Skip to content

সূরা আল ইমরান - Page: 5

Ali 'Imran

(ʾĀl ʿImrān)

৪১

قَالَ رَبِّ اجْعَلْ لِّيْٓ اٰيَةً ۗ قَالَ اٰيَتُكَ اَلَّا تُكَلِّمَ النَّاسَ ثَلٰثَةَ اَيَّامٍ اِلَّا رَمْزًا ۗ وَاذْكُرْ رَّبَّكَ كَثِيْرًا وَّسَبِّحْ بِالْعَشِيِّ وَالْاِبْكَارِ ࣖ ٤١

qāla
قَالَ
সে বলল
rabbi
رَبِّ
''হে আমার রব
ij'ʿal
ٱجْعَل
দাও
لِّىٓ
আমার জন্য
āyatan
ءَايَةًۖ
কোন নিদর্শন''
qāla
قَالَ
তিনি বললেন
āyatuka
ءَايَتُكَ
তোমার নিদর্শন
allā
أَلَّا
এটা যে না
tukallima
تُكَلِّمَ
কথা বলবে
l-nāsa
ٱلنَّاسَ
মানুষের (সাথে)
thalāthata
ثَلَٰثَةَ
তিন
ayyāmin
أَيَّامٍ
দিন (পর্যন্ত)
illā
إِلَّا
এছাড়া
ramzan
رَمْزًاۗ
ইঙ্গিত
wa-udh'kur
وَٱذْكُر
এবং তুমি স্মরণ কর
rabbaka
رَّبَّكَ
তোমার রবকে
kathīran
كَثِيرًا
বেশী বেশী
wasabbiḥ
وَسَبِّحْ
ও তূমি তসবিহ কর
bil-ʿashiyi
بِٱلْعَشِىِّ
সন্ধ্যার সময়
wal-ib'kāri
وَٱلْإِبْكَٰرِ
ও প্রভাতে''
সে বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার জন্য কোন নিদর্শন দাও’। তিনি বললেন, ‘তোমার জন্য নিদর্শন এই যে, তিনদিন তুমি ইশারা ছাড়া লোকের সঙ্গে কথা বলতে পারবে না এবং তোমার প্রতিপালককে অধিক স্মরণ করবে এবং সকালে ও সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করবে’। ([৩] আল ইমরান: ৪১)
ব্যাখ্যা
৪২

وَاِذْ قَالَتِ الْمَلٰۤىِٕكَةُ يٰمَرْيَمُ اِنَّ اللّٰهَ اصْطَفٰىكِ وَطَهَّرَكِ وَاصْطَفٰىكِ عَلٰى نِسَاۤءِ الْعٰلَمِيْنَ ٤٢

wa-idh
وَإِذْ
ও যখন
qālati
قَالَتِ
বলেছিল
l-malāikatu
ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ
ফেরেশতারা
yāmaryamu
يَٰمَرْيَمُ
''যে মারইয়াম
inna
إِنَّ
নিশ্চয়
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
iṣ'ṭafāki
ٱصْطَفَىٰكِ
তোমাকে মনোনীত করেছেন
waṭahharaki
وَطَهَّرَكِ
এবং তোমাকে পবিত্র করেছেন
wa-iṣ'ṭafāki
وَٱصْطَفَىٰكِ
এবং তোমাকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন
ʿalā
عَلَىٰ
উপর
nisāi
نِسَآءِ
নারীদের
l-ʿālamīna
ٱلْعَٰلَمِينَ
সারা বিশ্বের''
স্মরণ কর, যখন ফেরেশতারা বলেছিল, ‘হে মারইয়াম! আল্লাহ তোমাকে বেছে নিয়েছেন এবং তোমাকে পবিত্র করেছেন, আর তামাম দুনিয়ার নারীদের উপর তোমাকে মনোনীত করেছেন’। ([৩] আল ইমরান: ৪২)
ব্যাখ্যা
৪৩

