Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা আম্বিয়া আয়াত ৮০

Qur'an Surah Al-Anbya Verse 80

আম্বিয়া [২১]: ৮০ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

وَعَلَّمْنٰهُ صَنْعَةَ لَبُوْسٍ لَّكُمْ لِتُحْصِنَكُمْ مِّنْۢ بَأْسِكُمْۚ فَهَلْ اَنْتُمْ شَاكِرُوْنَ (الأنبياء : ٢١)

waʿallamnāhu
وَعَلَّمْنَٰهُ
And We taught him
এবং তাকে আমরা শিখিয়েছিলাম
ṣanʿata
صَنْعَةَ
(the) making
শিল্প
labūsin
لَبُوسٍ
(of) coats of armor
বর্ম (নির্মাণ)
lakum
لَّكُمْ
for you
জন্যে তোমাদের
lituḥ'ṣinakum
لِتُحْصِنَكُم
to protect you
যেন তোমাদের রক্ষা করতে পারে
min
مِّنۢ
from
হ'তে
basikum
بَأْسِكُمْۖ
your battle
তোমাদের যুদ্ধের (আঘাত)
fahal
فَهَلْ
Then will
তবুও কি
antum
أَنتُمْ
you
তোমরা (না)
shākirūna
شَٰكِرُونَ
(be) grateful?
কৃতজ্ঞ হবে

Transliteration:

Wa 'allamanaahu san'ata laboosil lakum lituhsinakum mim baasikum fahal antum shaakiroon (QS. al-ʾAnbiyāʾ:80)

English Sahih International:

And We taught him the fashioning of coats of armor to protect you from your [enemy in] battle. So will you then be grateful? (QS. Al-Anbya, Ayah ৮০)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আমিই তাকে বর্ম নির্মাণ শিক্ষা দিয়েছিলাম তোমাদের উপকারে তোমাদের পারস্পরিক যুদ্ধে তোমাদেরকে রক্ষা করার জন্য, কাজেই তোমরা কি কৃতজ্ঞ হবে? (আম্বিয়া, আয়াত ৮০)

Tafsir Ahsanul Bayaan

আমি তাকে তোমাদের জন্য বর্ম নির্মাণ শিক্ষা দিয়েছিলাম, যাতে ওটা তোমাদের যুদ্ধে তোমাদেরকে রক্ষা করে;[১] সুতরাং তোমরা কি কৃতজ্ঞ হবে না?

[১] অর্থাৎ, আমি লোহাকে দাঊদের জন্য নরম বানিয়ে দিয়েছিলাম; যা দিয়ে সে যুদ্ধের পোশাক লৌহবর্ম তৈরী করত, যা তোমাদেরকে যুদ্ধে আঘাত থেকে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দান করে থাকে। কাতাদা (রঃ) বলেন, দাঊদ (আঃ)-এর আগে বর্ম তৈরী হত; কিন্তু তা হত স্বাভাবিক পাতের, কড়া ও শিকলহীন। দাঊদ (আঃ) সর্বপ্রথম কড়া ও শিকলবিশিষ্ট বর্ম তৈরী করেন। (ইবনে কাসীর)

Tafsir Abu Bakr Zakaria

আর আমরা তাকে তোমাদের জন্য বর্ম নির্মাণ শিক্ষা দিয়েছিলাম [১], যাতে তা তোমাদের যুদ্ধে তোমাদেরকে রক্ষা করে; কাজেই তোমরা কি কৃতজ্ঞ হবে?

[১] এখানে লৌহবর্ম বোঝানো হয়েছে, যা যুদ্ধে হেফাযতের জন্যে ব্যবহৃত হয়। অন্য এক আয়াতে আছেঃ “আমরা দাউদের জন্যে লোহা নরম করে দিয়েছিলাম।” [সূরা সাবাঃ ১০] আলোচ্য আয়াতে বর্ম নির্মাণ শিল্প দাউদ আলাইহিস সালামকে শেখানোর কথা উল্লেখ করার সাথে সাথে এর রহস্যও বলে দেয়া হয়েছে যে, “যাতে এই বর্ম তোমাদেরকে যুদ্ধে (সুতীক্ষ্ণ তরবারির আঘাত থেকে) হেফাযত করে। ” এই প্রয়োজন থেকে দ্বীনদার হোক কিংবা দুনিয়াদার কেউই মুক্ত নয়। তাই এই শিল্প শিক্ষা দেয়াকে আল্লাহ তা’আলা নেয়ামত আখ্যা দিয়েছেন। এ থেকে জানা গেল যে, যে শিল্পের মাধ্যমে মানুষের প্রয়োজন সম্পন্ন হয়, তা শিক্ষা দেয়া সওয়াবের কাজ; তবে জনসেবার নিয়ত থাকা এবং শুধু উপার্জন লক্ষ্য না হওয়া শর্ত। নবী-রাসূলগণ বিভিন্ন প্রকার শিল্পকর্ম নিজেরা সম্পন্ন করেছেন বলে কুরআন ও বিভিন্ন সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে। [দেখুন, কুরতুবী]

Tafsir Bayaan Foundation

আর আমিই তাকে তোমাদের জন্য বর্ম বানানো শিক্ষা দিয়েছিলাম। যাতে তা যুদ্ধে তোমাদেরকে রক্ষা করতে পারে। সুতরাং তোমরা কি কৃতজ্ঞ হবে?

Muhiuddin Khan

আমি তাঁকে তোমাদের জন্যে বর্ম নির্মান শিক্ষা দিয়েছিলাম, যাতে তা যুদ্ধে তোমাদেরকে রক্ষা করে। অতএব তোমরা কি কৃতজ্ঞ হবে?

Zohurul Hoque

আর আমরা তাঁকে শিখিয়েছিলাম তোমাদের জন্য বর্ম তৈরি করতে যেন তা তোমাদের রক্ষা করতে পারে তো মাদের যুদ্ধবিগ্রহে। তোমরা কি তবে কৃতজ্ঞ হবে না?