وَكَمْ قَصَمْنَا مِنْ قَرْيَةٍ كَانَتْ ظَالِمَةً وَّاَنْشَأْنَا بَعْدَهَا قَوْمًا اٰخَرِيْنَ ١١
- wakam
- وَكَمْ
- এবং কত
- qaṣamnā
- قَصَمْنَا
- আমরা ধ্বংস করেছি
- min
- مِن
- থেকে
- qaryatin
- قَرْيَةٍ
- জনবসতি
- kānat
- كَانَتْ
- যা ছিল
- ẓālimatan
- ظَالِمَةً
- সীমালঙ্ঘনকারী
- wa-anshanā
- وَأَنشَأْنَا
- এবং আমরা সৃষ্টি করেছি
- baʿdahā
- بَعْدَهَا
- পরে তার
- qawman
- قَوْمًا
- জাতি
- ākharīna
- ءَاخَرِينَ
- অপর
কত জনপদ ছিল যেগুলোকে আমি পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছি যার অধিবাসীরা ছিল যালিম। তাদের পরে আমি অন্য জাতি সৃষ্টি করেছি। ([২১] আম্বিয়া: ১১)ব্যাখ্যা
فَلَمَّآ اَحَسُّوْا بَأْسَنَآ اِذَا هُمْ مِّنْهَا يَرْكُضُوْنَ ۗ ١٢
- falammā
- فَلَمَّآ
- অতঃপর যখন
- aḥassū
- أَحَسُّوا۟
- তারা অনুভবব করলো
- basanā
- بَأْسَنَآ
- আমাদের শাস্তি
- idhā
- إِذَا
- তখন
- hum
- هُم
- তারা
- min'hā
- مِّنْهَا
- তা থেকে
- yarkuḍūna
- يَرْكُضُونَ
- পালাতে লাগলো
তারা যখন আমার শাস্তি (’র আগমন) অনুভব করল, তখন তারা তাত্থেকে পালিয়ে যেতে (চেষ্টা) করল। ([২১] আম্বিয়া: ১২)ব্যাখ্যা
لَا تَرْكُضُوْا وَارْجِعُوْٓا اِلٰى مَآ اُتْرِفْتُمْ فِيْهِ وَمَسٰكِنِكُمْ لَعَلَّكُمْ تُسْـَٔلُوْنَ ١٣
- lā
- لَا
- (বলা হলো) না
- tarkuḍū
- تَرْكُضُوا۟
- তোমরা পালাবে
- wa-ir'jiʿū
- وَٱرْجِعُوٓا۟
- বরং তোমরা ফিরে যাও
- ilā
- إِلَىٰ
- দিকে
- mā
- مَآ
- তার
- ut'rif'tum
- أُتْرِفْتُمْ
- তোমাদের সম্ভোগ দেয়া হয়েছিলো
- fīhi
- فِيهِ
- যার মধ্যে
- wamasākinikum
- وَمَسَٰكِنِكُمْ
- ও ঘরবাড়িগুলোতে তোমাদের
- laʿallakum
- لَعَلَّكُمْ
- যাতে তোমাদের
- tus'alūna
- تُسْـَٔلُونَ
- জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে
(ফেরেশতারা তাদেরকে ঠাট্টা করে বলেছিল) পালিয়ে যেয়ো না, ফিরে এসো তোমরা যে ভোগ-বিলাসে মত্ত ছিলে তার দিকে আর তোমাদের আবাসগুলোতে, যাতে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায় (‘আযাবের রূপটা কেমন দেখলে?)। ([২১] আম্বিয়া: ১৩)ব্যাখ্যা
قَالُوْا يٰوَيْلَنَآ اِنَّا كُنَّا ظٰلِمِيْنَ ١٤
- qālū
- قَالُوا۟
- তারা বলেছিলো
- yāwaylanā
- يَٰوَيْلَنَآ
- "হায় আমাদের দুর্ভোগ
- innā
- إِنَّا
