فَخَرَجَ مِنْهَا خَاۤىِٕفًا يَّتَرَقَّبُ ۖقَالَ رَبِّ نَجِّنِيْ مِنَ الْقَوْمِ الظّٰلِمِيْنَ ࣖ ٢١
- fakharaja
- فَخَرَجَ
- তখন সে বের হলো
- min'hā
- مِنْهَا
- সেখান হ'তে
- khāifan
- خَآئِفًا
- ভীত অবস্থায়
- yataraqqabu
- يَتَرَقَّبُۖ
- সতর্ক হয়ে
- qāla
- قَالَ
- (মূসা) বললো
- rabbi
- رَبِّ
- "হে আমার রব
- najjinī
- نَجِّنِى
- আমাকে উদ্ধার করো
- mina
- مِنَ
- হ'তে
- l-qawmi
- ٱلْقَوْمِ
- সম্প্রদায়
- l-ẓālimīna
- ٱلظَّٰلِمِينَ
- সীমালঙ্ঘনকারী"
তখন মূসা ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ল সতর্কতার সঙ্গে। সে বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে যালিম গোষ্ঠী হতে রক্ষা কর।’ ([২৮] আল কাসাস: ২১)ব্যাখ্যা
وَلَمَّا تَوَجَّهَ تِلْقَاۤءَ مَدْيَنَ قَالَ عَسٰى رَبِّيْٓ اَنْ يَّهْدِيَنِيْ سَوَاۤءَ السَّبِيْلِ ٢٢
- walammā
- وَلَمَّا
- এবং যখন
- tawajjaha
- تَوَجَّهَ
- মুখ ফেরালো (রওনা হলো)
- til'qāa
- تِلْقَآءَ
- দিকে
- madyana
- مَدْيَنَ
- মাদইয়ানের
- qāla
- قَالَ
- সে বললো
- ʿasā
- عَسَىٰ
- "আশা করা যায়
- rabbī
- رَبِّىٓ
- আমার রব
- an
- أَن
- যে
- yahdiyanī
- يَهْدِيَنِى
- প্রদর্শন করবেন আমাকে
- sawāa
- سَوَآءَ
- সরল
- l-sabīli
- ٱلسَّبِيلِ
- পথ"
যখন সে মাদইয়ান অভিমুখী হল, সে বলল- ‘আশা করি আমার পালনকর্তা আমাকে সরল সোজা পথ দেখাবেন।’ ([২৮] আল কাসাস: ২২)ব্যাখ্যা
وَلَمَّا وَرَدَ مَاۤءَ مَدْيَنَ وَجَدَ عَلَيْهِ اُمَّةً مِّنَ النَّاسِ يَسْقُوْنَ ەۖ وَوَجَدَ مِنْ دُوْنِهِمُ امْرَاَتَيْنِ تَذُوْدٰنِۚ قَالَ مَا خَطْبُكُمَا ۗقَالَتَا لَا نَسْقِيْ حَتّٰى يُصْدِرَ الرِّعَاۤءُ وَاَبُوْنَا شَيْخٌ كَبِيْرٌ ٢٣
- walammā
- وَلَمَّا
- আর যখন
- warada
- وَرَدَ
- পৌঁছলো
- māa
- مَآءَ
- পানির (কূপের নিকট)
- madyana
- مَدْيَنَ
- মাদইয়ানের
- wajada
- وَجَدَ
- সে পেলো
- ʿalayhi
- عَلَيْهِ
- কাছে তার
- ummatan
- أُمَّةً
- একদল
- mina
- مِّنَ
- মধ্য হ'তে
- l-nāsi
- ٱلنَّاسِ
- লোকদের
- yasqūna
- يَسْقُونَ
- পানি পান করাচ্ছে (নিজেদের জন্তুগুলোকে)
- wawajada
- وَوَجَدَ
- এবং সে পেলো
- min
- مِن
- ছাড়াও
- dūnihimu
- دُونِهِمُ
- তাদের
- im'ra-atayni
- ٱمْرَأَتَيْنِ
- দু'জন স্ত্রীলোককে
- tadhūdāni
- تَذُودَانِۖ
- দু'জনে আগলে রেখেছে (তাদের জন্তুগুলোকে)
- qāla
- قَالَ
- (মূসা) বললো
- mā
- مَا
- "কি
- khaṭbukumā
- خَطْبُكُمَاۖ
- ব্যাপার তোমাদের দু'জনের"
- qālatā
