Skip to content

সূরা আল ইমরান - Page: 2

Ali 'Imran

(ʾĀl ʿImrān)

১১

كَدَأْبِ اٰلِ فِرْعَوْنَۙ وَالَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِهِمْۗ كَذَّبُوْا بِاٰيٰتِنَاۚ فَاَخَذَهُمُ اللّٰهُ بِذُنُوْبِهِمْ ۗ وَاللّٰهُ شَدِيْدُ الْعِقَابِ ١١

kadabi
كَدَأْبِ
পরিণতি মতো (হয়েছে)
āli
ءَالِ
সম্প্রদায়ের
fir'ʿawna
فِرْعَوْنَ
ফিরআউনের
wa-alladhīna
وَٱلَّذِينَ
এবং যারা
min
مِن
(থেকে)
qablihim
قَبْلِهِمْۚ
তাদের পূর্ব থেকে (ছিল)
kadhabū
كَذَّبُوا۟
তারা অস্বীকার করেছিল
biāyātinā
بِـَٔايَٰتِنَا
আমাদের নিদর্শনগুলোর প্রতি
fa-akhadhahumu
فَأَخَذَهُمُ
অতঃপর ধরলেন তাদেরকে
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
bidhunūbihim
بِذُنُوبِهِمْۗ
তাদের পাপের কারণে
wal-lahu
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
shadīdu
شَدِيدُ
বড় কঠোর
l-ʿiqābi
ٱلْعِقَابِ
শাস্তিদানে
তাদের স্বভাব ফেরাওনী দল এবং তাদের আগের লোকেদের মত যারা আমার আয়াতগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে; সুতরাং আল্লাহ তাদের গুনাহের দরুন তাদেরকে পাকড়াও করলেন, আল্লাহ শাস্তি দানে অত্যন্ত কঠোর। ([৩] আল ইমরান: ১১)
ব্যাখ্যা
১২

قُلْ لِّلَّذِيْنَ كَفَرُوْا سَتُغْلَبُوْنَ وَتُحْشَرُوْنَ اِلٰى جَهَنَّمَ ۗ وَبِئْسَ الْمِهَادُ ١٢

qul
قُل
বলো তুমি
lilladhīna
لِّلَّذِينَ
তাদের উদ্দেশে (যারা)
kafarū
كَفَرُوا۟
অস্বীকার করেছে
satugh'labūna
سَتُغْلَبُونَ
শীঘ্রই তোমাদের পরাজিত হবে
watuḥ'sharūna
وَتُحْشَرُونَ
ও তোমাদের একত্র করা হবে
ilā
إِلَىٰ
দিকে
jahannama
جَهَنَّمَۚ
জাহান্নামের
wabi'sa
وَبِئْسَ
এবং (তা) অতিনিকৃষ্ট
l-mihādu
ٱلْمِهَادُ
আবাসস্থল
যারা কুফরী করে তাদেরকে বলে দাও, ‘তোমরা অচিরেই পরাজিত হবে আর তোমাদেরকে জাহান্নামের দিকে হাঁকানো হবে, ওটা কতই না নিকৃষ্ট আবাসস্থান’! ([৩] আল ইমরান: ১২)
ব্যাখ্যা
১৩

قَدْ كَانَ لَكُمْ اٰيَةٌ فِيْ فِئَتَيْنِ الْتَقَتَا ۗفِئَةٌ تُقَاتِلُ فِيْ سَبِيْلِ اللّٰهِ وَاُخْرٰى كَافِرَةٌ يَّرَوْنَهُمْ مِّثْلَيْهِمْ رَأْيَ الْعَيْنِ ۗوَاللّٰهُ يُؤَيِّدُ بِنَصْرِهٖ مَنْ يَّشَاۤءُ ۗ اِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَعِبْرَةً لِّاُولِى الْاَبْصَارِ ١٣

