Skip to content

সূরা আল-ফুরকান - Page: 5

Al-Furqan

(al-Furq̈ān)

৪১

وَاِذَا رَاَوْكَ اِنْ يَّتَّخِذُوْنَكَ اِلَّا هُزُوًاۗ اَهٰذَا الَّذِيْ بَعَثَ اللّٰهُ رَسُوْلًا ٤١

wa-idhā
وَإِذَا
এবং যখন
ra-awka
رَأَوْكَ
তোমাকে তারা দেখে
in
إِن
না
yattakhidhūnaka
يَتَّخِذُونَكَ
তোমাকে তারা গ্রহণ করে
illā
إِلَّا
এ ছাড়া যে
huzuwan
هُزُوًا
বিদ্রূপের পাত্ররূপে
ahādhā
أَهَٰذَا
"(তারা বলে) কি এই
alladhī
ٱلَّذِى
যাকে
baʿatha
بَعَثَ
পাঠিয়েছেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
rasūlan
رَسُولًا
রাসূলরূপে
তারা যখন তোমাকে দেখে, তারা তোমাকে ঠাট্টা-বিদ্রূপের পাত্র ছাড়া অন্য কিছু গণ্য করে না, আর বলে ; এটা কি সেই লোক আল্লাহ যাকে রসূল করে পাঠিয়েছেন? ([২৫] আল-ফুরকান: ৪১)
ব্যাখ্যা
৪২

اِنْ كَادَ لَيُضِلُّنَا عَنْ اٰلِهَتِنَا لَوْلَآ اَنْ صَبَرْنَا عَلَيْهَاۗ وَسَوْفَ يَعْلَمُوْنَ حِيْنَ يَرَوْنَ الْعَذَابَ مَنْ اَضَلُّ سَبِيْلًا ٤٢

in
إِن
যদি
kāda
كَادَ
উপক্রম হয়েছিলো
layuḍillunā
لَيُضِلُّنَا
অবশ্যই আমাদেরকে ভ্রষ্ট করে দিতো
ʿan
عَنْ
হ'তে
ālihatinā
ءَالِهَتِنَا
আমাদের দেবতাগুলো
lawlā
لَوْلَآ
যদি না
an
أَن
যে
ṣabarnā
صَبَرْنَا
আমরা ধৈর্য ধরতাম
ʿalayhā
عَلَيْهَاۚ
তাদের উপর"
wasawfa
وَسَوْفَ
আর শীঘ্রই
yaʿlamūna
يَعْلَمُونَ
তারা জানতে পারবে
ḥīna
حِينَ
যখন
yarawna
يَرَوْنَ
তারা দেখবে
l-ʿadhāba
ٱلْعَذَابَ
শাস্তি
man
مَنْ
কে
aḍallu
أَضَلُّ
চূড়ান্তরূপে ভ্রষ্ট হয়েছে
sabīlan
سَبِيلًا
পথ
সে তো আমাদেরকে আমাদের ইলাহদের থেকে অবশ্যই সরিয়ে দিত যদি আমরা তাদের প্রতি দৃঢ়চিত্ত না থাকতাম। যখন তারা শাস্তি দেখবে তখন জানবে যে পথের ক্ষেত্রে কারা অধিক ভ্রষ্ট ছিল। ([২৫] আল-ফুরকান: ৪২)
ব্যাখ্যা
৪৩

اَرَءَيْتَ مَنِ اتَّخَذَ اِلٰهَهٗ هَوٰىهُۗ اَفَاَنْتَ تَكُوْنُ عَلَيْهِ وَكِيْلًا ۙ ٤٣

ara-ayta
أَرَءَيْتَ
কি তুমি (ভেবে) দেখেছো
mani
مَنِ
যে
ittakhadha
ٱتَّخَذَ
গ্রহণ করেছে
ilāhahu
إِلَٰهَهُۥ
উপাস্যরূপে
hawāhu
هَوَىٰهُ
তার বাসনা লালসাকে
afa-anta
أَفَأَنتَ
কি তবে তুমি
takūnu
تَكُونُ
তুমি হবে
ʿalayhi
عَلَيْهِ
তার উপর
wakīlan
وَكِيلًا
কর্মবিধায়ক
তুমি কি তাকে দেখ না যে তার খেয়াল খুশিকে ইলাহরুপে গ্রহণ করেছে? এর পরেও কি তুমি তার কাজের জিম্মাদার হতে চাও? ([২৫] আল-ফুরকান: ৪৩)
ব্যাখ্যা
৪৪