- قَالَتَا
- দু'জনে বললো
- lā
- لَا
- "না
- nasqī
- نَسْقِى
- "আমরা পানি পান করাই
- ḥattā
- حَتَّىٰ
- যতক্ষণ না
- yuṣ'dira
- يُصْدِرَ
- সরিয়ে নিয়ে যায়
- l-riʿāu
- ٱلرِّعَآءُۖ
- রাখালরা (তাদের জন্তুগুলো)
- wa-abūnā
- وَأَبُونَا
- এবং আমাদের আব্বা
- shaykhun
- شَيْخٌ
- বৃদ্ধ"
- kabīrun
- كَبِيرٌ
- অতিশয় (তাই আমরা এসেছি)"
যখন সে মাদইয়ানের কূপের কাছে পৌঁছল, সে একদল লোককে দেখল (তাদের জন্তুগুলোকে) পানি পান করাতে, তাদের ছাড়া আরো দু’জন স্ত্রীলোককে দেখল (নিজেদের পশুগুলোকে) আগলে রাখতে। মূসা জিজ্ঞেস করল- ‘তোমাদের দু’জনের ব্যাপার কী?’ তারা বলল- ‘আমরা আমাদের জন্তুগুলোকে পান করাতে পারি না যতক্ষণ না রাখালেরা (তাদের পশুগুলোকে) সরিয়ে না নেয় (পানি পান করানোর পর), আর আমাদের পিতা খুবই বয়োবৃদ্ধ। ([২৮] আল কাসাস: ২৩)ব্যাখ্যা
فَسَقٰى لَهُمَا ثُمَّ تَوَلّٰىٓ اِلَى الظِّلِّ فَقَالَ رَبِّ اِنِّيْ لِمَآ اَنْزَلْتَ اِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيْرٌ ٢٤
- fasaqā
- فَسَقَىٰ
- তখন সে পানি পান করালো
- lahumā
- لَهُمَا
- পক্ষে তাদের দু'জনের (জন্তুগুলোকে)
- thumma
- ثُمَّ
- এরপর
- tawallā
- تَوَلَّىٰٓ
- ফিরে গেলো
- ilā
- إِلَى
- দিকে
- l-ẓili
- ٱلظِّلِّ
- ছায়ার
- faqāla
- فَقَالَ
- অতঃপর বললো
- rabbi
- رَبِّ
- "হে আমার রব
- innī
- إِنِّى
- নিশ্চয়ই আমি
- limā
- لِمَآ
- তার প্রতি যা
- anzalta
- أَنزَلْتَ
- অবতীর্ণ করবে তুমি
- ilayya
- إِلَىَّ
- প্রতি আমার
- min
- مِنْ
- কোনো
- khayrin
- خَيْرٍ
- কল্যাণ
- faqīrun
- فَقِيرٌ
- (আমি তারই)মুখাপেক্ষী"
তখন মূসা তাদের জন্য পশুগুলোকে পানি পান করিয়ে দিল, অতঃপর পেছন ফিরে ছায়ায় গিয়ে বসল, অতঃপর বলল- ‘হে আমার পালনকর্তা! তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহই করবে আমি তো তারই ভিখারী।’ ([২৮] আল কাসাস: ২৪)ব্যাখ্যা
فَجَاۤءَتْهُ اِحْدٰىهُمَا تَمْشِيْ عَلَى اسْتِحْيَاۤءٍ ۖقَالَتْ اِنَّ اَبِيْ يَدْعُوْكَ لِيَجْزِيَكَ اَجْرَ مَا سَقَيْتَ لَنَاۗ فَلَمَّا جَاۤءَهٗ وَقَصَّ عَلَيْهِ الْقَصَصَۙ قَالَ لَا تَخَفْۗ نَجَوْتَ مِنَ الْقَوْمِ الظّٰلِمِيْنَ ٢٥
- fajāathu
- فَجَآءَتْهُ
- অতঃপর কাছে আসলো তার
- iḥ'dāhumā
- إِحْدَىٰهُمَا
- দু'জনের একজন তাদের
- tamshī
- تَمْشِى
- হেঁটে
- ʿalā
- عَلَى
- সাথে
- is'tiḥ'yāin
- ٱسْتِحْيَآءٍ
- লজ্জা ও শালিনতার
- qālat
- قَالَتْ
- (মেয়েটি) বললো
- inna
- إِنَّ
- "নিশ্চয়ই
- abī
- أَبِى
