Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা আম্বিয়া আয়াত ৯১

Qur'an Surah Al-Anbya Verse 91

আম্বিয়া [২১]: ৯১ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

وَالَّتِيْٓ اَحْصَنَتْ فَرْجَهَا فَنَفَخْنَا فِيْهَا مِنْ رُّوْحِنَا وَجَعَلْنٰهَا وَابْنَهَآ اٰيَةً لِّلْعٰلَمِيْنَ (الأنبياء : ٢١)

wa-allatī
وَٱلَّتِىٓ
And she who
এবং (স্মরণ করো) (মারইয়ামকে) যে
aḥṣanat
أَحْصَنَتْ
guarded
রক্ষা করেছিলো
farjahā
فَرْجَهَا
her chastity
তার সতীত্বকে
fanafakhnā
فَنَفَخْنَا
so We breathed
অতঃপর আমরা ফুঁকে দিলাম
fīhā
فِيهَا
into her
তার মধ্যে
min
مِن
of
থেকে
rūḥinā
رُّوحِنَا
Our Spirit
আমাদের রূহ
wajaʿalnāhā
وَجَعَلْنَٰهَا
and We made her
এবং তাকে বানিয়েছিলাম
wa-ib'nahā
وَٱبْنَهَآ
and her son
ও তার পুত্রকে
āyatan
ءَايَةً
a sign
একটি নিদর্শন
lil'ʿālamīna
لِّلْعَٰلَمِينَ
for the worlds
জন্যে বিশ্ববাসীদের

Transliteration:

Wallateee ahsanat farjahaa fanafakhnaa feehaa mir roohinaa wa ja'alnaahaa wabnahaaa Aayatal lil'aalameen (QS. al-ʾAnbiyāʾ:91)

English Sahih International:

And [mention] the one who guarded her chastity [i.e., Mary], so We blew into her [garment] through Our angel [i.e., Gabriel], and We made her and her son a sign for the worlds. (QS. Al-Anbya, Ayah ৯১)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

স্মরণ কর সেই নারীর (অর্থাৎ মারইয়ামের) কথা যে তার সতীত্বকে সংরক্ষণ করেছিল। অতঃপর আমি তার ভিতর আমার রূহ ফুঁকে দিয়েছিলাম আর তাকে ও তার পুত্রকে বিশ্বজগতের জন্য নিদর্শন করেছিলাম। (আম্বিয়া, আয়াত ৯১)

Tafsir Ahsanul Bayaan

আর স্মরণ কর সেই নারী (মারয়্যাম)এর কথা, যে নিজ সতীত্বকে রক্ষা করেছিল, অতঃপর তার মধ্যে আমি আমার রূহ্ ফুঁকে দিয়েছিলাম এবং তাকে ও তার পুত্রকে করেছিলাম বিশ্ববাসীর জন্য এক নিদর্শন। [১]

[১] এখানে মারয়্যাম ও ঈসা (আঃ)-এর আলোচনা, যা এর আগে (সূরা মারয়্যামের ১৯;১৬-৩৪ নং আয়াতে) পার হয়ে গেছে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

এবং স্মরণ করুন সে নারীকে [১], যে নিজ লজ্জাস্থানের হেফাজত করেছিল, অতঃপর তার মধ্যে আমরা আমাদের রূহ [২] ফুঁকে দিলাম এবং তাকে ও তার পুত্রকে করেছিলাম সৃষ্টিজগতের জন্য এক নিদর্শন।

[১] এখানে মারইয়াম আলাইহাস সালামের কথা বলা হয়েছে। [ইবন কাসীর]

