Skip to content

সূরা ফাতির - Page: 5

Fatir

(Fāṭir)

৪১

۞ اِنَّ اللّٰهَ يُمْسِكُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ اَنْ تَزُوْلَا ەۚ وَلَىِٕنْ زَالَتَآ اِنْ اَمْسَكَهُمَا مِنْ اَحَدٍ مِّنْۢ بَعْدِهٖ ۗاِنَّهٗ كَانَ حَلِيْمًا غَفُوْرًا ٤١

inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
yum'siku
يُمْسِكُ
স্হিরভাবে ধরে রেখেছেন
l-samāwāti
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশকে
wal-arḍa
وَٱلْأَرْضَ
ও পৃথিবীকে
an
أَن
যেন (না)
tazūlā
تَزُولَاۚ
কক্ষচ্যুত হয়
wala-in
وَلَئِن
আর অবশ্য যদি
zālatā
زَالَتَآ
কক্ষচ্যুত হয়
in
إِنْ
না
amsakahumā
أَمْسَكَهُمَا
উভয়কে স্হিরভাবে ধরে রাখতে পারবে
min
مِنْ
মধ্য হতে
aḥadin
أَحَدٍ
কেউ
min
مِّنۢ
থেকে
baʿdihi
بَعْدِهِۦٓۚ
তাঁর পরে
innahu
إِنَّهُۥ
নিশ্চয়ই তিনি
kāna
كَانَ
হলেন
ḥalīman
حَلِيمًا
সহনশীল
ghafūran
غَفُورًا
ক্ষমাশীল
আল্লাহই আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন যাতে ও দু’টো টলে না যায়। ও দু’টো যদি টলে যায় তাহলে তিনি ছাড়া কে ও দু’টোকে স্থির রাখবে? তিনি পরম সহিষ্ণু, পরম ক্ষমাশীল। ([৩৫] ফাতির: ৪১)
ব্যাখ্যা
৪২

وَاَقْسَمُوْا بِاللّٰهِ جَهْدَ اَيْمَانِهِمْ لَىِٕنْ جَاۤءَهُمْ نَذِيْرٌ لَّيَكُوْنُنَّ اَهْدٰى مِنْ اِحْدَى الْاُمَمِۚ فَلَمَّا جَاۤءَهُمْ نَذِيْرٌ مَّا زَادَهُمْ اِلَّا نُفُوْرًاۙ ٤٢

wa-aqsamū
وَأَقْسَمُوا۟
এবং তারা শপথ করে
bil-lahi
بِٱللَّهِ
আল্লাহর (নামে)
jahda
جَهْدَ
কড়া
aymānihim
أَيْمَٰنِهِمْ
তাদের শপথসমূহ
la-in
لَئِن
অবশ্যই যদি
jāahum
جَآءَهُمْ
তাদের কাছে আসেন
nadhīrun
نَذِيرٌ
কোনো সতর্ককারী
layakūnunna
لَّيَكُونُنَّ
তারা হবে অবশ্যই
ahdā
أَهْدَىٰ
অধিকতর সৎপথে
min
مِنْ
চেয়েও
iḥ'dā
إِحْدَى
যে কোনোটির
l-umami
ٱلْأُمَمِۖ
(অন্যান্য) জাতিগুলোর
falammā
فَلَمَّا
অতঃপর যখন
jāahum
جَآءَهُمْ
তাদের কাছে আসলেন
nadhīrun
نَذِيرٌ
সতর্ককারী
مَّا
না
zādahum
زَادَهُمْ
তাদের বৃদ্ধি করেছে
illā
إِلَّا
এ ছাড়া
nufūran
نُفُورًا
পালনো
আর তারা (অর্থাৎ মক্কার মুশরিকরা) শক্তভাবে কসম খেয়ে বলত যে, তাদের কাছে সতর্ককারী আসলে তারা অন্য যে কোন সম্প্রদায়ের চেয়ে অবশ্য অবশ্যই সৎ পথের অধিক অনুসারী হয়ে যাবে। কিন্তু তাদের কাছে যখন সতর্ককারী আসল, তা বাড়িয়েই তুলল তাদের ঘৃণা, ([৩৫] ফাতির: ৪২)
ব্যাখ্যা
৪৩