- নিশ্চয়ই আমরা
- kunnā
- كُنَّا
- ছিলাম
- ẓālimīna
- ظَٰلِمِينَ
- অত্যাচারী"
তারা বলল, ‘হায় আমাদের দুর্ভাগ্য! আমরা সত্যিই অন্যায়কারী ছিলাম।’ ([২১] আম্বিয়া: ১৪)ব্যাখ্যা
فَمَا زَالَتْ تِّلْكَ دَعْوٰىهُمْ حَتّٰى جَعَلْنٰهُمْ حَصِيْدًا خَامِدِيْنَ ١٥
- famā
- فَمَا
- অতঃপর
- zālat
- زَالَت
- চলতে থাকে
- til'ka
- تِّلْكَ
- এই
- daʿwāhum
- دَعْوَىٰهُمْ
- তাদের আর্তনাদ
- ḥattā
- حَتَّىٰ
- যতক্ষণ না
- jaʿalnāhum
- جَعَلْنَٰهُمْ
- তাদেরকে আমরা পরিণত করি
- ḥaṣīdan
- حَصِيدًا
- কাটা শস্য
- khāmidīna
- خَٰمِدِينَ
- নেভানো আগুনের মতো
তাদের এ আর্তনাদ বন্ধ হয়নি যতক্ষণ না আমি তাদেরকে করেছিলাম কাটা শস্য ও নিভানো আগুনের মত। ([২১] আম্বিয়া: ১৫)ব্যাখ্যা
وَمَا خَلَقْنَا السَّمَاۤءَ وَالْاَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا لٰعِبِيْنَ ١٦
- wamā
- وَمَا
- এবং না
- khalaqnā
- خَلَقْنَا
- আমরা সৃষ্টি করেছি
- l-samāa
- ٱلسَّمَآءَ
- আকাশ
- wal-arḍa
- وَٱلْأَرْضَ
- ও পৃথিবীকে
- wamā
- وَمَا
- আর যা কিছু
- baynahumā
- بَيْنَهُمَا
- উভয়ের মাঝে
- lāʿibīna
- لَٰعِبِينَ
- খেলার ছলে
আসমান, যমীন আর এ দু’য়ের মধ্যে যা কিছু আছে তা আমি খেলতে খেলতে বানাইনি। ([২১] আম্বিয়া: ১৬)ব্যাখ্যা
لَوْ اَرَدْنَآ اَنْ نَّتَّخِذَ لَهْوًا لَّاتَّخَذْنٰهُ مِنْ لَّدُنَّآ ۖاِنْ كُنَّا فٰعِلِيْنَ ١٧
- law
- لَوْ
- যদি
- aradnā
- أَرَدْنَآ
- আমরা চাইতাম
- an
- أَن
- যে
- nattakhidha
- نَّتَّخِذَ
- আমরা গ্রহণ করবো
- lahwan
- لَهْوًا
- (এসব সৃষ্টি) খেলা রূপে
- la-ittakhadhnāhu
- لَّٱتَّخَذْنَٰهُ
- অবশ্যই তা আমরা (খেলা হিসেবে) নিতাম
- min
- مِن
- থেকে
- ladunnā
- لَّدُنَّآ
- আমাদের কাছ (সীমাবদ্ধ রেখে)
- in
- إِن
- যদি
- kunnā
- كُنَّا
- আমরা হতাম
- fāʿilīna
- فَٰعِلِينَ
- (খেলা) করার
আমি যদি খেলাধূলার বস্তু বানাতে চাইতাম তাহলে আমার কাছে যা আছে তা নিয়েই তা করতাম, যদি আমাকে করতে হত! ([২১] আম্বিয়া: ১৭)ব্যাখ্যা
بَلْ نَقْذِفُ بِالْحَقِّ عَلَى الْبَاطِلِ فَيَدْمَغُهٗ فَاِذَا هُوَ زَاهِقٌۗ وَلَكُمُ الْوَيْلُ مِمَّا تَصِفُوْنَ ١٨
- bal
- بَلْ
- (ব্যাপার তা নয়) বরং
- naqdhifu
- نَقْذِفُ
- আঘাত হানি আমরা
- bil-ḥaqi
- بِٱلْحَقِّ
- দিয়ে সত্য
- ʿalā
