Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা আল কাসাস আয়াত ১৭

Qur'an Surah Al-Qasas Verse 17

আল কাসাস [২৮]: ১৭ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

قَالَ رَبِّ بِمَآ اَنْعَمْتَ عَلَيَّ فَلَنْ اَكُوْنَ ظَهِيْرًا لِّلْمُجْرِمِيْنَ (القصص : ٢٨)

qāla
قَالَ
He said
সে বললো
rabbi
رَبِّ
"My Lord!
"হে আমার রব
bimā
بِمَآ
Because
শপথ ঐ বিষয়ের যা
anʿamta
أَنْعَمْتَ
You have favored
তুমি অনুগ্রহ করেছো
ʿalayya
عَلَىَّ
[on] me
উপর আমার
falan
فَلَنْ
so not
অতঃপর কখনও না
akūna
أَكُونَ
I will be
হবো আমি
ẓahīran
ظَهِيرًا
a supporter
সাহায্যকারী
lil'muj'rimīna
لِّلْمُجْرِمِينَ
(of) the criminals"
জন্যে অপরাধীদের"

Transliteration:

Qaala Rabbi bimaaa an'amta 'alaiya falan akoona zaheeral lilmujrimeen (QS. al-Q̈aṣaṣ:17)

English Sahih International:

He said, "My Lord, for the favor You bestowed upon me, I will never be an assistant to the criminals." (QS. Al-Qasas, Ayah ১৭)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

মূসা বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি যেহেতু আমার উপর অনুগ্রহ করেছ, কাজেই আমি কক্ষনো পাপীদের সাহায্যকারী হব না।’ (আল কাসাস, আয়াত ১৭)

Tafsir Ahsanul Bayaan

সে আরও বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ করেছ, সুতরাং আমি কখনও অপরাধীদের পৃষ্ঠপোষক হব না।’ [১]

[১] অর্থাৎ, তুমি যে অনুগ্রহ আমার প্রতি করেছ তার ফলে আমি সেই ব্যক্তির পৃষ্ঠপোষক হব না, যে কাফের এবং তোমার বিধানের বিরোধী।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

তিনি বললেন, ‘হে আমার রব! আপনি যেহেতু আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন, আমি কখনো অপরাধীদের সাহায্যকারী হব না [১]।’

[১] মূসা আলাইহিসসালামের এই বিচ্যুতি আল্লাহ্‌ তা‘আলা ক্ষমা করলেন। তিনি এর শোকর আদায় করণার্থে আরয করলেন, আমি ভবিষ্যতে কোন অপরাধীকে সাহায্য করব না। এর অর্থ কেবল এই নয় যে, আমি কোন অপরাধীর সহায়ক হবো না বরং এর অর্থ এটাও হয় যে, আমার সাহায্য-সহায়তা কখনো এমন লোকদের পক্ষে থাকবে না যারা দুনিয়ায় যুলুম ও নিপীড়ন চালায়। মুসলিম আলেমগণ সাধারণভাবে মূসার এ অঙ্গীকার থেকে একথা প্রমাণ করেছেন যে, একজন মু’মিনের কোন যালেমকে সাহায্য করা থেকে পুরোপুরি দূরে থাকা উচিত। প্রখ্যাত তাবেঈ আতা ইবন আবী রাবাহর কাছে এক ব্যাক্তি বলে, আমার ভাই বনী উমাইয়া সরকারের অধীনে কূফার গভর্ণরের কাতিব বা লিখক, বিভিন্ন বিষয়ের ফায়সালা করা তার কাজ নয়, তবে যেসব ফায়সালা করা হয় সেগুলো তার কলমের সাহায্যেই জারী হয়। এ চাকুরী না করলে সে ভাতে মারা যাবে। আতা জবাবে এ আয়াতটি পাঠ করেন এবং বলেন, তোমার ভাইয়ের নিজের কলম ছুঁড়ে ফেলে দেয়া উচিত, রিযিকদাতা হচ্ছেন আল্লাহ্‌। আর একজন কাতিব ‘আমের শা’বীকে জিজ্ঞেস করেন, “হে আবু ‘আমার! আমি শুধুমাত্র হুকুমনামা লিখে তা জারী করার দায়িত্ব পালন করি মূল ফায়সালা করার দায়িত্ব আমার নয়। এ জীবিকা কি আমার জন্য বৈধ?” তিনি জবাব দেন, “হতে পারে কোন নিরাপরাধ ব্যাক্তিকে হত্যার ফায়সালা করা হয়েছে এবং তোমার কলম দিয়ে তা জারী হবে। হতে পারে, কোন সম্পদ অন্যায়ভাবে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অথবা কারো গৃহ ধসানোর হুকুম দেয়া হয়েছে এবং তা তোমার কলম দিয়ে জারী হচ্ছে”। তারপর ইমাম এ আয়াতটি পাঠ করেন। আয়াতটি শুনেই কাতিব বলে ওঠেন, “আজকের পর থেকে আমার কলম বনী উমাইয়ার হুকুমনামা জারী হবার কাজে ব্যবহৃত হবে না।” ইমাম বললেন, “তাহলে আল্লাহ্‌ও তোমাকে রিফিক থেকে বঞ্চিত করবেন না।” [কুরতুবী]

আবদুর রহমান ইবনে মুসলিম যাহহাককে শুধুমাত্র বুখারায় গিয়ে সেখানকার লোকদের বেতন বণ্টন করে দেবার কাজে পাঠাতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু তিনি সে দায়িত্ব গ্রহণ করতেও অস্বীকার করেন। তাঁর বন্ধুরা বলেন, এতে ক্ষতি কি? তিনি বলেন, আমি জালেমদের কোন কাজেও সাহায্যকারী হতে চাই না। [কুরতুবী] পূর্ববর্তী মনীষীগণের কাছ থেকে এ সম্পর্কে আরও বহু বৰ্ণনা এসেছে।

Tafsir Bayaan Foundation

মূসা বলল, ‘হে আমার রব, আপনি যেহেতু আমার প্রতি নিআমত দান করেন, তাই আমি কখনো আর অপরাধীদের সাহায্যকারী হব না।

Muhiuddin Khan

তিনি বললেন, হে আমার পালনকর্তা, আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন, এরপর আমি কখনও অপরাধীদের সাহায্যকারী হব না।

Zohurul Hoque

তিনি বললেন -- ''আমার প্রভু! যেহেতু তুমি আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছ, তাই আমি কখনো অপরাধীদের পৃষ্ঠপোষক হবো না।’’