qad
قَدْ
নিশ্চয়ই
kāna
كَانَ
রয়েছে
lakum
لَكُمْ
তোমাদের জন্য
āyatun
ءَايَةٌ
নিদর্শন
فِى
মধ্যে
fi-atayni
فِئَتَيْنِ
দুই দলের
l-taqatā
ٱلْتَقَتَاۖ
সম্মুখীন হয়েছিল পরস্পর (বদরের যুদ্ধে)
fi-atun
فِئَةٌ
একদল
tuqātilu
تُقَٰتِلُ
লড়াই করেছে
فِى
মধ্যে
sabīli
سَبِيلِ
পথের
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
wa-ukh'rā
وَأُخْرَىٰ
এবং অন্যটি
kāfiratun
كَافِرَةٌ
কাফির
yarawnahum
يَرَوْنَهُم
তাদেরকে তারা(মুসলিমদেরকে) দেখে
mith'layhim
مِّثْلَيْهِمْ
তাদের দ্বিগুণ
raya
رَأْىَ
(দেখ)
l-ʿayni
ٱلْعَيْنِۚ
চাক্ষুসভাবে
wal-lahu
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
yu-ayyidu
يُؤَيِّدُ
শক্তিশালী করেন
binaṣrihi
بِنَصْرِهِۦ
তাঁর সাহায্য দিয়ে
man
مَن
যাকে
yashāu
يَشَآءُۗ
তিনি চান
inna
إِنَّ
নিশ্চয়
فِى
মধ্যে (আছে)
dhālika
ذَٰلِكَ
এর
laʿib'ratan
لَعِبْرَةً
শিক্ষা অবশ্যই
li-ulī
لِّأُو۟لِى
জন্য
l-abṣāri
ٱلْأَبْصَٰرِ
অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্নদের
তোমাদের জন্য অবশ্যই নিদর্শন আছে সেই দু’দল সৈন্যের মধ্যে যারা পরস্পর প্রতিদ্বন্দীরূপে দাঁড়িয়েছিল (বদর প্রান্তরে)। একদল আল্লাহর পথে যুদ্ধ করেছিল এবং অপরদল ছিল কাফির, কাফিররা মুসলিমদেরকে প্রকাশ্য চোখে দ্বিগুণ দেখছিল। আল্লাহ যাকে ইচ্ছে স্বীয় সাহায্যের দ্বারা শক্তিশালী করে থাকেন, নিশ্চয়ই এতে দৃষ্টিমানদের জন্য শিক্ষা রয়েছে। ([৩] আল ইমরান: ১৩)
ব্যাখ্যা
১৪

زُيِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّهَوٰتِ مِنَ النِّسَاۤءِ وَالْبَنِيْنَ وَالْقَنَاطِيْرِ الْمُقَنْطَرَةِ مِنَ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَالْخَيْلِ الْمُسَوَّمَةِ وَالْاَنْعَامِ وَالْحَرْثِ ۗ ذٰلِكَ مَتَاعُ الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا ۗوَاللّٰهُ عِنْدَهٗ حُسْنُ الْمَاٰبِ ١٤

zuyyina
زُيِّنَ
মনোরম করা হয়েছে
lilnnāsi
لِلنَّاسِ
লোকদের জন্য
ḥubbu
حُبُّ
আসক্তি
l-shahawāti
ٱلشَّهَوَٰتِ
কামনার
mina
مِنَ
হতে
l-nisāi
ٱلنِّسَآءِ
নারীদের
wal-banīna
وَٱلْبَنِينَ
ও সন্তানাদির
wal-qanāṭīri
وَٱلْقَنَٰطِيرِ
এবং স্তুপ
l-muqanṭarati
ٱلْمُقَنطَرَةِ
রাশিকৃত
mina
مِنَ
(থেকে)
l-dhahabi
ٱلذَّهَبِ
সোনার
wal-fiḍati
وَٱلْفِضَّةِ
ও রূপার
wal-khayli
وَٱلْخَيْلِ
ও ঘোড়ার
l-musawamati
ٱلْمُسَوَّمَةِ
(যা) চিহ্নিত
wal-anʿāmi
وَٱلْأَنْعَٰمِ
ও গবাদিপশুর
wal-ḥarthi
وَٱلْحَرْثِۗ
এবং ক্ষেতখামারে
dhālika
ذَٰلِكَ
এটা
matāʿu
مَتَٰعُ
ভোগসামগ্রী
l-ḥayati
ٱلْحَيَوٰةِ
জীবনের
l-dun'yā
ٱلدُّنْيَاۖ
দুনিয়ার
wal-lahu
وَٱللَّهُ
কিন্তু আল্লাহ (এমন সত্তা)
ʿindahu
عِندَهُۥ
যার কাছে আছে
ḥus'nu
حُسْنُ
উত্তম
l-maābi
ٱلْمَـَٔابِ
আশ্রয়স্থল
মানুষের কাছে সুশোভিত করা হয়েছে নারী, সন্তান, স্ত্তপীকৃত স্বর্ণ ও রৌপ্যভান্ডার, চিহ্নযুক্ত অশ্বরাজি, গৃহপালিত পশু এবং শস্যক্ষেত্র, এসব পার্থিব জীবনের সম্পদ, আর আল্লাহ -তাঁরই নিকট রয়েছে উত্তম আশ্রয়স্থল। ([৩] আল ইমরান: ১৪)
ব্যাখ্যা
১৫

