Skip to content

সূরা আল ইমরান - Page: 3

Ali 'Imran

(ʾĀl ʿImrān)

২১

اِنَّ الَّذِيْنَ يَكْفُرُوْنَ بِاٰيٰتِ اللّٰهِ وَيَقْتُلُوْنَ النَّبِيّٖنَ بِغَيْرِحَقٍّۖ وَّيَقْتُلُوْنَ الَّذِيْنَ يَأْمُرُوْنَ بِالْقِسْطِ مِنَ النَّاسِۙ فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ اَلِيْمٍ ٢١

inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
yakfurūna
يَكْفُرُونَ
অস্বীকার করে
biāyāti
بِـَٔايَٰتِ
নিদর্শনাবলীকে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
wayaqtulūna
وَيَقْتُلُونَ
ও হত্যা করে
l-nabiyīna
ٱلنَّبِيِّۦنَ
নবীদেরকে
bighayri
بِغَيْرِ
ব্যাতিত
ḥaqqin
حَقٍّ
ন্যায়ভাবে
wayaqtulūna
وَيَقْتُلُونَ
এবং হত্যা করে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
(তাদেরকেও) যারা
yamurūna
يَأْمُرُونَ
নির্দেশ দেয়
bil-qis'ṭi
بِٱلْقِسْطِ
ন্যায়পরায়ণতার
mina
مِنَ
মধ্যে হতে
l-nāsi
ٱلنَّاسِ
লোকদের
fabashir'hum
فَبَشِّرْهُم
তাই সুসংবাদ দাও তাদেরকে
biʿadhābin
بِعَذَابٍ
আজাবের
alīmin
أَلِيمٍ
বড় যন্ত্রণাদায়ক
যারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অমান্য করে, নাবীদেরকে অন্যায়ভাবে হত্যা করে এবং মানুষদের মধ্যে যারা ন্যায়-নীতি শিক্ষা দেয় তাদেরকে হত্যা করে, তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সংবাদ দাও। ([৩] আল ইমরান: ২১)
ব্যাখ্যা
২২

اُولٰۤىِٕكَ الَّذِيْنَ حَبِطَتْ اَعْمَالُهُمْ فِى الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ ۖ وَمَا لَهُمْ مِّنْ نّٰصِرِيْنَ ٢٢

ulāika
أُو۟لَٰٓئِكَ
ঐসব লোক
alladhīna
ٱلَّذِينَ
(তারাই) যাদের
ḥabiṭat
حَبِطَتْ
নষ্ট হয়েছে
aʿmāluhum
أَعْمَٰلُهُمْ
তাদের আমলসমূহ
فِى
মধ্যে
l-dun'yā
ٱلدُّنْيَا
দুনিয়ার
wal-ākhirati
وَٱلْءَاخِرَةِ
ও আখিরাতের
wamā
وَمَا
এবং নাই
lahum
لَهُم
তাদের জন্য
min
مِّن
কোন
nāṣirīna
نَّٰصِرِينَ
সাহায্যকারী
এরাই তারা যাদের সমুদয় ‘আমাল দুনিয়া ও আখেরাতে নিষ্ফল হবে এবং তাদের কোন সাহায্যকারী নেই। ([৩] আল ইমরান: ২২)
ব্যাখ্যা
২৩

اَلَمْ تَرَ اِلَى الَّذِيْنَ اُوْتُوْا نَصِيْبًا مِّنَ الْكِتٰبِ يُدْعَوْنَ اِلٰى كِتٰبِ اللّٰهِ لِيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ يَتَوَلّٰى فَرِيْقٌ مِّنْهُمْ وَهُمْ مُّعْرِضُوْنَ ٢٣

