وَلَوْ شِئْنَا لَبَعَثْنَا فِيْ كُلِّ قَرْيَةٍ نَّذِيْرًا ۖ ٥١
- walaw
- وَلَوْ
- আর যদি
- shi'nā
- شِئْنَا
- আমরা চাইতাম
- labaʿathnā
- لَبَعَثْنَا
- অবশ্যই আমরাপাঠাতাম
- fī
- فِى
- মধ্যে
- kulli
- كُلِّ
- প্রত্যেক
- qaryatin
- قَرْيَةٍ
- জনপদের
- nadhīran
- نَّذِيرًا
- একজন সতর্ককারী
আমি ইচ্ছে করলে প্রত্যেক জনবসতিতে সতর্ককারী পাঠাতাম। (কিন্তু সারা বিশ্বের জন্য একজন নবী পাঠিয়ে সকলকে একই উম্মাত হওয়ার অনুগ্রহ লাভে ধন্য করেছি)। ([২৫] আল-ফুরকান: ৫১)ব্যাখ্যা
فَلَا تُطِعِ الْكٰفِرِيْنَ وَجَاهِدْهُمْ بِهٖ جِهَادًا كَبِيْرًا ٥٢
- falā
- فَلَا
- সুতরাং না
- tuṭiʿi
- تُطِعِ
- তুমি অনুসরণ করো
- l-kāfirīna
- ٱلْكَٰفِرِينَ
- কাফিরদেরকে
- wajāhid'hum
- وَجَٰهِدْهُم
- এবং জিহাদ করো তাদের সাথে
- bihi
- بِهِۦ
- দ্বারা এ
- jihādan
- جِهَادًا
- জিহাদ
- kabīran
- كَبِيرًا
- বড়
কাজেই তুমি কাফিরদের আনুগত্য করো না; আর কুরআনের সাহায্যে তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম কর- কঠোর সংগ্রাম। ([২৫] আল-ফুরকান: ৫২)ব্যাখ্যা
۞ وَهُوَ الَّذِيْ مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ هٰذَا عَذْبٌ فُرَاتٌ وَّهٰذَا مِلْحٌ اُجَاجٌۚ وَجَعَلَ بَيْنَهُمَا بَرْزَخًا وَّحِجْرًا مَّحْجُوْرًا ٥٣
- wahuwa
- وَهُوَ
- এবং তিনি (আল্লাহ)
- alladhī
- ٱلَّذِى
- যিনি
- maraja
- مَرَجَ
- মিলিয়ে প্রবাহিত করেছেন
- l-baḥrayni
- ٱلْبَحْرَيْنِ
- দুই সমুদ্রকে
- hādhā
- هَٰذَا
- এটা
- ʿadhbun
- عَذْبٌ
- সুমিষ্ট
- furātun
- فُرَاتٌ
- সুপেয়
- wahādhā
- وَهَٰذَا
- এবং ওটা
- mil'ḥun
- مِلْحٌ
- লোনা
- ujājun
- أُجَاجٌ
- বিস্বাদ
- wajaʿala
- وَجَعَلَ
- এবং তিনি করেছেন
- baynahumā
- بَيْنَهُمَا
- উভয়ের মাঝে
- barzakhan
- بَرْزَخًا
- অন্তরায়
- waḥij'ran
- وَحِجْرًا
- ও আড়াল
- maḥjūran
- مَّحْجُورًا
- দুর্ভেদ্য
তিনিই সমুদ্রকে দু’ ধারায় প্রবাহিত করেছেন- একটি সুপেয় সুস্বাদু আরেকটি লবণাক্ত কটু, উভয়ের মাঝে টেনে দিয়েছেন এক আবরণ- এক অনতিক্রম্য বিভক্তি-প্রাচীর। ([২৫] আল-ফুরকান: ৫৩)ব্যাখ্যা
وَهُوَ الَّذِيْ خَلَقَ مِنَ الْمَاۤءِ بَشَرًا فَجَعَلَهٗ نَسَبًا وَّصِهْرًاۗ وَكَانَ رَبُّكَ قَدِيْرًا ٥٤
- wahuwa
- وَهُوَ
- এবং তিনিই
- alladhī
- ٱلَّذِى
- যিনি
- khalaqa
- خَلَقَ
- সৃষ্টি করেছেন
- mina
- مِنَ
- হ'তে
- l-māi
- ٱلْمَآءِ
- পানি
- basharan
- بَشَرًا
- মানুষকে
- fajaʿalahu
- فَجَعَلَهُۥ
- অতঃপর তা স্থাপন করেছেন
- nasaban
- نَسَبًا
- বংশগত সম্পর্ক
- waṣih'ran
- وَصِهْرًاۗ
- ও বৈবাহিক সম্পর্ক
- wakāna
- وَكَانَ
- আর হলেন
- rabbuka
- رَبُّكَ
- তোমার রব
- qadīran
- قَدِيرًا
- (সবকিছুর উপর) শক্তিমান
