদ্যোক্তাদেরই
- fahal
- فَهَلْ
- তবে কি
- yanẓurūna
- يَنظُرُونَ
- তারা অপেক্ষা করছে
- illā
- إِلَّا
- এ ছাড়া যে
- sunnata
- سُنَّتَ
- বিধানের
- l-awalīna
- ٱلْأَوَّلِينَۚ
- পূর্ববর্তীদের (ক্ষেত্রে গৃহীত)
- falan
- فَلَن
- তখন কখনও না
- tajida
- تَجِدَ
- পাবে তুমি
- lisunnati
- لِسُنَّتِ
- বিধানের ক্ষেত্রে
- l-lahi
- ٱللَّهِ
- আল্লাহর
- tabdīlan
- تَبْدِيلًاۖ
- কোনো পরিবর্তন
- walan
- وَلَن
- এবং কখনও না
- tajida
- تَجِدَ
- পাবে তুমি
- lisunnati
- لِسُنَّتِ
- বিধানে
- l-lahi
- ٱللَّهِ
- আল্লাহর
- taḥwīlan
- تَحْوِيلًا
- ব্যতিক্রম
যমীনে উদ্ধত আচরণ আর কু-চক্রান্ত। কু-চক্রান্ত তাকেই ঘিরে ধরবে যে তা করবে। তাহলে তারা কি তাদের পূর্ববর্তীদের উপর (আল্লাহর পক্ষ হতে) যে বিধান প্রয়োগ করা হয়েছে তারই অপেক্ষা করছে? তুমি আল্লাহর বিধানে কক্ষনো কোন পরিবর্তন পাবে না। তুমি আল্লাহর বিধানে কক্ষনো কোন ব্যতিক্রম পাবে না। ([৩৫] ফাতির: ৪৩)ব্যাখ্যা
اَوَلَمْ يَسِيْرُوْا فِى الْاَرْضِ فَيَنْظُرُوْا كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ وَكَانُوْٓا اَشَدَّ مِنْهُمْ قُوَّةً ۗوَمَا كَانَ اللّٰهُ لِيُعْجِزَهٗ مِنْ شَيْءٍ فِى السَّمٰوٰتِ وَلَا فِى الْاَرْضِۗ اِنَّهٗ كَانَ عَلِيْمًا قَدِيْرًا ٤٤
- awalam
- أَوَلَمْ
- নি কি
- yasīrū
- يَسِيرُوا۟
- তারা ভ্রমণ করে
- fī
- فِى
- মধ্যে
- l-arḍi
- ٱلْأَرْضِ
- পৃথিবীর
- fayanẓurū
- فَيَنظُرُوا۟
- তারা তখন দেখে (নাই কি)
- kayfa
- كَيْفَ
- কেমন
- kāna
- كَانَ
- ছিলো
- ʿāqibatu
- عَٰقِبَةُ
- পরিণাম
- alladhīna
- ٱلَّذِينَ
- তাদের (যারা)
- min
- مِن
- পূর্বে ছিলো
- qablihim
- قَبْلِهِمْ
- তাদের
- wakānū
- وَكَانُوٓا۟
- অথচ তারা ছিলো
- ashadda
- أَشَدَّ
- অনেক বেশী কঠোর
- min'hum
- مِنْهُمْ
- এদের চেয়েও
- quwwatan
- قُوَّةًۚ
- শক্তিতে
- wamā
- وَمَا
- এবং নন
- kāna
- كَانَ
- ছিল
- l-lahu
- ٱللَّهُ
- আল্লাহ (এমন যে)
- liyuʿ'jizahu
- لِيُعْجِزَهُۥ
- তাঁকে অক্ষম করতে পারে
- min
- مِن
- কোনো
- shayin
- شَىْءٍ
- কিছুই
- fī
- فِى
- মধ্যেকার
- l-samāwāti
- ٱلسَّمَٰوَٰتِ
- আকাশের
- walā
- وَلَا
- আর না
- fī
- فِى