۞ قُلْ اَؤُنَبِّئُكُمْ بِخَيْرٍ مِّنْ ذٰلِكُمْ ۗ لِلَّذِيْنَ اتَّقَوْا عِنْدَ رَبِّهِمْ جَنّٰتٌ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ خٰلِدِيْنَ فِيْهَا وَاَزْوَاجٌ مُّطَهَّرَةٌ وَّرِضْوَانٌ مِّنَ اللّٰهِ ۗ وَاللّٰهُ بَصِيْرٌۢ بِالْعِبَادِۚ ١٥

qul
قُلْ
তুমি বল
a-unabbi-ukum
أَؤُنَبِّئُكُم
''তোমাদেরকে আমি বলে দেব কি
bikhayrin
بِخَيْرٍ
উত্তম (জিনিসের কথা)
min
مِّن
অপেক্ষা
dhālikum
ذَٰلِكُمْۚ
এসব,
lilladhīna
لِلَّذِينَ
(তাদের) জন্য যারা
ittaqaw
ٱتَّقَوْا۟
তাকওয়া অবলম্বন করেছে
ʿinda
عِندَ
কাছে
rabbihim
رَبِّهِمْ
তাদের রবের (রয়েছে)
jannātun
جَنَّٰتٌ
জান্নাত
tajrī
تَجْرِى
প্রবাহিত হয়
min
مِن
হতে
taḥtihā
تَحْتِهَا
তার পাদদেশ
l-anhāru
ٱلْأَنْهَٰرُ
ঝর্ণাধারা
khālidīna
خَٰلِدِينَ
তারা চিরস্থায়ী হবে
fīhā
فِيهَا
তার মধ্যে
wa-azwājun
وَأَزْوَٰجٌ
এবং স্ত্রীসমূহ (রয়েছে)
muṭahharatun
مُّطَهَّرَةٌ
পবিত্র
wariḍ'wānun
وَرِضْوَٰنٌ
এবং সন্তুষ্টি
mina
مِّنَ
পক্ষ হতে
l-lahi
ٱللَّهِۗ
আল্লাহর
wal-lahu
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
baṣīrun
بَصِيرٌۢ
খুব দৃষ্টি রাখেন
bil-ʿibādi
بِٱلْعِبَادِ
বান্দাদের উপর''
বল, আমি কি তোমাদেরকে এ সব হতেও অতি উত্তম কোন কিছুর সংবাদ দেব? যারা মুত্তাকী তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের নিকট এমন বাগান রয়েছে, যার নিম্নে নদী প্রবাহিত, তারা তাতে চিরকাল থাকবে আর রয়েছে পবিত্র সঙ্গী এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি, বস্তুতঃ আল্লাহ বান্দাগণের সম্পর্কে সম্যক দ্রষ্টা। ([৩] আল ইমরান: ১৫)
ব্যাখ্যা
১৬

اَلَّذِيْنَ يَقُوْلُوْنَ رَبَّنَآ اِنَّنَآ اٰمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِۚ ١٦

alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
yaqūlūna
يَقُولُونَ
বলে
rabbanā
رَبَّنَآ
''হে আমাদের রব
innanā
إِنَّنَآ
নিশ্চয়ই আমরা
āmannā
ءَامَنَّا
আমরা ঈমান এনেছি
fa-igh'fir
فَٱغْفِرْ
অতএব ক্ষমা কর
lanā
لَنَا
আমাদের
dhunūbanā
ذُنُوبَنَا
আমাদের গুনাহগুলোকে
waqinā
وَقِنَا
এবং বাঁচাও আমাদের
ʿadhāba
عَذَابَ
শাস্তি (হতে)
l-nāri
ٱلنَّارِ
জাহান্নামের''
যারা প্রার্থনা করে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, অতএব আমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা কর এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা কর’। ([৩] আল ইমরান: ১৬)
ব্যাখ্যা
১৭

