Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা নমল আয়াত ২৬

Qur'an Surah An-Naml Verse 26

নমল [২৭]: ২৬ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

اَللّٰهُ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۙ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ ۩ (النمل : ٢٧)

al-lahu
ٱللَّهُ
Allah
আল্লাহ (এমন যে)
لَآ
(there is) no
নেই
ilāha
إِلَٰهَ
god
কোনো ইলাহ
illā
إِلَّا
but
ছাড়া
huwa
هُوَ
He
তিনি
rabbu
رَبُّ
(the) Lord
অধিপতি
l-ʿarshi
ٱلْعَرْشِ
(of) the Throne
আরশের
l-ʿaẓīmi
ٱلْعَظِيمِ۩
the Great"
মহান"

Transliteration:

Allaahu laaa ilaaha illaa Huwa Rabbul 'Arshil Azeem (QS. an-Naml:26)

English Sahih International:

Allah – there is no deity except Him, Lord of the Great Throne." (QS. An-Naml, Ayah ২৬)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আল্লাহ, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ্ নেই, (তিনি) মহান ‘আরশের অধিপতি।’[সাজদাহ] (নমল, আয়াত ২৬)

Tafsir Ahsanul Bayaan

আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন (সত্য) উপাস্য নেই, তিনি মহা আরশের অধিপতি। [১] (সাজদাহ-৮)

[১] মহান আল্লাহ এ বিশ্বের সকল জিনিসের মালিক। কিন্তু এখানে কেবলমাত্র মহা আরশের মালিক হওয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রথমতঃ আরশ বিশ্ব-জাহানের সব থেকে বড় ও শ্রেষ্ঠ জিনিস। দ্বিতীয়তঃ এ কথা পরিষ্কার করে দেওয়ার জন্য যে, সাবা'র রাণীর সিংহাসন ছিল বিশাল। কিন্তু আল্লাহর মহাসনের তুলনায় তা নিতান্ত নগণ্য। যার উপর আল্লাহ তাঁর মহিমানুসারে সমাসীন আছেন। হুদহুদ যেহেতু একত্ববাদের উপদেশ দিয়েছে, শিরক খন্ডন করেছে এবং আল্লাহর মহত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করেছে, সেহেতু হাদীসে এসেছে যে, চার শ্রেণীর জীবকে হত্যা করবে না; পিঁপড়ে, মৌমাছি, হুদহুদ ও শ্রাইক (শিকারী পাখি বিশেষ)। (আহমাদ ১/৩৩২, আবু দাঊদঃ আদব অধ্যায়, ইবনে মাজাহঃ শিকার অধ্যায়) শ্রাইক পাখী, যার মাথা বড়, পেট সাদা, পিঠ সবুজ ও ছোট ছোট পাখী শিকার করে খায়। (টীকা ইবনে কাসীর)

* (এই আয়াত পাঠ করার পর সিজদা করা মুস্তাহাব। সিজদার আহকাম জানতে সূরা আ'রাফের শেষ আয়াতের ৭;২০৬ টীকা দেখুন।)

Tafsir Abu Bakr Zakaria

‘আল্লাহ্‌, তিনি ছাড়া সত্য কোন ইলাহ নেই, তিনি মহা‘আরশের রব [১]।’

[১] অর্থাৎ তিনি সবচেয়ে প্রকাণ্ড সৃষ্টি আরাশের রব। আর যেহেতু হুদহুদ কল্যাণের প্রতি আহ্বানকারী, এক আল্লাহ্‌র ইবাদাতের দাওয়াত প্ৰদানকারী, একমাত্র তাঁর জন্যই সিজদা করার আহ্বান করে থাকে, তাই হাদীসে তাকে হত্যা করতে নিষেধ করা হয়েছে। [দেখুন, আবু দাউদঃ ৫২৬৭; ইবন মাজাহঃ ৩২২৪]
এ আয়াত পড়ার পর সিজদা করা ওয়াজিব। [দেখুন, কুরতুবী; আদওয়াউল বায়ান] এখানে সিজদা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে একজন মুমিনের সূর্যপূজারীদের থেকে নিজেকে সচেতনভাবে পৃথক করা এবং নিজের কর্মের মাধ্যমে একথার স্বীকৃতি দেয়া ও একথা প্রকাশ করা উচিত যে, সে সূর্যকে নয় বরং একমাত্র আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীনকেই নিজের সিজদার ও ইবাদাতের উপযোগী এবং যোগ্য মনে করে।

Tafsir Bayaan Foundation

আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই। তিনি মহা আরশের রব।[সাজদাহ]

Muhiuddin Khan

আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; তিনি মহা আরশের মালিক।

Zohurul Hoque

''আল্লাহ্‌, তিনি ছাড়া অন্য উপাস্য নেই, যিনি মহান আরশের অধিপতি।’’