Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা আল মু'মিনূন আয়াত ১০১

Qur'an Surah Al-Mu'minun Verse 101

আল মু'মিনূন [২৩]: ১০১ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

فَاِذَا نُفِخَ فِى الصُّوْرِ فَلَآ اَنْسَابَ بَيْنَهُمْ يَوْمَىِٕذٍ وَّلَا يَتَسَاۤءَلُوْنَ (المؤمنون : ٢٣)

fa-idhā
فَإِذَا
So when
অতঃপর যখন
nufikha
نُفِخَ
is blown
ফুঁ দেয়া হবে
فِى
in
মধ্যে
l-ṣūri
ٱلصُّورِ
the trumpet
শিঙ্গার
falā
فَلَآ
then not
তখন না
ansāba
أَنسَابَ
(there) will be relationship
আত্মীয়তার বন্ধন (থাকবে)
baynahum
بَيْنَهُمْ
among them
মাঝে তাদের
yawma-idhin
يَوْمَئِذٍ
that Day
সেদিন
walā
وَلَا
and not
আর না
yatasāalūna
يَتَسَآءَلُونَ
will they ask each other
তারা পরস্পরে খোঁজখবর করবে

Transliteration:

Fa izaa nufikha fis Soori falaaa ansaaba bainahum yawma'izinw wa laa yatasaaa'aloon (QS. al-Muʾminūn:101)

English Sahih International:

So when the Horn is blown, no relationship will there be among them that Day, nor will they ask about one another. (QS. Al-Mu'minun, Ayah ১০১)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

অতঃপর যখন শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে সেদিন তাদের পরস্পরের মাঝে আত্মীয় বন্ধন থাকবে না। একে অপরের কাছে জিজ্ঞেসও করবে না। (আল মু'মিনূন, আয়াত ১০১)

Tafsir Ahsanul Bayaan

যেদিন শিংগায় ফুৎকার দেওয়া হবে, সেদিন পরস্পরের মধ্যে আত্মীয়তার বন্ধন থাকবে না এবং একে অপরের খোঁজ-খবর নেবে না। [১]

[১] হাশরের ভয়াবহতার ফলে শুরুতে এ রকম হবে। কিন্তু পরে এক অপরকে চিনতে পারবে ও জিজ্ঞাসাবাদ করবে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

অতঃপর যেদিন শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে [১] সেদিন পরস্পরের মধ্যে আত্মীয়তার বন্ধন থাকবে না [২] এবং একে অন্যের খোঁজ-খবর নেবে না [৩],

[১] দু’বার শিংগায় ফুঁৎকার দেয়া হবে। প্রথম ফুঁৎকারের ফলে যমীন-আসমান এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সব ধ্বংস হয়ে যাবে এবং দ্বিতীয় ফুঁৎকারের ফলে পুনরায় সব মৃত জীবিত হয়ে উত্থিত হবে। কুরআনের

ثُمَّ نُفِخَ فِيْهِ اُخْرٰى فِاِذِاهُمْ قِيَامٌ يَّنْظُرُوْنَ

আয়াতে একথার স্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে। তবে আলোচ্য আয়াতে শিংগায় প্রথম ফুঁৎকার বোঝানো হয়েছে, না দ্বিতীয় ফুঁৎকার-এ বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। যদিও দ্বিতীয় ফুঁৎকার বুঝানোই অধিক সঠিক মত বলে মনে হয়। [দেখুন, ইবন কাসীর]

[২] এর অর্থ হচ্ছে, সে সময় বাপ ছেলের কোন কাজে লাগবে না এবং ছেলে বাপের কোন কাজে লাগবে না। প্ৰত্যেকে এমনভাবে নিজের অবস্থার শিকার হবে যে, একজন অন্যজনের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করা তো দূরের কথা কারোর কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করার মতো চেতনাও থাকবে না। অন্যান্য স্থানে এ বিষয়টিকে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছেঃ “কোন অন্তরংগ বন্ধু নিজের বন্ধুকে জিজ্ঞেস করবে না।” [সূরা আল-মা‘আরিজঃ ১০] আরও বলা হয়েছে, “সেদিন অপরাধীর মন তার নিজের সন্তান, স্ত্রী, ভাই ও নিজের সহায়তাকারী নিকটতম আত্মীয় এবং সারা দুনিয়ার সমস্ত মানুষকে ক্ষতিপূরণ বাবদ দিতে এবং নিজেকে আযাব থেকে মুক্ত করতে চাইবে।” [সূরা আল-মা'আরিজঃ ১১-১৪]। অন্যত্র বলা হয়েছে, “সেদিন মানুষ নিজের ভাই, মা, বাপ ও স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের থেকে পালাতে থাকবে। সেদিন প্ৰত্যেক ব্যক্তি নিজের অবস্থার মধ্যে এমনভাবে লিপ্ত থাকবে যে, তার কারোর কথা মনে থাকবে না।” [সূরা আবাসাঃ ৩৪-৩৭]

[৩] অর্থাৎ পরস্পর কেউ কারও সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করবে না। অন্য এক আয়াতে বলা হয়েছে

وَأَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ يَتَسَاءَلُونَ

“আর তারা একে অপরকে প্রশ্ন করতে এগিয়ে যাবে”। [সূরা আস-সাফফাতঃ ২৭] অর্থাৎ হাশরের ময়দানে একে অপরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। এই আয়াত সম্পর্কে ইবনে আব্বাস রাদিয়ালাহু আনহু বলেনঃ হাশরে বিভিন্ন অবস্থানস্থল হবে এবং প্রত্যেক অবস্থানস্থলের অবস্থা বিভিন্নরূপ হবে। এমনও সময় আসবে, যখন কেউ কাউকে জিজ্ঞেস করবে না। এরপর কোন অবস্থানকালে ভয়ভীতি ও আতঙ্ক হ্রাস পেলে একে অপরের অবস্থা জিজ্ঞেস করবে। [দেখুন, বাগভী; ফাতহুল কাদীর]

Tafsir Bayaan Foundation

অতঃপর যেদিন শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে সেদিন তাদের মাঝে কোন আত্মীয়তার বন্ধন থাকবে না, কেউ কারো বিষয়ে জানতে চাইবে না।

Muhiuddin Khan

অতঃপর যখন শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে, সেদিন তাদের পারস্পরিক আত্নীয়তার বন্ধন থাকবে না এবং একে অপরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে না।

Zohurul Hoque

তারপর যখন শিঙায় ফুকে দেঁওয়া হবে, তখন তাদের মধ্যে সেইদিন কোনো আ‌ত্মীয়তার বন্ধন থাকবে না, আর তারা খোঁজ- খবরও নেবে না।