ۨاسْتِكْبَارًا فِى الْاَرْضِ وَمَكْرَ السَّيِّئِۗ وَلَا يَحِيْقُ الْمَكْرُ السَّيِّئُ اِلَّا بِاَهْلِهٖ ۗفَهَلْ يَنْظُرُوْنَ اِلَّا سُنَّتَ الْاَوَّلِيْنَۚ فَلَنْ تَجِدَ لِسُنَّتِ اللّٰهِ تَبْدِيْلًا ەۚ وَلَنْ تَجِدَ لِسُنَّتِ اللّٰهِ تَحْوِيْلًا ٤٣

is'tik'bāran
ٱسْتِكْبَارًا
ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে
فِى
মধ্যে
l-arḍi
ٱلْأَرْضِ
পৃথিবীর
wamakra
وَمَكْرَ
ও ষড়যন্ত্র (এঁটে)
l-sayi-i
ٱلسَّيِّئِۚ
নিকৃষ্ট
walā
وَلَا
অথচ না
yaḥīqu
يَحِيقُ
ঘিরে ধরে
l-makru
ٱلْمَكْرُ
ষড়যন্ত্র
l-sayi-u
ٱلسَّيِّئُ
নিকৃষ্ট
illā
إِلَّا
কিন্তু
bi-ahlihi
بِأَهْلِهِۦۚ
তার উদ্যোক্তাদেরই
fahal
فَهَلْ
তবে কি
yanẓurūna
يَنظُرُونَ
তারা অপেক্ষা করছে
illā
إِلَّا
এ ছাড়া যে
sunnata
سُنَّتَ
বিধানের
l-awalīna
ٱلْأَوَّلِينَۚ
পূর্ববর্তীদের (ক্ষেত্রে গৃহীত)
falan
فَلَن
তখন কখনও না
tajida
تَجِدَ
পাবে তুমি
lisunnati
لِسُنَّتِ
বিধানের ক্ষেত্রে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
tabdīlan
تَبْدِيلًاۖ
কোনো পরিবর্তন
walan
وَلَن
এবং কখনও না
tajida
تَجِدَ
পাবে তুমি
lisunnati
لِسُنَّتِ
বিধানে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
taḥwīlan
تَحْوِيلًا
ব্যতিক্রম
যমীনে উদ্ধত আচরণ আর কু-চক্রান্ত। কু-চক্রান্ত তাকেই ঘিরে ধরবে যে তা করবে। তাহলে তারা কি তাদের পূর্ববর্তীদের উপর (আল্লাহর পক্ষ হতে) যে বিধান প্রয়োগ করা হয়েছে তারই অপেক্ষা করছে? তুমি আল্লাহর বিধানে কক্ষনো কোন পরিবর্তন পাবে না। তুমি আল্লাহর বিধানে কক্ষনো কোন ব্যতিক্রম পাবে না। ([৩৫] ফাতির: ৪৩)
ব্যাখ্যা
৪৪

اَوَلَمْ يَسِيْرُوْا فِى الْاَرْضِ فَيَنْظُرُوْا كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ وَكَانُوْٓا اَشَدَّ مِنْهُمْ قُوَّةً ۗوَمَا كَانَ اللّٰهُ لِيُعْجِزَهٗ مِنْ شَيْءٍ فِى السَّمٰوٰتِ وَلَا فِى الْاَرْضِۗ اِنَّهٗ كَانَ عَلِيْمًا قَدِيْرًا ٤٤