يٰمَرْيَمُ اقْنُتِيْ لِرَبِّكِ وَاسْجُدِيْ وَارْكَعِيْ مَعَ الرَّاكِعِيْنَ ٤٣

yāmaryamu
يَٰمَرْيَمُ
''হে মারইয়াম
uq'nutī
ٱقْنُتِى
তুমি অনুগত হও
lirabbiki
لِرَبِّكِ
তোমার রবের জন্য
wa-us'judī
وَٱسْجُدِى
এবং তুমি সিজদা কর
wa-ir'kaʿī
وَٱرْكَعِى
ও তূমি রুকু কর
maʿa
مَعَ
সাথে
l-rākiʿīna
ٱلرَّٰكِعِينَ
রুকুকারীদের''
হে মারইয়াম! ‘তুমি তোমার প্রতিপালকের অনুগত হও, সাজদাহ কর এবং রুকূ‘কারীদের সঙ্গে রুকূ‘ কর’। ([৩] আল ইমরান: ৪৩)
ব্যাখ্যা
৪৪

ذٰلِكَ مِنْ اَنْۢبَاۤءِ الْغَيْبِ نُوْحِيْهِ اِلَيْكَ ۗوَمَا كُنْتَ لَدَيْهِمْ اِذْ يُلْقُوْنَ اَقْلَامَهُمْ اَيُّهُمْ يَكْفُلُ مَرْيَمَۖ وَمَا كُنْتَ لَدَيْهِمْ اِذْ يَخْتَصِمُوْنَ ٤٤

dhālika
ذَٰلِكَ
এটা
min
مِنْ
অংশবিশেষ
anbāi
أَنۢبَآءِ
খবরাদির
l-ghaybi
ٱلْغَيْبِ
গায়েবের
nūḥīhi
نُوحِيهِ
তা আমরা ওহী করছি
ilayka
إِلَيْكَۚ
তোমার প্রতি
wamā
وَمَا
এবং না
kunta
كُنتَ
তুমি ছিলে
ladayhim
لَدَيْهِمْ
তাদের কাছে
idh
إِذْ
যখন
yul'qūna
يُلْقُونَ
তারা নিক্ষেপ করে
aqlāmahum
أَقْلَٰمَهُمْ
তাদের কলমগুলো (লটারি করতে)
ayyuhum
أَيُّهُمْ
তাদের মধ্যে কে
yakfulu
يَكْفُلُ
তত্ত্বাবধান করবে
maryama
مَرْيَمَ
মারইয়ামের
wamā
وَمَا
এবং না
kunta
كُنتَ
তুমি ছিলে
ladayhim
لَدَيْهِمْ
তাদের কাছে
idh
إِذْ
যখন
yakhtaṣimūna
يَخْتَصِمُونَ
তারা ঝগড়া করছিল পরস্পরে
এসব অদৃশ্যের সংবাদ, আমি তোমার কাছে তা ওয়াহী দ্বারা পৌঁছে দিচ্ছি। বস্তুতঃ তুমি তাদের নিকট উপস্থিত ছিলে না যখন তাদের কোন্ ব্যক্তি মারইয়ামকে লালন-পালন করবে সেই ভাগ্য নির্ণয়ের জন্য কলম নিক্ষেপ করছিল এবং তুমি তাদের নিকট উপস্থিত ছিলে না, যখন তারা (মারইয়ামের অভিভাবক কে হবে তা নিয়ে) বাদানুবাদ করছিল। ([৩] আল ইমরান: ৪৪)
ব্যাখ্যা
৪৫

اِذْ قَالَتِ الْمَلٰۤىِٕكَةُ يٰمَرْيَمُ اِنَّ اللّٰهَ يُبَشِّرُكِ بِكَلِمَةٍ مِّنْهُۖ اسْمُهُ الْمَسِيْحُ عِيْسَى ابْنُ مَرْيَمَ وَجِيْهًا فِى الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ وَمِنَ الْمُقَرَّبِيْنَۙ ٤٥

