Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা সেজদাহ আয়াত ১৭

Qur'an Surah As-Sajdah Verse 17

সেজদাহ [৩২]: ১৭ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَّآ اُخْفِيَ لَهُمْ مِّنْ قُرَّةِ اَعْيُنٍۚ جَزَاۤءًۢ بِمَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ (السجدة : ٣٢)

falā
فَلَا
And not
অতঃপর না
taʿlamu
تَعْلَمُ
knows
জানে
nafsun
نَفْسٌ
a soul
কোনো ব্যক্তিই
مَّآ
what
যা
ukh'fiya
أُخْفِىَ
is hidden
লুকিয়ে রাখা হয়েছে
lahum
لَهُم
for them
জন্যে তাদের
min
مِّن
of
থেকে
qurrati
قُرَّةِ
(the) comfort
শীতলকারী (জিনিসসমূহ)
aʿyunin
أَعْيُنٍ
(for) the eyes
চোখসমূহের
jazāan
جَزَآءًۢ
(as) a reward
প্রতিদান হিসেবে
bimā
بِمَا
for what
বিনিময়ে যা
kānū
كَانُوا۟
they used (to)
তারা ছিলো
yaʿmalūna
يَعْمَلُونَ
do
তারা কাজ করতে

Transliteration:

Falaa ta'lamu nafsum maaa ukhfiya lahum min qurrati a'yunin jazaaa'am bimaa kaanoo ya'maloon (QS. as-Sajdah:17)

English Sahih International:

And no soul knows what has been hidden for them of comfort for eyes [i.e., satisfaction] as reward for what they used to do. (QS. As-Sajdah, Ayah ১৭)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

কোন ব্যক্তিই (এখন) জানে না চোখ জুড়ানো কী (জিনিস) তাদের জন্য লুকিয়ে রাখা হয়েছে তাদের কাজের পুরস্কার হিসেবে। (সেজদাহ, আয়াত ১৭)

Tafsir Ahsanul Bayaan

কেউই জানে না তার জন্য তার কৃতকর্মের বিনিময় স্বরূপ[১] নয়ন-প্রীতিকর কি (পুরস্কার) লুকিয়ে রাখা হয়েছে।[২]

[১] এতে বুঝা যায় যে, আল্লাহর রহমতের অধিকারী হতে হলে নেক আমল অপরিহার্য।

[২] نفسٌ শব্দটি 'নাকিরাহ' যাতে ব্যাপকতার অর্থ পাওয়া যায়। অর্থাৎ ঐ সকল নিয়ামত যা আল্লাহ তাআলা উল্লিখিত মু'মিনদের জন্য লুক্কায়িত রেখেছেন, যা দেখে তাঁদের চোখ জুড়িয়ে যাবে, তা আল্লাহ ছাড়া আর কেউই জানে না। এর ব্যাখ্যা নবী (সাঃ) হাদীসে কুদসীতে বর্ণনা করেছেন যে, আল্লাহ তাআলা বলেন, "আমি আমার নেক বান্দাদের জন্য ঐ সকল বস্তু প্রস্তুত রেখেছি যা কোন চক্ষু দর্শন করেনি, কোন কর্ণ শ্রবণ করেনি এবং কোন মানুষের কল্পনায়ও তা আসেনি।"

(সহীহ বুখারী, তাফসীর সূরা সিজদাহ)

Tafsir Abu Bakr Zakaria

অতএব কেউই জানে না তাদের জন্য চোখ জুড়ানো কী লুকিয়ে রাখা হয়েছে তাদের কৃতকর্মের পুরস্কারস্বরূপ [১]!

[১] হাদীসে কুদসীতে উদ্ধৃত হয়েছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ বলেন, আমার সৎকর্মশীল বান্দাদের জন্য আমি এমনসব জিনিস তৈরী করে রেখেছি যা কখনো কোন চোখ দেখেনি, কোন কান শোনেনি এবং কোন মানুষ কোনদিন তা কল্পনাও করতে পারে না।” [বুখারী; ৪৭৭৯; মুসলিম; ১৮৯, ২৪২৪] হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মূসা আলাইহিস সালাম আল্লাহকে বললেন, জান্নাতে কার অবস্থানগত মর্যাদা সবচেয়ে সামান্য হবে? তিনি বললেন, সে এক ব্যক্তি, তাকে সমস্ত জান্নাতীরা জান্নাতে প্রবেশ করার পরে জান্নাতের নিকট নিয়ে আসা হবে। তাকে বলা হবে, জান্নাতে প্রবেশ কর। সে বলবে, হে রব! সবাই তাদের স্থান নিয়ে নিয়েছে। তারা তাদের যা নেবার তা নিয়েছে। তখন তাকে বলা হবে, তুমি কি সন্তুষ্ট হবে, যদি তোমাকে দুনিয়ার বাদশাদের রাজত্বের মত রাজত্ব দেয়া হয়? সে বলবে, হে রব! আমি সন্তুষ্ট। তখন তাকে বলা হবে, তোমার জন্য তা-ই রইল, আরও অনুরূপ, আরও অনুরূপ, আরও অনুরূপ, আরও অনুরূপ। পঞ্চম বারে আল্লাহ বলবেন, তুমি কি সস্তুষ্ট হয়েছ? সে বলবে, হে রব! আমি সন্তুষ্ট। তখন তিনি বলবেন, এটা তোমার জন্য, তাছাড়া অনুরূপ দশগুণ। আর তোমার জন্য থাকবে তাতে যা তোমার মন চায়, তোমার চোখ শান্তি করে, সে বলবে, হে রব! আমি সন্তুষ্ট। সে বলবে, হে রব! (এই যদি আমার অবস্থা হয়) তবে জান্নাতে সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারীর কি অবস্থা? তিনি বলবেন, তাদের জন্য আমি নিজ হাতে তাদের সম্মানের বীজ বপন করেছি, আর তাতে আমার মোহর মেরে দিয়েছি। সুতরাং কোন চোখে দেখেনি, কোন কান শুনেনি, আর কোন মানুষের মনে তা উদিত হয়নি। তারপর তিনি উপরোক্ত আয়াত তেলাওয়াত করলেন [মুসলিম; ১৮৯] অন্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে কেউ জান্নাতে যাবে নেয়ামত প্রাপ্ত হবে, সে কোনদিন নিরাশ হবে না, তার কাপড় পুরনো হবে না, আর তার যৌবন নিঃশেষ হবে না।” [মুসলিম; ২৮৩৬]

Tafsir Bayaan Foundation

অতঃপর কোন ব্যক্তি জানে না তাদের জন্য চোখ জুড়ানো কী জিনিস লুকিয়ে রাখা হয়েছে, তারা যা করত, তার বিনিময়স্বরূপ।

Muhiuddin Khan

কেউ জানে না তার জন্যে কৃতকর্মের কি কি নয়ন-প্রীতিকর প্রতিদান লুক্কায়িত আছে।

Zohurul Hoque

সুতরাং কোনো সত্ত্বা জানে না চোখজুড়ানো কী তাদের জন্য লুকোনো রয়েছে, -- একটি পুরস্কার যা তারা করে যাচ্ছিল তার জন্য।