اَمْ تَحْسَبُ اَنَّ اَكْثَرَهُمْ يَسْمَعُوْنَ اَوْ يَعْقِلُوْنَۗ اِنْ هُمْ اِلَّا كَالْاَنْعَامِ بَلْ هُمْ اَضَلُّ سَبِيْلًا ࣖ ٤٤

am
أَمْ
অথবা কি
taḥsabu
تَحْسَبُ
মনে করো তুমি
anna
أَنَّ
যে
aktharahum
أَكْثَرَهُمْ
অধিকাংশ তাদের
yasmaʿūna
يَسْمَعُونَ
শূনতে পায়
aw
أَوْ
অথবা
yaʿqilūna
يَعْقِلُونَۚ
বুঝতে পারে
in
إِنْ
নয়
hum
هُمْ
তারা
illā
إِلَّا
এ ছাড়া
kal-anʿāmi
كَٱلْأَنْعَٰمِۖ
মতো চতুষ্পদ পশুর
bal
بَلْ
বরং
hum
هُمْ
তারা
aḍallu
أَضَلُّ
অধিকতর ভ্রষ্ট হয়েছে
sabīlan
سَبِيلًا
পথ
তুমি কি এটা মনে কর যে, তাদের অধিকাংশ লোক শুনে বা বুঝে? তারা পশু বৈ তো নয়, বরং তারা সঠিক পথ থেকে আরো বেশি ভ্রষ্ট। ([২৫] আল-ফুরকান: ৪৪)
ব্যাখ্যা
৪৫

اَلَمْ تَرَ اِلٰى رَبِّكَ كَيْفَ مَدَّ الظِّلَّۚ وَلَوْ شَاۤءَ لَجَعَلَهٗ سَاكِنًاۚ ثُمَّ جَعَلْنَا الشَّمْسَ عَلَيْهِ دَلِيْلًا ۙ ٤٥

alam
أَلَمْ
কি নি
tara
تَرَ
তুমি (ভেবে) দেখো
ilā
إِلَىٰ
প্রতি
rabbika
رَبِّكَ
তোমার রবের
kayfa
كَيْفَ
কিভাবে
madda
مَدَّ
তিনি বিস্তার করেছেন
l-ẓila
ٱلظِّلَّ
ছায়া
walaw
وَلَوْ
এবং যদি
shāa
شَآءَ
তিনি চাইতেন
lajaʿalahu
لَجَعَلَهُۥ
অবশ্যই তাকে করতে পারতেন
sākinan
سَاكِنًا
স্থির
thumma
ثُمَّ
এরপর
jaʿalnā
جَعَلْنَا
আমরা করেছি
l-shamsa
ٱلشَّمْسَ
সূর্যকে
ʿalayhi
عَلَيْهِ
তার উপর
dalīlan
دَلِيلًا
প্রমাণ
তুমি কি তোমার প্রতিপালককে দেখ না কীভাবে তিনি ছায়াকে দীর্ঘ করেন (সূর্য উদয়ের সময়ে, অতঃপর তা ক্রমেই ছোট হতে হতে দুপুর বেলা ছায়া ক্ষুদ্র আকৃতি ধারণ করে, দুপুরের পর আবার ছায়া দীর্ঘ হতে থাকে), তিনি চাইলে ছায়াকে অবশ্যই স্থির রাখতে পারতেন। সূর্যকেই আমি করেছি তার (অর্থাৎ ছায়ার) নির্ণায়ক (সূর্যের অবস্থানের কারণেই ছায়া ছোট ও দীর্ঘ হয়)। ([২৫] আল-ফুরকান: ৪৫)
ব্যাখ্যা
৪৬

ثُمَّ قَبَضْنٰهُ اِلَيْنَا قَبْضًا يَّسِيْرًا ٤٦

thumma
ثُمَّ
এরপর
qabaḍnāhu
قَبَضْنَٰهُ
তাকে আমরা গুটিয়ে আনি
ilaynā
إِلَيْنَا
আমাদের দিকে
qabḍan
قَبْضًا
গুটিয়ে
yasīran
يَسِيرًا
ধীর ভাবে
অতঃপর আমি তাকে নিজের দিকে গুটিয়ে নেই, ধীরে ধীরে ক্রমাগতভাবে (কারো মৃত্যু হলে, কিছু বিনাশ হলে, কিছু গুটানো হলে- সব কিছুই আল্লাহর দিকে চলে যায়)। ([২৫] আল-ফুরকান: ৪৬)
ব্যাখ্যা
৪৭

وَهُوَ الَّذِيْ جَعَلَ لَكُمُ الَّيْلَ لِبَاسًا وَّالنَّوْمَ سُبَاتًا وَّجَعَلَ النَّهَارَ نُشُوْرًا ٤٧

wahuwa
وَهُوَ
এবং তিনিই (আল্লাহ)
alladhī
ٱلَّذِى
যিনি
jaʿala
جَعَلَ
করেছেন
lakumu
لَكُمُ
জন্যে তোমাদের
al-layla
ٱلَّيْلَ
রাতকে
libāsan
لِبَاسًا
(আবরণ ও) পোশাকস্বরূপ
wal-nawma
وَٱلنَّوْمَ
ও ঘুমকে (করেছেন)
subātan
سُبَاتًا
(মৃত্যুর সম) বিশ্রামস্বরূপ
wajaʿala
وَجَعَلَ
ও তিনি করেছেন
l-nahāra
ٱلنَّهَارَ
দিনকে
nushūran
نُشُورًا
(জীবন্ত করে) উত্থানস্বরূপ
তিনিই তোমাদের জন্য রাতকে করেছেন আবরণ, নিদ্রাকে করেছেন আরামপ্রদ আর দিনকে করেছেন (নিদ্রারূপী সাময়িক মৃত্যুর পর) আবার জীবন্ত হয়ে উঠার সময়। ([২৫] আল-ফুরকান: ৪৭)
ব্যাখ্যা
৪৮

