কুরআন মজীদ সূরা আল-ফুরকান আয়াত ৬৮
Qur'an Surah Al-Furqan Verse 68
আল-ফুরকান [২৫]: ৬৮ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ
وَالَّذِيْنَ لَا يَدْعُوْنَ مَعَ اللّٰهِ اِلٰهًا اٰخَرَ وَلَا يَقْتُلُوْنَ النَّفْسَ الَّتِيْ حَرَّمَ اللّٰهُ اِلَّا بِالْحَقِّ وَلَا يَزْنُوْنَۚ وَمَنْ يَّفْعَلْ ذٰلِكَ يَلْقَ اَثَامًا ۙ (الفرقان : ٢٥)
- wa-alladhīna
- وَٱلَّذِينَ
- And those who
- এবং যারা
- lā
- لَا
- (do) not
- না
- yadʿūna
- يَدْعُونَ
- invoke
- তারা ডাকে
- maʿa
- مَعَ
- with
- সাথে
- l-lahi
- ٱللَّهِ
- Allah
- আল্লাহর
- ilāhan
- إِلَٰهًا
- god
- উপাস্য
- ākhara
- ءَاخَرَ
- another
- অন্যকে
- walā
- وَلَا
- and (do) not
- আর না
- yaqtulūna
- يَقْتُلُونَ
- [they] kill
- হত্যা করে তারা
- l-nafsa
- ٱلنَّفْسَ
- the soul
- কোন প্রাণকে
- allatī
- ٱلَّتِى
- which
- যাকে
- ḥarrama
- حَرَّمَ
- Allah has forbidden
- নিষিদ্ধ করেছেন
- l-lahu
- ٱللَّهُ
- Allah has forbidden
- আল্লাহ
- illā
- إِلَّا
- except
- তবে
- bil-ḥaqi
- بِٱلْحَقِّ
- by right
- সাথে যথার্থতার (হ'লে ভিন্ন কথা)
- walā
- وَلَا
- and (do) not
- আর না
- yaznūna
- يَزْنُونَۚ
- commit adultery
- ব্যভিচার করে
- waman
- وَمَن
- And whoever
- এবং যে
- yafʿal
- يَفْعَلْ
- does
- করবে
- dhālika
- ذَٰلِكَ
- that
- এটা
- yalqa
- يَلْقَ
- will meet
- অর্জন করবে
- athāman
- أَثَامًا
- a penalty
- পাপ
Transliteration:
Wallazeena laa yad'oona ma'al laahi ilaahan aakhara wa laa yaqtuloonan nafsal latee harramal laahu illaa bilhaqqi wa laa yaznoon; wa mai yaf'al zaalika yalqa asaamaa(QS. al-Furq̈ān:68)
English Sahih International:
And those who do not invoke with Allah another deity or kill the soul which Allah has forbidden [to be killed], except by right, and do not commit unlawful sexual intercourse. And whoever should do that will meet a penalty. (QS. Al-Furqan, Ayah ৬৮)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তারা আল্লাহর সাথে অন্য কোন ইলাহকে ডাকে না। আর যথার্থতা ব্যতীত কোন প্রাণ হত্যা করে না যা আল্লাহ নিষিদ্ধ করেছেন আর তারা ব্যভিচার করে না। আর যে এগুলো করে সে শাস্তির সাক্ষাৎ লাভ করবে। (আল-ফুরকান, আয়াত ৬৮)
Tafsir Ahsanul Bayaan
এবং যারা আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোন উপাস্যকে আহবান করে না, আল্লাহ যাকে যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে হত্যা নিষেধ করেছেন, তাকে হত্যা করে না[১] এবং ব্যভিচার করে না। [২] আর যারা এগুলি করে, তারা শাস্তি ভোগ করবে ।
[১] যথার্থ কারণের তিনটি অবস্থা হতে পারে। যেমন, মুসলিম হওয়ার পর যদি কেউ মুরতাদ (ধর্মত্যাগী) হয়ে যায়, বিবাহের পর ব্যভিচারে লিপ্ত হয় অথবা কাউকে হত্যা করে, তাহলে এই তিন অবস্থাতেই তাকে হত্যা করা হবে।