alam
أَلَمْ
তুমি কি
tara
تَرَ
দেখ নাই
ilā
إِلَى
প্রতি
alladhīna
ٱلَّذِينَ
(ঐ লোকদের) যাদের
ūtū
أُوتُوا۟
দেয়া হয়েছে
naṣīban
نَصِيبًا
অংশ
mina
مِّنَ
কিছু
l-kitābi
ٱلْكِتَٰبِ
কিতাবের
yud'ʿawna
يُدْعَوْنَ
তাদের ডাকা হয়
ilā
إِلَىٰ
দিকে
kitābi
كِتَٰبِ
কিতাবের
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
liyaḥkuma
لِيَحْكُمَ
ফয়সালা করার জন্য
baynahum
بَيْنَهُمْ
তাদের মাঝে
thumma
ثُمَّ
এরপর
yatawallā
يَتَوَلَّىٰ
ফিরে যায়
farīqun
فَرِيقٌ
একদল
min'hum
مِّنْهُمْ
তাদের মধ্য হতে
wahum
وَهُم
এবং তারা
muʿ'riḍūna
مُّعْرِضُونَ
মুখ ফিরিয়ে নেয়
তুমি কি তাদের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করনি যাদেরকে কিতাবের অংশ দেয়া হয়েছিল? তাদেরকে আল্লাহর কিতাবের দিকে আহবান করা হয়েছিল, যাতে এটা তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেয়, এরপর তাদের একদল বিমুখতা অবলম্বন করে ফিরে যায়। ([৩] আল ইমরান: ২৩)
ব্যাখ্যা
২৪

ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَالُوْا لَنْ تَمَسَّنَا النَّارُ اِلَّآ اَيَّامًا مَّعْدُوْدٰتٍ ۖ وَّغَرَّهُمْ فِيْ دِيْنِهِمْ مَّا كَانُوْا يَفْتَرُوْنَ ٢٤

dhālika
ذَٰلِكَ
এটা
bi-annahum
بِأَنَّهُمْ
এজন্য যে
qālū
قَالُوا۟
তারা বলে
lan
لَن
''কক্ষনো না
tamassanā
تَمَسَّنَا
আমাদের স্পর্শ করবে
l-nāru
ٱلنَّارُ
আগুন
illā
إِلَّآ
তবে (যদি করেও)
ayyāman
أَيَّامًا
কয়েকদিন (মাত্র)
maʿdūdātin
مَّعْدُودَٰتٍۖ
সীমিত,''
wagharrahum
وَغَرَّهُمْ
আর তাদেরকে ধোঁকা দিয়েছে
فِى
ব্যাপারে
dīnihim
دِينِهِم
তাদের দ্বীনের
مَّا
(তাই) যা
kānū
كَانُوا۟
করছিল
yaftarūna
يَفْتَرُونَ
তারা উদ্ভাবন
এটা এজন্য যে, তারা বলে, দিন কতক ছাড়া জাহান্নামের আগুন কক্ষনো আমাদেরকে স্পর্শ করবে না এবং তাদের কল্পিত ধারণাসমূহ দ্বীনের ব্যাপারে তাদেরকে ধোঁকায় ফেলে রেখেছে। ([৩] আল ইমরান: ২৪)
ব্যাখ্যা
২৫

فَكَيْفَ اِذَا جَمَعْنٰهُمْ لِيَوْمٍ لَّا رَيْبَ فِيْهِۗ وَوُفِّيَتْ كُلُّ نَفْسٍ مَّا كَسَبَتْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُوْنَ ٢٥

fakayfa
فَكَيْفَ
কেমন হবে তখন
idhā
إِذَا
যখন
jamaʿnāhum
جَمَعْنَٰهُمْ
তাদের আমরা একত্রিত করব
liyawmin
لِيَوْمٍ
সেদিন
لَّا
নাই
rayba
رَيْبَ
কোন সন্দেহ
fīhi
فِيهِ
যার মধ্যে
wawuffiyat
وَوُفِّيَتْ
এবং পূর্ণ দেয়া হবে
kullu
كُلُّ
প্রত্যেক
nafsin
نَفْسٍ
ব্যক্তিকে
مَّا
যা
kasabat
كَسَبَتْ
সে উপার্জন করেছে
wahum
وَهُمْ
এবং তাদেরকে
لَا
না
yuẓ'lamūna
يُظْلَمُونَ
জুলুম করা হবে
অনন্তর তাদের কী দশা ঘটবে, যখন আমি তাদেরকে সেই দিনে একত্রিত করব, যে দিনটি সংঘটিত হওয়ার ব্যাপারে কোনই সন্দেহ নেই এবং প্রত্যেককে তার অর্জিত প্রতিফল পূর্ণভাবে দেয়া হবে আর তাদের প্রতি কোন যুলম করা হবে না। ([৩] আল ইমরান: ২৫)
ব্যাখ্যা
২৬