اَلصّٰبِرِيْنَ وَالصّٰدِقِيْنَ وَالْقٰنِتِيْنَ وَالْمُنْفِقِيْنَ وَالْمُسْتَغْفِرِيْنَ بِالْاَسْحَارِ ١٧

al-ṣābirīna
ٱلصَّٰبِرِينَ
(তারা হবে) ধৈর্য্যশীল
wal-ṣādiqīna
وَٱلصَّٰدِقِينَ
ও সত্যবাদী-সত্যপন্থী
wal-qānitīna
وَٱلْقَٰنِتِينَ
ও বিনীত-অনুগত
wal-munfiqīna
وَٱلْمُنفِقِينَ
ও দাতা
wal-mus'taghfirīna
وَٱلْمُسْتَغْفِرِينَ
এবং ক্ষমাপ্রার্থী
bil-asḥāri
بِٱلْأَسْحَارِ
রাতের শেষপ্রান্তে
তারা ধৈর্যশীল, সত্যবাদী, (আল্লাহর প্রতি) আজ্ঞাবহ, (আল্লাহর পথে) ব্যয়কারী এবং শেষ রাতে ক্ষমাপ্রার্থনাকারী। ([৩] আল ইমরান: ১৭)
ব্যাখ্যা
১৮

شَهِدَ اللّٰهُ اَنَّهٗ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۙ وَالْمَلٰۤىِٕكَةُ وَاُولُوا الْعِلْمِ قَاۤىِٕمًاۢ بِالْقِسْطِۗ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ ١٨

shahida
شَهِدَ
সাক্ষী দিচ্ছেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
annahu
أَنَّهُۥ
তিনি নিশ্চয় (এমন যে)
لَآ
নাই
ilāha
إِلَٰهَ
কোন ইলাহ
illā
إِلَّا
ছাড়া
huwa
هُوَ
তিনি
wal-malāikatu
وَٱلْمَلَٰٓئِكَةُ
এবং ফেরেশতারা (সাক্ষ্য দিচ্ছে)
wa-ulū
وَأُو۟لُوا۟
এবং
l-ʿil'mi
ٱلْعِلْمِ
জ্ঞানীগণও
qāiman
قَآئِمًۢا
(যারা) প্রতিষ্ঠিত
bil-qis'ṭi
بِٱلْقِسْطِۚ
ন্যায়নীতিতে
لَآ
নাই
ilāha
إِلَٰهَ
কোন ইলাহ
illā
إِلَّا
ছাড়া
huwa
هُوَ
তিনি
l-ʿazīzu
ٱلْعَزِيزُ
পরাক্রমশালী
l-ḥakīmu
ٱلْحَكِيمُ
মহাবিজ্ঞ
আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ছাড়া সত্যিকার কোন ইলাহ নেই এবং ফেরেশতাগণ ও ন্যায়নীতিতে প্রতিষ্ঠিত জ্ঞানীগণও (সাক্ষ্য দিচ্ছে যে,) তিনি ছাড়া সত্যিকার কোন ইলাহ নেই, তিনি মহাপরাক্রান্ত, মহাজ্ঞানী। ([৩] আল ইমরান: ১৮)
ব্যাখ্যা
১৯

اِنَّ الدِّيْنَ عِنْدَ اللّٰهِ الْاِسْلَامُ ۗ وَمَا اخْتَلَفَ الَّذِيْنَ اُوْتُوا الْكِتٰبَ اِلَّا مِنْۢ بَعْدِ مَا جَاۤءَهُمُ الْعِلْمُ بَغْيًاۢ بَيْنَهُمْ ۗوَمَنْ يَّكْفُرْ بِاٰيٰتِ اللّٰهِ فَاِنَّ اللّٰهَ سَرِيْعُ الْحِسَابِ ١٩