وَهُوَ الَّذِيْٓ اَرْسَلَ الرِّيٰحَ بُشْرًاۢ بَيْنَ يَدَيْ رَحْمَتِهٖۚ وَاَنْزَلْنَا مِنَ السَّمَاۤءِ مَاۤءً طَهُوْرًا ۙ ٤٨

wahuwa
وَهُوَ
এবং তিনিই
alladhī
ٱلَّذِىٓ
যিনি
arsala
أَرْسَلَ
প্রেরণ করেন
l-riyāḥa
ٱلرِّيَٰحَ
বাতাসকে
bush'ran
بُشْرًۢا
সুসংবাদরূপে
bayna
بَيْنَ
মাঝে
yaday
يَدَىْ
হাতের (প্রাক্কালে)
raḥmatihi
رَحْمَتِهِۦۚ
তাঁর অনুগ্রহের
wa-anzalnā
وَأَنزَلْنَا
এবং আমরা বর্ষণ করি
mina
مِنَ
হ'তে
l-samāi
ٱلسَّمَآءِ
আকাশ
māan
مَآءً
পানি
ṭahūran
طَهُورًا
বিশুদ্ধ
তিনিই তার (বৃষ্টিরূপী) অনুগ্রহের পূর্বে সুসংবাদ হিসেবে বায়ু পাঠিয়ে দেন আর আমি আকাশ থেকে বিশুদ্ধ পানি বর্ষণ করি। ([২৫] আল-ফুরকান: ৪৮)
ব্যাখ্যা
৪৯

لِّنُحْيِ َۧ بِهٖ بَلْدَةً مَّيْتًا وَّنُسْقِيَهٗ مِمَّا خَلَقْنَآ اَنْعَامًا وَّاَنَاسِيَّ كَثِيْرًا ٤٩

linuḥ'yiya
لِّنُحْۦِىَ
যেন জীবিত করি আমরা
bihi
بِهِۦ
দ্বারা তা
baldatan
بَلْدَةً
ভূখণ্ডকে
maytan
مَّيْتًا
মৃত
wanus'qiyahu
وَنُسْقِيَهُۥ
ও তা পান করাই আমরা
mimmā
مِمَّا
মধ্যে যাদের
khalaqnā
خَلَقْنَآ
আমরা সৃষ্টি করেছি
anʿāman
أَنْعَٰمًا
জীবজন্তু
wa-anāsiyya
وَأَنَاسِىَّ
ও মানুষ
kathīran
كَثِيرًا
বহু
যা দিয়ে আমি মৃত যমীনকে জীবিত করে তুলি এবং তৃষ্ণা নিবারণ করি আমার সৃষ্টির অন্তর্গত অনেক জীবজন্তুর ও মানুষের। ([২৫] আল-ফুরকান: ৪৯)
ব্যাখ্যা
৫০

وَلَقَدْ صَرَّفْنٰهُ بَيْنَهُمْ لِيَذَّكَّرُوْاۖ فَاَبٰىٓ اَكْثَرُ النَّاسِ اِلَّا كُفُوْرًا ٥٠

walaqad
وَلَقَدْ
এবং নিশ্চয়ই
ṣarrafnāhu
صَرَّفْنَٰهُ
তা আমরা বারবার পেশ করি
baynahum
بَيْنَهُمْ
তাদের মাঝে
liyadhakkarū
لِيَذَّكَّرُوا۟
যেন তারা শিক্ষা নেয়
fa-abā
فَأَبَىٰٓ
কিন্তু অস্বীকার করে
aktharu
أَكْثَرُ
অধিকাংশ
l-nāsi
ٱلنَّاسِ
মানুষ
illā
إِلَّا
(আর) কেবল
kufūran
كُفُورًا
অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে
আমি পানিকে (সকলের প্রয়োজন মেটানোর জন্য) তাদের মাঝে বণ্টন করি যাতে তারা (আল্লাহর অনুগ্রহের কথা) স্মরণ করে, কিন্তু মানুষদের অধিকাংশই ঈমান গ্রহণ করতে অস্বীকার ক’রে কেবল কুফরিই করল। ([২৫] আল-ফুরকান: ৫০)
ব্যাখ্যা