قُلِ اللهم مٰلِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِى الْمُلْكَ مَنْ تَشَاۤءُ وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَاۤءُۖ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَاۤءُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَاۤءُ ۗ بِيَدِكَ الْخَيْرُ ۗ اِنَّكَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ٢٦

quli
قُلِ
তুমি বল
l-lahuma
ٱللَّهُمَّ
''হে আল্লাহ
mālika
مَٰلِكَ
মালিক
l-mul'ki
ٱلْمُلْكِ
রাজত্বের
tu'tī
تُؤْتِى
দাও তুমি
l-mul'ka
ٱلْمُلْكَ
শাসন ক্ষমতা
man
مَن
যাকে
tashāu
تَشَآءُ
তুমি ইচ্ছে কর
watanziʿu
وَتَنزِعُ
আর কেড়ে নাও
l-mul'ka
ٱلْمُلْكَ
শাসন ক্ষমতা
mimman
مِمَّن
যার থেকে
tashāu
تَشَآءُ
ইচ্ছেকর তুমি
watuʿizzu
وَتُعِزُّ
এবং তুমি দাও ইজ্জত
man
مَن
যাকে
tashāu
تَشَآءُ
তুমি ইচ্ছে কর
watudhillu
وَتُذِلُّ
আর লাঞ্ছিত কর
man
مَن
যাকে
tashāu
تَشَآءُۖ
তুমি ইচ্ছে কর,
biyadika
بِيَدِكَ
তোমারই হাতে
l-khayru
ٱلْخَيْرُۖ
সব কল্যাণ
innaka
إِنَّكَ
তুমি নিশ্চয়
ʿalā
عَلَىٰ
উপর
kulli
كُلِّ
সব
shayin
شَىْءٍ
কিছুর
qadīrun
قَدِيرٌ
ক্ষমতাবান
বল, ‘হে আল্লাহ! তুমি সমুদয় রাজ্যের মালিক, যাকে ইচ্ছে রাজ্য দান কর আর যার থেকে ইচ্ছে রাজ্য কেড়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছে সম্মানিত কর আর যাকে ইচ্ছে অপদস্থ কর, তোমারই হাতে সব রকম কল্যাণ, নিশ্চয়ই তুমি সকল বস্তুর উপর ক্ষমতাবান’। ([৩] আল ইমরান: ২৬)
ব্যাখ্যা
২৭

تُوْلِجُ الَّيْلَ فِى النَّهَارِ وَتُوْلِجُ النَّهَارَ فِى الَّيْلِ وَتُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَتُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ وَتَرْزُقُ مَنْ تَشَاۤءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ ٢٧

tūliju
تُولِجُ
তুমি প্রবেশ করাও
al-layla
ٱلَّيْلَ
রাতকে
فِى
মধ্যে
l-nahāri
ٱلنَّهَارِ
দিনের
watūliju
وَتُولِجُ
আবার তুমি প্রবেশ করাও
l-nahāra
ٱلنَّهَارَ
দিনকে
فِى
মধ্যে
al-layli
ٱلَّيْلِۖ
রাতের
watukh'riju
وَتُخْرِجُ
এবং তুমি বের কর
l-ḥaya
ٱلْحَىَّ
জীবন্তকে
mina
مِنَ
হতে
l-mayiti
ٱلْمَيِّتِ
মৃত
watukh'riju
وَتُخْرِجُ
আবার বের কর তুমি
l-mayita
ٱلْمَيِّتَ
মৃতকে
mina
مِنَ
হতে
l-ḥayi
ٱلْحَىِّۖ
জীবন্ত
watarzuqu
وَتَرْزُقُ
এবং রিয্‌ক দাও তুমি
man
مَن
যাকে
tashāu
تَشَآءُ
তুমি ইচ্ছে কর
bighayri
بِغَيْرِ
ছাড়াই
ḥisābin
حِسَابٍ
কোন হিসেব''
তুমিই রাতকে দিনের ভিতর আর দিনকে রাতের ভিতর ঢুকিয়ে দাও, তুমিই জীবিতকে মৃত হতে বের কর এবং মৃতকে জীবিত হতে বের কর আর যাকে ইচ্ছে বেহিসাব রিয্ক্ব দান কর। ([৩] আল ইমরান: ২৭)
ব্যাখ্যা
২৮

