Skip to content

সূরা আম্বিয়া - Page: 2

Al-Anbya

(al-ʾAnbiyāʾ)

১১

وَكَمْ قَصَمْنَا مِنْ قَرْيَةٍ كَانَتْ ظَالِمَةً وَّاَنْشَأْنَا بَعْدَهَا قَوْمًا اٰخَرِيْنَ ١١

wakam
وَكَمْ
এবং কত
qaṣamnā
قَصَمْنَا
আমরা ধ্বংস করেছি
min
مِن
থেকে
qaryatin
قَرْيَةٍ
জনবসতি
kānat
كَانَتْ
যা ছিল
ẓālimatan
ظَالِمَةً
সীমালঙ্ঘনকারী
wa-anshanā
وَأَنشَأْنَا
এবং আমরা সৃষ্টি করেছি
baʿdahā
بَعْدَهَا
পরে তার
qawman
قَوْمًا
জাতি
ākharīna
ءَاخَرِينَ
অপর
কত জনপদ ছিল যেগুলোকে আমি পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছি যার অধিবাসীরা ছিল যালিম। তাদের পরে আমি অন্য জাতি সৃষ্টি করেছি। ([২১] আম্বিয়া: ১১)
ব্যাখ্যা
১২

فَلَمَّآ اَحَسُّوْا بَأْسَنَآ اِذَا هُمْ مِّنْهَا يَرْكُضُوْنَ ۗ ١٢

falammā
فَلَمَّآ
অতঃপর যখন
aḥassū
أَحَسُّوا۟
তারা অনুভবব করলো
basanā
بَأْسَنَآ
আমাদের শাস্তি
idhā
إِذَا
তখন
hum
هُم
তারা
min'hā
مِّنْهَا
তা থেকে
yarkuḍūna
يَرْكُضُونَ
পালাতে লাগলো
তারা যখন আমার শাস্তি (’র আগমন) অনুভব করল, তখন তারা তাত্থেকে পালিয়ে যেতে (চেষ্টা) করল। ([২১] আম্বিয়া: ১২)
ব্যাখ্যা
১৩

لَا تَرْكُضُوْا وَارْجِعُوْٓا اِلٰى مَآ اُتْرِفْتُمْ فِيْهِ وَمَسٰكِنِكُمْ لَعَلَّكُمْ تُسْـَٔلُوْنَ ١٣

لَا
(বলা হলো) না
tarkuḍū
تَرْكُضُوا۟
তোমরা পালাবে
wa-ir'jiʿū
وَٱرْجِعُوٓا۟
বরং তোমরা ফিরে যাও
ilā
إِلَىٰ
দিকে
مَآ
তার
ut'rif'tum
أُتْرِفْتُمْ
তোমাদের সম্ভোগ দেয়া হয়েছিলো
fīhi
فِيهِ
যার মধ্যে
wamasākinikum
وَمَسَٰكِنِكُمْ
ও ঘরবাড়িগুলোতে তোমাদের
laʿallakum
لَعَلَّكُمْ
যাতে তোমাদের
tus'alūna
تُسْـَٔلُونَ
জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে
(ফেরেশতারা তাদেরকে ঠাট্টা করে বলেছিল) পালিয়ে যেয়ো না, ফিরে এসো তোমরা যে ভোগ-বিলাসে মত্ত ছিলে তার দিকে আর তোমাদের আবাসগুলোতে, যাতে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায় (‘আযাবের রূপটা কেমন দেখলে?)। ([২১] আম্বিয়া: ১৩)
ব্যাখ্যা
১৪

قَالُوْا يٰوَيْلَنَآ اِنَّا كُنَّا ظٰلِمِيْنَ ١٤

qālū
قَالُوا۟
তারা বলেছিলো
yāwaylanā
يَٰوَيْلَنَآ
"হায় আমাদের দুর্ভোগ
innā
إِنَّا
নিশ্চয়ই আমরা
kunnā
كُنَّا
ছিলাম
ẓālimīna
ظَٰلِمِينَ
অত্যাচারী"
তারা বলল, ‘হায় আমাদের দুর্ভাগ্য! আমরা সত্যিই অন্যায়কারী ছিলাম।’ ([২১] আম্বিয়া: ১৪)
ব্যাখ্যা
১৫

فَمَا زَالَتْ تِّلْكَ دَعْوٰىهُمْ حَتّٰى جَعَلْنٰهُمْ حَصِيْدًا خَامِدِيْنَ ١٥

famā
فَمَا
অতঃপর
zālat
زَالَت
চলতে থাকে
til'ka
تِّلْكَ
এই
daʿwāhum
دَعْوَىٰهُمْ
তাদের আর্তনাদ
ḥattā
حَتَّىٰ
যতক্ষণ না
jaʿalnāhum
جَعَلْنَٰهُمْ
তাদেরকে আমরা পরিণত করি
ḥaṣīdan
حَصِيدًا
কাটা শস্য
khāmidīna
خَٰمِدِينَ
নেভানো আগুনের মতো
তাদের এ আর্তনাদ বন্ধ হয়নি যতক্ষণ না আমি তাদেরকে করেছিলাম কাটা শস্য ও নিভানো আগুনের মত। ([২১] আম্বিয়া: ১৫)
ব্যাখ্যা
১৬

