কুরআন মজীদ সূরা আল ইমরান আয়াত ৫৬
Qur'an Surah Ali 'Imran Verse 56
আল ইমরান [৩]: ৫৬ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ
فَاَمَّا الَّذِيْنَ كَفَرُوْا فَاُعَذِّبُهُمْ عَذَابًا شَدِيْدًا فِى الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِۖ وَمَا لَهُمْ مِّنْ نّٰصِرِيْنَ (آل عمران : ٣)
- fa-ammā
- فَأَمَّا
- Then as for
- আর
- alladhīna
- ٱلَّذِينَ
- those who
- যারা
- kafarū
- كَفَرُوا۟
- disbelieve[d]
- কুফুরী করেছে
- fa-uʿadhibuhum
- فَأُعَذِّبُهُمْ
- then I will punish them
- অতঃপর তাদেরকে আমি আযাব দিব
- ʿadhāban
- عَذَابًا
- (with) a punishment
- শাস্তি
- shadīdan
- شَدِيدًا
- severe
- কঠোর
- fī
- فِى
- in
- মধ্যে
- l-dun'yā
- ٱلدُّنْيَا
- the world
- দুনিয়ার
- wal-ākhirati
- وَٱلْءَاخِرَةِ
- and (in) the Hereafter
- ও আখেরাতে
- wamā
- وَمَا
- And not
- এবং নাই
- lahum
- لَهُم
- for them
- তাদের জন্যে
- min
- مِّن
- [of]
- কোন
- nāṣirīna
- نَّٰصِرِينَ
- (any) helpers
- সাহায্যকারী
Transliteration:
Fa ammal lazeena kafaroo fa u'az zibuhum 'azaaban shadeedan fiddunyaa wal Aakhirati wa maa lahum min naasireen(QS. ʾĀl ʿImrān:56)
English Sahih International:
And as for those who disbelieved, I will punish them with a severe punishment in this world and the Hereafter, and they will have no helpers." (QS. Ali 'Imran, Ayah ৫৬)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
অতঃপর যারা অবিশ্বাসী, তাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে কঠোর শাস্তি দেব এবং কেউই তাদের সাহায্যকারী নেই। (আল ইমরান, আয়াত ৫৬)
Tafsir Ahsanul Bayaan
অনন্তর যারা অবিশ্বাস করেছে, আমি তাদেরকে ইহকাল ও পরকালে কঠোর শাস্তি প্রদান করব। আর তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।
Tafsir Abu Bakr Zakaria
তারপর যারা কুফরী করেছে আমি তাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে কঠোর শাস্তি প্রদান করব এবং তাদের কোন সাহায্যকারী নেই [১]।
[১] ইয়াহুদীরা একথা বলে যে, ঈসা ‘আলাইহিস সালাম নিহত ও শূলবিদ্ধ হয়ে সমাহিত হয়ে গেছেন এবং পরে জীবিত হননি। বর্তমানে নাসারগণও ইয়াহুদীদের আকীদা বিশ্বাসে প্রভাবিত হয়ে বলে থাকে যে, ঈসা ‘আলাইহিস সালাম শূলে বিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। অবশ্য তারা এটাও বলে থাকে যে, তিনি পরে জীবিত হয়ে আবার আকাশে চলে গিয়েছেন। প্রকৃত কথা হলো, ঈসা ‘আলাইহিস সালামকে তারা হত্যা করতে সক্ষম হয়নি। বরং আল্লাহ্ তা'আলা ঈসা ‘আলাইহিস সালামের শক্রদের চক্রান্ত স্বয়ং তাদের দিকেই ফিরিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ যেসব ইয়াহুদী তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ঘরে প্রবেশ করেছিল, আল্লাহ্ তা'আলা তাদের মধ্য থেকেই এক ব্যক্তির
আকার-আকৃতি পরিবর্তন করে হুবহু ঈসা ‘আলাইহিস সালামের ন্যায় করে দেন। অতঃপর ঈসা ‘আলাইহিস সালামকে জীবিতাবস্থায় আকাশে তুলে নেন। অন্যত্র আল্লাহ্ বলেন,
(وَمَا قَتَلُوْهُ وَمَا صَلَبُوْهُ وَلٰكِنْ شُبِّهَ لَهُمْ)
“তারা ঈসাকে হত্যা করেনি, শূলীতেও চড়ায়নি। কিন্তু আল্লাহ্র কৌশলে তারা সাদৃশ্যের ধাঁধায় পতিত হয়" [সূরা আন-নিসাঃ ১৫৭] এভাবে তারা নিজেদের লোককে হত্যা করেই আত্মপ্রসাদ লাভ করে।
এ দুই দলের বিপরীতে ইসলামের বিশ্বাস আলোচ্য আয়াত ও অন্যান্য কতিপয় আয়াতে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। তা এই যে, আল্লাহ্ তা'আলা তাকে ইয়াহুদীদের কবল থেকে মুক্তি দেয়ার জন্যে জীবিতাবস্থায় আকাশে তুলে নিয়েছেন। তাকে হত্যা করা হয়নি এবং শূলিতেও চড়ানো হয়নি। তিনি জীবিতাবস্থায় আকাশে বিদ্যমান রয়েছেন এবং কেয়ামতের নিকটবতী সময়ে আকাশ থেকে অবতরণ করে ইয়াহুদীদের বিপক্ষে জয়লাভ করবেন, অবশেষে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করবেন। এ বিশ্বাসের উপর সমগ্র মুসলিম সম্প্রদায়ের ইজমা তথা ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত রয়েছে।
Tafsir Bayaan Foundation
অতঃপর যারা কুফরী করেছে, আমি তাদেরকে কঠিন আযাব দেব দুনিয়া ও আখিরাতে, আর তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।
Muhiuddin Khan
অতএব যারা কাফের হয়েছে, তাদেরকে আমি কঠিন শাস্তি দেবো দুনিয়াতে এবং আখেরাতে-তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।
Zohurul Hoque
অতএব যারা অবিশ্বাস পোষণ করে আমি তাদের শাস্তি দেবো কঠোর শাস্তিতে এই দুনিয়াতে ও পরলোকে, আর তাদের জন্য সাহায্যকারীদের কেউ থাকবে না।