idh
إِذْ
যখন
qālati
قَالَتِ
বলেছিল
l-malāikatu
ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ
ফেরেশতারা
yāmaryamu
يَٰمَرْيَمُ
''হে মারইয়াম
inna
إِنَّ
নিশ্চয়
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
yubashiruki
يُبَشِّرُكِ
তোমাকে সুসংবাদ দিচ্ছেন
bikalimatin
بِكَلِمَةٍ
একটি কথার (অর্থাৎ সন্তানের)
min'hu
مِّنْهُ
তাঁর পক্ষ হতে
us'muhu
ٱسْمُهُ
তার নাম (হবে)
l-masīḥu
ٱلْمَسِيحُ
মাসীহ
ʿīsā
عِيسَى
ঈসা
ub'nu
ٱبْنُ
পুত্র
maryama
مَرْيَمَ
মারইয়ামের
wajīhan
وَجِيهًا
সম্মানিত হবে
فِى
মধ্যে
l-dun'yā
ٱلدُّنْيَا
দুনিয়ার
wal-ākhirati
وَٱلْءَاخِرَةِ
ও আখিরাতে
wamina
وَمِنَ
এবং (গণ্য হবে) মধ্যে
l-muqarabīna
ٱلْمُقَرَّبِينَ
সান্নিধ্য প্রাপ্তদের
(স্মরণ কর) যখন ফেরেশতারা বলল, ‘হে মারইয়াম! নিশ্চয় আল্লাহ তোমাকে তাঁর একটি কথার সুসংবাদ দিচ্ছেন। তার নাম মারইয়ামের পুত্র ঈসা-মসীহ, সে দুনিয়া ও আখেরাতে সম্মানিত ও সান্নিধ্য প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ ([৩] আল ইমরান: ৪৫)
ব্যাখ্যা
৪৬

وَيُكَلِّمُ النَّاسَ فِى الْمَهْدِ وَكَهْلًا وَّمِنَ الصّٰلِحِيْنَ ٤٦

wayukallimu
وَيُكَلِّمُ
এবং সে কথা বলবে
l-nāsa
ٱلنَّاسَ
মানুষের (সাথে)
فِى
(মধ্যে)
l-mahdi
ٱلْمَهْدِ
দোলনায়
wakahlan
وَكَهْلًا
ও পরিণত বয়সে
wamina
وَمِنَ
এবং অন্যতম হবে
l-ṣāliḥīna
ٱلصَّٰلِحِينَ
সৎকর্মশীলদের''
‘সে লোকেদের সাথে দোলনা থাকা অবস্থায় এবং বয়োঃপ্রাপ্ত অবস্থায় কথা বলবে এবং নেক বান্দাদের অন্তর্গত হবে। ([৩] আল ইমরান: ৪৬)
ব্যাখ্যা
৪৭

قَالَتْ رَبِّ اَنّٰى يَكُوْنُ لِيْ وَلَدٌ وَّلَمْ يَمْسَسْنِيْ بَشَرٌ ۗ قَالَ كَذٰلِكِ اللّٰهُ يَخْلُقُ مَا يَشَاۤءُ ۗاِذَا قَضٰٓى اَمْرًا فَاِنَّمَا يَقُوْلُ لَهٗ كُنْ فَيَكُوْنُ ٤٧

qālat
قَالَتْ
সে বলল
rabbi
رَبِّ
''হে আমার রব
annā
أَنَّىٰ
কিরূপে
yakūnu
يَكُونُ
হবে
لِى
আমার
waladun
وَلَدٌ
ছেলে
walam
وَلَمْ
অথচ নাই
yamsasnī
يَمْسَسْنِى
আমাকে স্পর্শ করে
basharun
بَشَرٌۖ
(কোন) মানুষ''
qāla
قَالَ
তিনি বললেন
kadhāliki
كَذَٰلِكِ
''এভাবেই
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
yakhluqu
يَخْلُقُ
সৃষ্টি করেন
مَا
যা
yashāu
يَشَآءُۚ
তিনি ইচ্ছে করেন
idhā
إِذَا
যখন
qaḍā
قَضَىٰٓ
সিদ্ধান্ত নেন
amran
أَمْرًا
কোন কাজের
fa-innamā
فَإِنَّمَا
মূলত
yaqūlu
يَقُولُ
বলেন
lahu
لَهُۥ
তাকে
kun
كُن
''হও''
fayakūnu
فَيَكُونُ
অতঃপর হয়ে যায়
মারইয়াম বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! কীভাবে আমার পুত্র হবে, অথচ আমাকে কোন মানব স্পর্শ করেনি’। তিনি বললেন, ‘এভাবেই’ আল্লাহ সৃজন করেন যা তিনি ইচ্ছে করেন, তিনি যখন কিছু স্থির করেন তখন বলেন, ‘‘হয়ে যাও’’ সুতরাং তা হয়ে যায়। ([৩] আল ইমরান: ৪৭)
ব্যাখ্যা
৪৮

