Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা ত্বোয়া-হা আয়াত ৮৯

Qur'an Surah Taha Verse 89

ত্বোয়া-হা [২০]: ৮৯ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

اَفَلَا يَرَوْنَ اَلَّا يَرْجِعُ اِلَيْهِمْ قَوْلًا ەۙ وَّلَا يَمْلِكُ لَهُمْ ضَرًّا وَّلَا نَفْعًا ࣖ (طه : ٢٠)

afalā
أَفَلَا
Then did not
নি কি
yarawna
يَرَوْنَ
they see
তারা (ভেবে) দেখে
allā
أَلَّا
that not
যে না
yarjiʿu
يَرْجِعُ
it (could) return
ফিরে আসে
ilayhim
إِلَيْهِمْ
to them
তাদের দিকে (অর্থাৎ উত্তর দেয়)
qawlan
قَوْلًا
a word
কথার
walā
وَلَا
and not
এবং না
yamliku
يَمْلِكُ
possess
ক্ষমতা রাখে
lahum
لَهُمْ
for them
তাদের জন্যে
ḍarran
ضَرًّا
any harm
ক্ষতি (করতে)
walā
وَلَا
and not
আর না
nafʿan
نَفْعًا
any benefit?
উপকার (করতে)

Transliteration:

Afalaa yarawna allaa yarji'u ilaihim qawlanw wa laa yamliku lahum darranw wa laa naf'aa (QS. Ṭāʾ Hāʾ:89)

English Sahih International:

Did they not see that it could not return to them any speech [i.e., response] and that it did not possess for them any harm or benefit? (QS. Taha, Ayah ৮৯)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তারা কি ভেবে দেখে না যে, তা তাদের কথার জবাব দেয় না, আর তা তাদের কোন ক্ষতি বা উপকার করার সামর্থ্যও রাখে না? (ত্বোয়া-হা, আয়াত ৮৯)

Tafsir Ahsanul Bayaan

তবে কি ওরা ভেবে দেখে না যে, তা তাদের কথায় সাড়া দেয় না এবং তাদের কোন ক্ষতি বা উপকার করার ক্ষমতাও রাখে না? [১]

[১] আল্লাহ তাআলা তাদের মূর্খতা স্পষ্ট করার জন্য বলেছেন, জ্ঞানান্ধরা কি এতটুকুও বুঝতে সক্ষম নয় যে, তাদের হাতে গড়া ঐ বাছুর দেবতা তাদের কোন কথার উত্তরও দিতে পারে না, তাদের কোন লাভ-নোকসানও করতে পারে না। অথচ মা'বুদ ও উপাস্য ঐ সত্তাই হতে পারেন, যিনি সকলের মিনতি শোনা, উপকার বা অপকার করা এবং প্রয়োজন পূরণ করার ক্ষমতা রাখেন।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

তবে কি তারা দেখে না যে, ওটা তাদের কোথায় সাড়া দেয় না এবং তাদের কোন ক্ষতি বা উপকার করার ক্ষমতাও রাখে না [১]?

[১] এ বাক্যে তাদের নিবুদ্ধিতা ও পথভ্রষ্টতা বর্ণনা করা হয়েছে যে, বাস্তবে যদি একটি গো-বৎস জীবিত হয়ে গরুর মত আওয়াজ করতে থাকে, তবে এই জ্ঞানপাপীদের এই কথা তো চিন্তা করা উচিত ছিল যে, এর সাথে ইলাহ হওয়ার কি সম্পর্ক? যে ক্ষেত্রে গো-বৎসটি তাদের কথার কোন জবাব দিতে পারে না এবং তাদের কোন উপকার অথবা ক্ষতি করার ক্ষমতা রাখে না, সে ক্ষেত্রে তাকে ইলাহ মেনে নেয়ার নির্বুদ্ধিতার পেছনে কোন যুক্তি আছে কি? ইবন আব্বাস বলেন, এর শব্দ তো আর কিছুই নয় যে, বাতাস এর পিছন দিয়ে ঢুকে সামনে দিয়ে বের হয়। তাতেই আওয়াজ বের হতো। এ মূর্খরা যে ওজর পেশ করেছে তা এতই ঠুনকো ছিল যে তা যে কোন লোকই বুঝতে পারবে। তারা কিবতী কাওমের স্বর্ণালঙ্কার থেকে বাঁচতে চেয়ে সেগুলোকে নিক্ষেপ করল অথচ তারা গো বৎসের পূজা করল। তারা সামান্য জিনিস থেকে বাঁচতে চাইল অথচ বিরাট অপরাধ করল। [ইবন কাসীর] আব্দুল্লাহ ইবন উমর এর কাছে এক লোক এসে বলল, মশার রক্তের বিধান কি? ইবন উমর বললেন, তোমার বাড়ী কোথায়? লোকটি বলল, ইরাকের অধিবাসী। তখন ইবন ওমর বললেন, দেখ ইরাকবাসীদের প্রতি! তারা আল্লাহর রাসুলের মেয়ের ছেলেকে হত্যা করেছে, আর আমাকে মশার রক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে। [বুখারী; ৫৯৯৪]

এ আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, যিনি রব ও ইলাহ হবেন তাঁকে অবশ্যই কথা বলার মত গুণবিশিষ্ট হতে হবে। যার এ গুণ নেই তিনি ইলাহ হওয়ার উপযুক্ত নন। তাই আল্লাহ তা’আলাকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত কথাবলার গুণে গুণান্বিত বলে বিশ্বাস করে। এটা এ গুণের স্বপক্ষে একটা দলীল। এটা ছাড়াও কুরআন ও হাদীসে এ বিষয়ে বহু দলীল-প্রমাণাদি রয়েছে।

Tafsir Bayaan Foundation

তারা কি দেখে না যে, এটা তাদের কোন কথার জবাব দিতে পারে না, আর তাদের কোন ক্ষতি বা উপকার করার ক্ষমতাও রাখে না?

Muhiuddin Khan

তারা কি দেখে না যে, এটা তাদের কোন কথার উত্তর দেয় না এবং তারে কোন ক্ষতি ও উপকার করার ক্ষমতাও রাখে না?

Zohurul Hoque

তারা কি তবে দেখে নি যে এটি তাদের প্রতি কথার জবাব দিত না, আর তার কোনো ক্ষমতা ছিল না তাদের ক্ষতি করবার, আর ছিল না উপকার করবাব?