তিনিই পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন মানুষ, অতঃপর মানুষকে করেছেন বংশ সম্পর্কীয় ও বিবাহ সম্পর্কীয়, তোমার প্রতিপালক সব কিছু করতে সক্ষম। ([২৫] আল-ফুরকান: ৫৪)ব্যাখ্যা
وَيَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ مَا لَا يَنْفَعُهُمْ وَلَا يَضُرُّهُمْۗ وَكَانَ الْكَافِرُ عَلٰى رَبِّهٖ ظَهِيْرًا ٥٥
- wayaʿbudūna
- وَيَعْبُدُونَ
- ও তারা ইবাদাত করে
- min
- مِن
- মধ্য হতে
- dūni
- دُونِ
- পরিবর্তে
- l-lahi
- ٱللَّهِ
- আল্লাহর
- mā
- مَا
- (এমন কিছুর) যা
- lā
- لَا
- না
- yanfaʿuhum
- يَنفَعُهُمْ
- তাদের উপকার করতে পারে
- walā
- وَلَا
- আর না
- yaḍurruhum
- يَضُرُّهُمْۗ
- তাদের ক্ষতি করতে পারে
- wakāna
- وَكَانَ
- আর হলো
- l-kāfiru
- ٱلْكَافِرُ
- কাফিররা
- ʿalā
- عَلَىٰ
- বিরুদ্ধে
- rabbihi
- رَبِّهِۦ
- তার রবের
- ẓahīran
- ظَهِيرًا
- সাহায্যকারী (প্রত্যেক বিদ্রোহীর)
তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন কিছুর ‘ইবাদাত করে যা না পারে তাদের কোন উপকার করতে, আর না পারে কোন ক্ষতি করতে, আর কাফির হচ্ছে তার প্রতিপালকের বিরুদ্ধে সাহায্যকারী। ([২৫] আল-ফুরকান: ৫৫)ব্যাখ্যা
وَمَآ اَرْسَلْنٰكَ اِلَّا مُبَشِّرًا وَّنَذِيْرًا ٥٦
- wamā
- وَمَآ
- এবং না
- arsalnāka
- أَرْسَلْنَٰكَ
- তোমাকে আমরা পাঠিয়েছি
- illā
- إِلَّا
- এ ছাড়া যে
- mubashiran
- مُبَشِّرًا
- সুসংবাদদাতা
- wanadhīran
- وَنَذِيرًا
- ও সতর্ক কারী রূপে
আমি তোমাকে পাঠিয়েছি কেবল সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শনকারী হিসেবে। ([২৫] আল-ফুরকান: ৫৬)ব্যাখ্যা
قُلْ مَآ اَسْـَٔلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ اَجْرٍ اِلَّا مَنْ شَاۤءَ اَنْ يَّتَّخِذَ اِلٰى رَبِّهٖ سَبِيْلًا ٥٧
- qul
- قُلْ
- বলো
- mā
- مَآ
- "না
- asalukum
- أَسْـَٔلُكُمْ
- তোমাদের (নিকট) চাচ্ছি আমি
- ʿalayhi
- عَلَيْهِ
- এর জন্য
- min
- مِنْ
- কোন
- ajrin
- أَجْرٍ
- প্রতিদান
- illā
- إِلَّا
- তবে (এতটুকু)
- man
- مَن
- যে
- shāa
- شَآءَ
- ইচ্ছে করে
- an
- أَن
- যে
- yattakhidha
- يَتَّخِذَ
- সে গ্রহণ করবে
- ilā
- إِلَىٰ
- দিকে
- rabbihi
- رَبِّهِۦ
- তার রবের
- sabīlan
- سَبِيلًا
- পথ"
বল- এজন্য আমি তোমাদের কাছে এছাড়া কোন প্রতিদান চাই না যে, যার ইচ্ছে সে তার প্রতিপালকের দিকে পথ অবলম্বন করুক। ([২৫] আল-ফুরকান: ৫৭)ব্যাখ্যা
وَتَوَكَّلْ عَلَى الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَمُوْتُ وَسَبِّحْ بِحَمْدِهٖۗ وَكَفٰى بِهٖ بِذُنُوْبِ عِبَادِهٖ خَبِيْرًا ۚ ٥٨
- watawakkal
- وَتَوَكَّلْ
- এবং নির্ভর করো
- ʿalā
- عَلَى
- উপর
- l-ḥayi
- ٱلْحَىِّ
- চিরঞ্জীব (আল্লাহর)
- alladhī
- ٱلَّذِى
- যিনি
- lā
- لَا
- না
- yamūtu
- يَمُوتُ
