Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা আল মু'মিনূন আয়াত ৬৯

Qur'an Surah Al-Mu'minun Verse 69

আল মু'মিনূন [২৩]: ৬৯ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

اَمْ لَمْ يَعْرِفُوْا رَسُوْلَهُمْ فَهُمْ لَهٗ مُنْكِرُوْنَ ۖ (المؤمنون : ٢٣)

am
أَمْ
Or
অথবা
lam
لَمْ
(do) not
না
yaʿrifū
يَعْرِفُوا۟
they recognize
তারা চিনে
rasūlahum
رَسُولَهُمْ
their Messenger
তাদের রাসূলকে
fahum
فَهُمْ
so they
তাই তারা
lahu
لَهُۥ
(are) rejecting him?
প্রতি তার
munkirūna
مُنكِرُونَ
(are) rejecting him?
অস্বীকারকারী হয়েছে

Transliteration:

Am lam ya'rifoo Rasoolahum fahum lahoo munkiroon (QS. al-Muʾminūn:69)

English Sahih International:

Or did they not know their Messenger, so they are toward him disacknowledging? (QS. Al-Mu'minun, Ayah ৬৯)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

কিংবা তারা কি তাদের রসূলকে চিনতে পারে না এজন্য তারা তাকে অস্বীকার করছে (আল মু'মিনূন, আয়াত ৬৯)

Tafsir Ahsanul Bayaan

অথবা তারা কি তাদের রসূলকে চিনে না বলে তাকে অস্বীকার করে? [১]

[১] এটি তিরস্কারস্বরূপ বলা হয়েছে। কারণ তারা নবীর বংশ, গোত্র এবং অনুরূপভাবে তাঁর সততা, আমানতদারী, সত্যবাদিতা, সুন্দর আচার-ব্যবহার ও মহান চরিত্র সম্পর্কে পূর্ণরূপে অবগত ছিল এবং তারা তা স্বীকারও করত।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

নাকি তারা তাদের রাসূলকে চিনে না বলে তাকে অস্বীকার করছে [১]?

[১] অর্থাৎ তাদের অস্বীকারের এক কারণ হতে পারত এই যে, যে ব্যাক্তি সত্যে দাওয়াত ও নবুওয়তের দাবী নিয়ে আগমন করেছেন, তিনি ভিন্ন দেশের লোক। তার বংশ, অভ্যাস, চালচলন ও চরিত্র সম্পর্কে তারা জ্ঞাত নয়। এমতাবস্থায় তারা বলতে পারত যে, আমরা এই নবীর জীবনালেখ্য সম্পর্কে অবগত নই; কাজেই তাকে নবী রাসূল মেনে কিরূপে অনুসরণ করতে পারি? কিন্তু এখানে তো এরূপ অবস্থা নয়। বরং একথা সুস্পষ্ট ছিল যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্ভ্রান্ততম কুরাইশ বংশে এই শহরেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং শৈশব থেকে শুরু করে তার যৌবন ও পরবর্তী সমগ্র সময় তাদের সামনেই অতিবাহিত হয়েছিল। তার কোন কর্ম, কোন অভ্যাসই তাদের কাছে গোপন ছিল না। নবুওয়ত দাবী করার পূর্ব পর্যন্ত সমগ্র কাফের সম্প্রদায় তাকে ‘সাদিক’ ও ‘আমীন'- সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত বলে সম্বোধন করত। তার চরিত্র ও কর্ম সম্পর্কে কেউ কোন দিন কোন সন্দেহই করেনি। তারপর তারা এও জানতো যে, নবুওয়াতের দাবীর একদিন আগে পর্যন্তও কেউ তার মুখ থেকে এমন কোন কথা শোনেনি যা থেকে এ সন্দেহ করা যেতে পারে যে, তিনি কোন দাবী করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর যেদিন তিনি দাবী করেন তার পর থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত একই কথা বলে আসছেন। আবার তার জীবন যাপন প্ৰণালী সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, অন্যদেরকে তিনি যা কিছু বলেন, তা সবার আগে নিজে পালন করে দেখিয়ে দেন। তার কথায় ও কাজে কোন বৈপরীত্য নেই। কাজেই তাদের এ অজুহাতও অচল যে, তারা তাকে চেনে না। তাই জা‘ফর ইবন আবু তালেব হাবশার বাদশাকে বলেছিলেন, “হে রাজন! আল্লাহ্‌ আমাদের কাছে এমন এক রাসূল পাঠিয়েছেন আমরা তার বংশ, সত্যবাদিতা ও আমানতদারীসহ যাবতীয় পরিচয় জানি।” [মুসনাদে আহমাদ ৫/২৯০] অনুরূপভাবে আবু সুফিয়ান ইবন হারাবের কাছে রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াস যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের গুণাগুণ, বংশ, সত্যবাদিতা সম্পপর্কে প্রশ্ন করেছিল তখন সে কাফের থাকা অবস্থায়ও সত্য কথা বলতে বাধ্য হয়েছিল। [বুখারীঃ ৭]

Tafsir Bayaan Foundation

নাকি তারা তাদের রাসূলকে চিনতে পারেনি, ফলে তারা তাকে অস্বীকার করছে?

Muhiuddin Khan

না তারা তাদের রসূলকে চেনে না, ফলে তারা তাঁকে অস্বীকার করে?

Zohurul Hoque

অথবা তারা কি তাদের রসূলকে চিনতে পারছে না যেজন্য তারা তাঁর প্রতি বিমুখ রয়েছে?