وَمَا خَلَقْنَا السَّمَاۤءَ وَالْاَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا لٰعِبِيْنَ ١٦

wamā
وَمَا
এবং না
khalaqnā
خَلَقْنَا
আমরা সৃষ্টি করেছি
l-samāa
ٱلسَّمَآءَ
আকাশ
wal-arḍa
وَٱلْأَرْضَ
ও পৃথিবীকে
wamā
وَمَا
আর যা কিছু
baynahumā
بَيْنَهُمَا
উভয়ের মাঝে
lāʿibīna
لَٰعِبِينَ
খেলার ছলে
আসমান, যমীন আর এ দু’য়ের মধ্যে যা কিছু আছে তা আমি খেলতে খেলতে বানাইনি। ([২১] আম্বিয়া: ১৬)
ব্যাখ্যা
১৭

لَوْ اَرَدْنَآ اَنْ نَّتَّخِذَ لَهْوًا لَّاتَّخَذْنٰهُ مِنْ لَّدُنَّآ ۖاِنْ كُنَّا فٰعِلِيْنَ ١٧

law
لَوْ
যদি
aradnā
أَرَدْنَآ
আমরা চাইতাম
an
أَن
যে
nattakhidha
نَّتَّخِذَ
আমরা গ্রহণ করবো
lahwan
لَهْوًا
(এসব সৃষ্টি) খেলা রূপে
la-ittakhadhnāhu
لَّٱتَّخَذْنَٰهُ
অবশ্যই তা আমরা (খেলা হিসেবে) নিতাম
min
مِن
থেকে
ladunnā
لَّدُنَّآ
আমাদের কাছ (সীমাবদ্ধ রেখে)
in
إِن
যদি
kunnā
كُنَّا
আমরা হতাম
fāʿilīna
فَٰعِلِينَ
(খেলা) করার
আমি যদি খেলাধূলার বস্তু বানাতে চাইতাম তাহলে আমার কাছে যা আছে তা নিয়েই তা করতাম, যদি আমাকে করতে হত! ([২১] আম্বিয়া: ১৭)
ব্যাখ্যা
১৮

بَلْ نَقْذِفُ بِالْحَقِّ عَلَى الْبَاطِلِ فَيَدْمَغُهٗ فَاِذَا هُوَ زَاهِقٌۗ وَلَكُمُ الْوَيْلُ مِمَّا تَصِفُوْنَ ١٨

bal
بَلْ
(ব্যাপার তা নয়) বরং
naqdhifu
نَقْذِفُ
আঘাত হানি আমরা
bil-ḥaqi
بِٱلْحَقِّ
দিয়ে সত্য
ʿalā
عَلَى
উপর
l-bāṭili
ٱلْبَٰطِلِ
মিথ্যার
fayadmaghuhu
فَيَدْمَغُهُۥ
ফলে তাকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয়
fa-idhā
فَإِذَا
অতঃপর তখন
huwa
هُوَ
তা
zāhiqun
زَاهِقٌۚ
নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়
walakumu
وَلَكُمُ
আর তোমাদের জন্যে আছে
l-waylu
ٱلْوَيْلُ
দুর্ভোগ
mimmā
مِمَّا
সে কারণে যা
taṣifūna
تَصِفُونَ
তোমরা রচনা করছো
বরং আমি সত্যকে মিথ্যের উপর নিক্ষেপ করি, অতঃপর তা মিথ্যের মস্তক চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়, তৎক্ষণাৎ মিথ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তোমরা (আল্লাহ সম্পর্কে অযথা বহু মিথ্যে কথা বানিয়ে নিয়ে) যা বলছ এ কারণে তোমাদের জন্য দুর্ভোগ। ([২১] আম্বিয়া: ১৮)
ব্যাখ্যা
১৯

وَلَهٗ مَنْ فِى السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِۗ وَمَنْ عِنْدَهٗ لَا يَسْتَكْبِرُوْنَ عَنْ عِبَادَتِهٖ وَلَا يَسْتَحْسِرُوْنَ ۚ ١٩

walahu
وَلَهُۥ
এবং তাঁরই (রয়েছে)
man
مَن
যা কিছু
فِى
মধ্যে আছে
l-samāwāti
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশমন্ডলীর
wal-arḍi
وَٱلْأَرْضِۚ
এবং পৃথিবীর
waman
وَمَنْ
এবং যারা আছে
ʿindahu
عِندَهُۥ
তাঁর কাছে
لَا
না
yastakbirūna
يَسْتَكْبِرُونَ
তারা অহংকার বশে বিরত থাকে
ʿan
عَنْ
থেকে
ʿibādatihi
عِبَادَتِهِۦ
তাঁর ইবাদাত
walā
وَلَا
আর না
yastaḥsirūna
يَسْتَحْسِرُونَ
তারা পরিশ্রান্ত হয়
আসমান ও যমীনে যারা আছে তারা তাঁরই মালিকানাধীন, আর যারা তাঁর সন্নিকটে আছে তারা গর্বভরে তাঁর ‘ইবাদাত থেকে বিমুখ হয় না, আর তারা (কক্ষনো তাঁর ‘ইবাদাত করার ব্যাপারে) ক্লান্তিবোধ করে না। ([২১] আম্বিয়া: ১৯)
ব্যাখ্যা
২০

يُسَبِّحُوْنَ الَّيْلَ وَالنَّهَارَ لَا يَفْتُرُوْنَ ٢٠

yusabbiḥūna
يُسَبِّحُونَ
তারা পবিত্রতা ঘোষণা করে
al-layla
ٱلَّيْلَ
রাতে
wal-nahāra
وَٱلنَّهَارَ
ও দিনে
لَا
না
yafturūna
يَفْتُرُونَ
তারা থামে
তারা রাত-দিন তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করতে থাকে, তারা কক্ষনো শিথিলতা করে না বা আগ্রহ হারায় না। ([২১] আম্বিয়া: ২০)
ব্যাখ্যা