- আমার পিতা (শোয়াইব আঃ)
- yadʿūka
- يَدْعُوكَ
- আপনাকে ডাকছেন
- liyajziyaka
- لِيَجْزِيَكَ
- যাতে তিনি আপনাকে প্রতিদান দিতে পারেন
- ajra
- أَجْرَ
- পারিশ্রমিক
- mā
- مَا
- (তার) যা
- saqayta
- سَقَيْتَ
- আপনি (জন্তুগুলোকে) পানি পান করিয়েছেন
- lanā
- لَنَاۚ
- পক্ষ হয়ে আমাদের"
- falammā
- فَلَمَّا
- অতঃপর যখন
- jāahu
- جَآءَهُۥ
- সে আসলো কাছে তার
- waqaṣṣa
- وَقَصَّ
- ও বর্ণনা করলো
- ʿalayhi
- عَلَيْهِ
- কাছে তার
- l-qaṣaṣa
- ٱلْقَصَصَ
- সব বৃত্তান্ত
- qāla
- قَالَ
- সে বললো
- lā
- لَا
- "না
- takhaf
- تَخَفْۖ
- ভয় করো
- najawta
- نَجَوْتَ
- তুমি বেঁচে গিয়েছো
- mina
- مِنَ
- হ'তে
- l-qawmi
- ٱلْقَوْمِ
- সম্প্রদায়
- l-ẓālimīna
- ٱلظَّٰلِمِينَ
- সীমালঙ্ঘনকারী"
তখন নারীদ্বয়ের একজন তার কাছে সলজ্জ পদে আসল। সে বলল- ‘আমার পিতা তোমাকে ডাকছে তুমি আমাদের জন্য (জন্তুগুলোকে) পানি পান করিয়েছ তোমাকে তার প্রতিদান দেয়ার জন্য। যখন মূসা তার কাছে গেল আর তার কাছে সকল ঘটনা বিবৃত করল, সে বলল- তুমি ভয় করো না, ‘তুমি যালিম গোষ্ঠীর থেকে রেহাই পেয়ে গেছ।’ ([২৮] আল কাসাস: ২৫)ব্যাখ্যা
قَالَتْ اِحْدٰىهُمَا يٰٓاَبَتِ اسْتَأْجِرْهُ ۖاِنَّ خَيْرَ مَنِ اسْتَأْجَرْتَ الْقَوِيُّ الْاَمِيْنُ ٢٦
- qālat
- قَالَتْ
- বললো
- iḥ'dāhumā
- إِحْدَىٰهُمَا
- একজন তাদের
- yāabati
- يَٰٓأَبَتِ
- "হে আমার পিতা
- is'tajir'hu
- ٱسْتَـْٔجِرْهُۖ
- তাকে মজুর নিযুক্ত করুন
- inna
- إِنَّ
- নিশ্চয়ই
- khayra
- خَيْرَ
- (সেই) উত্তম
- mani
- مَنِ
- যাকে
- is'tajarta
- ٱسْتَـْٔجَرْتَ
- আপনি মজুর নিযুক্ত করবেন
- l-qawiyu
- ٱلْقَوِىُّ
- (যে) শক্তিশালী
- l-amīnu
- ٱلْأَمِينُ
- বিশ্বস্ত"
স্ত্রীলোক দু’টির একজন বলল- ‘হে পিতা! পারিশ্রমিকের বিনিময়ে তাকে নিযুক্ত করুন, আপনি যাদেরকে মজুর নিযুক্ত করবেন তাদের মধ্যে উত্তম যে শক্তিশালী, বিশ্বস্ত।’ ([২৮] আল কাসাস: ২৬)ব্যাখ্যা
قَالَ اِنِّيْٓ اُرِيْدُ اَنْ اُنْكِحَكَ اِحْدَى ابْنَتَيَّ هٰتَيْنِ عَلٰٓى اَنْ تَأْجُرَنِيْ ثَمٰنِيَ حِجَجٍۚ فَاِنْ اَتْمَمْتَ عَشْرًا فَمِنْ عِنْدِكَۚ وَمَآ اُرِيْدُ اَنْ اَشُقَّ عَلَيْكَۗ سَتَجِدُنِيْٓ اِنْ شَاۤءَ اللّٰهُ مِنَ الصّٰلِحِيْنَ ٢٧
- qāla
- قَالَ
- সে বললো
- innī
- إِنِّىٓ
- "নিশ্চয়ই আমি
- urīdu
- أُرِيدُ
- চাই
- an
- أَنْ
- যে
- unkiḥaka
- أُنكِحَكَ
- তোমার সঙ্গে আমি বিয়ে দিবো
- iḥ'dā
- إِحْدَى
- একজনকে
- ib'natayya
- ٱبْنَتَىَّ