- (কোন কিছু) মধ্যকার
- l-arḍi
- ٱلْأَرْضِۚ
- পৃথিবীর
- innahu
- إِنَّهُۥ
- তিনি নিশ্চয়ই
- kāna
- كَانَ
- হলেন
- ʿalīman
- عَلِيمًا
- মহাজ্ঞানী
- qadīran
- قَدِيرًا
- সর্বশক্তিমান
তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না? তাহলে দেখত, তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণাম কী হয়েছিল। তারা তো শক্তিতে ছিল এদের চেয়েও শক্তিশালী। আসমান ও যমীনের কোন কিছুই আল্লাহকে অপারগ করতে পারে না। তিনি সর্বজ্ঞাতা, সকল শক্তির অধিকারী। ([৩৫] ফাতির: ৪৪)ব্যাখ্যা
وَلَوْ يُؤَاخِذُ اللّٰهُ النَّاسَ بِمَا كَسَبُوْا مَا تَرَكَ عَلٰى ظَهْرِهَا مِنْ دَاۤبَّةٍ وَّلٰكِنْ يُّؤَخِّرُهُمْ اِلٰٓى اَجَلٍ مُّسَمًّىۚ فَاِذَا جَاۤءَ اَجَلُهُمْ فَاِنَّ اللّٰهَ كَانَ بِعِبَادِهٖ بَصِيْرًا ࣖ ٤٥
- walaw
- وَلَوْ
- এবং যদি
- yuākhidhu
- يُؤَاخِذُ
- পাকড়াও করতেন
- l-lahu
- ٱللَّهُ
- আল্লাহ
- l-nāsa
- ٱلنَّاسَ
- মানুষকে
- bimā
- بِمَا
- এ কারণে যা
- kasabū
- كَسَبُوا۟
- তারা কামাই করেছে
- mā
- مَا
- না
- taraka
- تَرَكَ
- রেহাই দিতেন
- ʿalā
- عَلَىٰ
- উপর
- ẓahrihā
- ظَهْرِهَا
- তার পৃষ্ঠের
- min
- مِن
- কোনো
- dābbatin
- دَآبَّةٍ
- চলমান প্রাণীকেই
- walākin
- وَلَٰكِن
- কিন্তু
- yu-akhiruhum
- يُؤَخِّرُهُمْ
- তাদের অবকাশ দিয়ে থাকেন তিনি
- ilā
- إِلَىٰٓ
- পর্যন্ত
- ajalin
- أَجَلٍ
- একটা সময়
- musamman
- مُّسَمًّىۖ
- নির্দিষ্ট
- fa-idhā
- فَإِذَا
- অতঃপর যখন
- jāa
- جَآءَ
- আসবে
- ajaluhum
- أَجَلُهُمْ
- তাদের সময়
- fa-inna
- فَإِنَّ
- নিশ্চযই় তখন
- l-laha
- ٱللَّهَ
- আল্লাহ
- kāna
- كَانَ
- হবেন
- biʿibādihi
- بِعِبَادِهِۦ
- তাঁর দাসদের সম্পর্কে
- baṣīran
- بَصِيرًۢا
- খুব দেখেন (অর্থাৎ দেখে নিবেন)
আল্লাহ মানুষকে তার কৃতকর্মের জন্য পাকড়াও করতে চাইলে ভূপৃষ্ঠের একটি প্রাণীকেও রেহাই দিতেন না। কিন্তু তিনি তাদের জন্য একটা নির্ধারিত কাল পর্যন্ত সময় বিলম্বিত করেন। অতঃপর তাদের সে নির্ধারিত সময় যখন এসে যায়, (তখন আল্লাহর ফয়সালা কার্যকরী হতে এক মুহূর্তও বিলম্ব ঘটে না), কারণ আল্লাহ (প্রতিটি মুহূর্তে) তাঁর বান্দাহদের পর্যবেক্ষণকারী। ([৩৫] ফাতির: ৪৫)ব্যাখ্যা