কুরআন মজীদ সূরা নমল আয়াত ৪৩
Qur'an Surah An-Naml Verse 43
নমল [২৭]: ৪৩ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ
وَصَدَّهَا مَا كَانَتْ تَّعْبُدُ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ ۗاِنَّهَا كَانَتْ مِنْ قَوْمٍ كٰفِرِيْنَ (النمل : ٢٧)
- waṣaddahā
- وَصَدَّهَا
- And has averted her
- আর তাকে বিরত রেখেছিলো (ঈমান আনা হ'তে)
- mā
- مَا
- what
- (তাই) যা কিছু
- kānat
- كَانَت
- she used (to)
- সে ছিলো
- taʿbudu
- تَّعْبُدُ
- worship
- সে পূজা করে
- min
- مِن
- besides
- থেকে
- dūni
- دُونِ
- besides
- ছাড়া
- l-lahi
- ٱللَّهِۖ
- Allah
- আল্লাহ
- innahā
- إِنَّهَا
- Indeed, she
- নিশ্চয়ই সে
- kānat
- كَانَتْ
- was
- ছিলো
- min
- مِن
- from
- অন্তর্ভুক্ত
- qawmin
- قَوْمٍ
- a people
- জাতির
- kāfirīna
- كَٰفِرِينَ
- who disbelieve
- কাফের
Transliteration:
Wa saddahaa maa kaanat ta'budu min doonil laahi innahaa kaanat min qawmin kaafireen(QS. an-Naml:43)
English Sahih International:
And that which she was worshipping other than Allah had averted her [from submission to Him]. Indeed, she was from a disbelieving people." (QS. An-Naml, Ayah ৪৩)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
আল্লাহর পরিবর্তে সে যার পূজা করত তাই তাকে সত্য পথে চলা থেকে বাধা দিয়ে রেখেছিল, সে নারী ছিল কাফির সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। (নমল, আয়াত ৪৩)
Tafsir Ahsanul Bayaan
আল্লাহর পরিবর্তে সে যার পূজা করত, তাই তাকে সত্য হতে নিবৃত্ত করেছিল, সে ছিল সত্য প্রত্যাখ্যানকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত।[১]
[১] এটি আল্লাহর কথা। আর صَدَّها এর কর্তা مَا كَانَتْ تَعْبُد অর্থাৎ, আল্লাহ ছাড়া অন্যের ইবাদতই তাকে আল্লাহর ইবাদত হতে দূরে রেখেছিল। আর তার কারণ, তার সম্পর্ক ছিল কাফের জাতির সঙ্গে। সেই জন্য তাওহীদের বাস্তবিকতা থেকে সে ছিল সম্পূর্ণ অপরিচিত। কেউ কেউ صَدَّها এর কর্তা মহান আল্লাহ আবার কেউ সুলাইমানকে বলেছেন। অর্থাৎ, মহান আল্লাহ অথবা আল্লাহর নির্দেশক্রমে সুলাইমান (আঃ) তাকে আল্লাহ ছাড়া অন্যের ইবাদত করতে বাধা দিলেন। কিন্তু প্রথমোক্ত মতটি অধিক সঠিক। (ফাতহুল কাদীর)
Tafsir Abu Bakr Zakaria
আর আল্লাহ্র পরিবর্তে সে যার পূজা করত সেটাই তাকে নিবৃত্ত করেছিল [১], সে তো ছিল কাফের সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত।
[১] বলা হয়েছেঃ ‘আল্লাহ্র পরিবর্তে সে যার পূজা করত সেটাই তাকে নিবৃত্ত করেছে’ এখানে যে অর্থ করা হয়েছে তার দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, আল্লাহ্র পরিবর্তে যে সমস্ত বস্তুর ইবাদত সে করত। যেমন চাঁদ-সূৰ্য সেগুলিই তাকে ঈমান আনতে বাধ সাধছিল। কারণ, মানুষের মনে একবার কোন কিছুর মহব্বত গেঁথে গেলে সেটা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। সে জন্য সে হক জানার পরও ঈমান আনতে দেরী করছিল। এ অর্থানুসারে আলোচ্য বাক্যাংশটি আল্লাহ্র পক্ষ থেকে তার অবস্থান সুস্পষ্ট করার জন্য বলা হয়েছে। অর্থাৎ তার মধ্যে জিদ ও একগুয়েমী ছিল না। শুধুমাত্র কাফের জাতির মধ্যে জন্ম নেয়ার কারণেই তিনি তখনো পর্যন্ত কাফের ছিলেন। সচেতন বুদ্ধিবৃত্তির অধিকারী হবার পর থেকেই যে জিনিসের সামনে সিজদাবনত হবার অভ্যাস তার মধ্যে গড়ে উঠেছিল সেটিই ছিল তার পথের প্রতিবন্ধক। সুলাইমান আলাইহিসসালামের মুখোমুখি হবার পর যখন তার চোখ খুলে তখন এ প্রতিবন্ধক দূর হতে এক মুহুৰ্তও দেরী হয় নি। আয়াতের আরেকটি অর্থ এও করা হয় যে, ‘আল্লাহ্ ছাড়া যাদের ইবাদত সে করত তা থেকে তাকে নিবৃত্ত করা হয়েছে’। তখন নিবৃত্তকারী স্বয়ং আল্লাহ্ হতে পারেন কারণ তিনি তা হারাম ঘোষণা করেছেন। অথবা সুলাইমান আলাইহিসসালামও হতে পারেন। কারণ, ঈমান আনতে বাধ্য করার মাধ্যমে সুলাইমান আলাইহিসসালাম তাকে অন্য কিছুর ইবাদত ত্যাগ করতে বাধ্য করলেন। [দেখুন, তাবারী; কুরতুবী; ইবন কাসীর; ফাতহুল কাদীর]
Tafsir Bayaan Foundation
আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে যার পূজা সে করত তা তাকে ঈমান থেকে নিবৃত্ত করেছিল। নিশ্চয় সে ছিল কাফির সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত।
Muhiuddin Khan
আল্লাহর পরিবর্তে সে যার এবাদত করত, সেই তাকে ঈমান থেকে নিবৃত্ত করেছিল। নিশ্চয় সে কাফের সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
Zohurul Hoque
আর আল্লাহ্কে বাদ দিয়ে সে যার পূজা করত তাই তাকে নিবৃত্ত করেছিল, নিঃসন্দেহ সে ছিল অবিশ্বাসী লোকদের মধ্যেকার।