[২] এখানে যেভাবে ঈসা আলাইহিসসালাম সম্পর্কে রূহ ফুঁকে দেয়ার কথা বলা হলো অন্যত্র তদ্রুপ আদম আলাইহিস সালাম সম্পর্কেও এসেছে, যেমন বলা হয়েছেঃ “আমি মাটি থেকে একটি মানুষ তৈরী করছি। কাজেই যখন আমি তাকে পূর্ণরূপে তৈরী করে নেবো এবং তার মধ্যে নিজের রূহ ফুঁকে দেবো। তখন (হে ফেরেশতারা !) তোমরা তার সামনে সিজদায় অবনত হয়ে যাবে।" [সূরা সাদঃ ৭১-৭২] আদম আলাইহিসসালামের ব্যাপারে রূহ ফুঁকে দেয়ার কথা যেভাবে বলা হয়েছে তেমনিভাবে ঈসা সম্পর্কে বিভিন্ন স্থানে বলা হয়েছে। আল্লাহ বলেনঃ “আল্লাহর রাসূল এবং তাঁর কালেমা, যা মারইয়ামের কাছে পাঠিয়েছিলেন এবং তার পক্ষ থেকে একটি রূহ। ” [সূরা আন-নিসাঃ ১৭১] অন্যত্র বলা হয়েছেঃ “আর ইমরানের মেয়ে মারইয়াম, যে নিজের লজ্জাস্থানের হেফাজত করেছিল, কাজেই ফুঁকে দিলাম আমরা তার মধ্যে আমাদের রূহ। ” [সূরা আত-তাহরীমঃ ১২] এ সংগে এ বিষয়টিও সামনে থাকা দরকার যে, মহান আল্লাহ ঈসা আলাইহিসসালাম ও আদমের আলাইহিসসালামের জন্মকে পরস্পরের সদৃশ গণ্য করেন। তাই অন্য সূরায় আল্লাহ বলেনঃ “ঈসার দৃষ্টান্ত আল্লাহর কাছে আদমের মতো, যাকে আল্লাহ মাটি থেকে তৈরী করেন তারপর বলেন, “হয়ে যাও” এবং সে হয়ে যায়। [সূরা আলে ইমরানঃ ৫৯] এসব আয়াত নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করলে একথা বুঝা যায় যে, স্বাভাবিক সৃষ্টি পদ্ধতির পরিবর্তে যখন আল্লাহ কাউকে নিজের হুকুমের সাহায্যে অস্তিত্বশীল করে জীবন দান করেন তখন একে “নিজের রূহ থেকে ফুঁকে দিয়েছি” শব্দাবলীর সাহায্যে বিবৃত করেন। এ রূহের সম্পর্ক আল্লাহর সাথে সম্ভবত এ জন্য করা হয়েছে যে, এর ফুঁকে দেয়াটা অলৌকিক ধরনের। ফলে সম্মানসূচক এ রূহকে আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর নিজের বলে সম্পর্কিত করেছেন, এটি সৃষ্ট রূহ।

Tafsir Bayaan Foundation

আর স্মরণ কর সে নারীর কথা, যে নিজ সতীত্ব রক্ষা করেছিল। অতঃপর আমি তার মধ্যে আমার ‘রূহ’ ফুঁকে দিয়েছিলাম এবং তাকে ও তার পুত্রকে বিশ্ববাসীর জন্য করেছিলাম এক নিদর্শন ।

Muhiuddin Khan

এবং সেই নারীর কথা আলোচনা করুন, যে তার কামপ্রবৃত্তিকে বশে রেখেছিল, অতঃপর আমি তার মধ্যে আমার রূহ ফুঁকে দিয়েছিলাম এবং তাকে তার পুত্রকে বিশ্ববাসীর জন্য নিদর্শন করেছিলাম।

Zohurul Hoque

আর তাঁর ক্ষেত্রে, যিনি তাঁর সতীত্ব রক্ষা করেছিলেন, সেজন্য আমরা তার মধ্যে আমাদের কাছের আ‌ত্মা থেকে ফুঁকে দিয়েছিলাম, আর আমরা তাকে ও তার ছেলেকে একটি নিদর্শন বানিয়েছিলাম।