لَا يَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُوْنَ الْكٰفِرِيْنَ اَوْلِيَاۤءَ مِنْ دُوْنِ الْمُؤْمِنِيْنَۚ وَمَنْ يَّفْعَلْ ذٰلِكَ فَلَيْسَ مِنَ اللّٰهِ فِيْ شَيْءٍ اِلَّآ اَنْ تَتَّقُوْا مِنْهُمْ تُقٰىةً ۗ وَيُحَذِّرُكُمُ اللّٰهُ نَفْسَهٗ ۗ وَاِلَى اللّٰهِ الْمَصِيْرُ ٢٨

لَّا
না
yattakhidhi
يَتَّخِذِ
গ্রহণ করবে
l-mu'minūna
ٱلْمُؤْمِنُونَ
মু'মিনরা
l-kāfirīna
ٱلْكَٰفِرِينَ
কাফিরদেরকে
awliyāa
أَوْلِيَآءَ
অভিভাবক হিসেবে
min
مِن
(থেকে)
dūni
دُونِ
ব্যতীত
l-mu'minīna
ٱلْمُؤْمِنِينَۖ
মু'মিনদেরকে
waman
وَمَن
এবং
yafʿal
يَفْعَلْ
করবে
dhālika
ذَٰلِكَ
এরূপ
falaysa
فَلَيْسَ
নাই সেক্ষেত্রে
mina
مِنَ
সাথে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
فِى
(মধ্যে)
shayin
شَىْءٍ
কোন কিছু (সম্পর্ক)
illā
إِلَّآ
তবে
an
أَن
(যে)
tattaqū
تَتَّقُوا۟
তোমরা আত্মরক্ষা করলে
min'hum
مِنْهُمْ
তাদের থেকে
tuqātan
تُقَىٰةًۗ
আত্মরক্ষা হিসেবে (সেটা ভিন্ন কথা)
wayuḥadhirukumu
وَيُحَذِّرُكُمُ
এবং তোমাদেরকে সাবধান করেছেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
nafsahu
نَفْسَهُۥۗ
তাঁর নিজের (সম্পর্কে)
wa-ilā
وَإِلَى
এবং দিকে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহরই
l-maṣīru
ٱلْمَصِيرُ
(তোমাদের) প্রত্যাবর্তন হবে
মু’মিনগণ যেন মু’মিনগণ ছাড়া কাফিরদের সঙ্গে বন্ধুত্ব না করে, মূলতঃ যে এমন করবে আল্লাহর সাথে তার কোন কিছুরই সম্পর্ক নেই, তবে ব্যতিক্রম হল যদি তোমরা তাদের যুলম হতে আত্মরক্ষার জন্য সতর্কতা অবলম্বন কর। আর আল্লাহ তাঁর নিজের সম্বন্ধে তোমাদেরকে সাবধান করছেন এবং আল্লাহরই দিকে প্রত্যাবর্তন। ([৩] আল ইমরান: ২৮)
ব্যাখ্যা
২৯