inna
إِنَّ
নিশ্চয়
l-dīna
ٱلدِّينَ
জীবন ব্যবস্থা
ʿinda
عِندَ
কাছে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর (গ্রহণযোগ্য)
l-is'lāmu
ٱلْإِسْلَٰمُۗ
(একমাত্র) ইসলাম
wamā
وَمَا
এবং না
ikh'talafa
ٱخْتَلَفَ
মতানৈক্য করেছে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যাদের
ūtū
أُوتُوا۟
দেওয়া হয়েছিল
l-kitāba
ٱلْكِتَٰبَ
কিতাব
illā
إِلَّا
এছাড়া
min
مِنۢ
(থেকে)
baʿdi
بَعْدِ
পরে
مَا
যা
jāahumu
جَآءَهُمُ
তাদের কাছে এসেছে
l-ʿil'mu
ٱلْعِلْمُ
জ্ঞান
baghyan
بَغْيًۢا
বিদ্বেষের কারণে
baynahum
بَيْنَهُمْۗ
তাদের মাঝে
waman
وَمَن
এবং যে কেউ
yakfur
يَكْفُرْ
অস্বীকার করবে
biāyāti
بِـَٔايَٰتِ
নিদর্শনগুলোকে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
fa-inna
فَإِنَّ
নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ (তাদের হতে)
sarīʿu
سَرِيعُ
তৎপর
l-ḥisābi
ٱلْحِسَابِ
হিসাব (নিতে)
নিশ্চয় আল্লাহর নিকট একমাত্র দ্বীন হল ইসলাম। বস্তুতঃ যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিল তারা জ্ঞান লাভের পর একে অন্যের উপর প্রাধান্য লাভের জন্য মতভেদ সৃষ্টি করেছে এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর নিদর্শনসমূহ্কে অস্বীকার করবে, (সে জেনে নিক) নিশ্চয়ই আল্লাহ হিসাব গ্রহণে অতিশয় তৎপর। ([৩] আল ইমরান: ১৯)
ব্যাখ্যা
২০

فَاِنْ حَاۤجُّوْكَ فَقُلْ اَسْلَمْتُ وَجْهِيَ لِلّٰهِ وَمَنِ اتَّبَعَنِ ۗوَقُلْ لِّلَّذِيْنَ اُوْتُوا الْكِتٰبَ وَالْاُمِّيّٖنَ ءَاَسْلَمْتُمْ ۗ فَاِنْ اَسْلَمُوْا فَقَدِ اهْتَدَوْا ۚ وَاِنْ تَوَلَّوْا فَاِنَّمَا عَلَيْكَ الْبَلٰغُ ۗ وَاللّٰهُ بَصِيْرٌۢ بِالْعِبَادِ ࣖ ٢٠

fa-in
فَإِنْ
যদি এখন
ḥājjūka
حَآجُّوكَ
তোমাদের সাথে বিতর্ক করে
faqul
فَقُلْ
বল তবে
aslamtu
أَسْلَمْتُ
''আমি সমর্পণ করেছি
wajhiya
وَجْهِىَ
আমার মুখ
lillahi
لِلَّهِ
আল্লাহর কাছে
wamani
وَمَنِ
ও যারা
ittabaʿani
ٱتَّبَعَنِۗ
আমার অনুসরণ করেছে (তারাও)''
waqul
وَقُل
এবং তুমি বল
lilladhīna
لِّلَّذِينَ
তাদেরকে (যাদের)
ūtū
أُوتُوا۟
দেয়া হয়েছিল
l-kitāba
ٱلْكِتَٰبَ
কিতাব
wal-umiyīna
وَٱلْأُمِّيِّۦنَ
এবং নিরক্ষরদেরকেও
a-aslamtum
ءَأَسْلَمْتُمْۚ
''কি তোমরা আত্মসমর্পণ করেছ''
fa-in
فَإِنْ
অতএব যদি
aslamū
أَسْلَمُوا۟
তারা আত্মসমর্পণ করে থাকে
faqadi
فَقَدِ
নিশ্চয়ই তবে
ih'tadaw
ٱهْتَدَوا۟ۖ
তারা সঠিক পথ পেয়েছে
wa-in
وَّإِن
আর যদি
tawallaw
تَوَلَّوْا۟
তারা মুখ ফিরায়
fa-innamā
فَإِنَّمَا
তবে মূলত
ʿalayka
عَلَيْكَ
তোমার (দায়িত্ব)
l-balāghu
ٱلْبَلَٰغُۗ
(দাওয়াত) পৌঁছান
wal-lahu
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
baṣīrun
بَصِيرٌۢ
খুব দৃষ্টি রাখছেন
bil-ʿibādi
بِٱلْعِبَادِ
বান্দাদের উপর
অতঃপর যদি (আহলে কিতাব) তোমার সাথে তর্ক করে তবে বলে দাও, ‘আমি আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করেছি আর আমার অনুসারীগণও আত্মসমর্পণ করেছে এবং আহলে কিতাব ও উম্মীগণকে বল, ‘তোমরা কি আত্মসমর্পণ করেছ’? অতঃপর যদি তারা আত্মসমর্পণ করে তবে নিশ্চয়ই তারা পথ পাবে আর তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে তোমার দায়িত্ব শুধু প্রচার করা। আল্লাহ বান্দাদের সম্পর্কে সম্যক দ্রষ্টা। ([৩] আল ইমরান: ২০)
ব্যাখ্যা