- মরবেন (কখনও)
- wasabbiḥ
- وَسَبِّحْ
- ও পবিত্রতা ঘোষণা করো
- biḥamdihi
- بِحَمْدِهِۦۚ
- তাঁর প্রশংসাসহ
- wakafā
- وَكَفَىٰ
- আর যথেষ্ট
- bihi
- بِهِۦ
- এ ব্যাপারে
- bidhunūbi
- بِذُنُوبِ
- সম্পর্কে পাপ
- ʿibādihi
- عِبَادِهِۦ
- তাঁর দাসদের
- khabīran
- خَبِيرًا
- (তাঁরই) অবহিত হওয়া
আর তুমি নির্ভর কর সেই চিরঞ্জীবের উপর যিনি মরবেন না। আর তাঁর প্রশংসা ও পবিত্রতা ঘোষণা কর। তিনি তাঁর বান্দাহদের গুনাহর খবর রাখার ব্যাপারে যথেষ্ট। ([২৫] আল-ফুরকান: ৫৮)ব্যাখ্যা
اَلَّذِيْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا فِيْ سِتَّةِ اَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوٰى عَلَى الْعَرْشِۚ اَلرَّحْمٰنُ فَسْـَٔلْ بِهٖ خَبِيْرًا ٥٩
- alladhī
- ٱلَّذِى
- যিনি
- khalaqa
- خَلَقَ
- সৃষ্টি করেছেন
- l-samāwāti
- ٱلسَّمَٰوَٰتِ
- আকাশমণ্ডলী
- wal-arḍa
- وَٱلْأَرْضَ
- ও পৃথিবী
- wamā
- وَمَا
- এবং যা কিছু
- baynahumā
- بَيْنَهُمَا
- উভয়ের মাঝে (আছে)
- fī
- فِى
- মধ্যে
- sittati
- سِتَّةِ
- ছয়
- ayyāmin
- أَيَّامٍ
- দিনে
- thumma
- ثُمَّ
- এরপর
- is'tawā
- ٱسْتَوَىٰ
- সমাসীন হন
- ʿalā
- عَلَى
- উপর
- l-ʿarshi
- ٱلْعَرْشِۚ
- আরশের
- l-raḥmānu
- ٱلرَّحْمَٰنُ
- অশেষ দয়াবান
- fasal
- فَسْـَٔلْ
- সুতরাং জিজ্ঞেস করো
- bihi
- بِهِۦ
- সম্পর্কে তাঁর
- khabīran
- خَبِيرًا
- (তাদের হ'তে) যারা অবহিত
তিনি আসমান, যমীন আর এ দু’য়ের ভিতরে যা আছে তা ছ’দিনে (ছ’টি সময় স্তরে) সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর আরশে সমুন্নত হয়েছেন। তিনিই রাহমান, কাজেই তাঁর সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস কর যে এ সম্পর্কিত জ্ঞান রাখে। ([২৫] আল-ফুরকান: ৫৯)ব্যাখ্যা
وَاِذَا قِيْلَ لَهُمُ اسْجُدُوْا لِلرَّحْمٰنِ قَالُوْا وَمَا الرَّحْمٰنُ اَنَسْجُدُ لِمَا تَأْمُرُنَا وَزَادَهُمْ نُفُوْرًا ۩ ࣖ ٦٠
- wa-idhā
- وَإِذَا
- এবং যখন
- qīla
- قِيلَ
- বলা হয়
- lahumu
- لَهُمُ
- তাদেরকে
- us'judū
- ٱسْجُدُوا۟
- "তোমরা সিজদা করো
- lilrraḥmāni
- لِلرَّحْمَٰنِ
- জন্যে দয়াময়ের"
- qālū
- قَالُوا۟
- তারা বলে
- wamā
- وَمَا
- "কে আবার
- l-raḥmānu
- ٱلرَّحْمَٰنُ
- (সেই) দয়াময়
- anasjudu
- أَنَسْجُدُ
- কি আমরা সিজদা করবো
- limā
- لِمَا
- (তাকে) যাকে
- tamurunā
- تَأْمُرُنَا
- আমাদের তুমি নির্দেশ দিবে"
- wazādahum
- وَزَادَهُمْ
- আর (এভাবে) বৃদ্ধি করলো তাদের
- nufūran
- نُفُورًا۩
- বিমুখতা
তাদেরকে যখন বলা হয় ‘রহমান’-এর উদ্দেশ্যে সাজদায় অবনত হও, তারা বলে- ‘রহমান আবার কী? আমাদেরকে তুমি যাকেই সেজদা করতে বলবে আমরা তাকেই সেজদা করব নাকি?’ এতে তাদের অবাধ্যতাই বেড়ে যায়। [সাজদাহ] ([২৫] আল-ফুরকান: ৬০)ব্যাখ্যা