قُلْ اِنْ تُخْفُوْا مَا فِيْ صُدُوْرِكُمْ اَوْ تُبْدُوْهُ يَعْلَمْهُ اللّٰهُ ۗوَيَعْلَمُ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَمَا فِى الْاَرْضِۗ وَاللّٰهُ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ٢٩

qul
قُلْ
তুমি বল
in
إِن
''যদি
tukh'fū
تُخْفُوا۟
তোমরা গোপন কর
مَا
যা কিছু
فِى
মধ্যে আছে
ṣudūrikum
صُدُورِكُمْ
তোমাদের অন্তরের
aw
أَوْ
বা
tub'dūhu
تُبْدُوهُ
তা তোমরা প্রকাশ কর
yaʿlamhu
يَعْلَمْهُ
তা জানেন
l-lahu
ٱللَّهُۗ
আল্লাহ
wayaʿlamu
وَيَعْلَمُ
এবং তিনি জানেন
مَا
যা কিছু
فِى
মধ্যে আছে
l-samāwāti
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আসমান সমূহের
wamā
وَمَا
এবং যা
فِى
মধ্যে আছে
l-arḍi
ٱلْأَرْضِۗ
জমিনের
wal-lahu
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
ʿalā
عَلَىٰ
উপর
kulli
كُلِّ
সব
shayin
شَىْءٍ
কিছুরই
qadīrun
قَدِيرٌ
ক্ষমতাবান''
বল, ‘তোমরা তোমাদের অন্তরের বিষয়কে গোপন কর অথবা প্রকাশ কর, আল্লাহ তা জানেন, আর তিনি জানেন যা কিছু আকাশসমূহে এবং ভূভাগে আছে; আল্লাহ সকল বস্তুর উপর ক্ষমতাবান’। ([৩] আল ইমরান: ২৯)
ব্যাখ্যা
৩০

يَوْمَ تَجِدُ كُلُّ نَفْسٍ مَّا عَمِلَتْ مِنْ خَيْرٍ مُّحْضَرًا ۛوَمَا عَمِلَتْ مِنْ سُوْۤءٍ ۛ تَوَدُّ لَوْ اَنَّ بَيْنَهَا وَبَيْنَهٗٓ اَمَدًاۢ بَعِيْدًا ۗوَيُحَذِّرُكُمُ اللّٰهُ نَفْسَهٗ ۗوَاللّٰهُ رَءُوْفٌۢ بِالْعِبَادِ ࣖ ٣٠

yawma
يَوْمَ
যেদিন
tajidu
تَجِدُ
পাবে
kullu
كُلُّ
প্রত্যেক
nafsin
نَفْسٍ
ব্যক্তি
مَّا
যা
ʿamilat
عَمِلَتْ
সে কাজ করেছে
min
مِنْ
কোন
khayrin
خَيْرٍ
ভাল (কাজ)
muḥ'ḍaran
مُّحْضَرًا
বিদ্যমান (পাবে)
wamā
وَمَا
আর যা কিছু
ʿamilat
عَمِلَتْ
কাজ করেছে
min
مِن
কোন
sūin
سُوٓءٍ
মন্দ
tawaddu
تَوَدُّ
সে কামনা করবে
law
لَوْ
যদি
anna
أَنَّ
(এমন হতো) যে
baynahā
بَيْنَهَا
তার মাঝে (ব্যক্তির)
wabaynahu
وَبَيْنَهُۥٓ
ও তার মাঝে (মন্দ কাজের)
amadan
أَمَدًۢا
ব্যবধান
baʿīdan
بَعِيدًاۗ
সুদূর
wayuḥadhirukumu
وَيُحَذِّرُكُمُ
এবং তোমাদেরকে সাবধান করছেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
nafsahu
نَفْسَهُۥۗ
তার নিজের (সম্পর্কে)
wal-lahu
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
raūfun
رَءُوفٌۢ
দয়াশীল
bil-ʿibādi
بِٱلْعِبَادِ
বান্দাদের উপর
যে দিন প্রত্যেক আত্মা যা কিছু নেক ‘আমাল করেছে এবং যা কিছু বদ ‘আমাল করেছে তা বিদ্যমান পাবে; সেই আত্মা কামনা করবে যদি তার এবং ওর (অর্থাৎ তার মন্দ কর্মফলের) মধ্যে দুস্তর ব্যবধান হত। আল্লাহ তাঁর নিজের সম্পর্কে তোমাদেরকে সাবধান করছেন, বস্তুতঃ আল্লাহ বান্দাগণের প্রতি খুবই করুণাশীল। ([৩] আল ইমরান: ৩০)
ব্যাখ্যা