awalam
أَوَلَمْ
নি কি
yasīrū
يَسِيرُوا۟
তারা ভ্রমণ করে
فِى
মধ্যে
l-arḍi
ٱلْأَرْضِ
পৃথিবীর
fayanẓurū
فَيَنظُرُوا۟
তারা তখন দেখে (নাই কি)
kayfa
كَيْفَ
কেমন
kāna
كَانَ
ছিলো
ʿāqibatu
عَٰقِبَةُ
পরিণাম
alladhīna
ٱلَّذِينَ
তাদের (যারা)
min
مِن
পূর্বে ছিলো
qablihim
قَبْلِهِمْ
তাদের
wakānū
وَكَانُوٓا۟
অথচ তারা ছিলো
ashadda
أَشَدَّ
অনেক বেশী কঠোর
min'hum
مِنْهُمْ
এদের চেয়েও
quwwatan
قُوَّةًۚ
শক্তিতে
wamā
وَمَا
এবং নন
kāna
كَانَ
ছিল
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ (এমন যে)
liyuʿ'jizahu
لِيُعْجِزَهُۥ
তাঁকে অক্ষম করতে পারে
min
مِن
কোনো
shayin
شَىْءٍ
কিছুই
فِى
মধ্যেকার
l-samāwāti
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশের
walā
وَلَا
আর না
فِى
(কোন কিছু) মধ্যকার
l-arḍi
ٱلْأَرْضِۚ
পৃথিবীর
innahu
إِنَّهُۥ
তিনি নিশ্চয়ই
kāna
كَانَ
হলেন
ʿalīman
عَلِيمًا
মহাজ্ঞানী
qadīran
قَدِيرًا
সর্বশক্তিমান
তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না? তাহলে দেখত, তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণাম কী হয়েছিল। তারা তো শক্তিতে ছিল এদের চেয়েও শক্তিশালী। আসমান ও যমীনের কোন কিছুই আল্লাহকে অপারগ করতে পারে না। তিনি সর্বজ্ঞাতা, সকল শক্তির অধিকারী। ([৩৫] ফাতির: ৪৪)
ব্যাখ্যা
৪৫

وَلَوْ يُؤَاخِذُ اللّٰهُ النَّاسَ بِمَا كَسَبُوْا مَا تَرَكَ عَلٰى ظَهْرِهَا مِنْ دَاۤبَّةٍ وَّلٰكِنْ يُّؤَخِّرُهُمْ اِلٰٓى اَجَلٍ مُّسَمًّىۚ فَاِذَا جَاۤءَ اَجَلُهُمْ فَاِنَّ اللّٰهَ كَانَ بِعِبَادِهٖ بَصِيْرًا ࣖ ٤٥

walaw
وَلَوْ
এবং যদি
yuākhidhu
يُؤَاخِذُ
পাকড়াও করতেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
l-nāsa
ٱلنَّاسَ
মানুষকে
bimā
بِمَا
এ কারণে যা
kasabū
كَسَبُوا۟
তারা কামাই করেছে
مَا
না
taraka
تَرَكَ
রেহাই দিতেন
ʿalā
عَلَىٰ
উপর
ẓahrihā
ظَهْرِهَا
তার পৃষ্ঠের
min
مِن
কোনো
dābbatin
دَآبَّةٍ
চলমান প্রাণীকেই
walākin
وَلَٰكِن
কিন্তু
yu-akhiruhum
يُؤَخِّرُهُمْ
তাদের অবকাশ দিয়ে থাকেন তিনি
ilā
إِلَىٰٓ
পর্যন্ত
ajalin
أَجَلٍ
একটা সময়
musamman
مُّسَمًّىۖ
নির্দিষ্ট
fa-idhā
فَإِذَا
অতঃপর যখন
jāa
جَآءَ
আসবে
ajaluhum
أَجَلُهُمْ
তাদের সময়
fa-inna
فَإِنَّ
নিশ্চযই় তখন
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
kāna
كَانَ
হবেন
biʿibādihi
بِعِبَادِهِۦ
তাঁর দাসদের সম্পর্কে
baṣīran
بَصِيرًۢا
খুব দেখেন (অর্থাৎ দেখে নিবেন)
আল্লাহ মানুষকে তার কৃতকর্মের জন্য পাকড়াও করতে চাইলে ভূপৃষ্ঠের একটি প্রাণীকেও রেহাই দিতেন না। কিন্তু তিনি তাদের জন্য একটা নির্ধারিত কাল পর্যন্ত সময় বিলম্বিত করেন। অতঃপর তাদের সে নির্ধারিত সময় যখন এসে যায়, (তখন আল্লাহর ফয়সালা কার্যকরী হতে এক মুহূর্তও বিলম্ব ঘটে না), কারণ আল্লাহ (প্রতিটি মুহূর্তে) তাঁর বান্দাহদের পর্যবেক্ষণকারী। ([৩৫] ফাতির: ৪৫)
ব্যাখ্যা