- আমার কন্যা দু'জনের
- hātayni
- هَٰتَيْنِ
- এই দু'য়ের
- ʿalā
- عَلَىٰٓ
- এ শর্তে
- an
- أَن
- যে
- tajuranī
- تَأْجُرَنِى
- আমার কাজ করবে তুমি
- thamāniya
- ثَمَٰنِىَ
- আট
- ḥijajin
- حِجَجٍۖ
- বছর
- fa-in
- فَإِنْ
- অতঃপর যদি
- atmamta
- أَتْمَمْتَ
- তুমি পূর্ণ করো
- ʿashran
- عَشْرًا
- দশ (বছর)
- famin
- فَمِنْ
- তবে (তা হবে) হ'তে
- ʿindika
- عِندِكَۖ
- তোমার নিকট
- wamā
- وَمَآ
- আর না
- urīdu
- أُرِيدُ
- আমি চাই
- an
- أَنْ
- যে
- ashuqqa
- أَشُقَّ
- কষ্ট দিবো
- ʿalayka
- عَلَيْكَۚ
- উপর তোমার
- satajidunī
- سَتَجِدُنِىٓ
- অচিরেই তুমি পাবে আমাকে
- in
- إِن
- যদি
- shāa
- شَآءَ
- চান
- l-lahu
- ٱللَّهُ
- আল্লাহ
- mina
- مِنَ
- অন্তর্ভুক্ত
- l-ṣāliḥīna
- ٱلصَّٰلِحِينَ
- সৎকর্মশীলদের"
সে বলল- ‘আমার এই কন্যাদ্বয়ের একজনের সঙ্গে তোমার বিয়ে দেয়ার আমি ইচ্ছে করেছি এই শর্তে যে, তুমি আট বছর আমার কাজ করে দেবে, আর যদি দশ বছর পূর্ণ কর সেটা তোমার ইচ্ছেধীন, আমি তোমাকে কষ্টে ফেলতে চাই না, আল্লাহ ইচ্ছে করলে তুমি আমাকে সৎকর্মপরায়ণ পাবে।’ ([২৮] আল কাসাস: ২৭)ব্যাখ্যা
قَالَ ذٰلِكَ بَيْنِيْ وَبَيْنَكَۗ اَيَّمَا الْاَجَلَيْنِ قَضَيْتُ فَلَا عُدْوَانَ عَلَيَّۗ وَاللّٰهُ عَلٰى مَا نَقُوْلُ وَكِيْلٌ ࣖ ٢٨
- qāla
- قَالَ
- (মূসা) বললো
- dhālika
- ذَٰلِكَ
- "এটা (চুক্তি)
- baynī
- بَيْنِى
- মাঝে আমার
- wabaynaka
- وَبَيْنَكَۖ
- ও মাঝে তোমার
- ayyamā
- أَيَّمَا
- যে কোনোটি
- l-ajalayni
- ٱلْأَجَلَيْنِ
- দুই মেয়াদের
- qaḍaytu
- قَضَيْتُ
- আমি পূর্ণ করবো
- falā
- فَلَا
- এরপর না (থাকবে)
- ʿud'wāna
- عُدْوَٰنَ
- কোনো বাড়াবাড়ি
- ʿalayya
- عَلَىَّۖ
- বিরুদ্ধে আমার
- wal-lahu
- وَٱللَّهُ
- এবং আল্লাহ
- ʿalā
- عَلَىٰ
- উপর
- mā
- مَا
- যা
- naqūlu
- نَقُولُ
- আমরা বলছি
- wakīlun
- وَكِيلٌ
- কর্মবিধায়ক"
মূসা বলল- আমার ও আপনার মধ্যে এই চুক্তি রইল, আমি দু’টি মেয়াদের যেটিই পূর্ণ করি না কেন, আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করা হবে না, আমরা যে কথা বলছি, আল্লাহ তার সাক্ষী। ([২৮] আল কাসাস: ২৮)ব্যাখ্যা
۞ فَلَمَّا قَضٰى مُوْسَى الْاَجَلَ وَسَارَ بِاَهْلِهٖٓ اٰنَسَ مِنْ جَانِبِ الطُّوْرِ نَارًاۗ قَالَ لِاَهْلِهِ امْكُثُوْٓا اِنِّيْٓ اٰنَسْتُ نَارًا لَّعَلِّيْٓ اٰتِيْكُمْ مِّنْهَا بِخَبَرٍ اَوْ جَذْوَةٍ مِّنَ النَّارِ لَعَلَّكُمْ تَصْطَلُوْنَ ٢٩
- falammā
- فَلَمَّا
- অতঃপর যখন