- عَلَى
- উপর
- l-bāṭili
- ٱلْبَٰطِلِ
- মিথ্যার
- fayadmaghuhu
- فَيَدْمَغُهُۥ
- ফলে তাকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয়
- fa-idhā
- فَإِذَا
- অতঃপর তখন
- huwa
- هُوَ
- তা
- zāhiqun
- زَاهِقٌۚ
- নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়
- walakumu
- وَلَكُمُ
- আর তোমাদের জন্যে আছে
- l-waylu
- ٱلْوَيْلُ
- দুর্ভোগ
- mimmā
- مِمَّا
- সে কারণে যা
- taṣifūna
- تَصِفُونَ
- তোমরা রচনা করছো
বরং আমি সত্যকে মিথ্যের উপর নিক্ষেপ করি, অতঃপর তা মিথ্যের মস্তক চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়, তৎক্ষণাৎ মিথ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তোমরা (আল্লাহ সম্পর্কে অযথা বহু মিথ্যে কথা বানিয়ে নিয়ে) যা বলছ এ কারণে তোমাদের জন্য দুর্ভোগ। ([২১] আম্বিয়া: ১৮)ব্যাখ্যা
وَلَهٗ مَنْ فِى السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِۗ وَمَنْ عِنْدَهٗ لَا يَسْتَكْبِرُوْنَ عَنْ عِبَادَتِهٖ وَلَا يَسْتَحْسِرُوْنَ ۚ ١٩
- walahu
- وَلَهُۥ
- এবং তাঁরই (রয়েছে)
- man
- مَن
- যা কিছু
- fī
- فِى
- মধ্যে আছে
- l-samāwāti
- ٱلسَّمَٰوَٰتِ
- আকাশমন্ডলীর
- wal-arḍi
- وَٱلْأَرْضِۚ
- এবং পৃথিবীর
- waman
- وَمَنْ
- এবং যারা আছে
- ʿindahu
- عِندَهُۥ
- তাঁর কাছে
- lā
- لَا
- না
- yastakbirūna
- يَسْتَكْبِرُونَ
- তারা অহংকার বশে বিরত থাকে
- ʿan
- عَنْ
- থেকে
- ʿibādatihi
- عِبَادَتِهِۦ
- তাঁর ইবাদাত
- walā
- وَلَا
- আর না
- yastaḥsirūna
- يَسْتَحْسِرُونَ
- তারা পরিশ্রান্ত হয়
আসমান ও যমীনে যারা আছে তারা তাঁরই মালিকানাধীন, আর যারা তাঁর সন্নিকটে আছে তারা গর্বভরে তাঁর ‘ইবাদাত থেকে বিমুখ হয় না, আর তারা (কক্ষনো তাঁর ‘ইবাদাত করার ব্যাপারে) ক্লান্তিবোধ করে না। ([২১] আম্বিয়া: ১৯)ব্যাখ্যা
يُسَبِّحُوْنَ الَّيْلَ وَالنَّهَارَ لَا يَفْتُرُوْنَ ٢٠
- yusabbiḥūna
- يُسَبِّحُونَ
- তারা পবিত্রতা ঘোষণা করে
- al-layla
- ٱلَّيْلَ
- রাতে
- wal-nahāra
- وَٱلنَّهَارَ
- ও দিনে
- lā
- لَا
- না
- yafturūna
- يَفْتُرُونَ
- তারা থামে
তারা রাত-দিন তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করতে থাকে, তারা কক্ষনো শিথিলতা করে না বা আগ্রহ হারায় না। ([২১] আম্বিয়া: ২০)ব্যাখ্যা