[২] হাদীসে এসেছে, রসূল (সাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হল, 'সব থেকে বড় পাপ কি?' তিনি বললেন, "আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা অথচ তিনিই তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।" বলা হল, 'তারপর কোন্ পাপ?' তিনি বললেন, "সন্তানকে খেতে দেওয়ার ভয়ে হত্যা করা।" বলা হল, 'তারপর কোন্ পাপ?' তিনি বললেন, "প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে ব্যভিচার করা।" তারপর তিনি বললেন, "উক্ত কথাগুলোর সত্যতা এই আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয়।" তারপর তিনি উক্ত আয়াত পাঠ করলেন।
(বুখারী সূরা বাক্বারার তাফসীর, মুসলিম ঈমান অধ্যায়)
Tafsir Abu Bakr Zakaria
এবং তারা আল্লাহ্র সাথে কোন ইলাহকে ডাকে না [১]। আর আল্লাহ্ যার হত্যা নিষেধ করেছেন, যথার্থ কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করে না [২]। আর তারা ব্যভিচার করে না [৩]; যে এগুলো করে, সে শাস্তি ভোগ করবে।
[১] পূর্ববর্তী ছয়টি গুণের মধ্যে আনুগত্যের মূলনীতি এসে গেছে। এখন গোনাহ ও অবাধ্যতার প্রধান প্রধান মূলনীতি বর্ণিত হচ্ছে। তন্মধ্যে প্রথম মূলনীতি বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কযুক্ত অর্থাৎ তারা ইবাদাতে আল্লাহ্র সাথে কাউকে শরীক করে না। [ফাতহুল কাদীর]
[২] এ আয়াতে বলা হচ্ছে যে, আল্লাহ্র প্রিয় বান্দারা কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করে না। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘একজন মুমিন ঐ পর্যন্ত পরিত্রাণের আশা করতে পারে যতক্ষণ সে কোন হারামকৃত রক্ত প্রবাহিত না করে’৷ [বুখারীঃ ৬৮৬২]
[৩] রহমানের বান্দারা কোন ব্যভিচার করে না। ব্যভিচারের নিকটবর্তীও হয় না। একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো, সবচেয়ে বড় গুণাহ কি? তিনি বললেনঃ “তুমি যদি কাউকে (প্ৰভুত্ব, নাম-গুণে এবং ইবাদতে) আল্লাহ্র সমকক্ষ দাঁড় করাও”। জিজ্ঞেস করা হলো, তারপর? তিনি বললেনঃ “তুমি যদি তোমার সন্তানকে হত্যা কর এই ভয়ে যে, সে তোমার সাথে আহারে অংশ নেবে”। জিজ্ঞেস করা হলো, তারপর? তিনি বললেনঃ “তুমি যদি তোমার পড়শীর স্ত্রীর সাথে যিনা কর”। [বুখারীঃ ৬৮৬১, মুসলিমঃ ৮৬]
Tafsir Bayaan Foundation
আর যারা আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহকে ডাকে না এবং যারা আল্লাহ যে নাফসকে হত্যা করা নিষেধ করেছেন যথার্থ কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করে না। আর যারা ব্যভিচার করে না। আর যে তা করবে সে আযাবপ্রাপ্ত হবে।
Muhiuddin Khan
এবং যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের এবাদত করে না, আল্লাহ যার হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যারা একাজ করে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে।
Zohurul Hoque
আর যারা আল্লাহ্র সঙ্গে অন্য উপাস্যকে ডাকে না, আর ন্যায়ের প্রয়োজনে ব্যতীত যারা এমন কোনো লোককে হত্যা করে না যাকে আল্লাহ্ নিষেধ করেছেন, আর যারা ব্যভিচার করে না। আর যে এই করে সে পাপের শাস্তির সাক্ষাৎ পাবেই, --