وَيُعَلِّمُهُ الْكِتٰبَ وَالْحِكْمَةَ وَالتَّوْرٰىةَ وَالْاِنْجِيْلَۚ ٤٨

wayuʿallimuhu
وَيُعَلِّمُهُ
এবং তাকে শিক্ষা দিবেন
l-kitāba
ٱلْكِتَٰبَ
কিতাব
wal-ḥik'mata
وَٱلْحِكْمَةَ
ও হিকমত
wal-tawrāta
وَٱلتَّوْرَىٰةَ
ও তাওরাত
wal-injīla
وَٱلْإِنجِيلَ
ও ইনজীল
আর তিনি তাকে কিতাব, হিকমাত, তাওরাত ও ইঞ্জিল শিক্ষা দেবেন। ([৩] আল ইমরান: ৪৮)
ব্যাখ্যা
৪৯

وَرَسُوْلًا اِلٰى بَنِيْٓ اِسْرَاۤءِيْلَ ەۙ اَنِّيْ قَدْ جِئْتُكُمْ بِاٰيَةٍ مِّنْ رَّبِّكُمْ ۙاَنِّيْٓ اَخْلُقُ لَكُمْ مِّنَ الطِّيْنِ كَهَيْـَٔةِ الطَّيْرِ فَاَنْفُخُ فِيْهِ فَيَكُوْنُ طَيْرًاۢ بِاِذْنِ اللّٰهِ ۚوَاُبْرِئُ الْاَكْمَهَ وَالْاَبْرَصَ وَاُحْيِ الْمَوْتٰى بِاِذْنِ اللّٰهِ ۚوَاُنَبِّئُكُمْ بِمَا تَأْكُلُوْنَ وَمَا تَدَّخِرُوْنَ ۙفِيْ بُيُوْتِكُمْ ۗاِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيَةً لَّكُمْ اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِيْنَۚ ٤٩

warasūlan
وَرَسُولًا
এবং (নিযুক্ত করবেন) রাসূল
ilā
إِلَىٰ
প্রতি
banī
بَنِىٓ
বনী
is'rāīla
إِسْرَٰٓءِيلَ
ইসরাঈলের
annī
أَنِّى
''(সে বলবে) যে আমি
qad
قَدْ
নিশ্চয়
ji'tukum
جِئْتُكُم
তোমাদের কাছে এসেছি
biāyatin
بِـَٔايَةٍ
একটি নিদর্শন সহকারে
min
مِّن
পক্ষ হতে
rabbikum
رَّبِّكُمْۖ
তোমাদের রবের
annī
أَنِّىٓ
(তা) এই যে আমি
akhluqu
أَخْلُقُ
আমি বানাই
lakum
لَكُم
তোমাদের জন্যে
mina
مِّنَ
থেকে
l-ṭīni
ٱلطِّينِ
মাটি
kahayati
كَهَيْـَٔةِ
আকৃতির মতো
l-ṭayri
ٱلطَّيْرِ
পাখির
fa-anfukhu
فَأَنفُخُ
আমি অতঃপর ফুঁক দিই
fīhi
فِيهِ
তার মধ্যে
fayakūnu
فَيَكُونُ
হয়ে যায় তখন
ṭayran
طَيْرًۢا
পাখি
bi-idh'ni
بِإِذْنِ
হুকুমে
l-lahi
ٱللَّهِۖ
আল্লাহর
wa-ub'ri-u
وَأُبْرِئُ
এবং সুস্থ করি
l-akmaha
ٱلْأَكْمَهَ
জন্মান্ধকে
wal-abraṣa
وَٱلْأَبْرَصَ
ও কুষ্ঠ ব্যাধিগ্রস্থকে
wa-uḥ'yī
وَأُحْىِ
এবং জীবিত করি
l-mawtā
ٱلْمَوْتَىٰ
মৃতকে
bi-idh'ni
بِإِذْنِ
হুকুমে
l-lahi
ٱللَّهِۖ
আল্লাহর
wa-unabbi-ukum
وَأُنَبِّئُكُم
এবং তোমাদের বলে দেই আমি
bimā
بِمَا
যা কিছু
takulūna
تَأْكُلُونَ
তোমরা খাও তোমাদের ঘরে
wamā
وَمَا
এবং যা
taddakhirūna
تَدَّخِرُونَ
তোমরা মওজুদ কর
فِى
মধ্যে
buyūtikum
بُيُوتِكُمْۚ
তোমাদের গৃহগুলোর
inna
إِنَّ
নিশ্চয়
فِى
মধ্যে আছে
dhālika
ذَٰلِكَ
এর
laāyatan
لَءَايَةً
অবশ্যই নিদর্শন
lakum
لَّكُمْ
তোমাদের জন্যে
in
إِن
যদি
kuntum
كُنتُم
তোমরা হও
mu'minīna
مُّؤْمِنِينَ
মু'মিন
‘আর তিনি তাকে বানী ইসরাঈলের নিকট রসূল হিসেবে প্রেরণ করবেন’। সে বলবে, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে নিদর্শনসহ তোমাদের নিকট এসেছি, আমি তোমাদের জন্য মাটি দ্বারা পাখীর মত একটা কায়া গঠন করব, অতঃপর তাতে ফুঁৎকার দেব, ফলে আল্লাহর হুকুমে তা পাখি হয়ে যাবে এবং আল্লাহর হুকুমে আমি জন্মান্ধ ও কুষ্ঠরোগীকে আরোগ্য করব ও আল্লাহর হুকুমে মৃতকে জীবিত করব এবং আমি তোমাদেরকে বলে দেব তোমাদের গৃহে তোমরা যা আহার কর এবং সঞ্চয় করে রাখ; নিশ্চয়ই এ কাজে তোমাদের জন্য নিদর্শন রয়েছে, যদি তোমরা মু’মিন হও।’ ([৩] আল ইমরান: ৪৯)
ব্যাখ্যা
৫০

وَمُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيَّ مِنَ التَّوْرٰىةِ وَلِاُحِلَّ لَكُمْ بَعْضَ الَّذِيْ حُرِّمَ عَلَيْكُمْ وَجِئْتُكُمْ بِاٰيَةٍ مِّنْ رَّبِّكُمْۗ فَاتَّقُوا اللّٰهَ وَاَطِيْعُوْنِ ٥٠

wamuṣaddiqan
وَمُصَدِّقًا
এবং সত্যায়নকারী
limā
لِّمَا
(তার) যা
bayna
بَيْنَ
(মধ্যে)
yadayya
يَدَىَّ
আমার সামনে আছে
mina
مِنَ
(থেকে)
l-tawrāti
ٱلتَّوْرَىٰةِ
(অর্থাৎ) তওরাত
wali-uḥilla
وَلِأُحِلَّ
এবং আমি হালাল করতে (এসেছি)
lakum
لَكُم
তোমাদের জন্যে
baʿḍa
بَعْضَ
(এমন) কিছু
alladhī
ٱلَّذِى
যা
ḥurrima
حُرِّمَ
হারাম করা হয়েছিল
ʿalaykum
عَلَيْكُمْۚ
তোমাদের উপর
waji'tukum
وَجِئْتُكُم
ও তোমাদের কাছে এসেছি
biāyatin
بِـَٔايَةٍ
নিদর্শনসহ
min
مِّن
পক্ষ হতে
rabbikum
رَّبِّكُمْ
তোমাদের রবের
fa-ittaqū
فَٱتَّقُوا۟
অতএব তোমরা ভয় কর
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহকে
wa-aṭīʿūni
وَأَطِيعُونِ
এবং আমার আনুগত্য কর
‘(আর আমি এসেছি) আমার সামনে তাওরাতের নিদর্শন যা রয়েছে তার সমর্থকরূপে যেন তোমাদের জন্য কোন কোন জিনিস হালাল করে দেই যা তোমাদের প্রতি হারাম ছিল এবং আমি তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে নিদর্শনসহ তোমাদের নিকট এসেছি, কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমাকে অনুসরণ কর’। ([৩] আল ইমরান: ৫০)
ব্যাখ্যা