- qaḍā
- قَضَىٰ
- পূর্ণ করলো
- mūsā
- مُوسَى
- মূসা
- l-ajala
- ٱلْأَجَلَ
- নির্দিষ্ট মেয়াদ
- wasāra
- وَسَارَ
- ও যাত্রা করলো
- bi-ahlihi
- بِأَهْلِهِۦٓ
- নিয়ে তার পরিবার
- ānasa
- ءَانَسَ
- সে দেখলো
- min
- مِن
- হ'তে
- jānibi
- جَانِبِ
- দিক
- l-ṭūri
- ٱلطُّورِ
- তুর পাহাড়ের
- nāran
- نَارًا
- আগুন
- qāla
- قَالَ
- (তখন) সে বললো
- li-ahlihi
- لِأَهْلِهِ
- উদ্দেশ্যে তার পরিবারের
- um'kuthū
- ٱمْكُثُوٓا۟
- "তোমরা অপেক্ষা করো
- innī
- إِنِّىٓ
- নিশ্চয়ই আমি
- ānastu
- ءَانَسْتُ
- আমি দেখেছি
- nāran
- نَارًا
- আগুন
- laʿallī
- لَّعَلِّىٓ
- সম্ভবতঃ আমি
- ātīkum
- ءَاتِيكُم
- তোমাদের কাছে আমি আসবো
- min'hā
- مِّنْهَا
- হ'তে সেখান
- bikhabarin
- بِخَبَرٍ
- নিয়ে কোন তথ্য
- aw
- أَوْ
- অথবা
- jadhwatin
- جَذْوَةٍ
- জ্বলন্ত অঙ্গার
- mina
- مِّنَ
- হ'তে
- l-nāri
- ٱلنَّارِ
- আগুন
- laʿallakum
- لَعَلَّكُمْ
- যাতে তোমরা
- taṣṭalūna
- تَصْطَلُونَ
- আগুন পোহাতে পারো"
অতঃপর মূসা যখন মেয়াদ পূর্ণ ক’রে তার পরিবার নিয়ে যাত্রা করল, তখন সে তূর পর্বতের দিকে আগুন দেখতে পেল। সে তার পরিবারবর্গকে বলল- ‘তোমরা অপেক্ষা কর, আমি আগুন দেখেছি, আমি তোমাদের জন্য সেখান থেকে খবর আনতে পারি কিংবা জ্বলন্ত কাষ্ঠখন্ড আনতে পারি যাতে তোমরা আগুন পোহাতে পার।’ ([২৮] আল কাসাস: ২৯)ব্যাখ্যা
فَلَمَّآ اَتٰىهَا نُوْدِيَ مِنْ شَاطِئِ الْوَادِ الْاَيْمَنِ فِى الْبُقْعَةِ الْمُبٰرَكَةِ مِنَ الشَّجَرَةِ اَنْ يّٰمُوْسٰٓى اِنِّيْٓ اَنَا اللّٰهُ رَبُّ الْعٰلَمِيْنَ ۙ ٣٠
- falammā
- فَلَمَّآ
- অতঃপর যখন
- atāhā
- أَتَىٰهَا
- সেখানে আসলো
- nūdiya
- نُودِىَ
- তাকে ডাকা হলো
- min
- مِن
- হ'তে
- shāṭi-i
- شَٰطِئِ
- প্রান্ত
- l-wādi
- ٱلْوَادِ
- উপত্যকার
- l-aymani
- ٱلْأَيْمَنِ
- ডানদিকের
- fī
- فِى
- উপর
- l-buq'ʿati
- ٱلْبُقْعَةِ
- ভূখন্ডের
- l-mubārakati
- ٱلْمُبَٰرَكَةِ
- পবিত্র
- mina
- مِنَ
- হ'তে
- l-shajarati
- ٱلشَّجَرَةِ
- একটি গাছ
- an
- أَن
- (এ বলে) যে
- yāmūsā
- يَٰمُوسَىٰٓ
- "হে মূসা
- innī
- إِنِّىٓ
- নিশ্চয়ই
- anā
- أَنَا
- আমি
- l-lahu
- ٱللَّهُ
- আল্লাহ
- rabbu
- رَبُّ
- রব
- l-ʿālamīna
- ٱلْعَٰلَمِينَ
- বিশ্বজগতের
মূসা যখন আগুনের কাছে পৌঁছল তখন পবিত্র ভূমিতে অবস্থিত উপত্যকার ডান দিকে বৃক্ষ থেকে তাকে আহবান দিয়ে বলা হল- ‘হে মূসা! আমিই আল্লাহ, জগতসমূহের পালনকর্তা।’ ([২৮] আল কাসাস: ৩০)ব্যাখ্যা